"আর কত লাঞ্ছনার শিকার হবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা"
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী ব্লগার ২২ আগস্ট, ২০১৪, ০২:২১:১৫ রাত
আর কত লাঞ্ছনার শিকার হবেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। যেখানে বাংলাদেশের সংবিধান সবার শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের অধিকারের কথা বলে সেখানে বিভিন্ন ধোয়া তুলে একটি চক্র আটকে দিতে চায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। যখন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধা যোগত্যা ও প্রজ্ঞার ধারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে শুরু করেছেন , প্রথম স্থান অধিকার করতে শুরু করেছেন খ্যাতনামা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তখন গাত্রদহ শুরু হয় একটি চক্রের । তারা সফটওয়ার জটিলতা কিংবা ইসলামী অর্থনীতি আর প্রচলিত অর্থনীতি এক নয় অথবা স্কুল , কলেজের ইংরেজী আর মাদ্রাসার ইংরেজী এক নয় এ জাতীয় ঠুনকো অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেrর ভর্তির পথকে রুদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালান। বিশেষ করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় অধ্যাপক ড.জাফর কিংবা ইয়াসমিন হক এসব কথা বলে সংবিধানকে লঙ্গন করে বিভিন্ন সময়ে শাহজালাল ( রহ.) নামে প্রতিষ্টিত বিশ্ববিদ্যালয় শাবিপ্রবিতে এসব শুরু করেন তখনি সিলেটবাসী দলমত নির্বিশেষে আন্দোলনের এককাতারে নেমে আসে। ব্যর্থ হয় জাফর গঙ্গদের ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন , প্রগতিশীলতার নামে অশ্লীলতা, বেহায়পনা চর্চার পথ। ভর্তি পরিক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা প্রথম স্থান অর্জন করে চুনকালি নিক্ষেপ করে তাদের মুখে। কিন্তু থেমে নেই ঐ চক্রটি। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে না বললে কিংবা তাদের সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ না করলে পেঠের ভাত হজম হয়না তাদের। তাইতো শাবিপ্রবির কোন একসমাবেশে জনৈক প্রগতিশীল শিক্ষক সিকান্দর মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করতে হবে দাবি তুলে বলেন, ঐগুলো জঙ্গিদের প্রজনন খানা।
সর্বশেষ শাবিপ্রবিতেই গত ২৬ জানুয়ারী শিবির , লীগ , পুলিশ সংঘর্ষেও ঘঠনায় তদন্ত কমিটি দেখে দেখে শুধু শুধু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেও ঐ ঘটনার সাক্ষ দিতে ডাকে। সেখানে “ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রয়োজন নেই বলে তদন্তকারী শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেও হেনস্থা করেন।
আমার প্রশ্ন এতো ভয় কেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। তারা বিভাগের সবচেয়ে ভালো, ভদ্র কিংবা মেধাবী শিক্ষার্থী বলে। নাকি এ জন্য ভয় হয় যে তারা স্ব স্ব মেধারগুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন, সুনাম খুড়াচ্ছেন দেশ বিদেশে। নাকি তারা বিভিন্ন পজিশনে গিয়ে দূর্নীতি বন্ধে ভূমিকা রাখছে এ জন্য। নাকি তাদের দেশপ্রেম সততার কারণে আজকের একশ্রেনীর সুশীলরা দেশটিকে বিক্রি কওে দিতে পারছেননা একারনে।
যেখানে একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্র্থী ইসলামী জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে ঐসকল শিক্ষার্থীদের সরকার পৃষ্টপোষকতা করার পরিবর্তে বিভিন্নভাবে সময়ে সময়ে হেনস্থা করছে। এ নির্মমতা, বা বৈষম্য আর কত চলবে। আর কত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অপদস্থ বা হেনস্থা কবেন। কেন যোগ্যতা থাকার পরেও শকুনীদের কালো থাবার কারণে মুখ থুবড়ে পড়বে তাদের পথ চলা।
তাই আসুন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কে ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার প্রসারে তাদের কে উৎসাহ প্রদান করে সত্যের পথকে সুগম করি।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাদ্রাসার সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের আওয়ামী লীগ করতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন