সুখবর!সুখবর!সুখবর!মাত্র ২২ টাকায় কবরের কঠিন আযাব মাফ!অফার চলবে আপনার মৃত্যুযন্ত্রনা শুরুর আগ পর্যন্ত।
লিখেছেন লিখেছেন আজিম বিন মামুন ২৫ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:১২:২৯ সন্ধ্যা
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু,সর্বোচ্চ শক্তির উৎস মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিনের নামে শুরু করছি।
জাতি হিসেবে আমরা মুসলিম।আদি পিতা হযরত আদম(আঃ),সর্বশেষ রাসূল ও মহামানব হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা(সাঃ),এবং এ সমস্ত কিছুর মূল সেই মহাপবিত্র মহাসত্তা আল্লাহ পাক।যার জাত পবিত্র,যার কালাম পবিত্র,যার প্রেরিত নবী-রাসূল গণ পবিত্র।তিনি কি অপবিত্রতা পছন্দ করতে পারেন?কখনোই না।
সেজন্য তিনি যুগে যুগে তাঁর প্রেরিত শিক্ষকগণ দ্বারা আমাদের পবিত্রতা শিখিয়েছেন।
এরকম একটি পবিত্রতার মাধ্যম “ঢিলা-কুলুখ”যা অতি অবহেলায় আমরা ছেড়ে দেই।
জানা থাকা দরকার শুধুমাত্র এই নপাকী থেকে যথাযথ পবিত্রতা অর্জন না করার কারনেই বেশী কবরের আযাব হয়।
একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে:
চতুস্পদ জন্তুরাও আমাদের মতই মলত্যাগ করে থাকে।তাদের পবিত্র হতে দেখিনি কখনো।
আমরা অধিকাংশ মুসলিম আজও মলত্যাগের পর শৌচকার্য করি গন্ধের ভয়ে,কিংবা কাপড়ে লাগার ভয়ে।
কিন্তু প্রস্রাবে তেমন গন্ধও হয়না আবার কাপড়ে লাগলেও সাহেবী হালে অফিসে যাওয়া চলে।
একটু ভাবি,ভাইরাস খালি চোখে দেখা যায়না বলে কি ভাইরাসের অস্তিত্ব নেই?
অবশ্যই আছে,তবে তা দেখতে হলে চোখের চেয়ে উন্নত কিছু দিয়ে দেখতে হবে।
বিজ্ঞানীরা এমন একটা স্মেল সেন্সর আবিস্কার করল যেটা আমাদের নাকের চাইতে দশ গুন ক্ষমতাসম্পন্ন।এবং সেটা প্রত্যেকের হাতঘড়িতে কিংবা মোবাইলফোনে বিল্টইন দেয়া আছে।
ভাবুন একবার সেই স্যুট পরিহিত ভদ্রলোক/অথবা ইহুদিংলিশ পড়ুয়া ছাত্রের কথা-
যাদের ঢিলা-কুলুখে অলসতা।
তখন কি সবাই এটা ব্যবহার না করে পারবে?সবাই নিজের ইজ্জত বাচাতে তখন পকেটে পারফিউম্ড টিস্যু রাখবে।হাসছেন?
একটু থমকে দাড়ান!
সামান্য লোকলজ্জার ভয়ে যদি হিন্দু/মুসলিম দলমত নির্বিশেষে এটা গ্রহন করতে পারে-
তবে আমরা সেই পবিত্র মহাসত্তার সৃষ্টি হয়ে অপবিত্র থেকে কেন কবরের কঠিন শাস্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছি?
আসুন ভাইয়েরা/বোনেরা আমরা মাত্র কয়েকটা মিনিট,কয়েকটি টাকার বিনিময়ে এই কঠিন আযাব থেকে নিজে বাচি,পাশাপাশি অন্যকে জানিয়ে সওয়াবের অংশীদার হই।
নিয়ম:পুরুষদের জন্য:প্রস্রাবের পরে প্রয়োজনমাফিক বিজোড় সংখ্যার টিস্যু।
সর্বোচ্চ সতর্কতার জন্য ৪০ কদম হাটুন(জায়গায় দাড়িয়ে)
মহিলাদের পানিই যথেষ্ট।
মলত্যাগের পর:প্রথমে এক টুকরা দিয়ে সামনে থেকে পেছনে মুছবেন,পরেরটি পেছন থেকে সামনে,পরেরটি সামনে থেকে পেছনে(গরম কালে)
পেছন থেকে সামনে,সামনে থেকে পিছনে,পিছন থেকে সামনে(শীতকালে)
পুরুষ মহিলা উভয়ের জন্য মলত্যাগের পর বাধ্যতামূলক।
হাড্ডি,কয়লা,কাগজ,কাচ,কাচাপাতা,খাদ্য-দ্রব্য,শুকনা গোবর,যমযম কূপের পানি
ইত্যাদি দ্বারা ঢিলা নেওয়া নিষেধ।
ডান হাত ব্যাবহার করা যাবেনা।
ব্যবহৃত ঢিলা পুনরায় ব্যবহার করা যাবেনা।
***আমাকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই।শুকরিয়া আদায় করুন মহান আল্লাহ পাকের যিনি আমাকে লিখিয়ে আপনাকে জানালেন।হয়ত আপনার জন্যই এ লেখা।
তিনি বান্দার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিফহাল।
বিষয়: বিবিধ
১৮৯৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে একটা ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করছি-
রাসূল(সাঃ)কে মাটি দ্বারা ঢিলা নিতে দেখে কোন সাহাবী বলেছিল ইয়া রাসুলুল্লাহ সামনেই তো পানি আছে।তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন,আমি ঐ পানি পর্যন্ত যাওয়ার আগেই যদি মৃত্যু এসে যায়।
পুরুষের মূত্রনালী অনেক দীর্ঘ হয় বিধায় পানি দ্বারা ধুয়ে ফেললে কিছুক্ষন পরে দু এক ফোটা বের হয়ে থাকে যার ফলে সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জিত হয়না।আপনাকে আমি আমারটা মানতে বলছিনা,তবে অবশ্যই কোন হক্কানী আলেমকে আমার পোষ্ট এবং আপনার মত নিয়ে প্রশ্ন করে সঠিকটা জেনে অধমকেও জানাবেন আশাকরি।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তাই প্রচলিত ভাষায় সহজ সুন্নতকে আরও সহজ করে উপস্থাপন করতে চেয়েছি।
****রাসূলে পাক(সাঃ)শুধুমাত্র পানি অথবা মাটি দ্বারা অর্থাৎ একই সময়ে শুধুমাত্র একটি দ্বারা করেছিলেন না বলে করতেন বলেছেন,মানে সবসময় করতেন।
দয়া করে প্রমাণ(কিতাবের নাম)সহ উল্লেখ করবেন আশা করি।
তিরমিযি শরীফের পবিত্রতা অর্জনের উপায় অধ্যায়টা দেখতে পারেন। মাদানী প্রকাশনীর প্রথম খন্ডের ১৫-১৮/১৯নং হাদীস, ইসলামী ফাউন্ডেশনের (হাদিস নাম্বার ভুলে গেছি) পায়খানা-প্রসাব থেকে পবিত্রতা অর্জন অধ্যায় দেখতে পারেন। হাদিসগুলো একাধারে আছে। সর্বশেষে দোয়া করি আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের পথে টিকে থাকার তাওফিক দিক, আমিন।
"মোস্তাফিজুর রহমান"
ভাই যেটা বলেছেন আমিও তাই জানি
আমার জানায় ভুল থাকতে পারে,আপনার জানার উৎসের ঠিকানা জানতে পারলে খুশী হব।
শুধুমাত্র এমন মন্তব্য দেখে অনেক পাঠকই বিভ্রান্তিতে পরে,কি জানি কারটা সত্য।
এজন্য এমন মন্তব্যের সাথে প্রমান আবশ্যক,যাতে লেখক-পাঠক উভয়েই উপকৃত হতে পারে।
(*মাটি এ ক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট)
তরল জিনিস যতটা সহজে বের হয়ে আসে মল ( তুলনামূলকভাবে শক্ত ) সেভাবে বের হয়ে আসতে পারে না । এটা বের হয়ে আসার সময় ভালই অনুভব হয় এবং বেশ শক্ত দুটো স্প্ফিংকটার আছে বলে চেপে ধরে রাখা যায় । মল পাতলা হলে ভিন্ন কথা । এখন মল ত্যাগ করার পর ভালভাবে পানি দিয়ে ধোয়ার সাথে কি টিস্যু ব্যব হার করতে হবে ? তুলনা মূলকভাবে মল অনেক বেশী দূর্গন্ধ যুক্ত হবার ফলে এটাকে টিস্যু দিয়ে না মুছে বরং পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেললেই কি কোন সমস্যা আছে ?
প্রশ্রাবের মুখ সামনে বলে পরিষ্কার হল কি না তা দেখা যায় । কিন্তু পায়ু দেখা যায় না পিছনে বলে । তাই এটাকে পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে চায় সবাই , এটা কি টিস্যু দিয়ে সম্ভব ?
সরাসরি হাত লাগানোর চেয়ে এটি হাজার গুন উত্তম।
করে না থাকলে প্রথম বারেই পার্থক্য ধরতে
পারবেন।
প্রস্রাবের ক্ষেত্রে শুধু ঢিলা যথেষ্ট,তবে পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে সবচেয়ে ভাল।
*আমি নিজে (প্র+পা)দুটোর একসাথের সময়:মলত্যাগের ঢিলা সেরে,প্রস্রাবেও দুইবার টিস্যু দিয়ে মুছি তারপর শৌচকার্য সেরে আরও অতিরিক্ত কয়েকখন্ড টিস্যু(নির্ধারিত কাপড়)দিয়ে মলদ্বারের পানি মুছে নিয়ে একটু টিস্যু প্রস্রাবের রা ধরে তারপর ডান পা দিয়ে বাহির হয়ে গিয়ে মনে যতক্ষণ না বিশ্বাস আসে যে এখন আর বের হবেনা,তখন ফেলে দিয়ে প্রস্রাবের জায়গাটা ধুয়ে ফেলি।
এতে সর্বোচ্চ পবিত্রতা অর্জিত হয় বলে আমার মনে হয়।
এর বাইরে/অন্যভাবে নতুন-সঠিক কোন তথ্য জানা থাকলে অধমকে জানাবেন দয়া করে
মন্তব্য করতে লগইন করুন