একজন মুক্তিকামীকে সাহায্য করুন আলো দেখতে...
লিখেছেন লিখেছেন আজিম বিন মামুন ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৪:০৪ সকাল
সৃষ্টির শুরু থেকেই পৃথিবী নামক গ্রহে অসংখ্য প্রাণের উদ্ভব হয়েছে।এই লাইনটি লিখার সময়টুকুতেই হাজার হাজার প্রাণের আগমন ঘটল,মৃত্যুও ঘটল হাজার হাজার প্রাণের।পুরো পৃথিবী আমার সামনে এখন একটা বড় ফুটবলের মত ঝুলে আছে যার সারা শরীর জুড়ে ই বিচিত্র সব প্রাণ আর প্রাণ।তবে এর মধ্যে মানুষ ই সেরা।আমাদের মত ক্ষমতা না থাকলেও ওরাও কম নয়।
শুরু থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত এখানে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের উদ্ভব হয়েছে,যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়ে এখানে এখনও চারটি ধর্মের প্রাধান্য দেখতে পাচ্ছি,কিন্তু একই জিনিসের দুই ধর্ম হতে পারেনা।কখনো এমন চুম্বক চোখে পড়েনি যা লোহা আকর্ষন করেনা।তাহলে একই রক্ত-মাংস বিশিষ্ট মানব বহু ধর্মবিশিষ্ট কেন হবে?
তাহলে কি এদের সৃষ্টিকর্তা বহু?তা হতে পারে না।তবে তো এটাই সত্য মানতে হয় একই প্রভুর সৃষ্টি একই মানবের ধর্মও একটাই হতে হবে।সেটা কী?মানুষের মাঝে প্রথম মতের ভিন্নতা তৈরী হয় পৃথিবীতে প্রথম মানবের বংশধর হাবিল-কাবিলের।সেই থেকে শুরু।
গতকাল লুকিয়ে পৃথিবী দেখতে গিয়েছিলাম।এমনিতেই মানব সম্পর্কে আমি ভীষন উৎসাহ বোধ করি,অদ্ভুদ সব গাছের নিচ দিয়ে রাস্তাটা সোজা নদী পর্যন্ত ঠেকেছে।নদীর পাড়ে একটা ঝোপড়ার মত কি গাছ আর তার নিচে একটি ছোট্ট ঘড়।ঘড়ের ভেতর দুজন মানুষ কথা বলছে।দুজনকেই মুসলমান মনে হল আমার।একজনের ঘাড় পর্যন্ত চুল মুখে দাড়ী,অন্যজনের ও দাড়ী আছে তবে চুল ছোট। তাদের কথাগুলো ভাল লাগায় তাদের পাশে চুপ করে বসে গেলাম।এরাও ধর্ম সম্পর্কেই আলাপ করছে।ও হ্যা,বড় চুলের লোকটির নাম চন্দন আর অন্য লোকটির নাম আব্দুল্লাহ।
চন্দন হিন্দু ধর্মের,লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারী দীক্ষায় দিক্ষীত,আল্লাহ কে বিশ্বাস করে,নবী-রাসূল,কিতাব,কোরআন শেষ নবী সবই বিশ্বাস করে।কালিমা জানে,কালিমার জিকির ও করে।মূর্তি পূজা করেনা বিশ্বাস ও করেনা।সব কিছুর নিয়ন্ত্রনকারী আল্লাহ এবং তাকেই বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় বলে চন্দন বিশ্বাস করে।
অন্য দিকে আব্দুল্লাহ নামাজ আদায় করে,কোরআন পড়ে এবং সুন্নতের পাবন্দী করে যথাসাধ্য ধর্মীয় হুকুম-আহকাম মেনে চলার চেষ্টা করে।
আব্দুল্লাহর কথানুযায়ী চন্দন কোন ধর্মেই নেই, একসাথে দুই নৌকায় চড়লে কোনটাতেই চড়া হয়না পানিতে পড়তে হয়।তবে বিশ্বাস অনুযায়ী হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্মবিশ্বাসে অনেক বেশী এগিয়ে।
আদম হাওয়া থেকে শুরু করে শেষ নবী পর্যন্ত অনেক নবী-রাসূল,বিভিন্ন কিতাব ধর্মগ্রন্থ মানুষ পেয়েছে যার কোনটাতেই সম্পূর্ণ জীবন বিধান ছিলনা।একমাত্র হযরত মুহাম্মাদ(সা)এর উপর নাযিল হওয়া কোরআনেই সম্পূর্ণতা পাওয়া যায়।একথাটিও চন্দন স্বীকার করে নেয়।
যেহেতু চন্দন সত্যের আলো অনেকটাই দেখতে পেয়েছে,তাই সত্যকে শুধু স্বীকার করে বসে না থেকে সত্যটা মেনে তা গ্রহন করুক এটাই আব্দুল্লাহ চাইছে।
এজন্য চন্দনকে অনেক ত্যাগ,কষ্ট সহ্য করতে হবে সত্যি,কিন্তু প্রাপ্তির কাছে যা খুবই নগন্য।
আব্দুল্লাহ চন্দনকে আগামী জুম্মাতে মসজিদে যাওয়ার আমন্ত্রন জানালে খুশী হয়ে সে তা গ্রহণ করে।চন্দনের আজমীর শরীফ যাওয়ার প্রচন্ড আগ্রহ কিন্তু সামর্থ নেই,জানতে পেরে আব্দুল্লাহ তাকে দুই হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
খুব ভাল লাগছিল আমার এরকম একটা ঘটনার স্বাক্ষী হতে পেরে।রাত একটা পর্যন্ত ওরা কথা বলেছিল।তারপর যে যার বাড়ী ফিরে গেলে আমিও ফিরে এসে পৃথিবীটা দেখতে লাগলাম আবার।
*অন্য গ্রহ থেকে।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
##চন্দনের আজমীর শরীফ যাওয়ার প্রচন্ড আগ্রহ কিন্তু সামর্থ নেই,জানতে পেরে আব্দুল্লাহ তাকে দুই হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়।##
মানুষকে ইসলামে ডেকে আবার পাঠায়া দিলেন কবরের কাছে কবর পুজায়???
তাকে তাওহীদ শেখান কবরপুজা নয়।
আজমীর শরীফে কি হয় তা কি আপনারা জানেন না??
আল্লাহু আকবার।
বিষয়টি মর্মাহত জদিও সংবাদ সুখকর।
ধন্যবাদ। তবে তাঁকে আজমীর শরীফ না পাঠিয়ে বিত্তবান মুসলমানদের সাহায্যে পবিত্র হজ্জের জন্য পাঠালে অধিকতর শ্রেয় হতো।
শুভেচ্ছা রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন