যে কারনে হিন্দু পুরুষ কর্তৃক, মুসলিম নারী ধর্ষীত হচ্ছে
লিখেছেন লিখেছেন পাতা বাহার ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:২৯:২১ রাত
সম্মানীত পাঠক,
আপনারা লক্ষ করেছেনে যে- সূত্র প্রথম আলো
স্থানীয় ইস্ট পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুমকে। গত শনিবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় স্থানীয় শিমুলচন্দ্র মণ্ডলসহ কয়েকজন যুবক বাসার সামনে গিয়ে কুলসুমকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। গালিগালাজ ও আজেবাজে কথা বলে। এসব সইতে না পেরে কীটনাশক পান করে কুলসুম আত্মহত্যা করে।
পত্রিকা মারফত জানা যায় যে- কুলসুমকে যারা উত্তক্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে, তারা সকলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের।
আবার আরেকটি খবর হলো- সূত্র প্রথম আলো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক গৃহবধূকে (৩০) তাঁর স্বামীর সামনেই গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর স্বামী রিকশাচালক। উপজেলা সদরের একটি বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে গৃহবধূর স্বামী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ঘরে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী পানি আনতে ঘরের বাইরে যান। তখন আগে থেকে ওত পেতে থাকা স্থানীয় যুবক দীপ্ত দেবের (২০) নেতৃত্বে তার সহযোগী সজীব দেব (২১), বোরহান উদ্দিন (২২), রুবেল মিয়া (২০) ও সাদ্দাম হোসেন তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর স্ত্রীকে ঘরের ভেতরে নিয়ে এসে তাঁদের দুজনের মুখে কাপড় গুঁজে দেয়। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁকে (স্বামী) বেঁধে ফেলে হামলাকারীরা তাঁর সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
এখানেও দেখা যায় যে হিন্দু ও মুসলমান মিলে মুসলিম নারীকে ধর্ষণ করেছে। এখন প্রশ্ন হলো, হঠাৎ করে কেন, হিন্দু ও হিন্দু মুসলিমের যৌথতায়, মুসলিম নারী ধর্ষীত হচ্ছে?
এর কারণ একটাই আর তা হলো-
উগ্র মৌলবাদী সম্প্রদায়, এবং সে উগ্র মৌলবাদীতে রয়েছে হিন্দু ও মুসলিম, এদের যৌথতায়, এরা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়ীক কোন্দল বাধাতে চাই। ক্ষমতা লোভী উগ্র মৌলবাদী সম্প্রদায়ে মুসলিম ও হিন্দু উভয়টিই আছে। কারণ- উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠিটি বিশেষ কিছু সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আর সে অর্থের লোভে হিন্দু ও মুসলমান হতে, কিছু লোভী হিন্দু ও মুসলিম ঐ ধর্মান্ধ উগ্র মৌলবাদী সম্প্রদায়ের সদস্য হয়। আর সে সকল সদস্যরা অর্থ দাতা সংস্থার ইচ্ছা মাফিক কাজ করতে বাধ্য থাকে।
বর্তমানে ঐ সংস্থাটি চাই বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল আবস্থা সৃষ্টি করতে। আর সে সূত্র ধরেই দেশে সাম্প্রদায়ীক সহিংসতা সৃষ্টি কল্পে, হিন্দু দ্বারা মুসলিম নারীদের ধর্ষণ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যাতে করে, গুটি কয়েক লোভী হিন্দু উগ্র মৌলবাদীর কারণে, হিন্দুদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ চালানো হয়, ও যেন বাংলাদেশের সকল নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়, নির্যাতনের শিকার হয়। আর এতে করে যেন হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা শুরু করে দেওয়া যায়।
আর এই সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে, তারা সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করতে চাই। অতএব সরকারের উচিৎ হবে, যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মূখীন করা, ও সাজা প্রদান করা। নচেৎ, যাদের পরিকল্পনায়, ও অর্থায়নে মুসলিম নারীরা ধর্ষীত হচ্ছে, সেই পরিকল্পনাকারী ও অর্থায়নকারীরা ই, হিন্দু কর্তৃক মুসলিম নারী ধর্ষিত, মানি না, মানবো না ধুয়া তুলে, অরাজকতার সৃষ্টি করবে। অতএব সাধু সাবধান।
এই লেখাটি লিখেছেন গুরুজী। বিশ্বশান্তি ডট কম ব্লগ এ।
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৬ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাহলে মোল্লারা বোরকা ভ্যতীত নারীদের উৎত্ক করে কেন?
মন্তব্য করতে লগইন করুন