শিআদের চল্লিশ পারা কুরআনের দেখা মিলল অবশেষে!!
লিখেছেন লিখেছেন আজিম বিন মামুন ২৭ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৫৩:২৭ সকাল
শিয়া-সুন্নি কি?
দেখতে কেমন?
কোথায় পাওয়া যায়-
এখনো জানিনা।ব্লগে মাঝে মাঝে চোখে পড়ে কিন্তু এড়িয়ে যাই।
মুসলমান ব্যাস।এর বাইরে কিছু জানিনা,জানতেও চাইতাম না।আমার রাসুল(সাঃ)যা আমি তাই হব।
এখন দেখছি জানা/জানানো দুটোই দরকার।
এটা ১ নং,পরবর্তী পোষ্টে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে ইনশ্আল্লাহ।
মন্তব্য কামনা করছি(বিশেষ করে শিয়াদের)।
**স্নিপিং সফটওয়্যারে তুলে দেওয়া**
বিষয়: বিবিধ
২৮৩৩ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
*জানি--জানাচ্ছি
"কাউকে কাফের বললে তা, যে বলল/যাকে বলল,দুজনের একজনের উপর অবশ্যই আরোপিত হবে।যাকে বলা হল যদি সে তা না হয় তবে যে বলল তার উপরে বর্তায়"
তওবা করুন।আল্লাহ ক্ষমাশীল।
এরা শিয়াই না/বিধর্মী মুসলিম নিকে
অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ার জন্য শুকরিয়া।
তাদেরকে কঠোরভাষায় সমালোচনা করলে তারা চটে যাবে।
অন্তত এক বিষয়ে আমরা দুপক্ষই এক জিনিসের দাবীদার-
"আমরা মুসলমান"
ফালতু বলে এড়িয়ে গেলে দায়িত্বকেই কি এড়ানো হয়না।
জেনে-বুঝে করছে না বলে মনে হয়
কোরআন রদ-বদলের চেষ্টাও এক ধরনের অন্ধ বিশ্বাস থেকে,যার পুরো দোষ প্রথম শিয়ার।
এদের ভুলটা দেখিয়ে দেয়ার দায়িত্ব তাদের যারা সরল পথ চেনে।
তাদেরকে কঠোরভাষায় সমালোচনা করলে তারাও চটে যাবে,শুরু হবে তর্ক--হানাহানি
অন্তত এক বিষয়ে আমরা দুপক্ষই এক জিনিসের দাবীদার-
"আমরা মুসলমান"
মুসলমানরা আজকে বিপদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে যারা শিয়া-সুন্নী বিতর্ক নিয়ে ব্যস্ত থাকে; তারা আর যাই হোক মুসলমানদের মঙ্গল চাইতে পারে না।
ফালতু বিতর্ক করার মানে কী?
গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া।
জেনে-বুঝে করছে না বলে মনে হয়
কোরআন রদ-বদলের চেষ্টাও এক ধরনের অন্ধ বিশ্বাস থেকে,যার পুরো দোষ প্রথম শিয়ার।
এদের ভুলটা দেখিয়ে দেয়ার দায়িত্ব তাদের যারা সরল পথ চেনে।
তাদেরকে কঠোরভাষায় সমালোচনা করলে তারাও চটে যাবে,শুরু হবে তর্ক--হানাহানি
অন্তত এক বিষয়ে আমরা দুপক্ষই এক জিনিসের দাবীদার-
"আমরা মুসলমান"
ঠিক কি না ভাই?
তারা তো বলে এটা অপপ্রচার.
আরও অনেকগুলো আছে যা কিনা শুধুই অপপ্রচার.
আসলে কি.
তাদেরকে নামাজ পড়ারা আগে ও পড়ে কত হাজার ও কত রকমের দোয়া, তাসবিহ পড়ে তার হাজার বাগের একভাগও তো আমরা পড়িনা.
তারা তো দেখি আমাদেরকে বোখারী ও মুসলিম থেকেই দলিল ও হাদিসের রেফারেন্স দেয়.
আমি অবশ্য তাদের সাতে কখনও বিতর্কে যাইনি..
আসলে ঘটনা কি সত্যিই তারা ৪০ পারায় বিশ্বাস করে অথেনটিক দলিল কি..
২য় পোষ্ট পড়লে আরও কিছু জানতে পারবেন।
আমিও বিষয়টি জানার জন্য বিভিন্ন কিতাবের সাহায্য নিচ্ছি।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া।
সত্য অনুসন্ধানের দুটি দলিল রয়েছে ১।পবিত্র কোরআন ২। মানুষের রুহানী শক্তি অর্থাৎ মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি। এই দুটি দলিলই খোদা প্রদত্ত ঐশী দলিল। বুদ্ধিবৃত্তি বাদ দিয়ে শুধু কোরআন ধরলে সুফিবাদী হওয়া যাবে, আবার কোরআন বাদ দিয়ে শুধু বুদ্ধিবৃত্তি ধরলে কালমার্ক্স, অ্যাডাম স্মিথ, জ্যা পল সাত্রে, নিটসে হওয়া যাবে। কিন্তু রাসুল (সঃ) এর মত উন্নত মহানুভব চরিত্রের অধিকারী হওয়া যাবে না। আমাদের সমস্যা হল আমরা এই দুটির ধারে কাছেও নেই।আমরা কোরআনকে যেমন ধারণ করতে পারি নাই আমরা বিবেক বুদ্ধিও প্রয়োগ করিনা। অথচ আমরা তৃতীয় শ্রেণীর কিছু গ্রন্থ নিয়ে পারস্পারিক ঝগড়া বিবাদ করি। ফলে আমাদের মধ্যে কোন ঐক্য তৈরি হয় না। এই ঐনক্যের কারনে আজ ইসলামী বিশ্ব ধ্বংসের সম্মুখীন।
কোরআনে যা বলা আছে সবই ফরজ। তাহলে “ফাজায়েলে আমল” গ্রন্থটি কই থেকে এল ? আবার কোরআনে জিহাদ সম্পর্কে সুন্দর ভাবে বলা আছে তাতেও যদি আমরা না বুঝি তখন আমরা কোরআনের তাফসীর ও রাসুলের যুদ্ধ নীতি অনুসরণ ও সাহায্য নিতে পারি। তাহলে “ফাজায়েলে জিহাদ” গ্রন্থটি কই থেকে এল? যেই রেহালে আমাদের কোরআন থাকার কথা সেই রেহালে থাকে “ফাজায়েলে আমল”। আমরা মূলত কোরআন থেকে বিচ্যুত। ফলে একদল ফাজায়েলে আমাল পড়ে হয়ে যায় নন পলিটিক্যাল অর্থাৎ মানুষ,দেশ,সমাজ, রাজন্যীতি নিয়ে ভাবে না। যেমন তাবলীগ, বিশ্ব তাবলীগ ইস্তেমা। আবার অন্যদিকে “ ফাজায়েলে জিহাদ” পড়ে অস্ত্র নিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে যায় যেমন- আল কায়েদা, তালেবান, বকো হারাম, আইএসআইএল।এই দুটি দলের মধ্যে জ্ঞানগত কোন ভিত্তি নেই। তাদের মধ্য কোন বিশ্বজনীন দার্শনিক নেই,নেই কোন ইন্টেলেকচুয়াল। তাদের মধ্যে রয়েছে আবেগ। মানুষের মধ্যে আবেগ বেশী হলে তখন বুদ্ধিবৃত্তি কাজ করে না। ফলে আর্টিফিশিয়াল কোন কথা শুনলেই, আমরা একে অপরকে কাফের মুরতাদ আখায়্যিত করি। তাতে আমাদের দ্বারা আমরাই ধ্বংসও হচ্ছি। আমাদের এই কুপ মণ্ডূকটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদেরকে কোরআন ও বুদ্ধিবৃত্তির আশ্রয় নিতে হবে। তাহলেই আমাদের মধ্যে ঐক্য তৈরি হবে।
জনাব আজম বিন মামুন ভাই, আপনি যে পোস্ট টি দিয়েছেন “শিআদের চল্লিশ পারা কুরআনের দেখা মিলল অবশেষে!!” শিরোনামে” । সারা বিশ্বে শিয়া সুন্নি যারা সবাই একই ত্রিশ পারার কোরআন অধ্যয়ন করি। এখন আপনি বিবেক খাটিয়ে সারা বিশ্বের শিয়াদের কোরআন গুলো তল্লাশি করে দেখুন তো চল্লিশ পারা কোন কোরআন পান কিনা। আপনাকে চেলেন্স করলাম। আপনি যদি আমার চেলেন্স গ্রহন না করেন আমি আপনাকে আপনার উল্লেখিত গল্পটির শিয়া চরিত্রের খলনায়কটির মত একজন খলনায়ক বলে ধরে নিব। এবং ব্লগের বন্ধুদের আপনাকে বৈকট করার আহবান জানাবো।
আমি শিয়া না আমি সুন্নি না আমি মুসলমান। আমি ভাবি, কখন থেকে কোথায় থেকে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি শুরু হল? আমি এখনো ইমানদার হতে পারিনাই তবে ইমানদার হওয়া ও সত্য অনুসন্ধানের পথে অবরত প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমি কাউকে কথায় কথায় কাফের বলি না। আমি উপরের উল্লেখিত দলিল বা মানদণ্ড দুটির পথ ধরেই চলব।
আমি অনুসন্ধান করতে চাই, আমি কে ? কোথায় থেকে এসেছি ? কেন এসেছি? কোথায় যাবো? জগত, সংসার, পৃথিবী কি? আমার দায়িত্ব কি? সমাজের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি? ইসলাম কি? মতাদর্শ কি? পুঁজিবাদ কি? সমাজ তন্ত্র কি? মানুষের সুখ কোথায়? টাকায় না স্প্রিরিচুয়াল জ্ঞানে? রাসুলের অফাতের পর কেন খিলাফত নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি হয়েছিল?
কেন জঙ্গে জামাল সংগঠিত হয়েছিল? যার এক পাশে ছিল হজরত আলী (রা) ও রাসুলের কিছু সাহাবী আবার অন্যপাশে ছিল হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা) ও রাসুলের কিছু সাহাবী ( যতটুকু জানী আলী(রা) এর সাথে যারা যুদ্ধে ছিল তাদেরকে শীআ বলা হয়। আর আয়েশা সিদ্দিকা (রা) ও তালহা জুবায়ের (রা) সাথে ছিল তাদের কে সুন্নি বলা হয়। মুসলমানদের বিভক্তি আগেও( রাসুলের অফাতের পর) ছিল তবে জঙ্গে জামালে স্পষ্ট হয়)। তারপর কেন জঙ্গে সিফফিন সংগঠিত হয়েছিল? রাসুলের সাহাবী দ্বারা কেন রাজতন্ত্র প্রবর্তিত হল ? কেন আগের তিন খলীফা (রা) বৃন্দের সময় মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গে জামাল ও জঙ্গে সিফফিনের মত যুদ্ধ সংগঠিত হয় নি? অথচ আলী,হাসান,হুসাইন (রা) এর সময় তিনটি যুদ্ধ সংগঠিত কেন হল এবং তাদের শহীদ করা হল ? কারা হত্যা করলো? কেন কারবালার যুদ্ধ সংগঠিত হল ? কেন খারিজীরা হজরত আলী (রা) কে কাফের ঘোষণা করেছিল ? কেন হজরত আলীর কবর জান্নাতুল বাকীতে না হয়ে ইরাকে? কেন হোসেনের কবর সৌদিতে রাসুলের পাশে না হয়ে ইরাকের কারবালায়? কেন হজরত ফাতিমার কবর খুঁজে পাওয়া যায় না? এমন আরও অনেক প্রশ্ন।
ইতিহাসে যুগে যুগে নবী রাসুল গণ সবাই সত্যপন্থী ছিল। একই সময়ে অঞ্চল ভেদে কয়েকজন করে নবী রাসুল ছিল। তাদের মধ্যে পারস্পারিক কোন যুদ্ধ তো লাগেনি বরং তারা পারস্পারিক সহযোগিতা করেছে। যেমন মুসা (আ) এর সময় হারুন (আঃ) ও সুয়াইব (আ)। ইব্রাহিম (আ)এর সময় ছিল ইসমাইল ও লুত (আ)। ইয়াকুব (আ) এর সময়ই ছিল ইউসফ (আ)। সবাই এক আল্লাহর ইবাদত করত বলে তাদের মধ্যে কোন যুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। কারণ হকে হকে কখনো দ্বন্দ্ব সংগঠিত হয় না । ইসলামে দ্বন্দ্ব হয় হক এবং বাতিলের মধ্যে। তাহলে কারবালা যুদ্ধে কারা হোক পন্থী ছিল আর কারা বাতিল পন্থী ছিল। এই দুটি ধারার(ইমাম হুসাইন ও ইয়াজিদ) ঐতিহাসিক পটভূমি কি ছিল?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অনুসন্ধান করতে আহবান জানাচ্ছি ?আমরা শিয়া সুন্নির বিতর্কে না জড়িয়ে দর্শন ও ইতিহাসকে কোরআন ও বুদ্ধিবৃত্তির আলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে ? উপরের প্রশ্ন গুলোর উত্তর কেউ আমাকে জানালে আমি খুবই উপকৃত হব।
আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে( যারা দ্বীনের পথে মুজাহিদ) সঠিক পথ প্রদর্শন করেন । আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন