জটিল অংক আমি মেলাতে পারলাম না । আপনারা হয়তো পারবেন।
লিখেছেন লিখেছেন কালো পাগড়ী ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৪১:০০ রাত
জটিল অংক
আমি মেলাতে পারলাম না । আপনারা হয়তো পারবেন।
১। স্ব ঘোষিত খলীফা ইরাকের কিছু অংশ নিয়ে খেলাফত ঘোষণা করে মুলত শিয়া মুসলিমদের তাড়ালেন।
২। কথিত আছে ইরাকের বর্তমান সরকার ইরানের মদদ পুষ্ট।
৩। ইরানের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক দা কুমড়া।
৪। এখন সে ইরানের মদদ পুষ্ট শিয়া সরকারকে বহাল করার জন্য জঙ্গি অর্থাৎ সুন্নি খলীফার বিরুদ্ধে আমেরিকার বিমান হামলা শুরু।
৫। স্ব ঘোষিত খলীফা সৌদি রাজপরিবারের এজেন্দ্রা বাস্তবায়ান করছে ইরান ভীতির কারনে।
৬। অথচ সৌদির পররাষ্ট্র নীতি আর আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ। তাহলে কেন এ হামলা ?
৭। গাজার ব্যাপারে খলীফা পুরাই নিরব। লোকে বলে তিনি ইজরায়েলের মিশন বাস্তবায়ান করছেন। তার শিক্ষা ও অতীত কর্ম ক্ষেত্র তাই প্রমাণ করে।
৮।ইরাকের হাইওয়ে গুলো ছিল ৫০ বছরের গ্যরান্টি , যা সাদ্দাম পতনের পর অতিরিক্ত তেলের কন্টিনার বহনের কারনে গত ৭/৮ বছরে শেষ হয়ে যায়।
৯। অর্থনৈতিক মন্দার দেশ আমেরিকা ও ইংল্যান্ড গত ৪/৫ বছরে তাদের পূর্বের অবস্থানে ফিরে গেছে।অর্থাৎ তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভাল।
১০। আমেরিকা মধ্য প্রাচ্য থেকে তাদের আর্মি অনিচ্ছা সত্যে ও নিতে বাধ্য হয়। তাদের আবার আক্রমণের জন্য একতা ইসু দরকার ছিল। খলীফা কি তাদের সে অগ্রবর্তী দল ?
১১। মধ্য প্রাচ্য সহ সাড়া পৃথিবীর মুসলিম যুবক যারা মিসর, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিনে তথা কথিত গনতন্ত্রের নমুনা দেখে বুঝতে পেড়েছে এ পদ্ধতিতে ইসলাম কায়েম সম্ভব নয়। তাই খালেস নিয়াতে ইসলামী বিপ্লব ও খেলাফতের সপ্ন দেখে তাদের অনেক আবেগী যুবক আজ তথা কথিত খলীফার হাতে বায়াত গ্রহন করেছে। আজ আমেরিকার বোমার আঘাতে তাদের মৃত্যু হবে। অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখী।
সুতারং কি সুন্দর অংক, গণতান্ত্রিক ইসলামী যুবকরা খতম হচ্ছে হবে মিসর, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিনে আর খেলাফতী যুবকরা মারা যাবে আমেরিকার বিমান হামলায়। কাজেই কোন পন্থায়ই ইসলামী সমাজ বাস্তবায়ান হতে দেওয়া হবে না। আমেরিকা ইসরায়েল বহাল তবিয়তে থাকবে। সৌদি তার বাদশাহি অটুট রাখবে।
খ্রিস্টান ও জায়নিস্টরা আবারও মুসলিম বিশ্বের তেল চুড়ি করবে । ইরান আর সিরিয়ার কথা বাদই দিলাম।
আমরা আতেল মুসলমানরা তার পরও বুঝতে পারব না কে শত্রু কে মিত্র।
বিষয়: বিবিধ
১১৯০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বার্মায় যখন সামরিক অভ্যুত্থান হয় তখন আমেরিকা সে অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানিয়েছিল । এর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকগন তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী Madeleine Albright বলেছিলেন, পৃথিবীর কোথায় গণতন্ত্র, কোথায় সমাজতন্ত্র, কোথায় সমরতন্ত্র আর কোথায় রাজতন্ত্র আছে তা আমেরিকার বিবেচ্য বিষয় নয়, আমেরিকার বিবেচ্য হচ্ছে কোন সরকার আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন