লালন অনুসারীরা গাঁজা সেবনকে কেন সিদ্ধি লাভের উপায় মনে করে। লালন পর্ব=৬
লিখেছেন লিখেছেন পাতা বাহার ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ১২:২১:৪৭ দুপুর
লালন একজন সাধারণ মানের বাউল শিল্পী ও গীতিকার থাকলেও, সে কিন্তু সিরাজ শাঁই এর কাছ থেকে প্রচলিত কোরাণের সাংকেতিক অর্থ সহ বস্তু দর্শণ পেয়েছিলেন, এবং কোরাণের সে সূত্র ধরে উপাসনা করারও চেষ্টা করেছেন। সেই সাথে তিনি যে কাজটি করেছেন তা হলো- কোরাণের মূল সাংকেতিক ভাষাকে পরিবর্তন করে, নিজেই একটি সাকেতিক ভাষার সৃষ্টি করেন ও সে ভাষাতেই, সিরাজ শাঁঁই কর্তৃক শেখা কোরাণের বাণীকে উপস্থাপন করেন।
একই ভাবে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গ্রন্থের বাণীকেও নিজের গড়া সাংকেতিক ভাষায় উপস্থাপন করেন। শুধু মাত্র ধর্মীয় গন্থ সমুহের বাণী সুর ও বাদ্যের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্যই তার এই জনপ্রীয়তা। কেন না লালনের সুর ছিল মরমী সুর। যে সুর সকলেরই মন কাড়ে। আর সেই সুরের সাথে ধর্ম গ্রন্থের নীতি কথা মানুষ খুব দ্রুততার সহিত গ্রহন করেছে। এক কথায়, লালন যে সকল গান রচনা করেছেন, তার একটিও তার নিজস্ব মতবাদ নয়। তার গানের সকল তত্ব ও তথ্য পূর্ব থেকে চলে আসা প্রতিষ্ঠিত সম্প্রদায় সমুহের ধর্ম গ্রন্থ হতে সংগ্রহ করা।
লালন সে সকল ধর্মীয় গ্রন্থের বাণী সমুহকে নিজের মত উপস্থাপন করেছেন। আর সুর তাল ও বাদ্যের সাথে উপস্থাপনের জন্য গানের কথাগুলি খুব তাড়াতাড়ি মানুষের হৃদয়ে পৌছে গিয়েছে। যদিও তার গানের কথা সবই পুরাতন, তবে- সেই পুরাতন কথা পরিবেশন প্রক্রীয়া ছিল নতুন। তাই অনেকেই মনে করেছেন যে- এই বাণী সমুহ লালনের নিজের তৈরী। আর সে ধারণা থেকেই লালন ঘরাণার অনেকেই প্রচার করে থাকেন যে- লালন তার গানে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করেছেন তার সবই লালনের নিজের গড়া, এবং তা প্রতিষ্ঠিত সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গ্রন্থ অপেক্ষা উত্তম।
আবার লালন ঘরাণার অনেকে মনে করেন বা প্রচারও করেন যে- লালনের গানের কাছে কোরাণ, বেদ, গীতা কিছুই না। লালনের বাণীর কাছে ও সকল গ্রন্থের বাণীর কোনই দাম নাই। ও সকল গ্রন্থ অপেক্ষা লালনের গানের কথা অনেক উর্দ্ধের। মূলতঃ তাদের এই ধারণাটি যে ভুল তা প্রমান হয় লালনের গান বিশ্লেষণ করলে। আর আমি তাদের এই ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই ধারাবাহিক লালনের গান ও তার ব্যখ্যা উপস্থাপনের মাধ্যমে আসল সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি। যাতে করে সাধারণ মানুষ বা ধর্ম প্রাণ ব্যক্তিরা, লালন ঘরাণার লোকেদের বলা- লালনের গাণের কথা বেদ কোরাণ অপেক্ষা উত্তম শুনে বিভ্রান্ত না হয়। আর সকল মানুষ যেন জানতে পারে যে- লালন নিজস্ব কোন মতবাদ প্রচার করেন নি, মূলতঃ তিনি সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গ্রন্থের বাণীই নিজের মত করে উপস্থাপন করেছেন।
লালন ঘরাণার লোকেরা বলেন যে- লালন নিজে গাঁজা খায় নি, এবং তার অনুসারীদের গাঁজা খেতেও বলেন নি। যদি তাদের ওই কথা সত্য হয়ে থেকে, তাহলে- লালন অনুসারী হতে যারা গাঁজা সেবন করেন, তাদেরকে আপনারা কি বলবেন? লালন অনুসারীরদের মধ্যে শতকরা নব্বই ভাগ লোকই গাাঁজা সেবন করে কেন? লালন অনুসারীদের প্রত্যেকের আস্তানায় গাঁজা সেবন করে কেন? আর আপনারা যারা লালনের উত্তমতার বিষয়ে লিখেন, তারা কেন বলেন না যে- যারা গাাঁজা সেবন করে, তারা লালনের অনুসারী নয়?
সার কথা- লালন একজন সাধারণ বাউল শিল্পী ছিলেন মাত্র। তবে তার গান রচনা করার মত একটা ক্ষমতা ছিল। আর সে ক্ষমতা দিয়ে তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নীতি কথা ও উপাসনা প্রণালীর কথা উপস্থাপন করেছেন। তিনি নিজের গড়া কোন মতবাদ প্রচার করেন নি। তবে- লালন ধর্মীয় গ্রন্থের নীতি কথা বললেও নিজে গাঁজা সেবন বন্ধের সাধনায় সিদ্ধি লাভ করতে পারেন নি। তাই তিনি নীতি কথা বললেও গাঁজা সেবন অব্যাহত রাখেন। আর সে জন্য তার অনুসারীরাও গাঁজা সেবনকে সিদ্ধি লাভের উপায় মনে করে গাঁজা সেবন অব্যাহত রেখেছেন।
এই লেখাটি আমার নয়। এই লেখাটি লিখেছেন গুরুজী। আমি তার অনুমতি সাপেক্ষে এখানে পোষ্ট করলাম।গুরুজীর মূল লেখাটি পড়তে, এখানে ক্লিক করুন।
বিষয়: বিবিধ
৫৬৮২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি বলেছেন: তবে- লালন ধর্মীয় গ্রন্থের নীতি কথা বললেও নিজে গাঁজা সেবন বন্ধের সাধনায় সিদ্ধি লাভ করতে পারেন নি। তাই তিনি নীতি কথা বললেও গাঁজা সেবন অব্যাহত রাখেন। আর সে জন্য তার অনুসারীরাও গাঁজা সেবনকে সিদ্ধি লাভের উপায় মনে করে গাঁজা সেবন অব্যাহত রেখেছেন।
আপনার এই কথা গুলো ইতিহাস বিরোধী। লালন কখনো গাজা খাইনাই, গাজা খেয়েছেন আপনি। লালনকে আপনি স্বীকৃতি দিলেই কি লালন নতুন করে স্বীকৃতি পাবে? আপনি একটা লালন বিদ্ধেশী গবেট গাধা তায় লালনকে নিয়ে নিজের পাগলামী ফুটিয়ে তুলছেন। আপনার মত ছেলে লালনকে নিয়ে সমালোচনা করে; বড় নিরেট গাধার কাজ।
এবার বলুন- আপনার বাড়ি কোন জেলায়। লালন ও লালন ঘরাণা সম্বন্ধে আপনি কতটুকু জানেন?
আমার বাড়ি কুষ্টিয়ায়, আমি নিজের চোখে দেখা কথা ই বলছি।
লালনের যে মাজার, আজ থেকে ২৫-৩০ বছর পূর্বে সেখানে রাত দিন গাঁজা সেবণ চলতো। আর লালনের ওরশের সময় তো গাঁজার হাট বসতো।
বর্তমানে লালনের মাজারে সরকারী ভাবে দালান হওয়ার পরে, মাজারের ভিতরে গাঁজা সেবন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এরপরও মাজার আঙ্গিনায় লুকিয়ে লুকিয়ে গাঁজা সেবন চলে।
দালান হওয়ার পরে প্রচার চালানো হয়, লালন গাঁজা খাইতেন না, তাই এখানে গাঁজা খাওয়া যাবে না।
আর পঞ্চাশ বছর পরে, লালনের মাজারের পাশে, শাহ আলির মাজারের মত মসজিদ নির্মাণ হবে। এবং তখন প্রচার চালানো হবে, লালন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।
আর তখনকার দুরের লোকেরা আপনার মতই সেই লেখা পড়ে, গবেষনা করবে, লালন কিভাবে নামাজ পড়তেন।
আর বর্তমানে, বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় লালন অনুসারীদের যত আস্তানা আছে, তার সব খানেই রাত দিন গাঁজার আসর বসে।
বাংলা ভাষার শুরুতেই পদ্যতে লিখিতে হত। মানুষ পাণ্ডিত্য প্রকাশ করত বাংলা পদ্য ভাষায়! মশকারী করত বাংলা পদ্য ভাষায়! সভাস্থলে কথা বলত বাংলা পদ্য ভাষায়! গান গাইত বাংলা পদ্য ভাষায়! পদ্য ভাষায় কথা বলতে না পারলে কাউকে তর্ক-বিতর্ক করতে দিত না! বিয়ের অনুষ্ঠানে কথা হত পদ্য ভঙ্গিতে! পুরো ভাষার ব্যবহার টাই পদ্যতে অনুশীলন হত! প্রেম নিবেদন হত পদ্য ভাষার ব্যবহারে। পুরানা দিনের সকল প্রেমের কথা গুলো শ্ল্রাক নির্ভর। মহুয়া, মলুয়া, ভেলুয়া সুন্দরী, পদ্মাবতী, কাঞ্চনমালা, নদের চাঁদ সহ সকল সাহিত্য পদ্য ভাষায় লিখিত, সকল পুথিগুলোও পদ্য ভাষায় লিখিত।
গদ্যতে লিখিত হয়েছে এমন একটি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি কেউ দেখাতে পারবে না। অষ্টাদশ শতাব্দির শেষ দিকে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্গিম চন্দ্র বাবুরা বাংলা ভাষায় ইংরেজীর মত করে, গদ্যের প্রচলন ঘটান! বর্তমানে আমরা যে গদ্য ভাষার কথা বলি, ব্লগ লিখছি, চিঠি লিখছি তা বিদ্যাসাগরদের অবদান। বর্তমানে আমরা কবিদের আশ্চর্যজনক প্রতিভা দেখে তাজ্জব হই। অথচ তখনকার দিনে কবিতার ছন্দ বের না হলে তাকে শিক্ষিত মানুষই বলা হত না! একজন মামুলী শিক্ষিত মানুষেরাও বাক পটু ছিলেন এবং মুহূর্তেই কবিতা জুড়ে ফেলতে পারতেন!
লালন সাই সেই জমানার মানুষ ছিলেন; যে জমানায় কবিতা বানিয়ে কথা বলাটাই শিক্ষিত হবার মানদন্ড ছিল। লালন সাইয়ের মত আরো হাজারো সেরা ব্যক্তিকে আমরা ইতিহাস থেকে হারিয়ে ফেলেছি। লালন সকল ধর্মের মানুষদের জন্য গেয়েছেন। লালনের প্রথম জীবনের কবিতা দিয়ে যুবকদের মন চাঙ্গা করেছেন, তাঁর প্রথম জীবনের প্রায় সকল কবিতাতেই নারীর যৌবন ও 'ত্রিবেণী' শব্দে নারী দেহের বিশেষ অঙ্গের বহু রসময় বর্ণনা দিয়েছেন। তা যুবকদের আকৃষ্ট করত!
সমাজ বর্হিভূত ব্যক্তি, উদ্ভট চিন্তার মানুষ, নেশাগ্রস্থ মানুষের বেচে থাকার জন্য লালনের চিন্তায়, গানে পথের সন্ধ্যান রয়েছে। এরা কোন ধর্মের অনুসারী তো নয়ই এক কথায় বলা যায় এরা ধার্মীক মানুষ ও নয়।
বর্তমান সময়ে গান গাইতে পারাটাকেই সেরা ব্যক্তিত্বের প্রধান হাতিয়ার মনে করা হয়। গানের প্রতি কিছু মানুষের আকর্ষন আছে। বিএনপির আমলে, বলা হয়ে থাকে মান্নান ভূইয়্যার পৃষ্ঠপোষকতায় হঠাৎ করে লালন সাই, টিভি, পত্রিকার কভারেজ পেতে থাকে। কিছু পত্রিকা সেটাকে লুফে নেয়, পায় বিটিভি সহ জাতীয় প্রচার মাধ্যমের প্রচারণা। সে থেকে লালন অধিকমাত্রায় জনমানুষের চোখে আসে যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। অতি প্রচারনায় কিছু মানুষ এখন এমন ও ভেবে থাকেন লালনের জন্ম না হলে পুরো জাতি মনে হয় মুর্খই থেকে যেতে। ব্যাপারটি সে ধরনের নয়, অবশ্যই লালন শিক্ষিত তবে সে জমানায় লালনের মত শিক্ষিত হওয়াটা আশ্চর্য্য জনক কোন ঘটনা ছিলনা। বর্তমানে গান ও পদ্যের কদর বাড়াতে লালনের কদরও বেড়ে গেছে, এটাই হল মুল ব্যাপার।
আর লালন যে গাঁজাখোর ছিলেন এটা তো মিথ্যা না। আর লালন পন্থি সব দরবারেই গাঁজা সেবন চলে এটাও তো মিথ্যা না। এখন বলুন, একজন সাধকের সাধনার জন্য গাজা সেবনের কি প্রয়োজন?
কোথায় লালনকে নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রচার চালাচ্ছে? লালন প্রতিষ্ঠিত ধর্ম গ্রন্থের বাইরে নতুন মতবাদ প্রচার করেছেন কথাটা ঠিক নয়। রামকৃষ্ণের একটা কথা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে সে বলেছিলো: নিজের ধর্ম ঠিক আর অন্যের ধর্ম ঠিক নয় এমন কথার কোন ভিত্তি নাই। ভগবানকে পেতে যে কোন পথ অবলম্বন করা যেতে পারে।
এই কথার সূর ধরেই বলি লালন ঠিক তার মত করে আল্লাহ্ রাসুলের নৈকট্য পাওয়ার কথা বলেছে। সব নবী রাসুল যেমন একই প্রচার করেছে ঠিক ভিবিন্ন মনি রিষি,সুফ সাধকরাও একই কথা বলেছে। আর লালন গাজাখোর ছিলো এমন দলিল কোথাও পাওয়া যায় নাই। তবে হ্যাঁ নেসা বা সিদ্ধি তার সিমাবদ্ধতায় থাকা উচিত তাতে দোষের কি?
চলুন নেশা সম্পর্কে কোরআন কি বলে দেখি: সূরা বাকারা ২:২১৯ আয়াত
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَآ أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ كَذَلِكَ يُبيِّنُ اللّهُ لَكُمُ الآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ
অর্থ:তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়।
আপনি যদি উপারের চেয়ে বেশী সেবন করেন তাহলে পাপ।
সূলা নিসা:৪:৪৩ আয়াত
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَقْرَبُواْ الصَّلاَةَ وَأَنتُمْ سُكَارَى حَتَّىَ تَعْلَمُواْ مَا تَقُولُونَ وَلاَ جُنُبًا إِلاَّ عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىَ تَغْتَسِلُواْ وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاء أَحَدٌ مِّنكُم مِّن الْغَآئِطِ أَوْ لاَمَسْتُمُ النِّسَاء فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
অর্থ: হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিনতু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র
এখানেও আল্লাহ্ নেশার কথা বলছে আপনার মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র।
সূরা নাহল:১৬:৬৭ আয়াত
وَمِن ثَمَرَاتِ النَّخِيلِ وَالأَعْنَابِ تَتَّخِذُونَ مِنْهُ سَكَرًا وَرِزْقًا حَسَنًا إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
অর্থ: এবং খেজুর বৃক্ষ ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা মধ্য ও উত্তম খাদ্য তৈরী করে থাক, এতে অবশ্যই বোধশক্তি সম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
এখানেও আল্লাহ বলছেন এখানে বোধশক্তি সম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
সাধকরা নেশা করে কখনো উম্মাদনা করে না। গালি খিস্তি খেওড় করেনা, কারো পাঁকা ধানে মইও দেয় না। কিনতু সুস্থ্য মানুষ নেশা না করেও নেশারুদের আদলে উম্মাদের মত আচরণ করে। অমানুষের মত কাজ করে। ঠিক তাদের থেকে সাধুরা একটু হলেও ভালো।
আর- সূরা বাকারার ২১৯ আয়াতের কথা হলো- মদ ও জুয়া ভালো অপেক্ষা খারাপ বেশি। আর যেটা খারাপ বেশি সেটাকে বর্জন করতে হবে।
সূরা নেসার ৪৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে- তোমার নেশা গ্রস্তের মত নামাজ পড়ো না। তার অর্থ হলো- তোমরা নামাজের মধ্যে কি বলছো, তাহার মর্মার্থ না বুঝে, শুধুই অবুঝ বা নেশা গ্রস্তের মত নামাজ পড়ো না।
আর সূরা নাহলের ৬৭ নম্বর আয়াতে ও নেশা করার কথা বলা হয় নাই।
আর লালন গাঁজা খাইতো। এর সাক্ষী লালনকে জীবিত অবস্থায় যারা দেখেছে তারা। যেমন আমার চাচা গান গাইতেন- ছয় বছর আগে মারা গেছেন ৯৫ বছর বয়সে। তিনি বলেছেন- বিহাল শাহ এর কাছ থেকে তিনি শুনেছেন যে, লালন গাঁজা খাইতো। আর বিহাল শাহ লালনকে গাজা খাইতে দেখেছেন। যিনি ১১০ বছর বয়সে কবে মারা যাবেন, তা বলে, এবং সেই বলা দিনেই তিনি মারা গেছেন।
না আর অবান্তর তর্ক করবো না। আমি না বুঝলে আমাকে বুঝায় কে এমন গোঁ ধরে থাকলে তাকে বোঝানো যাবে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন