রহস্য উপন্যাস ফাইল নম্বর টুঁ - পর্ব এক
লিখেছেন লিখেছেন কালো পাগড়ী ১২ আগস্ট, ২০১৪, ০১:৩০:০০ রাত
এক,
তাহলে তোর চার মাসের ছুটি?
হাঁ বুবু, পরীক্ষা তো শেষ করে এলাম।তাই ভেবেছি ছুটিটা দেশেই কাটিয়ে দেব।
যাক ভালই হলো, তিন বছর পর এসেছিস, এবার কিছু দিন তোকে কাছে পাব। এই রেজা তুই তো আমেরিকার সব কিছুই দেখে ফেলেছিস মনে হয়।
না বুবু দেখার শেষ নেই। তবে অনেক জায়গাই ঘুরেছি।তাছাড়া যতই বল বুবু, নিজের দেশের মতো স্বাধীন ভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা পৃথিবীর কোথাও নেই।
আচ্ছা মামা, ঐ দেশ নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশ? শিপন চট করে দুই ভাই-বোনের আলোচনার ফাঁকে ঢুকে পড়ে।
হ্যাঁ এক অর্থে উন্নত ঠিকই ।তবে তার ভেতর হৃদয় নেই রে। মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমতা নেই বললেই চলে। ব্যস্ততা আর যান্ত্রিক জীবন সবাইকে রোবটে পরিণত করেছে। সবাই আছে নিজ নিজ ধান্দায়।
কেন মামা অনেকেই তো বলে আমেরিকা নাকি খুব ভাল দেশ।
এই শিপন, যা ওঠ। পড়ে গল্প করা যাবে। রেজা হাত মুখ ধুয়ে নে, খাবি।মিতু তোর মামাকে তোয়ালেটা দে তো। তাড়া দেন শিপনের আম্মা।
আচ্ছা যাচ্ছি । তবে তার আগে শিপন আর মিতু এদিকে আয়। তদের জন্য . . . . . . . .
কি মামা ? আমাদের জন্য নিশ্চয় কিছু এনেছ ! বলল মিতু।
কিছু একটা তো এনেছিই। তবে তোরা খুশি হবি কিনা বলতে পারবনা। পছন্দ না হলে আবার রাগ করিস না যেন।
কীযে বলো মামা ।
মিতু চোখ বন্ধ করো । হ্যাঁ। এবার চোখ খোল। দেখ কি এনেছি।
ওহ মা- মা! ধন্যবাধ মামা, ধন্যবাধ। তাহলে তুমি আমার চিঠি পেয়েছিলে ? আচ্ছা মামা, এটা দিয়ে অনেক ছোট জিনিসও কি বড় দেখা যাবে ?
হ্যাঁ নিশ্চয় যাবে। তবে সূর্যের দিকে কখনো তাকাসনে আবার।
কেন মামা ?
চোখ নষ্ট হয়ে যাবে। শেষে আর কিছুই দেখতে পাবিনে। শিপন তোর জন্য এটা।
শিপন প্যাকেট না খুলেই, এটা কি মামা?
কেন চিনতে পারছিস না? কমট্যব ! প্যাকেট খুলেই দেখ। এটা ট্যাবলেটের চেয়েও উন্নত সংস্করণ।
কম্পিউটার ! মামা তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব ভেবে পাচ্ছি না।
যাক আর ভাবতে হবে না তোরা খুশি হলেই আমি সব পেয়ে যাব।
এই রেজা তুই কি পাগলামো করেছিস। কম্পিউটার দিয়ে শিপন কি করবে? শিপনের আম্মার বিশ্বয় মেশানো কণ্ঠ ।
কীযে বল না বুবু!এই যন্ত্রটা ছাড়া বর্তমান বিশ্ব অচল। আস্তে আস্তে সব বুঝবে।
আচ্ছা মামা, আমি তো কম্পিউটার অপারেট করতে পারি না। এর কোন প্রোগ্রামই আমার জানা নেই। থিউরিক্যল কিছু বিষয় অবশ্য জানি। আমাদের আশিক স্যার কম্পিউটার ক্লাসে কিছু কিছু বিষয় আলোচনা করেছেন। বলল শিপন।
আরে গাধা, ইম্পরট্যান্ট প্রগ্রাম গুলো কি তোকে না শিখিয়েই আমি চলে যাব!
হুররে, তা হলে তো কন চিন্তাই নেই। খাওয়া দাওয়া সেরে এখনি শুরু।
তোরা চুপ করতো, ও খাওয়া-দাওয়া করে এখন রেস্ট নিক।বিকেলে শেখা যাবে। এগুলো রেখে তাড়াতাড়ি খেতে আয় সবাই। আমি তোদের খাবার রেডি করছি। বলল শিপনের আম্মা।
মামা বিকেলে আমার যে একটু কাজ আছে।
কী কাজ ?
আমাদের ক্রিকেট খেলা, আজ সেমি ফাইনাল। আমি না গেলেই নয় মামা।
আচ্ছা ঠিক আছে।
শিপন, এই শিপন, শিপন।
দেখত কে এসেছে। শিপনের মামা বললেন।
শিপন দরজা খুলে খুশিই হলো। কে! হিরা ? আয় ভেতরে আয়। দেখে যা কে এসেছে। শিপন ওর মামাকে বলল মামা ও আমার বন্ধু হিরা। ঐ যে তোমাকে চিঠিতে লিখেছিলাম না ।
হি রা . . . . . . . . ও চিনতে পেরেছি এখন। তো কেমন আছো হিরা?
ভাল আছি মামা। আপনি কেমন ?
আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভাল।
জানো মামা হিরার আব্বা হিরার জন্য জাপান থেকে একটা সর্বাধুনিক ভিডিও ক্যামেরা পাঠিয়েছে। যেটা ফোর জি ডাইমেনশন। আমাদের আজকের খেলা ও ভিডিও করবে। বলল শিপন।
হিরা বলল, মামা আপনি কিন্তু আমাদের সাথে যাচ্ছেন আজ।
যাব না মানে, অবশ্যই যাব। জানিস বিশ্বের ক্রিকেট অঙ্গনে এখন বাংলাদের একটা সুপার পাওয়ার। তাই ক্রিকেট বিশ্ব এখন বাংলাদেশ কে হিসেব করে কথা বলে।আসলে অন্যসব খেলায় না হলেও ক্রিকেট খেলায় আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কি বলিস তোরা ?
অবশ্যই মামা। শিপন আর হিরা এক সাথে জবাব দেয়।
শিপনের আম্মা ঘর থেকে চেঁচিয়ে জানতে চাইলেন কে এসেছেরে শিপন?
মা হিরা এসেছে। শিপনের জবাব।
কেমন আছো হিরা? শিপনের আম্মা রুমের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করলেন।
ভাল। আপনার শরীর কেমন খালাম্মা?
আছে বাবা কোন রকম। তোমার আম্মা কেমন আছেন? অনেক দিন হয় এদিকে আসেন না।
আমি আসতে বলব। আপনিও তো যান না।
দেখ বাবা আমি একা মানুষ কি করে যাই।
তোমারা কথা বলো। আমি ঐ দিকটা দেখছি। দুপুরে না খেয়ে যাবে না কিন্তু।
বিষয়: বিবিধ
১৫২৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহোদয় প্রথম পর্বেতো রহস্যের গন্ধ পেয়ে গেলাম।
এবার সামনে আসল রহস্য মিশন শুরু হবে........
মন্তব্য করতে লগইন করুন