একের অধিক বিবাহ কি আইনসঙ্গত?

লিখেছেন লিখেছেন আজিম বিন মামুন ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৪:৪৭ রাত



সর্বজ্ঞানী মহা অন্তর্যামী আল্লাহ তাআলা একজন পুরুষকে অধিকার দিয়েছেন-একসঙ্গেই চারজন স্ত্রী রাখার।আল্লাহ প্রদত্ত এই শর্তহীন অধিকারকে নিষিদ্ধ বা এর উপর কোন শর্ত আরোপ করার ক্ষমতা কারো নেই।এক বিবাহ করলে যেমন সেই স্ত্রীর ভরণ-পোষন স্বামীর ওপর ফরজ হয় এবং সে তা পালন করতে বাধ্য হয় কিন্তু যদি কেউ সেই ফরজ পালনে ত্রুটি করে,তবে তাকে শাস্তি দেয়া যেতে পারে।তার বিবাহকে নিষিদ্ধ বা শর্তাধীন করা যেতে পারেনা।পক্ষান্তরে,একাধিক বিবাহ করলেও বিবিদের মধ্যে সমতা রক্ষা করে তাদের ভরণ-পোষন ও স্বামীর উপর ফরজ হয়।কিন্তু যদি কেউ সে ফরজ পালনে ত্রুটি করে তবে তাকে শাস্তি দেওয়া গেলেও বিবাহে শর্তারোপ করা যেতে পারেনা।বহু পয়গম্বর(আঃ)বহু সাহাবী(রাঃ)সহ স্বয়ং হুজুরে পাক(সাঃ)একাধিক বিবাহ করেছেন-দুনিয়াতে আল্লাহর বান্দার ও নবীর উম্মত বৃদ্ধি করার জন্য এবং বিবিগনের মাঝে যথাবিহীত সমতা রক্ষা করেছেন।

বড় পরিতাপের বিষয়,আজকাল একদল দুর্বলচেতা হীনমনা লোক ইউরোপ আমেরিকার লজ্জাকর কুপ্রথার ভক্ত সেজে,একাধিক বিবাহকে দূষনীয় মনে করে।কিন্তু নির্লজ্জ লম্পটের মত ডজন ডজন উপপত্নী বা গার্লফ্রেন্ড রাখতে কুন্ঠিত হয় না।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়,এরাই নিজেদের লজ্জা ও নোংরামী ঢাকার জন্য আমাদের দুর্বলচেতা ধর্মে অনভিজ্ঞ যুবকদের এই বলে উপহাস করতে চেষ্টা করে যে,তোমাদের মধ্যে বহুবিবাহের মধ্যযুগীয় প্রথা এখনো চালু আছে।বস্তঃত এরা অন্ধ হয়ে গেছে।এটা মধ্যযুগীয় কুপ্রথা নয়,আল্লাহর দেওয়া মানুষের জন্য চিরকল্যানময় নীতী।এটা কোরআনে বিবৃত আছে এবং নবীগণ কতৃক প্রচারিত হয়েছে।

দুঃখের বিষয়,অধুনা উপরি-উক্ত ইউরোপীয় নির্লজ্জ নীতির একদল অন্ধ পূজারী আমাদের মুসলিম সমাজে দেখা দিয়েছে।তারা বহুবিবাহকে আইন বিরুদ্ধ বা শর্তসাপেক্ষ বলে সাব্যস্ত করতে চাইছে।যা খ্রিষ্টানী প্রভাব এবং তাদের অন্ধ অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260555
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৮
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এটা কি শুধু আমাদের আইন প্রণয়নকারীদের দোষ? এই ব্লগে আমাকে এক আপু, যাকে আমি ইসলামী-আন্দোলনে একনিষ্ঠ হিসেবে জানি, তিনি আমাকে বলেছেন মুখে রুচী থাকলে/ভালোবাসা জানলে এক তরকারী-ই (বউ) যথেষ্ট এবং সবার নাকি তাই করাই উচিৎ! আরও দেখি তারা স্বামীর কোন গুন স্ত্রীরা পছন্দ করে তা নিয়ে নসীহত করতে – আমারতো মনে হয় আল্লাহও রাসূল(সাঃ) কে বলেছেন স্ত্রীদের সন্তুষ্টি না চাইতে; আর ইসলামী আন্দোলনের উনারা স্বামীদের নসীহত করেন সেগুনে গুনান্বিত হয়ে স্ত্রীদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য!

যে মুসলমানের মধ্যে এমন মেয়েদের দল হবে, সেখানে আইন হবে না তো কি হবে?

আমার জানামতে অনেক বউ আছে দেশে যারা স্বামীর কাছ থেকে ভরণ-পোষন ছাড়াও অতিরিক্ত বিলাসিতার বা মেয়ের বাবা-মা কে টাকা দেয়ার জন্য জামাইকে মানসিক-শারীরিক চাপ দিয়েও না পেয়ে পিত্রালয়ে বসে থাকে; খোলা-তালাকও করে যায়ও না আবার জামাই এর নতুন বিয়েতেও বাধ-সাধে! এরকম অত্যাচারিত পুরুষের সংখ্যা অনেক এ সমাজে।

এমন মনের মেয়ে মানুষদের জন্যই এ বিষয়েএখানে মুসলমানদের কোন আইন চলে না! রষ্ট্রের দোষের আগে ঐসব মেয়েদের দোষারোপ করা উচিৎ এবং ওদের জন্যই এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৪
204273
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : যারা ইসলাম মেনে নিবে তাদের ঠকার কোন আশংকা নেই।সে পুরুষই হোক বা নারী।যে মেয়েরা এটা না মানতে চায়,তাদের ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব রয়েছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
204514
হতভাগা লিখেছেন :






এইভাবে কমেন্ট কইরেন না । আপনাদের ঠ্যালায় এমনেই উনারা ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন আর এই ধরনের কমেন্ট করলে তো পুরাই ভাগবে ।
260628
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৩১
কাহাফ লিখেছেন : আধুনিকতার ধ্বজাধারীরা এভাবেই ইসলাম ও নৈতিকতা কে ধ্বংশ করে চলেছে।বাল্য বিবাহ রোধ আইনও তেমন। জনতার হুশ হবে না এখনো......? অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর বিষয়ে লেখায়।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩২
204664
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : ভাইজানকেও ধন্যবাদ বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ন ভাবায়।শুভেচ্ছা রইল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File