রহস্য উপন্যাস "ফাইল নম্বর টু " পর্ব- সাত।
লিখেছেন লিখেছেন কালো পাগড়ী ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:৩০:০৯ সন্ধ্যা
আমার কৈফিয়ত - এ উপন্যাসের পর্ব - ছয় পোস্ট দিয়েছিলাম গত ২১ আগস্ট। বিগত একটি সপ্তাহ্ অনেক অসুস্থ থাকার কারনে, টাইপ করতে পারিনি। আসলে শারীরিক দুর্বলতায় কুলিয়ে উঠতে পারিনি। তাই পর্ব- সাত পোস্ট দিতে দেরি হল।
আশা করি সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আবার কি বোর্ডে টাইপ করার ক্ষমতা যে অসীম ক্ষমতা ধর আমাকে দান করেছেন, তার দরবারে জানাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ্।
পর্ব - সাত ।
শিপনের রুমে সবাই মুখোমুখি বসা। শিপন পর্যায় ক্রমে বলে যাচ্ছে অফিসের পেছনে আড়ি পেতে শোনা কথা গুলো। সবাই তন্ময় হয়ে শুনছে শিপনের কথা গুলো। ক্ষণিক নিশ্চুপ সবাই। আবার নিরবতা ভেঙ্গে কথা শুরু করল শিপন। তাহলে সামনে অগ্রসর হওয়ার জন্যে মোটামুটি কিছু সুত্র আমরা পেয়েছি। এখন কাজ হচ্ছে সাবধানে সুত্র ধরে অনুসন্ধান করা।
হিরা রাজু লেবু একসাথে বলে উঠল, সূত্রগুলো একটু বুঝিয়ে বল।
শিপন বলল ওরা যে পাখীর কথা বলেছে, আমার মনে হয় এর দ্বারা তেলাপোকাই বুঝিয়েছে। কেননা তেলাপোকাতো পাখীর মতো উড়তে পারে। আর অতিরিক্ত সতর্কতার জন্যেই ওরা এটার নাম পাখী দিয়েছে। যাতে কেউ বুঝতে না পারে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে ওদের অফিস থেকে পাখী সংগ্রহ করা। আর আমরা যা কিছুই করি না কেন, আগামী দু’ দিনের মধ্যেই করতে হবে। কারন ঐ দু’দিন ওদের অফিস বন্ধ থাকবে। আমাদের টার্গেট থাকবে যদি আমরা সঠিক ভাবে অগ্রসর হতে পারি। এবং প্রমান করতে পারি ওদের দ্বারাই এ রকম অন্যায় সংগঠিত হয়েছে, তবে বিয়ের অনুষ্ঠানেই আরেক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হবে।
মানে বুঝলাম না’ অনুষ্ঠান হবে কেন? অনুষ্ঠান হলে তো খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করতে হয়। আমার কাছে কিন্তু কোন টাকা পয়সা নেই। কোন চান্দা ফান্দা দিতে পারুম না। আগেই বলে দিচ্ছি। লেবু চোখ গরম করে কথা গুলো জানিয়ে দিল সবাই কে।
লেবু বলে কথা, তাই সবাই এ কথাকে গায়ে না মেখে হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিল। কেউ কিছু মনে করল না।
শিপন বলে উঠল আরে বোকা অনুষ্ঠানে আমরা আবার খরচ করতে যাব কেন। ঐ এক অনুষ্ঠানে ছেলের সাথে কি ভাবে বাবাকেও শ্বশুর বাড়ি পাঠানো যায়। সেই কথাই বলছি।
আসলে তোরা এই বুড়া বেটারে আবার বিয়ে দিতে চাস? বলি এই বয়েসের ঐ বুড়ো ভামকে আবার কে মেয়ে দিবে? আবারো বলে উঠল লেবু।
আরে না না মেয়ে মেয়ে দিতে হবে কেন। মেয়ে ছাড়াই বিয়ে হবে, শ্বশুর বাড়ি হবে। জোকস করল হিরা।
সবাই লেবুর দিকে চেয়ে মিটি মিটি হাসছে। অবশেষে লেবুও ব্যাপার টা বুঝতে পেরে জোরে হেসে উঠল। ওর সাথে বাকীরা ও যোগ দিল।
সিপন বলল এবার থাম তোরা, কাজের কথায় আসি। আমরা তথ্য সংগ্রহ করে ওসি সাহেবের সাথে দেখা করব। তবে এ ক্ষেত্রে মামাকে খুব মিস করছি। তাকে খবর দেওয়া দরকার। এ সময় তিনি কাছে থাকলে আমাদের বেশ উপকার হবে।
লেবু বলল তোর মামা মাত্র আট দিন হয় দেশের বাড়ি গিয়েছেন। এখন কি আসবেন?
আমার মনে হয়, আমাদের এখানকার যে অবস্থা। যদি তাকে ভালভাবে বুঝিয়ে বলা যায় । তবে তিনি না এসে পারবেন না। বলল হিরা,
রাজু তোদের টেলিফোন থেকে মামাকে একটা ফোন কর না প্লিজ। শিপন তুই ওর সাথে যা। যোগ করল লেবু।
শিপন বলল, আচ্ছা যাচ্ছি একটু পরে। তার আগে শোন । আগামী কাল কলেজের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাজারের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
কেন কলেজ মাঠে হওয়ার কথা ছিল না? হিরার জিজ্ঞাসা।
শিপন উত্তর দিল। নাহ, সাব্বির ভাই আমাকে বলল আন্ত টিমের কি এক সমস্যা তাই কলেজ মাঠ নয়, বাজারের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সবাই খেলা দেখতে যাব। খেলা চলতে থাকবে। আমরা এর ফাঁকে আর কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চাই। যে করেই হোক আমাদের এটা করতে হবেই। শিপনের কথায় সবাই হাত মুষ্টি বদ্ধ করল। প্রয়োজনে লাট মিয়াঁর সাথে খাতির করব। দোকান থেকে কিছু এনে খাইয়ে দিব। দেখছিস না, খেতে খেতে বেটার ভুঁড়ির অবস্থা কি হয়েছে।
পর্ব- এক http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51164#.U_I7cZR_seg
পর্ব- দুই
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51284#.U_I8x5R_seg
পর্ব- তিন
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51334#.U_I9H5R_seg
পর্ব- চার
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51601#.U_XD6JR_seg
পর্ব- পাঁচ
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51783#.U_XcoJR_seg
পর্ব- ছয়
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51789#.U_8rbJR_seg
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মজা করলাম ভাল লাগছে আপনার রহস্য উপন্যাস
মন্তব্য করতে লগইন করুন