ঘুম..শুধুই ঘুম

লিখেছেন লিখেছেন এভারগ্রিন ২৭ জুলাই, ২০১৪, ১১:১১:২৬ সকাল

উহহ RH স্যার যে কেন এমন বুঝি না।

টিফিন টাইমের রিং কি তার

কানে যায় না।স্যার প্লিজ

ছেরে দেন আর পারছি না।

মনে রাখবেন এত পোলারে কষ্ট

দিচ্ছেন তাই আপনার phd এখন কম্পলিট

হচ্ছে না।বুঝেছেন.......হুহ

এমনি আজাইরা ভাবতে ভাবতে স্যার

যে কখন চলে গেল মনে নেই।বুঝলাম যখন

পাশের দোস্ত বলল "চল

ক্যান্টিনে যাই"।।"হুম চল" এটুকু বলেই

ডেস্ক ছেরে উঠে যাওয়া।

রোদটা আজ এত বেশি কড়া কেন।উহ

গা জলে যাচ্ছে।

-ওই তাড়াতাড়ি নিয়ে চল ত।ভাল

লাগছে না

-নারে দোস্ত আমি আর আজ

ক্যান্টিনে ঢুকব না।এই

নে টাকা যা তুই নিয়ে আয়

যা পারিস...

-আচ্ছা দে...

পুরো এক সপ্তাহ পর কলেজে আসা।তাই

অনেক কিছুই পরিবর্তন আসছে।

যেমনটা আসছে ক্যান্টিনে।।বাহ

আরেঞ্জমেন্ট ভালই করছে।এইবার একটু

মনে হচ্ছে এটা একটা ক্যান্টিন।যাই

পালটে থাকুক না ক্যান প্রিফেক্ট

দের "তাড়াতাড়ি বের হও"

ডায়ালোগটা আর গেল না

ধুর *লের প্রিফেক্ট।

আরে যাচ্ছি যাচ্ছি,থাকার জন্য

আসছি নাকি।বের হয়ে হঠাৎ বিপত্তি।

কাওকে দেখে থেমে যাওয়া আর

কি মনে করে যেন ডাক দেয়া

-এক্সকিউজ মি।

হ্যালো তোমাকে বলছি

-হুম বলেন

-না কিছু মনে না করলে তোমার

নামটা জানতে পারি

-(মুচকি হেসে) যদি না বলি

-আমি যদি জোর করি।না যেতে দেই

-হাহাহা(এতুকু বলেই চলে গেল)

কি হচ্ছে এসব।আজিব ত।কিছুই ত

বুঝতে পারছি না।হঠাৎ দোস্ত

চিল্লাইতে চিল্লাইতে আইসা কইল

-কিরে এভাবে দারিয়ে আছোস

ক্যান

-না মানে।মানে একটা মেয়ে।

কথা বলছিলাম

-কই কথা কইতেছিলি।তখন থেকে ত

দেখছি দারিয়ে আছিস।তাই ত

আসলাম।

-(তার মানে কারো সাথেই

কথা বলছিলাম না।ধুর

মাথাটা গেসে)আচ্ছা চল

-তোর যে কি হয় না।চল

অবাক হলেও সত্যি যে কোন

একটা মেয়ে ছিল।কিন্তু তাকে সম্পুর্ন

দেখার সুযোগ হয় নি।কিন্তু যা বুঝলাম

মেয়েটার একটা দিক আছে।

সে সামনে তার চুল রেখে দেয়।আর এর

জন্যই সেদিন সুযোগ হয় নি।এটা এ জন্য

বলছি কারন তার অই সামনের চুলের জন্য

তাকে পরে তিন দিন ও

দেখতে পারি নি।আজিব...

তারপর।তারপর একমাস চলে গেল।শুরু হল

কথা,চেনা জানা,গল্প,ঝগড়া,

খুনশুটি,অদ্বুত সব নাম এ ডাকা,সময়

পেরিয়ে যাওয়া।একসময় ভাল

লাগা তারপর ভালবাসা।

মানুষ কখনো অন্যের কাছে বা অন্যের

ভালবাসার কাছে হার মানে না।

হেরে যায় নিজের আবেগের

কাছে,নিজের ভালবাসার কাছেও

না।কিন্তু সব কিছি পাওয়া যায় না।

যায় শুধু পাওয়া কিছু দু:খ আর স্বার্থহীন

ভালবাসা।

৭ কি ৮ মাস পর

-হ্যালো কই তুমি..

-ঘুমাইতিসি..এত সকালে কল

দিছো ক্যান

-থাপ্পর মারব।আজ না দেখা করার

কথা।আর তুমি কিনা।তুমি আসলেই

একটা শয়তান

-কি আজ।তাইত।সরি।আমি আসছি।৫

মিনিট।অকে?প্লিজ রাগ করো না।

৫ মিনিট হয়ে গেল ৫০ মিনিট।তাই

রাগের মাত্রা বেরে যাওয়াই

স্বাভাবিক।তবে কারো রাগ

বেরে গেলে ক্ষতি নাই।

-আসছ কতক্ষন?

-(চুপ)

-কথা বলবা না?

-(চুপ)

-অকে তাহলে আমি যাই

-কয়টা থাপ্পর খেতে চাও?

-যত গুলো দিতে পার

-শয়তান একটা...

- lov u

-hate u

-hate u too

-lov u

ক্রিং ক্রিং ক্রিং

-হ্যালো..

-হুম কই তুই

-আমিত একটু পার্কে আসছি

-পার্কে মানে।এত

রাতে পার্কে কি করিস

-রাত মানে কি বলিস এসব।

-ঘরি দেখ।রাত দশটা বাজে

-অহ সরিরে।ঘুমায়ছিলাম।।তাই টের

পাই নি।।

-নিশ্চিত দিবা স্বপ্ন দেখছিলি।

শালা তুইও পারিস।আচ্ছা বাদ

দে আমার অই ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা

কয়েকদিন দিবাস্বপ্ন একটু

বেশি দেখা হচ্ছে মনে হয়।

দেখতে বা দোষ কি।অন্তত

এতে কাওকে কাছেও পাওয়া যায়

আবার রেসলিং অ খেলা যায়।

দিবা স্বপ্নে কিন্তু

কোনো বাধা নাই।মুসলিম হিন্দু

খ্রিষ্টান কোন ভাগ নাই।

তবে বেশি স্বপ্ন দেখা ভাল না।সব

কিছুর একটা শেষ আছে।

তবে শেষ করে দেবার জন্য

অপেক্ষা করতে নেই।কারন অপেক্ষার

শেষ কখনই হয় না।যা হয় শেষ

তা অপেক্ষা না অন্য কিছু হবে।

তবে সম্পর্কের কখনই শেষ হয় না।শুধু

দুজনের চলার

রাস্তা আলাদা হয়ে যায়।হয়ত অনেক

দিন পর মনে পড়বে "ও ঠিক আছে ত।ও

যেন আন্তত ভাল থাকে।কার

সাথে আছে এখন।যার সাথেই থাকুক

ভাল থাকুক।আমিও যে ভাল নেই আর" এই

আরকি।

৫ মার্চ,২০১৪

-তুমি না বলছিলা দেখা করতে।

করবা আজ।৩টার দিকে পারব...

-আজই!!!মাত্র দুই ঘন্টা পর।একটু পর হুএ হয়

না?

-এম্ন করছ যেন এর পর

তুমি চাদে চলে যাবে।হুহ।।না পারব

না।আমি তখনই পারব।

-ওকে

-তাহলে ২.৪৫ এ অমুক রোডে এসো।

আমি থাকব।

-হুম...

২টা ৫০মি.

-তুমি কোথায়?

-আমিত দারিয়ে আসি এখানে।তুমি?

-মেবি আমি তোমাকে দেখছি।

আসছি

-তাহলে আসলে

-হুম বলো

-আচ্ছা যার জন্য ডাকছি।।

-কি হইসে

-নাহ কিছু না

-তাকাচ্ছো না কেন

-না এমনি।আমি যাই

-কোন কাজ আছে

-না নেই।আমি ৫ মি. চেয়েছিলাম ত

তাই।

-অকে বাই

-বাই

সব কিছু মেয়েদের দেখাতে নেই।

তারা নাকি আগেই বুঝে যায়।

যেমনটা চোখের পানি।তাই শুধু

অভিনয় করে যাওয়াই ভাল।বাস্তব

অভিনয়টা একটু কষ্টের।তার থেকেও

বেশি কষ্টের বাস্তব মেনে নেয়া।

নিজের পরিচয় টা মেনে নেয়া।

যেখানেই থাকুক।ভাল থাকুক।ভাল

থাকুক তার প্রিয় মানুষটির সাথে।

প্রিয় মানুষ টা হয়ত

তাকে কষ্টে রাখবে না।সব শেষ হয়

না।হয় শেষ অন্য কিছু।তা সম্পর্ক

হতে পারে না।সব শেষের পর একটু ঘুম

দরকার।

শেষ ঘুম

একটু ঘুম

শুধুই ঘুম.....

বিষয়: বিবিধ

১০৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File