ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন স্ব.ঘোষিত.নাস্তিক ২১ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৫৫:১০ দুপুর
বাংলাদেশের
আদিবাসী কারা,
আন্দোলন করে কারা?
প্রেক্ষিত আদিবাসী-
ভূমি বঙ্গের
উৎপত্তিকাল-
বিশ্বে 'আদিবাসী'
কারা? আর কারা
আন্দোলন করে?
ইতিহাসবিদরা বলেন
মূলত প্রাচীন
সভ্যতার অভ্যুদয় ঘটে
এশিয়া ও আফ্রিকা
মহাদেশে। আফ্রিকার
মিশর এবং এশিয়ার
মেসোপটেমিয়া, ভারত
ও চীন সভ্যতার
লীলাভূমি। ভারতীয়
উপমহাদেশে সবচেয়ে
পুরনো সভ্যতার
সন্ধান পাওয়া যায়
সিন্ধু নদের
অববাহিকায়। আমরা
তালাশ করলে দেখতে
পাই বাঙালী সভ্যতা
চার হাজার বছরের
পুরনো সভ্যতা ।
মহাপ্লাবণের সময় নুহ
আঃ (Noah) -এর চার
ছেলে ছিল।
১. হাম
২. সাম
৩. ইয়াফিস
৪ রাফেস (যিনি কেনান
নামেও পরিচিত)
নুহ আঃ বড় ছেলে
হামের ছিলো ছয়
ছেলে। তারা হলোঃ
১. হিন্দ
২. সিন্দ
৩. হাবাস
৪. জানাস
৫. বার্বার
৬. নিউবাহ
এদের মধ্যে হিন্দের
মাধ্যমে ভারতবর্ষ
আবাদ হয়েছিলো।
হিন্দের সন্তানরা এ
অঞ্চলে বসতি স্থাপন
করেছিলো বলেই এ
ভুখন্ড ‘হিন্দুস্তান’
নামে পরিচিত। যাকে
আমরা ভারতবর্ষ
কিংবা ভারত
উপমহাদেশ বলে থাকি।
আল্লাহর নবী নুহ
(আঃ) ছেলে ও
নাতিদের সকলেই
ছিলেন ঈমানদার ও
ধর্মপ্রচারক। তাঁরা
ছিলেন তাওহীদবাদের
পূর্ণ বিশ্বাসী।
হামের বড় ছেলে
হিন্দের ছিল চার
ছেলে। তারা হলোঃ
১. পূরব
২. বঙ্গ
৩. দাকান
৪. নাহরাওয়াল
বড় ছেলে পূরবের মোট
বিয়াল্লিশজন ছেলে
ছিলো। তারা
ভারতবর্ষ ও এর
আশেপাশে বসতি
স্থাপন করে এবং
অল্পকালের মধ্যেই
তাদের বংশবিস্তার
হয়। তারা ভারতের
বিভিন্ন এলাকায়
ছড়িয়ে পড়ে। হিন্দের
উল্লেখিত দ্বিতীয়
ছেলে বঙ্গ ভারত
উপমহাদেশের
পূর্বাঞ্চলে বসতি
স্থাপন করেন। তাঁর
বংশধরের
আবাসস্থলই তাঁর
নামে অর্থাৎ ‘বঙ্গ’
নামে পরিচিত হয়।
হিন্দের তৃতীয় ছেলে
দাকানের ছিলো তিন
ছেলে। তাঁরা হলোঃ-
১. সারহাট
২. কানাড়
৩. তালাঙ্গ
তম্মধ্যে সারহাটের
নামে সুরাট, কানাড়ের
নামে কানাড়ী ও
তালাঙ্গের নামে
তেলেঙ্গু বা তেলেগু
অঞ্চলের নামকরণ
হয়। বাংলাদেশে
বাঙ্গালী জাতির
ইতিহাস চার হাজারের
বেশী পুরনো ইতিহাস।
একথা অস্বীকারের
কোন উপায় নেই যে-
শুধু শত বছরের চোট-
খাট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
উপজাতিগুলোর
স্বাপেক্ষেই নয়,
বাঙ্গালী জাতি
পৃথিবীর যেকোন
প্রাচীন জনগোষ্ঠীর
স্বাপেক্ষেই 'অন্যতম
প্রাচীন আদিবাসী'
জনগোষ্ঠী।
তথ্যসূত্রঃ
১. ড. এম এ আযীয ও ড.
আহমাদ আনিসুর
রহমান রচিতপ্রবন্ধ,
২. বাংলাদেশের
উৎপত্তি ও বিকাশ, ড
কাজী দ্বীন
মোহাম্মদ।
৩. রিয়াজুস সালাতীন,
গোলাম হোসাইন
সালিম
কার্টেসি- Ahmed
Afgani
_______________ ___________
২-
"...প্রখ্যাত ঐতিহাসিক
রাখালদাস
বন্দ্যোপাধ্যায়ে র
বাংলার ইতিহাস
(প্রথম খণ্ড) থেকে
ছোট্ট আর একটি
উদ্ধৃতি : ‘ঐতরেয়
আরণ্যকে বঙ্গ শব্দের
সর্বপ্রাচীন উল্লেখ
পাওয়া গিয়াছে। … যে
সময়ে ঐতরের
ব্রাহ্মণে বা আরণ্যকে
আমরা বঙ্গ অথবা
পুণ্ড্রজাতির উল্লেখ
দেখিতে পাই সে সময়ে
অঙ্গে, বঙ্গে অথবা
মগধে আর্য্য জাতির
বাস ছিল না।’ পবিত্র
ঋগ্বেদে একইভাবে এই
অঞ্চলে বঙ্গ নামে
জাতির উল্লেখ আছে
এবং এইসব কম-বেশি
তিন হাজার বছর
আগের কথা।’
মহামহোপাধ্যায়
শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ
শাস্ত্রী রচিত
“Bengal, Bengali’s, Their
manners, customs and
Literature ” নামক
অপ্রকাশিত প্রবন্ধ
থেকে একটি উদ্ধৃতি
দেয়া যায় : ‘বাংলার
ইতিহাস এখনও এত
পরিষ্কার হয় নাই যে
কেহ নিশ্চয় বলিতে
পারেন বাংলা Egypt
হইতে প্রাচীন অথবা
নূতন। বাঙ্গালা Ninevah
ও Babylon হইতেও
প্রাচীন অথবা নূতন।
বাঙ্গালা চীন হইতেও
প্রাচীন অথবা নতুন।
যখন আর্য্যগণ মধ্য
এশিয়া হইতে
পাঞ্জাবে আসিয়া
উপনীত হন, তখনও
বাংলা সভ্য ছিল।
আর্য্যগণ আপনাদের
বসতি বিস্তার
করিয়া যখন এলাহাবাদ
পর্যন্ত উপস্থিত হন,
বাংলার সভ্যতায়
ঈর্ষাপরবশ হইয়া
তাহারা বাঙালিকে
ধর্মজ্ঞানশূন্য পক্ষী
বর্ণনা করিয়া
গিয়াছেন।’
মেগাস্থিনিস ও টলেমি
প্রমুখ ঐতিহাসিক ও
ভূগোলবিদদের বর্ণনায়
ভারতবর্ষে
শক্তিশালী
গঙ্গরিড়হী রাজ্যের
কথা বলা হয়েছে তার
অবস্থান আজকের
বাংলাদেশে। যার
বিশাল
হস্তিবাহিনীর কথা
শুনে ভয় পেয়েছিলেন
গ্রীক বীর
আলেকজান্ডার।
রামায়নে উল্লিখিত
মহাবালী রাজাকে
ঐতিহাসিকগণ
প্রাচীন বাংলার কোনো
পরাক্রমশালী রাজা
বলে শনাক্ত
করেছেন।
নৃবিজ্ঞানীদের মতে,
বাংলাদেশের
পলিমাটির বয়স ২০
হাজার বছরের
প্রাচীন। পঞ্চগড়
সরকারি মহিলা
কলেজে সংরক্ষিত
নৌকা দুটির
আনুমানিক বয়স ৩
হাজার বছর বলে তারা
মনে করেন। পঞ্চগড়ের
ভিতরগড় দুর্গের বয়স
প্রায় ২ হাজার বছর।
তার চেয়েও প্রাচীন
উয়ারী বটেশ্বরের
সভ্যতাকে
নৃবিজ্ঞানীগণ
মহেঞ্জোদারো
সভ্যতার সমসাময়িক
বলে দাবি করেন।
প্রাচীন বাংলার
স্বীকৃত সভ্যতা
বৌদ্ধ সভ্যতা। কিন্তু
সে বৌদ্ধরা চাকমা
ছিলেন না। ছিলেন
বাঙালি। শক্তিশালী
বৌদ্ধ রাজা ধর্মপাল
বাঙালি ছিলেন।
বাঙালী বৌদ্ধ
ধর্মগুরুরা তাদের
পাণ্ডিত্বে বাংলার
সীমানা ছাড়িয়ে সুদুর
চীন পর্যন্ত আলো
ছড়িয়েছিলেন। বাংলা
ভাষার প্রাচীন
পুস্তিকা চর্যাপদও
আবিস্কৃত হযেছে
নেপালের রাজসভায়।
উল্লেখ্য, চর্যাপদ
মূলত বৌদ্ধগান।'..."
বিস্তারিত-
http://goo.gl/ BW9DG3
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ মহা প্লাবনের সময় নুহ (আঃ) এক ছেলে নৌকায় উঠতে চায় নি । বলেছিল যে সে কোন পাহাড়ে আশ্রয় নেবে । পরে সাথে সাথেই সে ঢেউয়ের মধ্যে তলিয়ে যায় ।
ছেলে ও নাতিরা সবাই যদি ধর্ম প্রচারক হয়ে থাকে তাহলে এতদ অন্চলে প্রতিমা পূঁজা শুরু হয়েছিল কার সময় থেকে ?
চাকমারা বাংলাদেশের আদিবাসি নয় , এরা উপজাতি । পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ।
আদিবাসী বরং তারাই যাদেরকে হত্যা করে তাদের দেশ দখল করেছে ইংরেজ তথা পশ্চিমারা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন