নামাজ সম্পর্কে কতিপয় দার্শনিকের মতামত-৩
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ আহমেদ ২৪ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৩৭:৫৮ রাত
দেওয়ান শিং মাফতুন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ইন্ডিয়ান ল্লিডার এবং সাংবাদিক।তিনি ' রিয়াসাত(নেতৃত্ব)নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন যা নির্দিষ্ট বৃত্তে খুবই প্রসিদ্ধ হয়।তিনি এই প্রবন্ধে লিখেনঃ " নামাজ সয়ানুবর্তিতা শিক্ষা দেয়,যে শৃঙ্গলা ও নিয়মানুবর্তিতা শিখতে চায় সে যেন নামাজের ওপর চিন্তা করে।নামাজে মালিক ও চাকরের পার্থক্য ঘুচে যায়,যখন এই কাতারে মাহমুদ ও আয়ায(বাদশা ও ফকির)এক সঙ্গে এবং এক সারিতে দাঁড়ায়।যদি মুসলমান নামাজ পড়তে আরম্ভ করে ত্খন তা-ই বিজয়ী হয় যা তারা কুরআনে বলেন।নামাজ ব্যক্তি ও সমাজের সংশোধনের সর্বোত্তম উপায় এবং যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালাও খুশি এবং সৃষ্টিও সন্তুষ্ট থাকে । " অভিজ্ঞ ইংরেজ এক মুসলমান ইউরোপে নামাজ পড়ছিলেন তখন অ এক ইংরেজ ব্যক্তি,দাঁড়িয়ে তাকে দেখতে থাকেন।যখন তিনি নামাজ শেষ করলেন তখন ইংরেজ ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ " তুমি কোন কিতাব থেকে এই ব্যায়ামের পদ্ধতি শিখেছ?আমিও আমার পুস্তকে ব্যায়ামের এই পদ্ধতি বর্ণনা করেছি এবং এই পদ্ধতিতে ব্যায়ামকারী দীর্ঘ জটিল ও কঠিন কষ্টকর রোগ থেকে সর্বদা বেঁচে থাকবে।যদি দাঁড়ানো ব্যক্তি ব্যায়াম রত অবস্থায় সোজা নিচে সিজদায় চলে যায় তবে এর দ্বারা স্নায়ু ও হার্টের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে,এজন্য আপনি যেমন রুকু করলেন আমিও আমার পুস্তকে এরুপ লিখেছি এবং আমি এও লিখেছি যে,প্রথমে দাঁড়িএ ব্যায়াম করবে।এর মধ্যে হাত বেঁধে রাখবে।অতঃ পর (রুকুর ন্যায়)ঝুঁকে হাত এবং কোমরের ব্যায়াম করবে।এরপর মাথা জমিনে রেখে ব্যায়াম করবে।এ ধরনের ব্যায়াম শুধু অভিজ্ঞদের কথায়ই রয়েছে।সব লোক এর সৌন্দর্য সম্পর্কে জানেনা।আপনি এই ব্যায়াম কার কথার ওপরে করেছেন " । ঐ মুসলমান বলতে থাকলেঃ আমি মুসলমান।আমার দ্বীনে ধর্মীয় বিধানে নির্দেশ রয়েছে এরুপ করতে,আমি আপনার পুস্তক দেকিওনি।আমরা মুসলমানগণ আজ থেকে চৌদ্দশত বছরের বেশী সময়ব্যাপী আমাদের নবী করীম(সাঃ)-এর প্রদর্শিত এই আমল প্রত্যহ নিয়ম অনুযায়ী পাঁচবার করি। ইংরেজ এ কথা শুনে অভিভূত হয়ে গেলেন এবং এই মুসলমানদের নিকট থেকে অধিক জ্ঞান হাসিল করতে থাকলেন..…।চলমান।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন