আমি কোরাণরে আলোকে প্রমাণ করে দেব, আপনারা ইসলামের শত্রু
লিখেছেন লিখেছেন পাতা বাহার ২৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:৫৫:২৪ বিকাল
গত পরশু দিবাগত রাত নয়টার দিকে, একদল দুর্বৃত্তের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হোন, শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকী। এখনো উদ্ঘাটন হয় নি কি কারণে, ও কারা এই খুন সংঘটিত করেছে। তবে- নূরুল ইসলাম সাহেব খুন হওয়ার পরে, বাংলা ব্লগ সাইটের প্রায় সকল ব্লগেই একটি বিষয় লক্ষনীয় ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যে, খুনের পর পরই একদল ব্লগার নূরুল ইসলাম সাহেবকে বিতর্কিত আলেম রুপে প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যারা নূরুল ইসলাম সাহেবকে বিতর্কিত আলেম প্রমাণে উঠে পড়ে লেগেছেন, তাদের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই যে, আপনি যে কারণে, এবং যাকে বিতর্কিত বলছেন, সে ও কিন্তু একই কারণে, আপনাকেও বিতর্কিত লোক বলতে পারে। সে ক্ষেত্রে কি- যে বা যারা আপনাদের মত ও পথ কে বিতর্কিত মনে করে, তারা কি আপনাদেরকে এভাবে অতর্কিত আক্রমণ করে হত্যা করতে পারে? আপনি ইহাতে একমত পোষণ করেন কি,যে- যারা আপনাদেরকে বিতর্কিত মতের মনে করবে, তারাই আপনাদেরকে হত্যা করতে পারবে?
আর যদি তা করতে পারে, তাহলে তো প্রতিদিনই এই বাংলায় খুনের হোলি খেলা শুরু হবে। কারণ-আপনি যাকে বিতর্কিত মনে করে খুন করবেন, সে ও আপনাকে বিতর্কিত মনে করে খুন করবে। আর এভাবেই চলতে থাবে খুনাখুনি, তাই নয় কি? আর আপনারা কোথায় পাইলেন যে- আপনার মতবিরুদ্ধ হলেই তাকে হত্যা করতে হবে? এই আইন আপনাকে কে দিয়েছে?
আপনারা যারা নূরুল ইসলামকে বিতর্কিত আলেম বলছেন, ও বলছেন সে ইসলাম বিরোধী। আসুন- আমি আপনাদের খোলা চ্যালেঞ্জ করলাম। যারা বলছেন, নিজের মতবাদ সঠিক ও অন্যের মতবাদ বেঠিক, তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, নূরুল ইসলাম ফারুকীর মতবাদ কোরাণ ও ইসলাম বিরোধী, তাহলে তারা আমাকে যে শাস্তি দেবে, তা আমি মাথা পেতে গ্রহন করবো। আর যদি কোরাণের আলোকে প্রমাণ হয় যে, নূরুল ইসলাম ফারুকীর মতবাদই সঠিক, ও আপনাদের মতবাদ বেঠিক, তা হলে আপনারা কি করবেন?
সিদ্ধান্ত নিয়ে, কখন কোথায় আপনারা বসতে চান, দিন নির্ধারণ করুন। সেই দিনই আমরা অপনাদের নির্ধারিত স্থানে, প্রমাণের জন্য বসতে রাজি আছি।
মূলতঃ ধর্মীয় সম্প্রদায় সমুহের, একদলের সংস্কৃতির সাথে অন্য দলের সংস্কৃতির মিল নাও থাকতে পারে, এটা কোনই দোষের নয়। কারণ- আমরা সকলেই সংস্কৃতি হিসাবে যে যাহাই মান্য করি না কেন, সকল দলই কোরাণ মান্য করি, ও মহাম্মদকে রাসুল মান্য করি। অতএব, সংস্কৃতি ভীন্নতার জন্য খুনাখুনি আদৌ উচিৎ নয়। এতে করে, কোরাণ মান্যকারী ও মহাম্মদকে রাসুল মান্যকারীদের মধ্যেই একে অপরের শত্রু রুপে পরিগনিত হবে। আর তাতে করে, যারা কোরাণ মান্য করে না, ও মহাম্মদকে রাসুল মান্য করে না, তারা মুসলমান সম্প্রদায়কে শেষ করে দেওয়ার সুযোগ গ্রহন করবে, ও একদিন মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। কারণ ভাইয়ে ভাইয়ে মিল না থাকলে বাইরের লোকের হাতে নির্যতিত হতে হয়।
তাই আমি মনে করি, যারা মুসলিম সম্প্রদাযের মধ্যে, সামাজিক সংস্কৃতির মত পার্থক্যের জন্য, খুনাখুনির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভক্ত করতে চাই, তারা কোন মতেই কোরাণ মান্যকারী, ও মহাম্মদকে রাসুল মান্যকারী মুসলমান নয়, তারা অন্য সম্প্রদায় থেকে অনুপ্রবেশকারী, ও অন্য সম্প্রদায়ের চর। তারা এসেছেই মুসলিম সম্প্রদায়ের খুটিনাটি ও ছোট কোন বিষয় নিয়ে, অনেক বড় দ্বন্দ সৃষ্টি করে, খুনাখুনির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে, মুসলিম সম্প্রদায়ের শক্তি খর্ব করে, অন্য সম্প্রদায়কে মুসলমান নিধনে সাহায্য করতে।
অতএব, আসুন- আমরা যারা সাধারণ মুসলমান, তারা ইসলামের নামে খুন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ঘৃণা করি, ও তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করি।
এই লেখাটি আমার নয়। এই লেখাটি লিখেছেন গুরুজী।মূল পোষ্টটি পড়তে, এখানে ক্লিক করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৪১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মূলতঃ আমরা ফারুকীর খুনের বিতর্কের মাধ্যমে শেষ করে দিতে চাই, ভীন্ন মতাদর্শের কারণে খুনের পূণরাবৃত্তি। আর, তাই প্রয়োজন খুনীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি।
আমাদের অনেকের একটা কমন স্বভাব আছে সেটা হলো আমার বিরোধী পক্ষ হলে নৃসংসতা স্বাগতম, বর্তমান খুনটার ঘটনা পড়লাম, যেভাবে খুন হয়েছে আমি মানতে পারিনি, একটা জলজ্যান্ত মানুষকে এভাবে গলাকেটে মেরে ফেলা আমি মানতে পারিনা, খুনোখুনি নৃশংসতা এসবের প্রতি আমার সবসময় ভয় কাজ করে।
তারপর আমি ভাবতে লাগলাম ফাঁসির আশামিদের কথা, তাদের জন্যও খারাপ লাগতে লাগল, একটা মানুষকে মানুষিক কষ্ট দেয়ার চাইতে শারীরিক কষ্ট টা আমার সহ্য হয়না, দূর্বল চিত্তের বলে হয়তো, পৃথিবীতে অনেক রকম ফাসির ব্যাবস্থা আছে যেমনই ই হোকনা কেন অবচেতন করে কাজটা কলে প্রাণটা গেল কষ্টটা অনেক কম হল। আর খুনিরা যদি এই কাজটাও অন্তত করে তাহলে হয়তো অন্তত বিষাদের মাঝে একটু স্বস্তির ব্যাপার হতো, অবাস্তব সব ভাবনা ভাবছি, আসলে এভাবে মৃত্যু কাম্য নয়
তবে যারা খুনের পরক্ষণেই প্রচার শুরু করেন, ফারুকী ভীন্ন মতাবলম্বি, এদের ব্যপারে কি বলবেন?
আর এই খুনের পরে, কারা আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল? তাদেরকে আপনারা কি বলবেন?
খুনের পরে যারা আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল, তারাই যে খুন করে নাই, তা আপনি নিশ্চিৎ হচ্ছেন কিভাবে?
আপনার লেখাতে প্রমাণ হয় আপনি খুন সমর্থন করেন। আসলে আপনার লেখা বাক্যটি কি হবে, পরিস্কার করুন।
পীর, মূর্ষীদ যদি ফালতু শব্দ হয়, তাহলে যারা নামের আগে মাওলানা ব্যবহার করে, তাদের বেলায় কি করবেন? মাওলানা শব্দের অর্থ-আমি প্রভু। এই মাওলানা শব্দ যোগকারীদের ব্যপারে কিছু বলুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন