লালন তার গড়া ভ্রান্ত মতবাদ প্রতিষ্ঠিত ধর্ম গ্রন্থের নামে চালিয়েই ক্ষান্ত হন নাই, তিনি মোল্লাতন্ত্রও প্রচার করেছেন।লালন পর্ব=৫
লিখেছেন লিখেছেন পাতা বাহার ২২ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:১৯:০০ বিকাল
লালন ঘরাণার যে সকল লোক বলেন যে- লালন নতুন মতবাদ প্রচার করে গেছেন। তারা যে- কত বড় ভুল অথবা মিথ্যা কথা বলেন, তা লালনের এই গানটির দিকে নজর দিলেই অনুধাবন করতে পারবেন। আসুন আমরা দেখে নিই লালন মূলতঃ নতুন মতবাদ প্রচার করেছেন, না- অন্য সম্প্রদায়ের ধর্ম গ্রন্থের মতবাদ প্রচার করেছেন। লালনের গানের কথা-
তোমার মত দয়াল বন্ধু আর পাবো না।
তুমি দেখা দিয়ে ওহে রাসুল, ছেড়ে যেও না।।
১
তুমি তো খোদারই দোস্ত, অপারের কাণ্ডারী সত্য।
তোমা বিনে পারের লক্ষ, আর দেখি না।।
২
আসমানী এক আইন দিয়ে, আমাদের সব আনলেন রাহে।
এখন মোদের ফাঁকি দিয়ে, ফেলে যেও না।।
৩
আমরা তো মদীনাবাসী, ছিলাম যেমন বনবাসী।
তোমা হতে জ্ঞান পেয়েছি, আছি সান্তনা।।
৪
তুমি বিনে এরুপ শাসন, আর কি হবে দ্বীণের কারণ।
লালন বলে আর তো এমন, বাতি জ্বলবে না।।
এবার আসুন- আমরা লালনের এই গানটি বিশ্লেষণ করে দেখি, মূলতঃ লালন নিজস্ব মতবাদ প্রচার করেছেন, না- অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করেছেন। প্রথমে আমরা দেখবো এই গানের মূখোবন্ধে লালন কি বলেছে-
তোমার মত দয়াল বন্ধু আর পাবো না। তুমি দেখা দিয়ে ওহে রাসুল, ছেড়ে যেও না।।
লালন তার গানের মূখোবন্ধে বলেছেন যে- রাসুল হচ্ছে দয়াল বন্ধু, আর তার আকুতি হলো- রাসুল যেন আমাদের ছেড়ে না যায়। আর এই রাসুল কথাটি কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থ কোরাণের কথা। তার মানে- লালন এই গানের মাধ্যমে তার অনুসারীদের বুঝাতে চেয়েছেন যে, আমি লালন আমার গড়া নিজস্ব কোন মতবাদ প্রচার করি নাই। আমি প্রচার করেছি, মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থের কথা। আর রাসুল হলো জীবের পরম বন্ধু, অতএব প্রার্থনা করো, রাসুল যেন আমাদের ছেড়ে না যায়।
এবার আসুন- আমরা দেখে নিই, লালন তার গানের প্রথম কলিতে কি বলেছে-
তুমি তো খোদারই দোস্ত, অপারের কাণ্ডারী সত্য। তোমা বিনে পারের লক্ষ, আর দেখি না।।
গানের এই কলিটি লক্ষ করলে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয না যে- লালন সাধারণ মোল্লা ও সাধারণ বউল শিল্পিদের মতই জ্ঞানী ছিলেন, অসাধারণ কোন জ্ঞানি ছিলেন না। কেন না- লালন তার লেখা গানের এই কলিতে খোদের দোস্ত বা বন্ধু বলতে মহাম্মদকেই বুঝিয়েছেন। কেন না সমগ্র মুসলমান সম্প্রদায় হতে, মোল্লা ও সাধারণ মুসলমানেরা মনে করে, মহাম্মদের সুপারিশ ব্যতীত কেহই পারে যেতে পারবে না। আর সেই মহাম্মদকেই আল্লাহ হাবীব বা বন্ধু বলেছেন। কিন্তু আসল সত্য হলো- প্রচলিত কোরাণের কোথাও কিন্তু মহাম্মদকে আল্লাহর হাবীব বা দোস্ত বলেন নাই। প্রচলিত কোরাণে আল্লাহর হাবীব বা দোস্ত বলা হয়েছে ইব্রাহিমকে।
সূরা নিসা আয়াত ১২৫। ওয়া্ত্তাখাযাল্লাহু ইব্রাহিমা খালিইলান অর্থ- আল্লাহ ইব্রাহিমকে বন্ধু রুপে গ্রহন করেছেন। তার মানে আল্লাহর বন্ধু হলো ইব্রাহিম, মহাম্মদ নয়। আর মোল্লাদের কথা হলো হাশরের ময়দানে মহাম্মদের সুপারিশ ব্যতীত কেহই পারে যেতে পারবে না। যদিও প্রচলিত কোরাণের কোথাও এ কথা বলা হয় নাই। প্রচলিত কোরাণ ইব্রাহিমকে আল্লাহর বন্ধু বললেও মোল্লাদের কথা হলো- মহাম্মদ আল্লাহর বন্ধু। আবার প্রচলিত কোরাণ মহাম্মদের সুপারিশ করার ক্ষমতার কথা না বললেও, মোল্লারা প্রচার করেন যে- মহাম্মদের সুপারিশ ব্যতীত কেহই পারে যেতে পারবে না। আর ঠিক মোল্লাদের সে সূত্র ধরেই লালন এই মহাম্মদকেই আল্লাহর বন্ধু ও অপারের কাণ্ডারী বলেছেন। তার মানে- লালনের জ্ঞান আর সাধারণ মোল্লাদের জ্ঞান একই রকম। লালন মোল্লাদের জ্ঞানের বাইরে বেরোতে পারেন নি।
বর্তমানের বাউল শিল্পীদের ধর্ম কথার দিকে তাকালেও আমরা সে রকমই দেখতে পায় যে- তারাও মোল্লাতন্ত্র ও কোরাণ দর্শণ গুলিয়ে ফেলে কখন যে কি বলেন, তার কোন আগা মাথা নাই। আর লালন ও সেই বর্তমান সময়ের বাউল শিল্পীর মতই আগা মাথাহীন বক্তব্য তার গানের মধ্যে উপস্থাপন করেছেন।
এবার আসুন- দেখে নিই, লালন তার গানের এই কলিটিতে কি বলেছেন।
আসমানী এক আইন দিয়ে, আমাদের সব আনলেন রাহে। এখন মোদের ফাঁকি দিয়ে, ফেলে যেও না।।
গানের এই কলিটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে- লালন একেবারেই মোল্লাদের মত কথা উপস্থাপন করেছেন, তিনি কোরাণের অন্তর্নিহিত বিষয় সম্বন্ধে কোনই জ্ঞান রাখতেন না। কারণ মহাম্মদ নিজেই প্রচলিত কোরাণের সূরা হাক্কা এর ৪০ নম্বর আয়াত ও সূরা তাকবীর এর ১৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন যে- ইন্নাহু লা কাউলু রাসুলীন কারিম। যার অর্থ- এই কোরাণ সম্মানীত রাসুলের বাণী। কিন্তু মোল্লারা বলেন যে- এই প্রচলিত কোরাণ আসমানী কেতাব বা আল্লাহর বাণী। আর লালন ও এই গানে সেই মোল্লাদের মত বলেছেন যে- আসমানী এক আইন দিয়ে অর্থাৎ এই প্রচলিত কোরাণের বাণী আসমানী আইন বা আল্লাহর বাণী। আর এর থেকেই প্রমান হয যে- লালন একজন সে সময়ের সাধারণ বাউল শিল্পী ছিলেন মাত্র। কোরাণের দর্শণ বিষয়ে তিনি মোটেও অবগত ছিলেন না।
এবার আসুন- আমরা এই গানের তৃতীয় কলিটি দেখে নিই-
আমরা তো মদীনাবাসী, ছিলাম যেমন বনবাসী। তোমা হতে জ্ঞান পেয়েছি, আছি সান্তনা।।
গানের এই কলিটি বিশ্লেষণ করলে একেবারেই পরিস্কার বুঝা যায় যে- লালন এই গানে মহাম্মদকেই খোদার দোস্ত ও অপারের কাণ্ডারী বলেছেন। কেন না- এই মক্কা ও মদীনা বিষয়টি মহাম্মদের রচিত প্রচলিত কোরাণের কথা। আশা করি এবার আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে- লালন মূলত একজন সাধারণ বাউল শিল্পি ছিলেন। তিনি বর্তমান সময়ের বাউল শিল্পী ও মোল্লাদের মতই জ্ঞান রাখতেন, এর বেশি নয়।
এবার আসুন দেখে নিই, এই গানের শেষ কলিতে লালন কি বলেছেন। এই গানের শেষ কলিতে লালন বলেছেন-
তুমি বিনে এরুপ শাসন, আর কি হবে দ্বীণের কারণ। লালন বলে আর তো এমন, বাতি জ্বলবে না।।
এখানে লালন বুঝাতে চেয়েছেন মহাম্মদ দ্বীণ প্রচারের জন্য মানুষকে শাসন করেছেন। কিন্তু মূল বিষয় তা নয়। মূল বিষয় হলো- আল্লাহ মহাম্মদকে শাসনের ভার দেয় নি। আর মহাম্মদও কোন শাসন করে নাই। মহাম্মদ শুধু মাত্র দ্বীনের কথা প্রচার করেছেন মাত্র।
সব মিলিয়ে, এই গান থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে- লালন পূর্বের ধর্ম গ্রন্থ ও ধর্ম প্রবর্তকের বাণীই প্রচার করেছেন, নিজের গড়া কোন নতুন মতবাদ প্রচার করেন নি। বরং লালন- বর্তমান সময়ের বাউল শিল্পী ও মোল্লাদের মতই বুদ্ধীহীন, কোরাণের দর্শণহীন কথা বার্তা, তার গানের মধ্যে বলার চেষ্টা করেছেন
এই লেখাটি আমার নয়। এটা লিখেছেন গুরুজী।মূল পোষ্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৪০ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লালনের কথার অর্থ আপনার মত তৈরী করে যা বোঝাচ্ছেন তাতে নতুন করে আরও একটি অবিধান তৈরী করতে হবে; আর সেই অভিধানের নাম হতে হবে “গুরুজী অভিধান“।
পাতা বাহার আপনার কোন লিখা পড়ার আমার কোন রুচি নেই,কিন্তু আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি পবিত্র কোরআনকে বিকৃত করার কিংবা নিজের মতানুযায়ী সাজানোর চেষ্টা করবেন না!
আপনি কোরআন মানেন না,ভালো কথা মাইনেন না কিন্তু কোরআনকে বিকৃত করার প্রচেষ্টা চালালে তার পরিণামও ভালো হবে না!
বলেছেন সূরা আল-মুমতাহিনা এর ১৯ নাম্বার আয়াতে নাকি বলা হয়েছে এ কোরআন রাসুল সাঃ এর বাণী।
নাউজুবিল্লাহ,ধ্বংস হোন আপনি!অথচ সে সূরার আয়াত সংখ্যাই হচ্ছে ১৩টি,১৯ নাম্বার আয়াত পেলেন কোথায় আপনি?
বর্তমান যে সকল বাংলায় অনুবাদকৃত কোরাণ বাজারে পাওয়া যায়, সে কোরাণের অনুবাদ যে বিকৃত, এটাকে আপনি সমর্থন করেন কি না?
১৯.) এটি প্রকৃতপক্ষে একজন সম্মানিত বাণীবাহকের আনীত বাণী
পাতা বাহার যিনি কোরআনকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় যদিও কোনদিনই সফল হবে না তাকে মহাপবিত্র কোরআন নিয়ে কিছু বলার কোন ইচ্ছাও আমার নেই।কিন্তু যেহেতু আগে একটি কমেন্ট করেছি তাই আয়াতটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিচ্ছি!আর তার আগে দয়া করে আণীত শব্দটির অর্থ জেনে নিয়েন!
এখানে সম্মানিত বাণীবাহক ( রসূল করীম ) বলতে অহী আনার কাজে লিপ্ত ফেরেশতাকে বুঝানো হয়েছে। সামনের আয়াতে একথাটি আরো সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে। আর কুরআনকে “বাণীবাহকের বাণী” বলার অর্থ এই নয় যে , এটি ঐ সংশ্লিষ্ট ফেরেশতার নিজের কথা। বরং “বাণীবাহকের বাণী” শব্দ দু’টিই একথা প্রকাশ করছে যে , এটি সেই সত্তার বাণী যিনি তাকে বাণীবাহক করে পাঠিয়েছেন । সূরা “ আল হাক্কা’র ৪০ আয়াতে এভাবে কুরআনকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী বলা হয়েছে। সেখানেও এর অর্থ এই নয় যে, এটি নবী ( সা) নিজের রচনা। বরং একে “ রসূলে করীমের ” বাণী বলে একথা সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে , আল্লাহর রসূল হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি পেশ করছেন , মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ হিসেবে নয়। উভয় স্থানে বাণীকে ফেরেশতা ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সম্পর্কিত করার কারণ হচ্ছে এই যে , আল্লাহর বাণী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে বাণীবহনকারী ফেরেশতার মুখ থেকে এবং লোকদের সামনে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল।
এখানে একটি প্রশ্ন জাগে। তাহলো, কুরআনকে মুহাম্মাদ ﷺ ও জিবরাঈল আলাইহি সালামের বাণী বলার তাৎপর্য কি? এর জওয়াব হলো, মানুষ কুরআনের এ বাণী শুনতো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখ থেকে এবং রসূলুল্লাহ ﷺ শুনতেন জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মুখ থেকে। তাই এক বিচারে এটি ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বানী এবং আরেক বিচারে এটি হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামের বাণী। কিন্তু পরক্ষণেই বিষয়টি স্পস্ট করে বলে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এ হচ্ছে সমগ্র বিশ্ব-জাহানের রবের নাযিলকৃত বাণী। তবে তা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিবরাঈলের মুখ থেকে এবং লোকদেরকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ থেকে শুনানো হচ্ছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের কথা থেকেও এ সত্যটিই ফুটে উঠে। তিনি বলেছেন যে, এসব তাদের দুজনের কথা নয়। বরং বার্তাবাহক হিসেবে তাঁর এ বাণী মূল বাণী প্রেরকের পক্ষ থেকে পেশ করেছেন।
ইন্নাহু- নিশ্চয়, লা কাউলু- বাণী সমুহ, রাসুলিন কারিম- সম্মানিত রাসুলের।
তাতে এর অর্থ- নিশ্চয় এই বাণী সমুহ সম্মাণীত রাসুলের।
এখন রাসুলকে ফেরেস্তা বা জিব্রাইল ভাবতে হবে, এ কথা কোথায় পাইলেন? এ কথার মাধ্যমে আপনি কি, কোরাণের বিকৃতি সাধন করলেন না?
নিশ্চয় এটি প্রকৃতপক্ষে একজন সম্মানিত বাণীবাহকের বাণী,
ذِي قُوَّةٍ عِندَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ 20
যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী,
مُطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ 21
সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন।
وَمَا صَاحِبُكُم بِمَجْنُونٍ 22
এবং তোমাদের সাথী পাগল নন।
وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ 23
তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।
وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ 24
তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না।
وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ 25
এটা বিতাড়িত শয়তানের উক্তি নয়।
فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ 26
অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ 27
এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ,
لِمَن شَاء مِنكُمْ أَن يَسْتَقِيمَ 28
তার জন্যে, যে তোমাদের মধ্যে সোজা চলতে চায়।
রা তাকবীরে কুরআন মজীদকে সম্মানিত রসূলের বাণী বলার পরে বলা হয়েছে যে, সে রসূল অত্যন্ত শক্তিশালী, আরশের অধিপতির কাছে উচ্চমর্যাদার অধিকারী, সেখানে তাঁর কথা গ্রহণ করা হয়, তিনি বিশ্বস্তও আমানতদার এবং মুহাম্মাদ ﷺ তাঁকে পরিষ্কার দিগন্তে দেখেছেন। সূরা নাজমের ৫ থেকে ১০ আয়াতে জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম সম্পর্কে প্রায় এ একই বিষয় বর্ণিত হয়েছে।
আর রসূল শব্দের অর্থ মুহাম্মদ সাঃ নয় বরঞ্চ রসুল শব্দের অর্থই হচ্ছে বার্তাবাহক,আর কোন বার্তা বাহক যে কোনদিন সে বার্তার মালিক নয় তা বুঝার সামর্থ্য সকলেরই রয়েছে!এই আয়াত নাজিলের শানে নুযুল হচ্ছে তখন কাফেরেরা বলতো যে কোরআন হচ্ছে কোন গণকের কিংবা কোন কবির দ্বারা রচয়িত (নাউজুবিল্লাহ)! তখন তার প্রতিউত্তরে এসেছিল সেই আয়াত যে ,না ইহা বার্তাবাহকের বাণী যার মালিক হচ্ছেন সেই আরশের অধিপতি!
আর আপনার কথাই যদি সত্য হয় তাহলে মহাম্মদ তো বার্ত বাহক নয়, মহাম্মদ বার্তা প্রাপক। তাহলে মহাম্মদ তো রাসুল নয়, তাই নয় কি?
তা আরবী রসুল শব্দের অর্থ কি ?
কি বলেন না বলেন নিজে বুঝেন?মুহাম্মদ সাঃ তো নিজেই একজন রসুল,আর সকল রসুলেরাই হচ্ছেন বার্তাবাহক যার প্রাপক হচ্ছি আমরা!জীবরাইল আঃ ও একজন রসুল কারণ তিনিও বার্তা বহন করেছেন রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে যেহেতু আসমানী কিতাবসমূহ সরাসরি কোন ব্যক্তি রসুলের উপর সরাসরি নাজিল হয়নি!
তাই মহাম্মদ আল্লাহর রাসুল হতে পারে না।
আর ইহাই আমার শেষ কমেন্টস ভাববেন না যে আপনার সাথে যুক্তিতে পারবো না দেখে কমেন্টস করবো না! বরঞ্চ আমি মেনে চলি সেই কথাই যে, নিশ্চয়ই যারা জানে আর যারা জানে না তারা সমান নয়,আর তাদের সাথে তর্ক করে কোন লাভ নেই কারণ তাদের হৃদয়ে সিলমোহর মারা!সুতরাং আপনাকে কোরআনের মাহাত্য শিখানোর আমি কোন প্রয়োজনবোধ করছি না !
আমি ও তো আপনাকে এই উক্তিটা করতে পারি?
আর প্রাপকের হাতে আসার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত যে বার্তা বহন করে, তাকেই তো বার্তাবাহক বা রাসুল বলা হবে। তাই নয় কি? তো- আল্লাহ হতে যে বার্তা বহন করে নিয়ে এসে মহাম্মদকে দিল, সেই জিব্রাইলকেই তো আল্লাহর রাসুল বলতে হবে, তাই নয় কি? আর সেই বার্তা মহাম্মদ পেয়েছে, তাই মহাম্মদ প্রাপক, বার্তা বাহক নয়, তাই নয় কি?
মূলতঃ মিথ্যা সব সময়ই সত্য হতে পলায়ন করতে চাই। আর আপনার উপসর্গও সে রকমই লাগছে।
আমি খুব ভালো করেই জানি যে এটা না বুঝার মত শিশু আপনি নন!কিন্তু তবুও আপনি আবারো অহেতুক কিছু বলবেন তাও আমি জানি কারণ আপনাদের আমার খুব ভালো করেই চেনা আছে!
আপনাদের উদ্দেশ্য যুক্তি তর্কের মাধ্যমে ভালোকে খুঁজে বের করে সেটা মেনে নেয়া নয় বরঞ্চ সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা চালানো যার কারণে আপনার মত ধর্মদ্রোহীদের কোন প্রশ্নের উত্তরই আমি দেয়ার পক্ষপাতী নই,এই পোষ্টে কমেন্টস করেছি নেহায়েত কোরআনকে বিকৃত করেছেন বলে!তবে ভবিষ্যতে সেই টোপ ফেলেও আর লাভ হবে না!
বিদায়!আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত নসীব করুক।
তাহলে আল্লাহ কোরাণের প্রেরক হলে, এই কোরাণের প্রাপক কে?
আমি মনে করেছিলোম আপনাকে লালন নিয়ে আর কিছু বলবো না কারন আপনি লালনকে বোঝেন না, জানেন না। কিনতু আপনি কাজি সাকিব এর সাথে যে তর্ক করছেন তা আপনার অজ্ঞতা মনে হয়েছে আমার কাছে।
আসুন একটু লক্ষ করি সূরা আলাক ৯৬:১-৮ আয়াত:
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু,
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।
كَلَّا إِنَّ الْإِنسَانَ لَيَطْغَى
সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে,
أَن رَّآهُ اسْتَغْنَى
এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।
إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে।
আমি কিছু রেফারেন্স দিচ্ছি একটু ভালো করে পড়বেন আশা করি আপনার বিমার দূর হবে।
সূরা ইমরান ৩:১৪৪ আয়াত
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن
يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ
অর্থঃ আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন।
সূলা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا
অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছে।
সূরা কাহফ। ১৮:১১০ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
অর্থঃবলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০৫ আয়াতঃ
وَبِالْحَقِّ أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃআমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪৯ আয়অতঃ
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:৫০ আয়াতঃ
الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃমুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।
সূরা ফাতির ৩৫:২৩-২৪
إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ
অর্থঃ আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ
অর্থঃআমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৬ আয়াতঃ
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ আয়াতঃ
وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
অর্থঃ তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।
সূরা ক্বাফ ৫০:২আয়াতঃ
بَلْ عَجِبُوا أَن جَاءهُمْ مُنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا شَيْءٌ عَجِيبٌ
অর্থঃ বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫১ আয়াতঃ
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
সূরা আল মুলক ৬৭:২৬ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।
সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১:৪৩ আয়াতঃ
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
অর্থঃআপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা আল আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।
সূরা নাহল ১৬:৩৫ আয়াতঃ
وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃমুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:১৮ আয়াতঃ
وَإِن تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِّن قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃতোমরা যদি মিথ্যাবাদী বল, তবে তোমাদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাবাদী বলেছে। স্পষ্টভাবে পয়গাম পৌছে দেয়াই তো রসূলের দায়িত্ব।
সূরা আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
আপনি কি জানেন,কাজি সাকিব এর সাথে আমার কি বিষয় নিযে তর্ক হয়েছে?
কাজি সাকিব এর সাথে আমার তর্ক হয়েছে- উনি বলেছেন রাসুল বলতে ফেরেস্তা বা জিব্রাইলকে বুঝানো হয়েছে।
সূরা হা্কাহ এর ৪০ নম্বর আয়াত ও সূরা তাকবীরের ১৯ নম্বর আয়াতের, ইন্নাহু লা কাউলু রাসুলিন কারিম, এর অর্থে- রাসুলীন কারিম বলতে সম্মানীত ফেরেস্তা বা জিব্রাইলকে বুঝিয়েছেন, যাহা মিথ্যা।
আগে পড়ুন, বুঝুন, পরে মন্তব্য করুন।
গুরুজীর পোষ্টে লেখা আছে, ইন্নাহু লা কাউলু রাসুলিন কারিম। এই রাসুলিন কারিম কে কাজী সাকিব বলেছেন, রাসুল অর্থ বার্তা বাহক, করিম অর্থ সম্মানিত।
সেখানে আমার বক্তব্য ছিল-মহাম্মদকে বলা হয়, রাসুল আল্লাহ। যার অর্থ হবে-আল্লাহর বার্তা বাহক। এখন আল্লাহর কাছ থেকে বার্তা বহন করে এনেছেন জিব্রাইল। তাহলে তো আল্লাহর বার্তা বাহক বা রাসুলাল্লাহ হবে জিব্রাইল। আর মহাম্মদ হবে প্রাপক। আমাদের আলোচনা ছিল এখানে।
কোরাণ যে মহাম্মদ রাসুলাল্লাহ বলেছে, সেটা আমরা দেখেছি। সে ক্ষেত্রে রাসুল অর্থ বার্তা বাহক হতে পারে না। রাসুল অর্থ হবে প্রাপক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন