তিনি আসলেই একখান মাল।
লিখেছেন লিখেছেন কালো পাগড়ী ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:১৩:২৯ রাত
তিনি আসলেই একখান মাল।
এক
ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার পূর্বে আমাদের সংবাদ পত্র, টিভি চ্যানেল, টকশো , সভা- সেমিনার , সোশ্যাল মিডিয়া, সুশীল সমাজ সহ নামে বেনামে ভারত বান্ধব হাজারো সংগঠন দেশের মানুষ কে এ কথা বুঝিয়েছে যে ভারত কে ট্রানজিট দিলে ট্রানজিট থেকে প্রাপ্ত টাকায় বাংলাদেশ অচিরেই সিঙ্গাপুর হবে। দেশ ইমাজিং এশিয়াটিক টাইগারে পরিণত হবে, আর কত কি। দেশ বাসীর মতামতের তোয়াক্কা না করে ভারত বান্ধব আওয়ামী সরকার দাদাদের ট্রানজিট দিলেন। দাদারা কলা দেখিয়ে আমাদের আমাদের বুকের উপর দিয়ে তাদের লড়ির লট বহর চালাতে লাগলো । ধারন ক্ষমতার চেয়েও দশ গুন বেশী ওজনের লড়ির লট বহর আমাদের রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে দিল, বহমার নদীর মাঝ দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দাদাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হল।
ইতি মধ্যে উদয় হলেন আমাদের মাল সাহেব, তিনি বললেন ভারত থেকে আমরা ট্রানজিট ফি নেব আমরা কি ফকিন্নি?
দুই
২০১২ সালে সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারির বিষয়টি ছিল সে বছরের অন্যতম আলোচিত বিষয়। ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভির মাহমুদ সোনালী ব্যাংকের হোটেল রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। একই শাখা থেকে আরও ২৬টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ভুয়া এলসি করে অস্তিত্বহীন আরও ৪০টি কোম্পানি হাতিয়ে নেয় আরও ১ হাজার কোটি টাকা। এই জালিয়াতির সহযোগী ছিলেন রূপসী বাংলা শাখার জিএম একেএম আজিজুর রহমান। সরকারের এক উপদেষ্টার নামও আসে এই জালিয়াতিতে প্রভাবক হিসেবে।
সংসদীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হলমার্ক গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ৫টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৬টি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা হতে ২০১০ সাল থেকে মে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। বেশিরভাগ ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে অস্তিত্ববিহীন/নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সংযুক্ত বিল সৃষ্টির মাধ্যমে। সংসদীয় তদন্ত কমিটির মতে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখার জিএম একেএম আজিজুর রহমান ছাড়াও জালিয়াতির ঘটনায় সংঘটিত চক্রের অন্যতম হোতা হিসেবে উপ-শাখা ব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, সাবেক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসের দায়িত্বে থাকা জিএম ননী গোপাল নাথ, জিএম অফিসের দায়িত্বে থাকা মীর মহিদুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের ডিএমডি মাইনুল হক ও আতিকুর রহমানকে দায়ী করা হয়েছে।
আবার উদয় হলেন আমাদের মাল সাহেব, তিনি বললেন সারে ৪ হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই না।
আমাদের প্রশ্ন জাগে মিঃ মাল সাহেব বাংলাদেশের জনগন ফকিন্নি না, ফকিন্নি হচ্ছ তোমরা আর তোমাদের মত টাউট বাটপার। দেশের জনগন দিতে জানে আর তোমাদের মত ফকিন্নিরা শুধু নিতেই জানে, তোমরা আসলে চরিত্র হীন চোর। না হয় ছাত্রদের টিউশন ফি এর উপর ভ্যাটের প্রস্তাব করতে পারতা না।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন