শুভ জন্মদিন জেনারেল ওসমানী। জন্মদিনে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

লিখেছেন লিখেছেন সাহেদ কালাম ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৩২:২৬ দুপুর

মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯১৮ সালের আজকের এই দিনে সিলেটের সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে অধিক পরিচিত। তাঁর পিতৃপুরুষের বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার (বর্তমানে ওসমানীনগর থানা) দয়ামীরে। তাঁর পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান, মাতা জোবেদা খাতুন। খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী। ওসমানীর জন্মের প্রাক্কালে ১৯১৮ সালে খান বাহাদুর মফিজুর রহমান তৎকালীন আসামের সুনামগঞ্জ সদর মহকুমায় সাব-ডিভিশনাল অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন৷ তাঁদের বসবাস ছিল সুনামগঞ্জ সদরেই। এখানেই জন্ম হয় ওসমানীর।

পিতার চাকরির সূত্রে তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। তাই কিছুদিন পর বদলির আদেশ নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে চলে যেতে হয় গোহাটিতে৷ আর সেখানেই ওসমানীর প্রাথমিক শিক্ষার শুরু হয়৷ ১৯২৩ সালে “কটনস্ স্কুল অব আসাম”-এ ভর্তি হন তিনি ৷ লেখাপড়ায় যে তিনি খুবই মনোযোগী ছিলেন তার প্রমাণ হলো স্কুলের প্রত্যেক পরীক্ষায় প্রথম হতেন৷ ১৯৩২ সালে ওসমানী সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট হাই স্কুল এ ভর্তি হন ৷ তৎকালীন সময়ে সিলেটের এই স্কুলটি “ক্যালকাটা ইউনিভর্সিটির” অধীনে ছিল৷ ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে৷ সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন৷ এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার এম. এ. জি. ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৩৮ সালে।

বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ওসমানী তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন৷ ১৯৩৯ সালে তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। দেরাদুনে ব্রিটিশ - ভারতীয় মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে। সেসময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিলো। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার হিসেবে তিনি বার্মা (মিয়ানমার) সেক্টরে কাজ করেন। ১৯৪২ সালে মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মেজর। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করেন৷ সে বছর তিনি ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল সার্ভিসের জন্যও মনোনীত হন৷ কিন্তু তিনি সামরিক বাহিনীতেই থেকে যান৷ দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ই অক্টোবর ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এসময় তাঁর পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেলের। ১৯৪৯ সালে তিনি চীফ অফ জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হন। ১৯৫১ সনে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন৷ এর পর তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সাথে পালন করেন৷ পরবর্তীকালে তিনি ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট এর ৯ম ব্যাটেলিয়ানের রাইফেলস কোম্পানির পরিচাল

ক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই.পি.আর.)-এর অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট, সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিসার প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করেন এবং সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের জেনারেল স্টাফ এন্ড মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন৷ 'ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন' হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন সামরিক হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ করতেন তিনি ৷ পাক-ভারত যুদ্ধ যখন শেষ হয় তখন তাঁর বয়স চল্লিশের উপরে৷ ১৯৬৬ সালের মে মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরকালীন ছুটি নেন এবং পরের বছর (১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে '৭০-এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ১১ এপ্রিল (১৯৭১) প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন৷ ঐ ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম. এ. জি. ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন৷ উল্লেখ্য যে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারী ও সরকার গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।

ওসমানী'র নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয়সাধন করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা - প্রভৃতি কাজ সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী। ১২ এপ্রিল থেকে এম. এ. জি. ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷ রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ছিল দক্ষ এবং সংখ্যায় অনেক বেশি৷ এই বিবেচনায় ওসমানীর রণকৌশল ছিল প্রথমে শত্রুকে নিজেদের ছাউনিতে আটকে রাখা এবং তাদেরকে যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যম হতে বিছিন্ন করে রাখা৷ এজন্য এম. এ. জি. ওসমানী মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ পরিচালনা করেন৷ মে মাসের পর তাঁর মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে শত্রুকে ছাউনিতে আটকে রাখা গেলেও ধ্বংস করা সম্ভব নয়৷ এ বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়ে যুদ্ধে কৌশলগত পরিবর্তন আনেন৷ প্রাক্তন ইপিআর এর বাঙালি সদস্য, আনসার, মোজাহেদ, পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে একটি গণবাহিনী বা গেরিলা বাহিনী গঠন করেন।

মুক্তির সংগ্রামে এম, এ. জি. ওসমানীর হাতে কোনো নৌবাহিনী ছিল না। তবে নিয়মিত নৌবাহিনীর কিছু অফিসার এম. এ. জি. ওসমানীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন৷ তাছাড়া ফ্রান্সের জলাভূমিতে থাকা পাকিস্তানের ডুবোজাহাজের কিছু সংখ্যক কর্মীও মুক্তিবাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন৷ কিছুদিন পর এম. এ. জি. ওসমানী তাদের এবং কিছু সংখ্যক গেরিলা যুবক নিয়ে একটি নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠন করেন। আগস্টের মাঝামাঝিতে তাঁরা নদীপথে শত্রুর চলাচল প্রায় রুদ্ধ করে দেন। নৌবাহিনী গঠনের ফলে একটা বড় ধরনের সংকটের অবসান হলেও দেশ স্বাধীন হবার আগে আগে আরও একটা সঙ্কট এম. এ. জি. ওসমানী অনুভব করেন। সেটা হচ্ছে তাঁর হাতে কোনো বিমানবাহিনী ছিল না। শেষের দিকে দুটি হেলিকপ্টার, ও একটি অটার আর তাঁর নিজের চলাচলের জন্য একটি ডাকোটা নিয়ে ছোট্ট একটি বিমানবাহিনী গঠন করেছিলেন তিনি৷

পাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরকি বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানী উপস্থিত না থাকার কারন ছিল আর্মি প্রটোকল।আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের প্রধান লে. জেনারেল নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান।অন্যদিকে ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান।তাই সেনাবাহিনীর প্রটোকল রক্ষার্থে কোন সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানের সাথে তিনি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন না।ওসমানি নিজেই এ বিতর্কের জবাব দিয়ে গেছেন।

তাঁর স্মরণে ঢাকায় গড়ে উঠেছে ‘ওসমানী উদ্যান’ ও স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে ‘ওসমানী মেমোরিয়াল হল’৷ এছাড়া তাঁর সিলেটস্থ বাসভবনকে পরিণত করা হয়েছে জাদুঘরে৷ সরকারি উদ্যোগে সিলেট শহরে তাঁর নামে একটি মেডিকেল কলেজ, বিমান বন্দর, থানা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৷

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন থাকাকালীন ১৯৮৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি এম. এ. জি. ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ

১. বঙ্গবন্ধু হ্ত্যাকাণ্ড ফ্যাক্টস্ এণ্ড ডকুমেন্টস্, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ;

২. সিলেটের দুইশত বছরের আন্দোলন, তাজুল মোহাম্মদ;

৩. সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত, মোহাম্মদ মুমিনুল হক, এবং

৪. ওয়েবসাইটে মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী এর জীবনী।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260360
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন :



একজন বাংলাদেশী হিসেবে, যখনই এই ছবিটি দেখি, তখনই লজ্জায় মাথা নত হয়ে যায়।

কী এমন হয়েছিলো ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১; যে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এ.জি. ওসমানী আত্মসমর্পনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারলেন না? এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সবচেয়ে বড় দাবীদার কী তিনি ছিলেন না? তার হাতেই কি পাকিস্তান বাহীনির আত্মসমর্পন হওয়া উচিত ছিলো না? আর যদি তিনি নাই আসতে পারলেন, ৩টি বিগ্রেডের যে কোন ১ জন বিগ্রেড কমান্ডার, বা ১১টি সেক্টরের যে কোন ১টির সেক্টর কমান্ডার, কেউ কি তার প্রতিনিধি হয়ে আত্মসমর্পনে স্বাক্ষর করতে পারলেন না? কেন জগজিৎ সিং আরোরা? ২৮শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজের জান বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলো এই বাংলাদেশীরাই। অস্ত্রের অপ্রতুলতা, খাদ্য সংকট, আশ্রয় অভাব; অপরদিকে শত্রুপক্ষ বিশ্বের স্বীকৃত শক্তিশালি বাহীনির একটি। তথাপি নিজেদের সাহস আর আল্লাহর সাহায্যে একের পর এক শত্রুপক্ষের শিবির তছনছ করেছে টর্নেডোর মতো। মরেছে-মেরেছে। অপরদিকে ভারত এই যুদ্ধে আসে ৩রা ডিসেম্বর, মাত্র ১২ দিন পূর্বে। তাও আসতো না, যদি না ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতের ১১টি এয়ারবেসে আক্রমন না করতো। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশী নিহত হয়েছে ৩০ লক্ষ; ভারতের নিহত হয়েছে +/-২৫০০। তারপরও আত্মসমর্পন আরোরার কাছে! ভারতের হাতে! বন্দি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীদের নিয়ে গেল ভারত, সাথে নিযে গেল পাকিস্তানের পরিত্যাক্ত অস্ত্র-ট্যাঙ্ক। তাহলে কি এটা স্পষ্ট নয় যে ভারত আমাদের সাহায্য করতে নয়,বরং নিজেদের স্বার্থ আদায়ে এই যুদ্ধে জড়িত হয়েছিলো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ তাদের কাছে ছিলো নিছত "Operation Chengiz Khan"।

এতকিছুর পরও যারা নির্লজ্জ ভাবে ভারতের সর্মথন এবং তাবেদারী করে; তাদের সম্পর্কে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, "তারা কি আসলেই বাংলা মায়ের সন্তান?
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
204487
সাহেদ কালাম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর এবং যৌক্তিক মন্তব্যের জন্য।

এই ছবিটা দেখলে আমারো খারাপ লাগে, যেনো মনে হয় আমরা জয়লাভ করতে জানি কিন্তু জয়মাল্য নিতে জানি না।

.....তবুও তাঁকে নিয়ে একটি গ্রন্থে নিচে কোট করা তথ্যটি আছে-

"পাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরকি বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানী উপস্থিত না থাকার কারন ছিল আর্মি প্রটোকল।আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের প্রধান লে. জেনারেল নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান।অন্যদিকে ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান।তাই সেনাবাহিনীর প্রটোকল রক্ষার্থে কোন সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানের সাথে তিনি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন না।ওসমানি নিজেই এ বিতর্কের জবাব দিয়ে গেছেন।"

সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন ভারত বলে- ৭১'র যুদ্ধ হয়েছে ভারত বনাম পাকিস্থান।

এই তো কিছুদিন পূর্বে আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করে তাদের চলচিত্র নিরমিত হয়েছে।
260362
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
হতভাগা লিখেছেন :


ইনাকে আমরা ওসমানী হিসেবে ধরে নিতে পারি । ওসমানীর মত উনিও টপ রেংকের আর্মি অফিসার । তারও ওসমানীর মত তা দেওয়া গোঁফ আছে ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
204494
সাহেদ কালাম লিখেছেন : :D :D
260374
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ। একটি জাতীর কতটুকু অকৃতজ্ঞ হলে এমন হয়। আজ জেনারেলকে স্বরণ করার কেউ নেই।
শুধু একব্যক্তির কথা। শেখ মুজিব।
তার গোটা পরিবার ছিল ৭১ সালে খুবই নিরাপদ এবং পাকিস্থানী আর্মীর হেফাজতে।
আজ সেই পরিবারের সবার বন্দনা পূজা করার জন্য আইন করা হয়েছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
204478
সাহেদ কালাম লিখেছেন : কী আর করা.... কেউ স্বরণ না করলে আমরাতো আর থেমে থাকতে পারি না। এ ভূমিকা আমাদেরকেই পালন করতে হবে, সঠিক তথ্যের মাধ্যমে সবার কাছে তুলে ধরতে হবে। বিশেষত এই প্রজন্মের সামনে।
260390
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : মাশাল্লাহ বেশ ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর কিছু তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
204476
সাহেদ কালাম লিখেছেন : শুকরিয়া।
260423
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
204475
সাহেদ কালাম লিখেছেন : ভালো লাগলো। আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File