তালাক!!!তালাক!!!তালাক!!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন আজিম বিন মামুন ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:০৪:৪৫ রাত
তালাক শব্দটিকেই ইংরেজীতে Divorce বলা হয়ে থাকে।তবে দুনিয়ার আইন ডিভোর্স খুবই সহজ একটা ব্যাপার যেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দুজন কে এটা করতে পারে।কিন্তু ইসলামী শরীয়তে বিষয়টির বিস্তারিত বর্ননা “বেহেশ্তী জেওর”নামক কিতাবে দীর্ঘ ছয় পৃষ্ঠা জুড়ে করা হয়েছে।
তাই সাধারণভাবে বোঝার জন্য সারসংক্ষেপ তুলে দিলাম।আরও জানার আগ্রহ থাকলে উক্ত কিতাবের চতুর্থ খন্ড সংগ্রহ করবেন।
মাসআলা:তালাক দেওয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা স্বামীকে দেওয়া হয়েছে,স্ত্রীর তাতে আদৌ কোন ক্ষমতা নেই।অতএব স্বামী যদি তালাক দেয়,আর স্ত্রী যদি গ্রহন না করে,তবুও তালাক হয়ে যাবে।স্ত্রী নিজের স্বামীকে তালাক দিতে পারেনা।
মাসআলা:স্বামী মুখে বলিল,“আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম”এতটুকু জোরে বলেছে যে নিজে এই শব্দগুলো শুনেছে,এতটুকু বলাতেই তালাক হয়ে যাবে।কারও সামনে বলুক বা একাকী বলুক,স্ত্রী শুনুক বা না শুনুক সর্বাবস্হায় তালাক হয়ে যাবে।
মাসআলা:তালাক তিন ধরনের:১তালাকে বায়েন(মোখাফ্ফাফা)২তালাকে বায়েন(মোগাল্লাযা)৩.তালাকে রজয়ী
***হাদীস শরীফে আছে, “স্ত্রীকে যতক্ষণ পর্যন্ত ফাহেশা কাজে প্রবৃত্ত না পাও ততক্ষন পর্যন্ত তাকে তালাক দিওনা।কেননা,আল্লাহ পাক বিভিন্ন স্হানের স্বাদ গ্রহনকারীকে পছন্দ করেন না,সে পুরুষ ই হোক আর স্ত্রী ই হোক”এ হাদীসের দ্বারা বোঝা যায় যে,যদি স্ত্রী সতিত্ব নষ্ট করতে প্রবৃত্ত হয় বা এধরনের কোন কাজ করে থাকে,তবে তালাক দেওয়া যায়।
বিষয়: বিবিধ
১১০২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটি জীবনঘাতি হাতিয়ার হাতে নিলেই সর্বনাশ!!
তাই অনেক ভেবেচিন্তে, পরামর্শ করে, সকাল বিকল্পপথ রুদ্ধ হয়ে গেলে, তবেই ধীরেসুস্থে সুন্নাত নিয়মমাফিক তালাকের তলোয়ার হাতে নেয়া উচিত
আপনি আমার একটা প্রশ্ন পায়ে মাড়িয়ে এতদুর এসেছেন।
তাই একটু প্যাচালাম
করব কিনা ভাবছি/ভাবব/ভাবব না হয়তো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন