সেদিন তুমি
লিখেছেন লিখেছেন এভারগ্রিন ২৮ জুলাই, ২০১৪, ০৪:২০:৩২ বিকাল
সেদিন ধানমন্ডি গেছিলাম(-_-
না গার্লফ্রেন্ড এর লগে না)
একটা কাজে।কাজ
শেষে বেলা দুইটার দিকে নিউ
মার্কেটের দিকে গেলাম।
ইচ্ছা থাকা সত্তেও সো অনেক
দেরিতে থাকায় অনন্ত দার
মুভিটা দেখলাম না
তারপর tsc তে গিয়ে কিছুক্ষন বসলাম।
আকাশে গুরু গুরু শব্দ হওয়ায় আর
দেরি করতে পারলাম না।
একটা আইসক্রিম খেয়ে হাটা।
বেরিয়ে পড়লাম।
শাহবাগ থেকে বাসে।
গন্তব্য উত্তরা।
নাহ বৃষ্টি উপভোগ
না করে গেলে কেমন হয় না।
নেমে পরলাম ফার্মগেটে।
ততক্ষনে আকাশের কালার ব্লু
থেকে ব্লাক। গ্রিন রোডে ঢুকলাম
কোচিং দেখতে।
হাটতে হাটতে এক
দোকানে দেখলাম দুইটাকার
সিংগারা।ছয়টা নিয়ে ভোজন শুরু।
শুরু প্রবল বৃষ্টি।মুসুলধারে বল্লে কম হয়।
থাকতে না পেরে ঢুকলাম united
কোচিং এ।ভেতরে অনেক লোক
দারিয়ে। বৃষ্টি শেষ হবার নাম গন্ধ
নাই।২০ মিনিট দারিয়ে থাকার পর
বাধ্য হয়ে সিড়িতেঈ বসে পরলাম ।
গুতাচ্ছিলাম ফেবু তার
সাথে সাথে দেখছিলাম united এর
সব পোস্টার।হঠাৎ এক
মেয়েকে(আমার চেয়ে বড়) দেখলাম
কোচিং ঢুকল বৃষ্টির কারনে।informati
on desk এ গিয়ে কি যেন গুজুর বুজুর ফুসুর
ফুসুর করল।হঠাৎ আমার
দিকে এগিয়ে এসে
আপু:আচ্ছা ভাইয়া অমুক কোচিং এর
অফিস টা কোথায়?
আমি:(:o কিছুক্ষনের জন্য স্তম্ভিত
হয়ে গেলাম)উপর তলায়
আপু:থ্যাংকু
আমি: হুম
( স্তম্ভিত হবার যথেস্ট কারন আছে।সব
সময় মুখে না বল্লেও হয়।শুধু বলা যায়
সিক্ত চুল আর কিছুটা নষ্ট
হয়ে যাওয়া কাজল)কিছুক্ষন পর
দেখি নিচ তলায় নেমে এসে আবার
আপু:ভাইয়া পেলাম নাত
আমি:আমি ত জান্তাম এটাই।
সরি তাহলে।।
আপু:না ঠিক আছে।আপ্নি কোন
কোচিং এ?
আমি: udvas (১st year e তিন সাব এ
মারছি ফেল।২nd year এ তুলব
কিনা সন্দেহ আর আমি নাকি udavas
e )
আপু:হুম ইঞ্জিনিয়ারিং রাইট?
আমি:তা যা বলেছেন
(চাপা হাসিতে আমার পেট
ব্যাথা হয়ে গেল।আর এক্টু
হলে হেসে ফেলতাম )
যেহেতু বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল তাই
কিচ্ছুক্ষনের জন্য আড্ডা শুরু হল।
ফিলিং অনন্ত দা।লক্ষ করলাম
তিনিও আমার পাসেই বসছে
আপু:নাম কি আপ্নার
আমি:রাফা(আমার বাপ আমারএই
নাম শুনলে নিশ্চিত
ঝাটাপিটা করত।ও ময়নার
মা আমারে ধর)।আর আপ্নারটা
আপু:ফারিয়া......
আমি:(আহা কি ভুবন
ভোলানো নাম)ভার্সিটি কোচিং এর
জন্য আসছেন?
আপু:হুম।কি যে হবে কে জানে।
রেজাল্ট কেমন udvas এ?
আমি:এইত ১০০ -১৫০ তে থাকি আরকি।
( কোন্দিন সপ্নেও দেখি নাই)
আপু:বাহ তাহলে ত আপ্নার
হয়ে গেছে.....
তারপর এক্টু আরটু পরিচয় আদান প্রদান।
দেখলাম প্রায় আধ
ঘন্টা কেটে গেল।
বৃষ্টি কমলো তারপর লাজলজ্জার
মাথা খেয়ে নাম্বারটা চেয়েই
বস্লাম।সেও আপত্তি করল না।
তারপর উত্তরা।রবি তে ২০০
এমবি ছিল।আর এক এমবিও ইউস
করতে পারলাম না।শুধু ভাব্লাম
'ক্যাম্নে সম্ভব রে ভাই?'(এত কিউট
ক্যাম্নে মানুষ হয় )যাই হোক
পরে অবস্য কল দিয়ে আমি বলছিলাম
যে আপ্নার সাথে কথা বলার লোভ
সাম্লাতে না পারায়
মিথ্যা বলছিলাম।সেত হেসেই
পাগল।সব চেয়ে বেশি হেসেছিল
যখন জানল আমি তার এক ইয়ার
জুনিয়র।।ব্যাপারটা শুনে আমার
মা বলেছিল এটা নাকি সম্ভব না আর
যদি হয়
তাহলে নাকি আমাকে অস্কার
দেয়া দরকার।।।।হাহ.....আর কত দেখব....
বিষয়: বিবিধ
৯৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন