চির কুমার, কুমারী তত্বটি ভুল, সঠিক তত্ব জেনে নিন
লিখেছেন লিখেছেন পাতা বাহার ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৪৯:৩৭ সন্ধ্যা
চির কুমার। চির কুমার অর্থ সহবাস বা হস্ত মৈথুন, অথবা যে কোন প্রক্রিয়াতেই হউক না কেন, স্বজ্ঞানে শুক্রাণু স্খলন না করাকেই বুঝায়। আর সহবাস বা হস্ত মৈথুন, অথবা যে কোন প্রক্রিয়াতেই হউক না কেন, স্বজ্ঞানে ডিম্বাণুর স্খলন না করাকে চির কুমারী বুঝায়। অর্থাৎ যাহারা স্বজ্ঞানে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু স্খলন করে না, তাহারাই চির কুমার ও চির কুমারী।
এই চির কুমার ও চির কুমারী পদ্ধতিটির প্রচলন হয় আজ থেকে প্রায় লাখ বছর আগে। আজ থেকে লক্ষ বছর আগেই মানুষ জানতে পারে যে, শরীর থেকে যে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু স্বজ্ঞানে ক্ষয় করা হয়, এটা পাপ। আর এই শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ক্ষয় হেতু, মানুষ আর পরের জনমে মানুষ প্রজাতি হয়ে ফিরে আসতে পারে না। আর তখন থেকেই একটি সম্প্রদায় শুরু করেন যে, তারা স্বজ্ঞানে আর কোন দিনই শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু খরচ করবে না। আর এই সম্প্রদায়টিকেই চির কুমার ও চির কুমারী সম্প্রদায় বলা হয়।
আর চির কুমার বা চির কুমারী অর্থ এই নয় যে, তারা বিয়ে করতে পারবে না। চির কুমার বা চির কুমারীর বিবাহে কোনই বাধা নাই। তারা যদি সহবাস বন্ধ রেখে একে অপরের দায়ীত্ব পালন করে। অর্থাৎ চির কুমার স্বামী অর্থ উপার্জনে বাইরের কজ করলো, ও চির কুমারী স্ত্রী ঘরের কাজ করলো। এখানে মূল বিষয় হলো, যেন তারা সহবাস না করে। তাই, চির কুমার বা চির কুমারীদের বিয়ে করাতে কোনই বাধা থাকার কথা না। বিবাহের পরও তারা চির কুমার বা চির কুমারী থাকতে পারে।
মূলতঃ সহবাস না করলেও প্রতি সাত দিনে একবার করে প্রকৃতির নিয়মেই, একবার সহবাস করলে জীবের যে পরিমান শুক্রাণু ও ডিম্বাণু খরচ হওয়ার কথা, সে পরিমান শুক্রাণু ও ডিম্বাণু খরচ হয়ে যায়। অর্থাৎ, জীবের শরীর হতে একবার সহবাসে খরচ হওয়া সমান শুক্রাণু ও ডিম্বাণু বাহির হয়ে যায়। আর সেটা বাহির হয়ে যায়, পেশাব, পায়খানা, ঘাম,কফ, চোখের ময়লা ও কানের ময়লার, যে কোন ভাবে ই হউক না কেন।
তার মানে, চির কুমার বা চির কুমারী সহবাস বন্ধ রাখলেও তার শুক্রাণু ও ডিম্বাণু খরচ বন্ধ হয় না। আর সহবাস না করে, প্রকৃতির নিয়মে, সপ্তাহে একবার সহবাসে খরচ হওয়ার সমান যে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু খরচ হয়, এই খরচকে অপচয় বলা হয়। কারণ এই খরচকৃত শুক্রাণু ও ডিম্বাণু জীবের কোনই কাজে লাগে না। বরং সপ্তাহে একবার সহবাস করলে অপচয়কৃত শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর দ্বারা যৌণানন্দ উপভোগ করলে, জীবের শরীরের সকল অঙ্গই রিফ্রেস হয়ে যেত।
তার মানে, চির কুমার বা চির কুমারী সম্প্রদায়কে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর অপচয়কারী সম্প্রদায় বলা যেতে পারে। কারণ তারা সহবাস বন্ধ রেখে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর অপচয় করে চলেছে।
তবে-চির কুমার ও চির কুমারী পদ্ধতিটি একটা ভুল পদ্ধতি। কারণ, কোন অবস্থাতেই চির কুমার বা চির কুমারী, তাদের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু রক্ষা করতে পারে না। কারণ, প্রকৃতির নিয়মেই তা খরচ হয়ে যাবে। তাই চির কুমার বা চির কুমারী নয়, যৌণ ক্রিয়ার মাধ্যমে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু খরচ করুন। সেই খরচকৃত শুক্রাণু ও ডিম্বাণু দিয়ে আবাদ করুন। একটি শুক্রাণু বা ডিম্বাণুকে বহু গুণে বৃদ্ধি করুন, ও তা সঞ্চয়ের মাধ্যমে পূরণ ও বৃদ্ধি করুন। এটাই বুদ্ধিমানের কাজ, ও সঠিক পদ্ধতি।
লিখেছেন গুরুজী।বিশ্বশান্তি ডট কম ব্লগ এ।
বিষয়: বিবিধ
২৮২৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন