রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর জীবনই দ্বীন ইসলামের বাস্তব নমুনা

লিখেছেন লিখেছেন আবু সাঈদ ১২ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৩৮:৫২ বিকাল

দ্বীন ইসলাম কতটা ব্যাপক তা শেষ নবী (সঃ) এর বাস্তব জীবন থেকেই পরিষ্কার বুঝা যায়। তিনি আল্লার রাসূল হিসেবেই সব কাজ করতেন। মসজিদে ইমামতি করার সময় তিনি যেমন রাসূল ছিলেন, মদীনার রাষ্ট্র পরিচালনার যাবতীয় কাজ করার সময়ও তিনি রাসূলই ছিলেন। যুদ্ধের ময়দানেও তিনি রাসূল ছিলেন। অর্থাৎ তিনি যত কাজকরেছেন ও যত কথা বলেছেন তা রাসূল হিসেবেই করেছেন ও কলেছেন। ধর্মীয় বিষয়ে যেমন তিনি রাসূল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধনীতি ইত্যাদি বিষয়েও রাসূল হিসেবেই সবকিছু করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর গোটা জীবনটাই ইসলামী জীবন যতাটা ব্যাপক দ্বীন ইসলামও ততটা ব্যাপক। রাসূলকে সব অবস্থায় পূর্ণরূপে মেনে চলাই মুসলিম জীবনের কর্তব্য। শুধু ধর্মীয় বিষয়ে রাসূলকে মেনে চললেই ইসলামী জীবন গড়ে উঠে না।

মুসলিম হবার দাবীদার হয়েও যারা শুধু ধর্মীয় বিষয়ে রাসূলকে আদর্শ নেতা মেনে চলে কিন্তু রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ব্যাপারে রাসূলের বিপরীত নীতি ও চরিত্রের লোকদেরকে নেতা মানে, তারা কালেমার বিপরীত কাজই করে। শুধু তাই নয় এ জাতীয় লোকেরা আল্লাহকে জীবনের সবক্ষেত্রে মনিব মানতেই রাজী নয় এবং রাসূল (সঃ) কে সব বিষয়ে নেতা মানতেও তৈরী নয়।

কতক লোক “ইসলামকে রাজনৈতিক ময়দানে টেনে আনার” বিরুদ্ধে কথা বলে। তারা ইসলামকে অন্যান্য ধর্মের মতো কতক অচার অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্মই মনে করে। তারা আল্লাহ ও রাসূল (সঃ) এর উপর “১৪৪ ধারা” জারী করতে চায় যাতে মসজিদের বাইরে আল্লাহ ও রাসূলকে মানতে না হয়। প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামকেই মানতে রাজী নয়, যদিও তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু ধর্ম কর্মও করে থাকে। হয়তো ইসলামের ব্যাপকতা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। এ জাতীয় লোকদেরকে “ধর্মনিরপেক্ষ” বলা হয়।

খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে, পাকা দ্বীনদার হিসেবে সমাজে পরিচিত এক শ্রেণীর লোকও ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের মতো কথা বলে। তারা নামায, রোয, হজ্জ, যাকাত, তাসবীহ, তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের আনুগত্য করছেন। কিন্তুআইন-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, দেশ শাসন ইত্যাদি ব্যাপারেও আল্লার কুরআন ও রাসূল (সঃ) এর সুন্নাতকে মানান চেষ্টা করা প্রয়োজন বলে তারা মনেই করেন না। কারণ তারাও দ্বীনের ব্যাপকতা সম্পর্কে সজাগ নন। সে হিসেব তাদেরকেও ধর্মনিরপেক্ষ বলা চলে। কারণ তারাও ইসলামকে ধর্মীয় গ-ীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষপাতি।

এসব ধার্মিক লোক ইসলমকে রাজনীতি বর্জিত ধর্ম মনে করে। তাঁদের নিকট রাসূল (সঃ) পরিপূর্ণ অদর্শ মানব হলে তাঁরা কিছুতেই এমন ভুল করতে পারতেন না। নির্বাচনে তো কোন পক্ষকে সমর্থন করতেই হয় এছড়াও বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে কোন না কোন মতামত গ্রহণ করা ছাড়া উপায় থাকে না। যারা ধার্মিক হয়েও রাজনীতির ময়দানে ইসলামের পক্ষে কাজ করেন না তাদের পক্ষে নির্বচনে এবং জাতীয় ইস্যূতে অধার্মিক রাজিৈতক দলের খপ্পরে পড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, একদল “ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে” বিশ্বাসী আর অন্যদল “রাজনীতি নিরপেক্ষ ধর্মে” বিশ্বাসী। রাসূল (সঃ) এর আনীত দ্বীন- ইসলামের উভয় দলই ভুল পথে আছেন।

বিষয়: রাজনীতি

১০৭৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

283614
১২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। আপনার অসাধারণ লিখাটি পড়ে অন্নেক ভালো লাগলো। জাজাকাল্লাহু খাইর।
১২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
226780
আবু সাঈদ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস সালাম। ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ।জাজাকাল্লাহু খাইর।
283629
১২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
আল সাঈদ লিখেছেন : সহমত। সুন্দর উপস্থাপন। ভালো লাগলোজাজাকাল্লাহু খাইর
১৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০১
228267
আবু সাঈদ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খইর
283638
১২ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
মামুন লিখেছেন : লিখাটি পড়লাম। ভালো লেগেছে। ভালো লাগা রেখে গেলাম। ধন্যবাদ। Rose Rose Rose
১৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৮
228264
আবু সাঈদ লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ
283692
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৩
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : সুন্দর একটি পোষ্ট এর জন্য, সুন্দর একটা ধন্যবাদ।
১৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৯
228265
আবু সাঈদ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File