কোরবানীর পশু মোটাতাজাকরণ

লিখেছেন লিখেছেন পাঠ প্রক্রিয়া ১০ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:৫৭:৪৯ বিকাল

আর দুই মাস পর হবে ঈদুল আযহা। ঈদের আগেই কোরবানীর হাট জমে উঠবে। গরু ছাগলই মূলত বেশি বেশি বিক্রির তালিকায় থাকবে স্বাভাবিকভাবেই।

ঈদ উপলক্ষ্যে সাধারণত বাজারে মোটাতাজা করা গরু আনা হয় অতিরিক্ত মুনাফার আশায়। এই মোটাতাজা করা গরু কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এটা সকলেই কম বেশি জানে। অথচ এর কোনো প্রতিকার দেখা যাচ্ছে না। অতীতে এটা বন্ধ করার বা নিরুৎসাহিত করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি তেমন একটা। অথচ একশ্রেণির ব্যবসায়িরা ঈদের আগে অধিকহারে গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকে। অধিক মুনাফালোভীরা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কোরবানীর মতো উদ্দেশ্যের সাথেও জড়িয়ে নিয়েছে নিজেকে তারা যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। নিরীহ জনগণের সাথে তাদের এটা এক ধরনের প্রতারণা। অথচ কোরবানী হলো একটা মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ত্যাগের মহীমা প্রকাশ করা।

কাজেই আমরা আশা করব একাজ থেকে মুনাফালোভীরা বিরত থেকে মানুষের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেবে না। যারা কোরবানী দেবে তারাও মোটাতাজা গরুর কেনা থেকে বিরত থাকতে সকলকে উৎসাহিত করবে আশা করা যায়। এখন থেকেই যদি এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া যায় এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা যায় তাহলে মানুষ বিষ বা বিষাক্ত কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবে। এতে স্বাস্থ্য হুমকি থেকেও মানুষ নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারবে। আর যারা একাজক করে তারা হয়ত বিরত হলেও হতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

৮৬২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

252913
১০ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
কাজি সাকিব লিখেছেন : মানুষ যখন ধর্মীয় উৎসবগুলোক থেকেও ধর্মীয় বাদ দিয়ে শুধু উৎসবে পরিণত করা শুরু করে তখন আর এর বাইরে কিইবা হবে?
১১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
197271
পাঠ প্রক্রিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন। মূল্যবোধের অবক্ষয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File