রহস্য উপন্যাস "ফাইল নম্বর টু" পর্ব- তিন
লিখেছেন লিখেছেন কালো পাগড়ী ১৪ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:১৯:১৯ সন্ধ্যা
তিন।
সপ্তাহ খানেক হলো শিপনের মামা এসেছেন। কম্পিউটার শেখার ব্যাপারে শিপন খুবই যত্নবান। এই এক সপ্তাহেই ও কম্পিউটারের বেসিক প্রোগ্রামিং শিখে ফেলেছে। তাছাড়া ওর মামার উৎসাহ ও প্রেরণায় স্কুলের ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে মাই বেসিক কম্পিউটিং (MBC ) নিয়েছিল। গত আট মাসে স্কুলের থিউরি ক্লাস আর এক সপ্তাহে মামার প্রাক্টিক্যল ক্লাস MBC তে শিপন নিজেকে একজন সমজদার শিক্ষার্থী হিসেবে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। দিনে দিনে কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের প্রতি আগ্রহ বেড়েই চলেছে ওর ।
শিপনের মামা রেজা । আমেরিকায় অধ্যায়ন রত আছেন। এডভান্স কম্পিউটিং ফর হিউম্যানিটি ( ACFH ) টে উচ্চতর গবেষণা করছেন তিন বছর হল। এই তিন বছরের ছয় টি সেমিস্টারের পাঁচটিতেই জুটেছে স্কলারশিপ। দেশ থেকে তার পড়াশোনার জন্য কোন খরচ করতে হয় না। তাছাড়া ওয়ার্ল্ড কম্পিউটার ফার্ম (WCF ) একটি নতুন সফটওয়্যার তৈরির জন্য তাকে একটি সর্বাধুনিক কম্পিউটার পুরস্কার দিয়েছে। দেশে ফেরার সময় ঐ কম্পিউটারটাই তিনি শিপনের জন্য নিয়ে এসেছেন।
সুন্দর বনের গা ঘেঁষা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রধান আয় হচ্ছে চিংড়ি চাষ । বাংলাদেশ এই চিংড়ি মাছ রফতানি করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। ফলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ হয়। তাই এই সময় ঐ এলাকার মানুষ হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়। হোয়াইট স্পট নামে এক ধরনের ভাইরাস আছে যার আক্রমণে চিংড়ির মাথায় সাদা দাগ পড়ে যায়। ফলে এক দিনের মধ্যেই চিংড়ি মারা যায়। শিপনের আব্বা এবার প্রায় দেড়শত বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ করেছেন। আব্বার সাথে শিপনও মাঝে মাঝে চিংড়ি ঘেরে যায়। তিনটি মাস ঠিকমত পরিশ্রম করতে পারলে, একটি বিরাট অংকের অর্থ ঘরে তোলা সম্ভব। দু’মাস হলো চিংড়ি চাষ হয়েছে। এ সময় যে পরিমাণ চিংড়ি বড় হওয়া দরকার, সে পরিমাণই বড় হয়েছে। তাই চাষিদের মনে অনেক আনন্দ। আর মাত্র একটি মাস অপেক্ষা করতে হবে।
আজ প্রায় এক মাস হলো শিপনের মামা দেশে এসেছেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও শিপন কে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে একজন ক্ষুদে প্রগ্রামার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আজ ওর মামা নিজেদের বাড়ি রাজশাহী তে যাবেন। শিপনের নানা নানি অনেক আগেই মারা গেছেন। শুধু বাড়িঘর আর কিছু জায়গা জমি পড়ে রয়েছে। এগুলো দেখার জন্য একজন কেয়ারটেকার আছে। ওখানে পনেরদিন থেকে তিনি আবার শিপন দের এখানে চলে আসবেন।
আগামী কাল পনের তারিখ। কাঁঠালিয়াতে শিপন দের ক্রিকেট টিম। টিমের জন্য খেলোয়াড় বাছাই ও প্রাকটিস ইতোমধ্যেই শেষ করেছে ওরা। হিরাও ওদের সাথে যাচ্ছে। তবে ক্যামেরা সাথে নেয়ার ব্যাপারে দোদুল্লমান। অনেক দামি ক্যামেরা। শেসে যদি কোন অঘটন ঘটে। তাছাড়া লেবু তো সাথে আছেই। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো লেবু আর হিরা দলের প্রয়োজনীয় সকল জিনিস পত্র দেখে শূনে রাখবে। এই বলে শিপন মিটিং শেষ করল। তাছাড়া ওর মামা দেশের বাড়ি চলে যাওয়ার পর ওর মনটাও তেমন ভালো নেই।
চলবে ;;;;;;
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুর্দান্ত একটা পোষ্ট জাজাকাল্লাহু খাইরান।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং আগ্রহ্রী হতে হলে কি করা দরকার?
এ লিখাটিতেতো পিচ্চি ডেবেলোপার বানাই দিচ্ছেন
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা!
মন্তব্য করতে লগইন করুন