আমরা আসলে কার প্রতিনিধিত্ব করছি?????
লিখেছেন লিখেছেন আজিম বিন মামুন ১১ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৩০:৩৯ রাত
“বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম”
আল্লাহ মহান।বস্তু জগত অবস্তু জগতের একচ্ছত্র অধিপতি
তিনি।তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন,সৃষ্টিকূলের সেরা জীব হিসেবে।দিয়েছেন প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব।দুনিয়াতে আমি আপনি আল্লাহর প্রতিনিধি,অর্থাৎ আল্লাহর দেয়া কাজগুলো আমরা করব।আল্লাহ আমাদের হুকুম করেছেন সরাসরি কুরআনে যা হুজুরে পাক হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর নাযিল হয়,আর হুকুম পালনের পন্থা দেখানোর দায়িত্ব ও তার ওপর বর্তিত হয়।তাহলে আমাদের মূল কাজ হয়ে দাড়াচ্ছে
শুধু নিঃশব্দ অনুসরণ।আমরা করছি ও তাই,তবে অন্য কারো।কাকে অনুসরণ করছি?ইবলিশ শয়তানকে।
কেন মুসলিম হওয়া স্বত্তেও আমরা মার খাচ্ছি,সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও আমরা কেন প্রতি পদে পদে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছি?আমরা আমাদের দায়িত্ব ভুলে গিয়েছি,আল্লাহকে ভুলে গিয়েছি।কিন্তু সেই মহান স্বত্তা আমাদের কখনোই ভুলে যান না,পাপ কাজ করার পরও আপনার আমার নামে মীকাইল(আঃ)এর দায়িত্বে প্রতিটি দানা পৌছান রিজিক হিসেবে,পাপ করার পরও আমাদের গাছে ফল দিচ্ছেন,এক মূহুর্তের জন্য ও বন্ধ করে দেননি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন।আমরা আল্লাহর খুব প্রিয়,এজন্য আমাদের সময় দিয়েছেন তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসার।
ইবলিশের অনুসরনে আদতে কোন লাভ হয়না।
এক যুবক তার স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছেন
দেখেই বোঝা যাচ্ছে অভিজাত নব দম্পতি,পরনে চাকচিক্যময় পোষাক আর ভারী সোনার গহনা পরিহিতা সুন্দরী স্ত্রী কে নিয়ে গাড়ী থেকে নামল যুবক টি,তারপর তারা গল্প করে হাসি আনন্দে সময় কাটাচ্ছিল,হঠাৎ পাচজন যুবক রিভলবার হাতে ওদের ঘিরে দাড়াল।বুঝতেই পারছেন এরা কারা আর কি চায়।
সব গহনা খুলে নিয়ে একজন কিছু বলতেই বাকী চার জনের দুইজন যুবকটিকে আলাদা সরিয়ে নিয়ে গেল টেনে হিচড়ে।আর বাকী তিন জন মেয়েটির সম্ভ্রম কেড়ে নেওয়ার উল্লাসে মাতোয়ারা।মেয়েটির চিৎকারে ছেলেটি ওদের হাত থেকে বাচাতে দা দিয়ে কোপ দেয়,তখনি একজন মারা যায়,বাকীদের সাথেও অনেক ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মেয়েটির স্বামী ওদের হাতে খুন হয়।বিভিন্ন পত্র পত্রিকার শিরোনামে প্রকাশিত হয় খবরটি।
আর পুলিশ নামের জন্তু গূলো ওদের গ্রেপ্তারের চেষ্টায় আত্মনিমগ্ন।বাস শেষ তো একটি জীবন,স্বামী স্ত্রী একসাথে বেড়ানো ইসলাম নিষেধ করেনি,তবে সেটা ইসলাম অনুমোদিত পন্থায় হতে হবে।শুধুমাত্র আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করায় যুবকটিকে নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।এরকম আপনার আমার সাথেও ঘটতে পারে,কোন একদিন।আসুন নিজের অধীনস্থ মা বোনদের পর্দা করাই,নিজের এবং নিজের পরিবারের দুনিয়া-আখিরাতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।আর এসব তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা অবনত শিরে অন্ধ ভাবে রাসূল(সাঃ)এর অনুসরন করব।আল্লাহ পাক আমাদের তৌফিক দান করুন,আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন