বাড়ছে রেমিটেন্স, বাড়ছে পরকীয়া
লিখেছেন লিখেছেন সুভাঙ্গিকার ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ১০:২৪:০৪ রাত
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের হালচাল অনেক কিছুই পালটেছে। বেড়েছে জীবন যাত্রার মান, অর্থনীতিতে এসেছে গতী, আয় রোজগারের পথও বেড়েছে অনেক। জীবন সংস্কৃতির গতী ধারাও থেমে নেই, গ্লোবাল ভিলেজের আশীর্বাদে অনেক কিছুই আমরা অর্জন করেছি। তা যেমন আমাদেরকে করেছে সমৃদ্ধ, নিজেদের অনেক কিছুই আজ হারাতে বসেছি এটাও সত্য। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আজ এই ছোট্ট দেশটির অভাগা মানুষ গুলোর উন্নতি হয়েছে বটেই, পদস্থলনও কম না!
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি আজ বৈদেশিক আয়। পোশাক শিল্পের পর প্রবাসী বাঙ্গালিদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিটেন্সই এর দ্বিতীয় উৎস্য। ১৯৭৬ সাল থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য প্রবাসে যাতায়াত শুরু হয় বাঙ্গালিদের। আজ অবধি বিশ্বের ১৫৭ টি দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকরা কাজ করছে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৪২৯ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে এই সেক্টরে। নারীরাও আজ পিছিয়ে নেই। ২০০৯ – ১৩ সালের হিসাব মতে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৬২ জন নারী আজ এ কর্মক্ষেত্রে। উক্ত সমায়ে মোট রেমিটেন্স আসে ৫৮৩৮৪.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী চলতি অর্থ বছরের প্রথম আট মাসেই ( ফেব্রুয়ারি- জুলাই) ৮৪২ কোটি ৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয় বাংলাদেশ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর তথ্য মতে চল্লিশ বছরের তুলনায় বর্তমান মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে নয় গুন। এক্ষেত্রে প্রবাসী ভাইদের অবদান কম নয়। অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে তারাই। আমাদের নিশ্চয় মনে রাখতে হবে যে, অভ্যন্তরীণ কর্মক্ষেত্রের অভাবে যাপিত প্রবাস জীবন মোটেই সুখকর নয়। অনেক দুঃখ কষ্ট আর ঘাম ঝরান পয়সা এগুলো। আমরা এসব নিয়েই বড়াই করি অথচ তাদের কল্যাণে কিছুই করতে পারিনি।
যাইহোক এত কষ্টের পরেও অনেকি বহুত টাকা-পয়সা কামিয়েছেন। গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন। পরিবার আত্মীয় সজন নিয়ে বেশ ভালোই কাটছেন। দেশে থাকলে হয়তো অনেকেরই সেটা সম্ভব হতো না! তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আজ সেখানে অনেকেরই টাকার নেশা এতোটাই পেয়ে বসেছে যে, দেশ সমাজ আত্মীয় পরিজন এমনকি গড়ে তোলা ছোট্ট সংসারটিও ভুলে গেছেন! ভুলে গেছেন তার পরম আত্মার বন্ধন সুশ্রী বৌয়ের মুখচ্ছবিও! আর তাই এতদিনে এদিকে ঘটে গেছে সারে সর্বনাশ! অপেক্ষার প্রহর গুনা মানুষ গুলকে মানাতে পারেনি আর কোন বাধা! এতদিনে তারা হয়ত হয়ে গেছে অন্যের অথবা নামে আপনার থাকলেও যে সম্পদে আর কারো হাত পরা তো দূরে থাক সামান্য কু দৃষ্টিও যখন ক্ষেপীয়ে তোলে, অথচ সে মহা মূল্যবান সম্পদ নিয়ে আজ বহুজনে খেলা করে! তাও আবার আপনার প্রিয়তমার সদিচ্ছাই!
অবাক হওয়ার কিছুই নেই। যে বাঙ্গালি নারী গুলো সামান্যেই তুষ্ট, তারা তো ঘর বেধেছিল একটুখানি আদর সোহাগ ভালোবাসার মধ্যদিয়ে বেচে থাকতে। আর বাঙালি পুরুষ গুলো আজ সে ভালোবাসার মর্যাদা এতোটাই দেওয়া শুরু করেছে যে, টাকাকেই তার একমাত্র মাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে। ফলে সমাজে যা হবার ঠিক তাই হচ্ছে।
পরকীয়া মারাত্মক একটি সামাজিক সমস্যা। যা পরিবার ও সমাজ ছিন্নভিন্ন করে দেয়। সমাজকে নৈতিক অধঃপতনের দিকে ঠেলে দেয়। সামাজিক শৃঙ্খলা বলতে আর কিছুই তখন বাকী থাকে না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যা মহা পাপ! এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এটা বড় ধরনের জৈবিক ব্যাধি। অথচ সমাজে তা আজ মহামারীর আকার ধারন করেছে। “ভিক্টোরিয়া মিলান” নামের একটি ডেটিং ওয়েবসাইট কতৃক বিবাহিত নারীদের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে ৮৬ শতাংশ নারীই আজ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। এখানে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা না করলেও “বেইস সার্ভে” নামক একটি সংস্থার গবেষণায় বলে, বাংলাদেশের প্রতি দশজন পুরুষের একজন পরকীয়ায় আসক্ত। আর পুরুষরা কোন না কোন নারীর সাথেই তা করছে! এ ক্ষেত্রে প্রবাসীর বধূরাই যে বেশী আসক্ত তার কিছু খণ্ড চিত্র দেখলেই বোঝা যাবে। যা সাম্প্রতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত।
কেস স্টাডিঃ ০১-
বরিশালের আগইলঝরা গ্রামের ছেলে রফিকুল। ভালবেসেই বিয়ে করে পাশের গ্রামের স্কুল পড়ুয়া সারমিন কে। ছোট পরিবার হলেও ভবিষ্যতে আরও একটু বেশী সুখের আশায় বিয়ের আট মাসের মাথায় পাড়ি জমাতে হয় কুয়েত। এরই মধ্যে কেটে যায় ৬ টি বছর। অপেক্ষা আর সারমিনের ভালো লাগেনি। সৌর বিদ্যুতে চাকরী সূত্রে এলাকায় ঘোরা ফেরা যশোরের ছেলে সোহাগের। পরিচয় প্রেম অতঃপর পালিয়ে বিয়ে! রেখে যায়নি রফিকের জমানো টাকা বা স্বর্ণালঙ্কারও!
কেস স্টাডিঃ ০২-
ময়মেন্সাহির মুক্তাগাছার পুরুষ জিয়াউল হক। শিল্পা নামের মেয়েটি তার বিবাহিত স্ত্রী। সাত বছরের বৈবাহিক জিবনে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানও আছে তাদের। বিয়ের দুই বছরের মাথায় দুবাই চলে যেতে হয়েছে তাকে। পাঁচ বছর পেড়িয়ে গেলো। বউ আর সন্তানের ভালবাসায় বেশ টাকা পয়সাও পাঠিয়েছে এরই মধ্যে। কিন্তু এদিকে বিধি বাম! স্বামীর কাছে থাকার দুই বছরের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত গুলো এই পাঁচ বছরের একাকীত্ব জীবনে এনেছে বিস্বাদ। তাই হাহাকার হৃদয়ের প্রশান্তি খুঁজে পেতে পাশের গ্রামের চার সন্তানের জনক আনোয়ার উল্লাকেই বেচে নিয়েছে সে!
কেস স্টাডিঃ ০৩-
গাংনি উপজেলার খমরপুর গ্রামের আন্টুর সাথে বিয়ে হয় পাঁশে গ্রামের আকলিমার। ১২ বছরের বৈবাহিক জীবনে তিন তিনটে সন্তান। বড় ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র। মালয়েশিয়া প্রবাসী আন্টু ৫ বছর থেকে দেশের বাহিরে। তিনটে সন্তানের মা হবার পরেও এই পাঁচ বছরে যেন নতুন যৌবন উঁকি দেয়! খায়েশ মিটাতে তাই গাঁট ছাড়া বাঁধে বাজারের দর্জি সবুর আলীর সাথে!
পরকিয়াকে সমাজ বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করেন অনাচার ও সমাজ বিরোধী কাজ হিসাবে। মনো বিজ্ঞানীরা বলেন এটা ব্যক্তির সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম। এ নেশা মানেনা কোন সামাজিক বা ধর্মীয় শৃঙ্খল। ভুলে যায় পেছনে ফেলে আশা মাবাবা আত্মীয় সজন এমনকি নাড়ি ছেড়া কষ্টের ধন সন্তানটিকেও! লজ্জা শরম খুইয়ে বয়সের তার তমও এদের বিবেকে বাঁধে না। এরা শুধুই কেবল সাময়িক আনন্দ ফুর্তিকেই প্রাধান্য দেয়! তাইতো নব বঁধু কিশোরীটিও পরকীয়ায় মেতে উঠেন তিন চার সন্তানের জনকের সাথে! আবার তিন চার সন্তানের জননীও খেলা করেন কলেজের যুবক, দেবর, ভাতিজা, ভাগিনা এমনকি নাতির সাথেও। প্রবাসীর এসব স্ত্রীরা নিজেদের মনরঞ্জনের জন্য যে কোন শ্রেণী পেশার মানুষকে বশ করতে দ্বিধা বোধ করেনা। সাধারন দিন মজুর কিষান শ্রমিক থেকে শুরু করে উচ্চ পদস্ত মানুষদের সাথে এদের সম্পর্ক! মসজিদের ইমাম টিকেও এরা বাদ দেয়নি! একটু পরিষ্কার করতে আরও দুই একটি শিরোনাম উল্লেখ না করেই পাচ্ছি না-
কেস স্টাডিঃ ০৪-
চট্ট্রগ্রামের কর্ণফুলী থানাতে আটক করা হয় সৌদি প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী এবং তার পরকীয়া প্রেমিক স্বামীর আপন বড় বনের ছেলে ( মামি- ভাগিনা) আরমানকে!
কেস স্টাডিঃ ০৫-
বগুরার গাবতলিতে সৌদি প্রবাসী তাজুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী বিলকিস নাতী (দাদি- নাতী) সম্পর্কিত মুস্তার সাথে পরকীয়ার টানে উধাও!
কেস স্টাডিঃ ০৬-
চাদপুরের প্রবাসী জাকির হসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী আকলিমা পরকীয়ায় মেতেছেন আপন ভাশুরের ছেলে ( চাচি-ভাতিজা) আনিসের সাথে!
কেস স্টাডিঃ ০৭-
ছাতকে মাওলানা ইব্রাহিমকে পরকীয়ায় জরালেন প্রবাসী ছড়াব আলীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী হেলেনা বেগম! মসজিদের পাঁশে বাসা হওআয় মাঝেমধ্যেই দাওয়াত খাওয়ানোর নাম করে পরকীয়ায় বশ করে ফেলেন সরল মনা হুজুর কে!
প্রবাসীর এসব সুন্দরী বৌয়েরা নিজেদের আনন্দ ফুর্তির পাশাপাশি কখনো সখনো বাড়তি ইনকামের পথও খুলে বসেছে অনেকি! সাম্প্রতিক একটি নিউজ পোর্টালের অনুসন্ধানী রিপোর্টে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার ৪৯ টি থানার পনে একশত স্পটে চার শতাধিক হোটেল এবং দুই সহস্রাধিক ফ্লাট বাড়িতে অবৈধ দেহ ব্যবসা চলছে। আরেকটি রিপোর্ট উল্লেখ করে এর মধ্যে অনেকি প্রবাসিদের সুন্দরী স্ত্রী! এরা বেদেসি স্বামীর টাকায় সন্তানাদির পড়ালেখার জন্য রাজধানীর অভিজাত ফ্লাট বাড়িতে থাকে। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়ার ফাকে অথবা রাতের আঁধারেও মধ্যস্ততা কারীদের মাধ্যমে খদ্দের কে নিজের রুমে দেকে নিয়ে ফুর্তি এবং টাকা ইনকাম দুটোই করে!
খোজ নিয়ে জানা যায় দেশের দক্ষিন পূর্ব অঞ্চলে এ সমস্যা খুব ব্যাপক! ওসব অঞ্চলের সাধারন মানুষদের এ নিয়ে কথা বললে বেরিয়ে আসে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য! নোয়াখালী অঞ্চলের এক মার্কেটিং সার্ভিস হোল্ডারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভাই কি আর বলব! কর্মের তাগিদে এ অঞ্চলের অনেক জায়গায় ঘুরা ফেরা করি। এ অঞ্চলটি পুরুষ শূন্যই বলা যেতে পারে। প্রতি ঘরেই বিদেসি। গ্রামে যে দুই চারজন আছে তারাই সবার হোয়ে ডিউটি পালন কড়ছে (প্রবাসীর স্ত্রীদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভাগিদার তারা)। তিনি নিজেও নাকি এ রকম বেশ কয়েকটি অফার পেয়েছেন কিন্তু গ্রহন করেন নি।
কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষদের সাথে কথা বলেও পাওয়া যায় এমন তথ্য। খেটে খাওয়া মজুর শ্রেণীর কিছু মানুষ বলেন- আমরা ছাড়া মধ্যবিত্ত বা ধনিক শ্রেণীর অধিক সংখ্যক পুরুষই দেশ ছাড়া। তাদের সুন্দর স্ত্রীরা দেশেই থাকে। আর তাই তাদের এমন দুর্দশার সমায় গুলো আমাদেরি সামলাতে হয়। আমরা গ্রামে না থাকলে কত জনের স্ত্রীই যে অন্য জেলায় ভাগিয়ে যেত তার ঠিক নেই!
প্রিয় পাঠক শুধু তাই নয়, অনেক সময় একাকিত্বের এসব সুন্দরী বৌয়েরা টাকা পয়সা দিয়ে হলেও নিজের চাহিদা পূরণে কার্পণ্য করেন না! রাজধানী সুপার মার্কেটের এমনি এক যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়। দিনের বেলা দোকানের সেলম্যান আর মাঝে মধ্যেই রাতের ডিউটি নাকি থাকে কোন এক আন্টির বাসায়! বিনিময়ে ছেলেটিকে মাস শেষে দেওয়া হয় মোটা অঙ্কের বকশিস! যা কোন অংশেই দোকানের সেলম্যানি বেতনের চেয়ে কম নয়! আর এ ছাড়াও মাঝে মধ্যে এদিক সেদিক ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, শপিং করতে নেওয়ার সময় তো এক্সট্রা আছেই!
মিডিয়ায় প্রকাশিত এরকম হাজারো উদাহরণ আমাদের সামনে আজ উদ্ভাসিত। আরালে আবঢালে আরও কত শত খবর যে ঘটে চলছে তা কেবল আল্লাই ভালো জানে। খোজ নিয়ে জানা যায়, এমনও অনেক স্বামী আছে যারা বিয়ের দুই এক মাস পরেই নব বঁধুকে রেখে চলে গেছে। এমন কি বিয়ের পরের দীনই অনেকেরই নাকি ফ্লাইট! দুই চার দশ বছরেও যাদের খোজ থাকে না! মাঝে মধ্যে দুই চার সপ্তাহের জন্য আসলেও বারো চোদ্দ বছরের শিশুটিও এখন পর্যন্ত ঠিক করে চিনে উঠতে পারেনি তার বাবা কে!
উপরে উল্লেখিত দীর্ঘ আলোচনার সারসংক্ষেপে পুরুষরা এর জন্য কম দায়ি নয়। রেমিটেন্স আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ গুলোর জন্য খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজন যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। প্রবাসী ভাইদের কোন ক্ষেত্রেই আমরা নিরুৎসাহিত করতে পারিনা বরং অনেক বেশী উৎসাহ দেব নিশ্চয়। তবে এটা একেবারেই ভুলে গেলে চলবে না যে, আপনি এখানে রেখে গেছেন মাবাবা ভাই বনের পাশাপাশি পরমা স্ত্রী এবং টুকটুকে সন্তানটিও! স্ত্রী হিসাবে সে শুধু আপনার কাছে অনেক বেশী অর্থই চায় না, চায় একটু খানি আদর সোহাগ। স্নেহধন্য সন্তানটিও চায় আপনার আদর মাখা যত্ন।
চিকিৎসা এবং মনো বিজ্ঞানীদের ভাষায় বাবামায়ের সঠিক পরিচর্যা ছাড়া শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ হয় না। এ দিকে নারীকে বছরের পর বছর একা ফেলে রাখা কোন ভাবেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেবে না। ধর্মও এমন নিঃসঙ্গ জীবন যাপনে বাধ্য করা পুরুষদের সমালোচনা করে। হযরত ওমার ফারুক রাঃ তাই আর্মিদের বছরে টানা তিন মাসের ছুটি দিয়ে দিতেন পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য। আমাদের আর্মিদেরও এ সুন্দর নিয়ম টি এখনো চালু আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান আরও বলে, নারীর কিছু এমন মুহূর্ত আছে যে সময় গুলতে স্বামীর সান্নিধ্য পাওয়া একজন স্ত্রীর অনেক বেশী চাওয়া পাওয়ার থাকে। অথচ পরবাসী স্বামী ঢেঁড় বেখবর! ফলে বাড়ছে পরকীয়া। ভেঙ্গে যাচ্ছে অনেক মধুর সংসার। বেড়ে চলেছে এ কেন্দ্রিক খুন খারাবির ঘটনাও। ঘরের সন্তান গুলোও হচ্ছে উশৃংখল এবং এমন নেশায় আসক্ত!
অর্থ মানব জীবনে যেমন খুব দরকার। তার চেয়েও আজ বেশী দরকার, পরিবার নামক সমাজের এই ছোট উইনিট টিকে আরও বেশী যত্নের সাথে টিকে রাখা।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্লিজ বন্ধু বেশি কিছু আপনার কিছে চাইবনা শুধু চাইব একটু দুআ!!
আমার মায়ের জন্য একটু আল্লাহ্'র কাছে দুআ করুন ।
স্বামীর টাকার যথেচ্ছ এবং বেহিসেবী খরচ করতে স্ত্রীদের জুড়ি নেই । তবে নিজের টাকায় তারা কখনও এরকম করবে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন