রহস্য উপন্যাস " ফাইল নম্বর টু" পর্ব - পাঁচ।
লিখেছেন লিখেছেন কালো পাগড়ী ২১ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:০৮:৩০ বিকাল
পাঁচ।
ছোট একটা রুম। রুমে একটি খাট। খাটের পাশেই একটি টেবিল ও একটি চেয়ার। এটি শিপনের রুম। রুমে ঢুকেই ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিল ওরা। শিপন চেয়ারে বসা । খাটের কর্নারে লেবু আর হিরা। সবাই মুখমুখি। শিপন কথা আরম্ভ করলো। লেবু তাহলে তুই ঐ অফিসে এ রকম তেলাপোকাই দেখেছিস?
লেবু উত্তর দিল, অবশ্যই। পকেট থেকে কচু পাতায় মোড়ানো একটি পুঁটলি বের করলো ও। ভেতরে কয়েকটি তেলাপোকা। চিংড়ি ঘের থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছিল।
সিপন বলল খালি হাতে ধরিসনে। আমার মনে হয় খুব বিষাক্ত। যার কারনেই চিংড়ি মাছে গুলো মারা গেছে।
হিরা বলল শুধু মুখে বললেই তো হবেনা। প্রমান করতে হবে যে এগুলোর কারনেই এমনটা ঘটেছে।
সে কথাইতো চিন্তা করছি। বলল শিপন। আচ্ছা এক কাজ করলে কেমন হয়। এই তেলাপোকা গুলোকে, একটি পানির পাত্রে রাখি। তারপর আমাদের ঘের থেকে দুটি চিংড়ি ধরে এনে এর সাথে রেখে দেই। তাহলেই বুঝেতে পারব ঘটনাটা কি।
এ প্রক্রিয়ায় শিপনেরা যে রেজাল্ট পেলো, তাতে সবার মাথা খারাপ হয়ার উপক্রম। তিন মিনিটের মাথায় চিংড়ি গুলো মরে শেষ এবং ওরাও নীল বর্ণ ধারণ করেছে।
লেবু বলল এক কাজ কর। আমরা পুলিশে খবর দেই। আমরা বলব যে , তেলাপোকা দিয়েই চিংড়ি মারা হয়েছে।
হিরা বলল সেটাই ভালো। এবং বলতে হবে যে, ঐ অফিসে আমরা এ ধরনের তেলাপোকা দেখিছি। তারপর দেখবি পুলিশ সবাইকে লাল দালানে ঢোকাবে। শিপন ওদের কথায় কোন সায় না দিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে আছে।
লেবু একটা খোঁচা মেরে বলল, কিরে শিপন , তোর হলো ? চুপ মেরে গেলি যে, কথা বলিস না কেন।
শিপন বলল তোদের সব কথাই শুনেছি। এতে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং উল্টোটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। শেষে নিজেরাই ফেঁসে যেতে পারি।
তাহলে কি করতে চাস?
তোরা বুঝতে পেরেছিস এটা নিশ্চয়ই কোন অশুভ শক্তির চক্রান্ত। এবং তারা খুবই শক্তিশালী। তা না হলে এতো বড় চিংড়ি ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারতো না। সুতারং ওদের বিরুদ্ধে কিছু করতে হলে নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকতে হবে। শিপন প্লান জানালো। সর্ব প্রথম আমরা ঐ অফিস থেকে কিছু তেলাপোকা সংগ্রহ করতে চাই। তারপর ঘের থেকে পাওয়া আর ঐ অফিসের টা মিলিয়ে দেখবো এক কিনা। এটা করতে পারলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব।
তাহলে এখন থেকেই কাজে লেগে যাই, কি বলিস।
নিশ্চয়ই । তবে তার আগে আমাদের কিছু নিয়মনীতি ঠিক করা দরকার। যেটা মেনেই আমরা সামনে অগ্রসর হতে পারি।
যেমন, হিরা জানতে চাইলো।
শিপন বলল, প্রথমত আমাদের একটা নির্দিষ্ট জায়গা দরকার। যেখানে আমরা নিশ্চিন্তে এ কাজ করতে পারি।
লেবু বলল , কেন তোর রুমটাইতো আছে। কি বলিস হিরা। হিরা সায় দিল।
আচ্ছা না হয় সেটা হলো। দ্বিতীয়ত ক্রিকেটের মতো এখানেও একজন দলনেতা থাকা অবশ্যক, যার কথা আমরা সবাই মেনে চলবো। এ ব্যাপারে হিরা হবে আমাদের দল নেতা, কি বলিস লেবু।
ওরে বাবারে এ আমার দ্বারা সম্ভব নয়। তার চেয়ে বরং তুই আমাদের লিডার, লেবু তুই আমার সাথে এক মত হয়ে যা। বলল হিরা।
লেবু বলল অবশ্যই। শিপনই হবে আমাদের লিডার। নির্দেশ দিন নেতাজী। স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতে বলল লেবু।
ঠিক আছে তোরা যখন বলছিস। তবে আমার কথা অবশ্যই তোদের মানতে হবে। জি স্যার আপনার আদেশ শিরোধার্য। বলল লেবু।
কি বলিস আবোল-তাবোল। আমি আবার তোদের স্যার হলাম কখন? কপট রাগ দেখিয়ে ধমক লাগালো শিপন। না মানে , , , , একটু ইয়ে করলাম আরকি। আপনি কি মাইন্ড করেছেন স্যার ?
লেবু সব সময় রসিকতা করার সময় নয়। সামনে আমাদের অনেক কাজ। মনোযোগ দিয়ে শোন, আজ রাত ন’টার সময় আমরা ঐ অফিসে যেতে চাই। তোরা তার আগেই আমাদের পুকুর ঘাটে চলে আসবি। এখন সবাই বাড়ি যা, ভাগ। হাসতে হাসতে বলে শিপন।
পর্ব- এক http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51164#.U_I7cZR_seg
পর্ব- দুই
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51284#.U_I8x5R_seg
পর্ব- তিন
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51334#.U_I9H5R_seg
পর্ব- চার
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/9722/alam14/51601#.U_XD6JR_seg
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন