"শিয়া মতবাদ প্রমানিত হলে সুন্নী আকীদা পরিত্যাগ করব"

লিখেছেন লিখেছেন আজিম বিন মামুন ২৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:৫৪:৫৬ রাত



শিয়া-সুন্নি মতবাদ নিরসনে এর আগেও একটা কিতাবের ঘটনা তুলে দিয়েছিলাম।অনেক শিয়ামতাবলম্বি ভাই মন্তব্য করেছেন।প্রশ্ন রেখে গিয়েছেন,উত্তর চেয়ে।তাদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।এ পর্ব মূলত প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক,এছাড়া তথ্যবহুল একটি ঘটনা তুলে দিচ্ছি-

বিশেষ ভাবে শিয়াভাইদের নিকট উত্তর আশা করছি।সেই সাথে সবাইকে বিষয়টি ভালভাবে চিন্তা করে সুচিন্তিত মতামত দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রথম

পোষ্টের

প্রতিবাদে

একটি

পোষ্ট

লিখেছেন

এক

শিয়া ভাই।

তার বক্তব্যের সারমর্ম এমনঃ

*আকীদার মানদন্ড দুইটি।আল-কোরআন এবং মানবের রূহানী শক্তি।

||দেখা যাচ্ছে এ মতবাদে হাদীস বাদ দিয়ে চরম ধৃষ্টতার পরিচয় দেয়া হয়েছে।এ আকীদা পোষনকারী কখনো মুসলমান হতে পারেনা।হাদীসের চেয়ে যাদের রূহানী ক্ষমতা এত বেশী,তাদেরকে কী বলা যায়?

*ফাজায়েলে আমাল নামক কিতাব ভিত্তিহীন।

||কিতাবটির রচয়িতা কোন মানুষ নন,যারা না পড়েছেন পড়ে দেখবেন,প্রতিটি হাদীস ই হাদীসের মূল ধারক কিতাব গুলো থেকে সংকলিত।এটি রচিত নয় বরং বিষয় ভিত্তিক আমলের ফাজায়েল সম্পর্কিত হাদীসগুলোর সংকলন।

এটা অস্বীকার করাটা এমন দাড়ায়:ফাজায়েলে আমাল> সিহাহ সিত্তাহ>রাসূল(সা)>আল্লাহ পাক।

স্বয়ং আল্লাহকেই অস্বীকার করা হয়।

আল্লাহকে অস্বীকার করা কুফর,যে কুফরী করে তাকে কাফির বলা হয়।

তাহলে কেমন হল বিষয়টা?

*ফাজায়েলে জিহাদ পড়ে আইএসআইএস,আল-কায়েদা সহ যে সকল জিহাদী সংস্থা রয়েছে এদের বাতিলপন্থী বলা হয়েছে।

||বাতিলের বিপরীত হক,তাহলে হকপন্থী দল ইসরাঈলী সেনাবাহিনী,আর মুসলিম নিধনকারী ইহুদী।

এরা কী তাহলে ইহুদীদের দালাল?

*আমি সত্য খুজছি,ঈমান পাকা করতে জানছি পুজিবাদ,সমাজতন্ত্র।

||ঈমান পাকা করার জন্য আল্লাহ এবং তাঁর হাবীব কে ছেড়ে এসব জেনে আপনি কার্ল মার্কস হতে পারবেন কিন্তু ঝুলিওয়ালা একজন তাবলীগওয়ালার ঈমানের সাক্ষাত পাবেন না।

শেষকথা:উপরের বিশ্বাস সেই লেখকের যিনি আমার লেখার প্রতিবাদে এগুলো লিখে নিজেকে শিয়া-সুন্নী গন্ডির বাইরে নিয়ে নিজেকে শুধু মুসলিম দাবী করেছেন।

মুসলমানের আকীদা কি এমন হয়?প্রশ্ন সুবিজ্ঞ পাঠকদের নিকট।

--------------------------------------------------------------------------------

পাঠক অবগত আছেন যে,আল্লাহর রাসূল আমাদের যা দিয়েছেন তা হক।তাঁর ওফাতের পর পর্যায়ক্রমে সাহাবী,তাবেয়ীন,তাবে তাবেয়ীন রাসূলের শিক্ষার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা তাঁর জীবদ্দশাতেই স্বীকৃত হয়েছিল।এ চারটি যুগের নীতিমালার ভিত্তিতেই আমরা মুসলমান।এর পরবর্তী যুগে যদি কোন মুসলমান নিজেদের জ্ঞান-প্রসূত কোন মতবাদ গড়ে তোলে তবে তা বাতিল এবং আবর্জনার মতই নিক্ষিপ্ত হবে।এ বিষয়ে সকল মুসলমানই ঐক্যমত।

ঘটনাঃএকবার মাওলানা কাসেম নানতুবী(রহঃ)কে শিয়াগন চ্যালেন্জ করে বসে,এবং এক বিরাট বাহাছ(বিতর্ক)অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।শিয়া আলেমগন কিতাবাদিসহ হযরতের অপেক্ষা করতে থাকেন।কিন্তু তাঁর দেখা নেই।উপস্থিত শিয়াগণ ভাবলেন হেরে যাবার ভয়ে উনি আসছেন না।এমন সময়,হাজার হাজার জনতার পেছন থেকে ওনাকে মঞ্চের দিকে আসতে দেখা গেল।মঞ্চে ওঠার আগে জুতা খুলে হাতে নিয়ে বগলে চেপে উঠে গেলেন।সবাই অবাক হলেন তাঁর আচরনে।

হযরত জুতা রেখে দিন ওদিকে।

না,শিয়ারা জুতা চুরি করে থাকে।

শিয়া আলেমগণ ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে-

কি বলছেন আপনি?আপনাকে আগে এর প্রমান দিতে হবে।

হুজুর(সা)এর জামানায় এরকম ঘটনা ঘটেছিল।

কখনো না,তখন শিয়া মতবাদই চালু হয়নি।

ভুল হয়েছে সাহাবীদের মজলিশ থেকে এক শিয়া এ কাজ করেছিল।

অসম্ভব তখন তো শিয়া ছিলনা।

তবে তাবেঈন জামানায় হয়েছিল ঘটনাটি।

ইতিহাস স্বাক্ষী,সে সময় ও শিয়া মতবাদ চালু হয়নি কি করে এটা ঘটবে?

তবে অবশ্যই তাবে-তাবেঈন দের সময়ে হয়েছিল।

আপনি কি শুরু করেছেন,শিয়া মতবাদ চালু হয় এ চার জামানার অনেক পরে।

দাড়ান,আপনাদের কথানুযায়ী এ চার জামানার কোন সময়ই শিয়া মতবাদ তৈরী হয়নি।

বলতে পারেন এই চার জামানার সাথে আমাদের কি সম্পর্ক?

অবশ্যই,এই চার জামানার ব্যাখ্যার ভিত্তিতে আমরা মুসলমান।পরবর্তী সব ব্যাখ্যাই বাতিল।

তবে কি আপনারা সেই মতবাদ গ্রহন করেননি যার উদ্ভব এই চার জামানার অনেক পরে।

শিয়া আলেমগণ লা-জওয়াব।

কারো মুখে কোন শব্দ নেই।

সবাই ওনার কৌশল বুঝতে পারলেন।

উনি আর কোন কিছু না বলে জুতা বের করে পায়ে দিয়ে শান্ত ভাবে স্তব্ধ জনতার মাঝে দিয়ে হেটে চলে গেলেন।কোন অহংকার নেই।কোন বাহাদুরী নেই।উনি চলে যাবার পরও আলেমগণ নির্বাক হয়ে রইলেন।

(মাওলানা আব্দুল হামিদ,আল্লামা বিন্নুরী টাউন,করাচী ১৯৬২ ঈসায়ী)

কি বুঝলেন পাঠকবৃন্দ?এর পরও কি মুসলমানের মাঝে হিন্দুদের মত শ্রেণীবিভাগের চেষ্টা করা উচিত হবে কারো?

***শুধুমাত্র নবী এবং ফেরেশতাদের নামের শেষে(আ)বলার হুকুম রয়েছে,কথিত শিয়ারা হযরত আলী(রা)এর নামে(আ)যোগ করে কি বোঝাতে চান?উনাকে ফেরেশতা নাকি নবী দাবী করা হচ্ছে?

বিষয়: বিবিধ

২০৯১ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

259342
২৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:৫৫
কাহাফ লিখেছেন : "আঃ শব্দের ব্যবহার বিষয়ে এক শীয়া কে প্রশ্ন করলে আমাকে বেকুব বলে চলে যায়।আসলে ওদের কাছে সঠিক জবাব নেই তো।" যৌক্তিক আলোচনার জন্যে জাযাকাল্লাহ ভাই........।
259359
২৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : //তার বক্তব্যের সারমর্ম এমনঃ

*আকীদার মানদন্ড দুইটি।আল-কোরআন এবং মানবের রূহানী শক্তি।//

আমিও ব্যাপারটি লক্ষ্য করেছিলাম পরে দেখলাম এদের বোঝানোর কাজ আল্লাহর কাছেই। তাই কিছু বলিনাই।

এখন সময় মুসলিমদেরকে এদের বিরুদ্ধে সতর্ক করা। কেননা এরা তো ফিরবেকিনা আল্লাহু আ'লাম। তবে কোন মুসলিম যেন কাফের না হয় এদের প্রতারনায়। এটাই করা উচিত।
259382
২৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
মামুন লিখেছেন : "আকীদার মানদন্ড দুইটি।আল-কোরআন এবং মানবের রূহানী শক্তি"- মানতে পারলাম না। হাদীসকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আর রুহানী শক্তি আসবে আল কোরআন এবং আল হাদীস দুটোর মিলিত শক্তিতে। কোরআনের অনেক বিষয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে হাদীসের দ্বারা। আমি কোনো বিতর্কে যাবো না। তবে অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝলাম সেটা উল্লেখ করেছি।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো। Rose Rose Rose
259645
৩০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
সুজন মাহমুদ লিখেছেন : আজিম বিন মামুন,ভাই বিকৃতিই কি আপনার সম্বল? লেখাটিতে বলা হয়েছিল, লেখাটিতে বলা হয়েছিল-সত্য অনুসন্ধানের মানদণ্ড দুটি-আলকোরআন এবং মানবের রূহানী।
শক্তি।আর আপনি লিখেছেন-আকীদার মানদন্ড দুইটি।আল-কোরআন এবং মানবের রূহানী শক্তি।

*ফাজায়েলে আমাল নামক কিতাব ভিত্তিহীন।*ফাজায়েলে জিহাদ পড়ে আইএসআইএস,আল-কায়েদা সহ যে সকল জিহাদী সংস্থা রয়েছে এদের বাতিলপন্থী বলা হয়েছে।
বাতিলের বিপরীত হক,তাহলে হকপন্থী দল ইসরাঈলী সেনাবাহিনী,আর মুসলিম নিধনকারী ইহুদী।আমি সত্য খুজছি,ঈমান পাকা করতে জানছি পুজিবাদ,সমাজতন্ত্র।


আপনি প্রতিটি কথাকে বিকৃতি করেছেন। আপনার মন্তব্য পড়ে আমি মনে করেছি আপনি হয়তো লিবারেল কিন্তু এখন বুঝতে পারলাম আপনি যেমন গুড়া তেমনি আপনি ধূর্ত। আমি আগেই বলেছি শিয়া সুন্নির বিতর্কে আমি যাবো না। আর আমি শিয়া না কিন্তু আপনি বুঝতে পারেন নি।
259649
৩০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
সুজন মাহমুদ লিখেছেন : আপনার লেখাটির সুন্দর জবাব দিতে পারতাম। কিন্তু মাজহাবী বিষয়ে বিতর্ক করা আমার কাছে দুটি বালকের মাক্কাল ফল নিয়ে মারামারী করা মনে হয়। আর আপনার গল্প গুলো অনেক মজার। এই গল্প গুলো থেকে অনেক কিছু শিখার আছে,গল্প গুলো প্রাইমারী স্কুলের পাঠ্য পুস্তকে ইনক্লুড করলে তাতে বহুত ফায়দা হবে।

আপনাকে কিছু মৌলিক ও ইতিহাস সম্পর্কিত প্রশ্ন করেছিলাম- সেগুলোর যদি উত্তর দিতেন তাহলে অনেক কিছু শিখতে পারতাম। আপনি উত্তর না দিয়ে মাক্কাল ফল নিয়ে মারামারী করতে আগ্রহী। আমি আবার ঐ ধরনের বালক না। এবার দেখুন ঐ ধরনের কোন খুঁজে পান কিনা।

259658
৩০ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
সুজন মাহমুদ লিখেছেন : পেলে তার সঙ্গে বিতর্ক শুরু করেন।এরপর দেখুন কোন ফায়দা হাসিল হয় কিনা।এর চেয়ে বরং মুসলিম উম্মার প্রধান সমস্যা ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে আলাপ আলোচনা করি।
আর শিয়া সুন্নি বিষয় নিয়ে যারা মাতামাতি করে তাদেরকে আমি মুসলমানদের কমন শত্রু মনে করি। যদিও আপনাকে না। নিজেও অপপ্রচার করবেন না যেমনটা এখন করলেন। অন্যের অপপ্রচারে কান দিবেন না।

যারা যুক্তির চর্চা করে, যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করে এবং যারা গুরামী মুক্ত তাদের সঙ্গে বিতর্ক করা যায়। অন্যথায় যারা খেয়াল খুশি অনুযায়ী কথা বলে এবং যারা ধরেই নিয়েছে যে আমিই সত্য পথে আছি এবং যারা বিবেক বন্ধক রাখে তাদের সঙ্গে বিতর্ক করা মানে বিড়ালকে মানুষের ভাষা শিখানোর সমতুল্য।

আপনি শিয়াদের চল্লিশ পারা কোরআনের যে অপবাদ দিছেন। এই ধরনের অপবাদ যদি ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের উপর দিতেন তার পরেও আমি প্রতিবাদ করতাম। হোক হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিন্ত্রান।
ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে কোন কথা বললে আমাকে নক করবেন।
আপনাকে সালাম।
260704
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩২
জীবন রাহমান লিখেছেন : "এটা অস্বীকার করাটা এমন দাড়ায়:ফাজায়েলে আমাল> সিহাহ সিত্তাহ>রাসূল(সা)>আল্লাহ পাক।"-এর সাথে একমত হতে পারলাম না। কারন ঐ বইটাতে কোন নির্ভরযোগ্য হাদিস নাই........শিয়াদের সমালোচনা করার আগে ভাবুন বর্তমানে ইহুদিদের সবছেয়ে বেশি চেলেন্জ কিন্তু শিয়াদেশ ইরানই দিয়েছে। আমেরিকাও তাদেরই প্রধান প্রতিপক্ষ ভাবে, পাচাটা সৌদি আরব সরকারকে নয়। আমার মনে হয় তাদের ঈমানই সবথেকে শক্ত। গোড়ামী ছেড়ে দিন।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
204672
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : চ্যালেন্জ দিলেই ঈমান শক্ত হয়?ফাজায়েলে আমালের কোন হাদীস বানোয়াট?প্রমান দিন।বর্তমানের হক দল থাকলে একমাত্র তাবলীগ-জামআত।
260708
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
জীবন রাহমান লিখেছেন : |ঈমান পাকা করার জন্য আল্লাহ এবং তাঁর হাবীব কে ছেড়ে এসব জেনে আপনি কার্ল মার্কস হতে পারবেন কিন্তু ঝুলিওয়ালা একজন তাবলীগওয়ালার ঈমানের সাক্ষাত পাবেন না।
বর্তমানে সবছেয়ে দুর্বল ঈমান হলো তাবলীগীদের । আর এই কারনেই তাদের প্রগ্রামে সরকার সহায়তা করে। নাস্তিক্যবাদী সরকার কেন তাদের সহায়তা করে?????/ কেন আমেরিকা-ভারত তাদের নিয়ে কোন মাথাব্যথা নাই????

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File