সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদীঃমুর্খদের অপবাদ ও কিছু প্রশ্ন!!!

লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার সাদমান ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:১৪:২২ রাত

কোনোপ্রকার বাজে মন্তব্য করে নিজের জন্ম ও বংশপরিচয় তুলে না ধরার অনুরোধ রইলো...... Happy

আল্লামা মওদুদীর বক্তব্য : "এটি একটি সূক্ষ রহস্য যে মহান আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করে প্রত্যেক নবী থেকে কোন না কোন সময় তাঁর হেফাজত উঠিয়ে নিয়ে দু'একটি ভুল ত্রুটি হতে দিয়েছেন, যাতে মানুষ নবীদেরকে খোদা না বুঝে। (তাফহীমাত ২/৪৩)

মাওলানা আশরাফ আলী থানবীর বক্তব্য : "কোন কোন সময় নবীদের থেকে ভুল ত্রুটি হওয়ার যে ঘটনাসমূহ কুরআনে উল্লেখিত হয়েছে এগুলো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর হেকমত ও রহমত। এর মধ্য এক বড় ফায়দা এও যে মানুষের মনে যেন নবীদের খোদা হওয়ার সন্দেহ না হয়।"

(মাজালিসে হাকীমুল উম্মাতঃ মুফতী শফী, ৬৫ পৃষ্ঠা)

প্রিয় পাঠক ! আল্লামা মওদুদী আর মাওলানা থানবীর বক্তব্যের মাঝে কী অমিল পাওয়া গেছে ? না। তবুও এই কারণে আল্লামা মওদুদী কাফের। কিন্তু মাওলানা থানবী কাফের নন।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা সুলাইমান নদভীর বক্তব্য : "মানুষ হিসেবে তাদের থেকেও ভুল ত্রুটি হতে পারে । কিন্তু আল্লাহ তাঁর ওহীর দ্বারা এসমস্ত ভুল ত্রুটিরও সংশোধন করে থাকেন।"

(সিরাতুন্নবী ৪/৭০)

আল্লামা নদভীকে কিন্তু এই কথা বলার কারণে কেউ কাফের বা ভ্রান্ত বলে না। কিন্তু মওদুদী বললে !!!

ফারায়েয শাস্ত্রের ইমাম ফখরুদ্দীন রাযীর বক্তব্য : "আম্বিয়া কিরাম নবুওত প্রাপ্তির পর থেকে ইচ্ছাকৃত কবীরা ও সগীরা গুনাহ থেকে পবিত্র। কিন্তু ভুলবশতঃ কবীরা ও সগীরা গুনাহ হতে পারে।"

(ইছমতে আম্বিয়া,২৮পৃষ্ঠা)

"আদম (আঃ) অবাধ্য হয়ে ছিলেন। আর অবাধ্য হওয়াকে আমরা কবীরা গুনাহ মনে করি।" (ইছমতে আম্বিয়া,৩৬পৃষ্ঠা)

এই কথাটি মওদুদী বললে কেমন হত ? আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা : "ভুলবশতঃ কবীরা গুনাহ হওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ আলেমদের মত হলো তা জায়েয ও সম্ভব। এমনকি জমহুর উলামার মতে নবীদের থেকে ছগীরা গুনাহ ইচ্ছাকৃতও হতে পারে।"

(কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসায় পাঠ্য আকীদার কিতাব শরহে আকাঈদে নসফীঃ ইছমতে আম্বিয়া)

পাঠক ! চিন্তা করুন, মওদূদী বলেছেন ভুল হতে পারে। তাতেই তাঁকে ভ্রান্ত, কাফির ইত্যাদি বলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একশ্রেণীর কাওমী মূর্খ ও মিথ্যাবাদী আলেম অপবাদ দেয় তিনি নাকি নবীদেরকে নিস্পাপ মনে করেন নি ! তাদের দলিল : উপরোল্লেখিত মওদূদীর বক্তব্য। অথচ যেসকল ইমামরা গুনাহ হতে পারে বলেছেন তাদেরকে কিছু বলা হয়না। এবার কী বুঝতে পেরেছেন এই বিষয় বিতর্কের কারণ ও সত্য ?

মাওলানা হোসাইন আহমাদ মাদানী' মাওলানা মওদূদীর এই বক্তব্যের জন্য বলেছেন "এবার বলুন জামায়াতে ইসলামী ও এর প্রতিষ্ঠাতা মুসলমান কিনা ?" (মওদুদী দস্তর)

এ থেকে বুঝা যায় মওদূদীর জ্ঞানের পরিধি হোসাইন আহমদ মাদানীর চেয়ে কত বেশী ছিল !

জামায়াত ইসলামী তার একমাত্র অপরাধ ? নাকি প্রাণের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনকে পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণ করার প্রচেষ্টাই তার ভূল ? নাকি শুধু বিরোধীতা করার জন্য খন্ডিত বক্তব্য প্রচার করে বিতর্ক সৃষ্টি করা !!!

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।

(সংগৃহীত)

বিষয়: বিবিধ

২৬৯৭ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

252650
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২২
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আমার জানা মতে, মাওলানা মাওদুদী সাহেবের এই কথার চেয়ে সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) বিশেষত: হযরত আমীর মুআবিয়া (রাযি.) ও হযরত আমর ইবনুল আস (রাযি.) সম্পর্কে তার মন্তব্যের কারণেই আলেমগণ বিরোধীতা করেছেন।
জাযাকাল্লাহ খইর
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
196757
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হ্যা, কারণ উমাইয়া গোত্র – যেসব আলেমরা তার চরম বিরোধিতা করেছে – তাদের অন্যতম একজন-তো তার নামের পাশে উসমানী লাগাইয়া-ই রাখছেন। তাই উসমানীয় গোত্রের মুয়াবিয়া(রাঃ) নিয়া কেউ কিছু বললে বুঝুক আর না বুঝুক – তারা ঝাপিয়ে পড়ে।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:১২
196775
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ভাইজান, এটা যেমন ঠিক জঙ্গে সিফফিনের ফলাফল স্বরূপ মুসলিম সমাজের বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয় তাহলে কি আমীর মুআবিয়া (রাযি.)-এর দাবীটা অযেীক্তিক ছিলো? তিনি কিন্তু আলী (রাযি.) হতে পূর্বেই ওয়াদা করিয়ে নিয়েছিলেন যে আলী (রাযি.) খিলাফতে অধিষ্ঠিত হওয়া মাত্রই উসমান(রাযি.)-এর হত্যাকারীদের বিচার করবেন। কিন্তু আপাতত খিলাফতের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তিনি এই বিচারকে একটু বিলম্বিত করতে চাইলেন। এতেই উভয় পক্ষের মধ্যে মতভিন্নতা অতঃপর যুদ্ধের সূচনা। এতদ্বসংক্রান্ত বিবরণ প্রায় সবগুলো তারিখের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে।
এ থেকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করলে একজন স্বাভাবিক ভাবেই বুঝতে সক্ষম হবেন, এক্ষেত্রে উভয়ের চিন্তা ও সিদ্ধান্তই সঠিক ছিলো, তাস্বত্ত্বেও সিদ্ধান্তগত দূরত্বের ফলেই এই দ্বন্দের উদ্ভাব।

অপরদিকে, আমরা যদি হাদীসের দিকে তাকাই, সেখানে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-থেকে আমীর মুআবিয়া (রাযি.) সম্পর্কে প্রশংসা মূলক বাণী দেখতে পাবো। যদিও জঙ্গে সিফফিন সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)নিজেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, কিন্তু তিনি একবার মুআবিয়া (রাযি.) সম্পর্কে কোন কঠিন মন্তব্য করেননি। উদাহরন স্বরূপ-
“হে আল্লাহ! তাকে পথপ্রদর্শক ও পথপ্রাপ্ত করে দাও এবং তার মাধ্যমে মানুষকে হিদায়াত দান করো।” (জাওয়ামিউস সাহীহ, খ:২, পৃ: ২৪৭)

এমনকি তাঁর নিকট খিলাফতের দায়িত্ব অর্পিত হওয়াও রাসূল (সাঃ)-এরই ভবিষ্যৎবাণী ছিলো। একবার হযরত মুআবিয়া (রাযি.) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর জন্য অযুর পানি নিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- ওযু সমাপন্তে তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ”মুআবিয়া! তোমার হাতে যদি শাসনক্ষমতা অর্পিত হয় তাহলে তখন তুমি আল্লাহকে ভয় করে চলবে এবং ইনসাফ কায়েম করবে।” (আল ইসাবাহ, পৃ: ৪১৩)

অপরদিকে. যাঁর সাথে এই লড়াই, সেই আলী (রাযি.) কী বলেন মুআবিয়া (রাযি.) সম্পর্কে? কিতাবে উল্লেখ আছে, সিফফিনের যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে আপন অনুগামীদের লক্ষ্য করে হযরত আলী (রাযি.) বলেছিলেন, “হে লোকসকল! মুআবিয়ার শাসনকে তোমরা না-পছন্দ করো না। কেননা তাকে যেদিন হারাবে সেদিন দেখবে ধড় থেকে মুন্ডুগুলো হানযাল ফলের মতো কেটে কেটে পড়ে যাচ্ছে।” (আল বিদায়া, খ:৮, পৃ:
সুতরাং এই যুদ্ধের সূত্র ধরেও আমীর মুআবিয়া (রাযি.)-কে সমালোচনার লক্ষ্য করাটা গ্রহনীয় না।

শেষে আমি একটি হাদীস উল্লেখ করবো, যেটি এই বিষয়ে আমাদের আরো সর্তক হতে উদ্বুদ্ধ করবে-
রাসূল (সাঃ)- ইরশাদ করেন- “ যখন দেখ সাহাবীদের সমালোচনা হচ্ছে তখন তুমি নীরব থাক, যখন দেখ নক্ষত্রের সমালোচনা হচ্ছে তখনও তুমি নীরব থাক। যখন দেখ তাকদীর সম্পকের্ আলোচনা হচ্ছে তখন তুমি নীরব থাক।” (তাবরানী ২/৭৮ আব ু নাঈম লিখিত আল হুলিয়াত ু ৪/১০৮ আসসিলসিলাতুচ্ছাহিহা ১/৩)
এই হাদীসটিকে সামনে রেখে শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নজদী (রহ.) বলেছেন-
বাহ্যিক দৃষ্টিতে বুঝা যাচ্ছে যে সাহাবীর মর্যাদার বিষয়ে শরীয়তের ধারাবাহিক প্রমাণ নেই তাকে মন্দ বলা ফাসেকী। তবে হ্যাঁ যদি রাসূলের সাহচার্য কেন্দ্রিক কোন মন্দ বলে তাহলে সে কাফের। (আর রদ্দু আলা আর-রাফেজা- ১৯)

বিঃদ্রঃ- ভাই, আমি কিন্তু উসমানী না। আমার বংশগত উপাধি খান আলবী।
জাযাকাল্লাহু খইর।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৪৫
196795
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সাহাবী(রাঃ) এর অনেক ঘটনাই আছে, কিন্তু সেখানে কোন সাহাবী(রাঃ) এর কিন্তু রাসূল(সাঃ) এবং খলীফাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইতিহাস নেই, খলীফা যা আদেশ করেছিলেন – সবাই মেনে নিয়েছেন, উমর(রাঃ) খালিদ(রাঃ) এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার দাড়িয়েও বিদ্রোহ করেন নাই, আবু বকর(রাঃ) এর দেশ মেনে নিছেন নির্দ্বিধায়! সাইফুল্লাহ কোষবদ্ধ করলেও খালিদ(রাঃ) কিন্তু উমর(রাঃ) এর বিপক্ষে বিদ্রোহ না করে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু মুয়াবিয়া(রাঃ) যে সিদ্ধান্ত মানেন-নি এতে আমার মনে হয় কারো দ্বিমত করা উচিৎ না, আর রাসূল(সাঃ) এর এমন অনেক হাদীস আছে যা দিয়ে স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় সত্যের নিকটবর্তী দল হযরত আলী(রাঃ) এর অনুসারীরাই ছিলো। এসব ব্যাপারে বিশদভাবে আল-বিদায়ার সপ্তম খন্ডে তো পড়েছি।

এছাড়াও ঐ কিতাবের ঐ খন্ডেই কিন্তু মুয়াবিয়া(রাঃ) এরবং আমর ইবনুল আস(রাঃ) নিয়ে কম লেখা নাই; সেখানে যতদূর মনে পড়ে এমনও আছে দ্বৈত-লড়াই এ হযরত আলী(রা) আমর ইবনুল আস(রাঃ) কে শুইয়ে ফেলেছিলেন – হত্যা করেন নি, কারণ তার লজ্জাস্থান প্রকাশ হওয়ার কারণে আলী(রাঃ) এর মনে দয়ার উদ্রেক হয়েছিল। মুয়াবিয়া(রাঃ) কে দ্বৈত যুদ্ধে আহ্বান জানালে এবং আমর ইবনুল আস(রাঃ) তাকে অংশগ্রহণ করতে বললে – কি বলেছিল তাও আছে, এছাড়াও সে খন্ডেই হযরত আলী(রাঃ) – মুয়াবিয়া(রাঃ) এবং আমর ইবনুল আস(রাঃ) সম্বন্ধে কি কি বলেছিলেন – তা কিন্তু বিস্তারিতভাবে উল্লেখ আছে।

তবে আমার বলতে হবে যে আমি এসবের কিছুই জানি না, ঐ ধরনের কিছু বইয়ের লেখা ছাড়া, আল্লাহ-ই ভালো জানেন এ সম্বন্ধে – তাই তার উপর ছেড়ে দেয়াটাই ভালো।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০১
196799
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : জ্বি ভাইজান, আপনার এই বক্তব্যটি সঠিক যে আমীর মুআবিয়ার (রাযি.) পূর্বে কেউ খলিফার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেননি। কিন্তু এখানেও একটা দিকে আপনার দৃর্ষ্টি আকর্ষন করবো, সেটা হলো- আমীর মুআবিয়া ও অন্যান্য অনেকেই কিন্তু খিলাফতে অধিষ্ঠিত হওয়ার (অর্থাৎ তার হাতে বাইয়্যাত গ্রহন করার পর) অনতিবিলম্বে উসমান (রাযি.)-এর হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। অর্থাৎ এটি ছিলো তার বাইয়্যাতের শর্ত। যেহেতু আলী (রাযি.) সে সময়কে সঠিক সময় মনে করেননি তাই তিনি বিলম্ব করতে চেয়েছেন। কিন্তু আমীর মুআবিয়া (রাযি.)মনে করতেন এদের সুযোগ দেয়া হলে এরা পরবর্তীতেও ক্ষতি করবে। এবং হয়েছিলোও তাই। এবার শিকার হলের স্বয়ং আলী (রাযি.)।
যাই হোক, ভাইকে অনুরোধ করবো আবদুল মা'বুদ রচিত আসহাবে রাসূলের জীবন কথা এবং ইমাম বুখারী রচিত তারীখটি পড়ে দেখতে।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৫
196800
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খইর!Happy
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৪৫
196838
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এ ব্যাখ্যাটা আমি ভুল মনে করি - আল-বিদায়ার আলোকে; মুয়াবিয়া(রাঃ) একবারের জন্যও আলী(রাঃ) কে সহযোগীতা করেন নাই; মুয়াবিয়া(রাঃ) আলী(রাঃ)-কে মেনে নিয়ে সত্যিই সহযোগীতা করলে সেসব মুসলিমরূপী ক্রিমিনালদের-কে কি বিচার করা আলী(রাঃ) এর সহজ হতো না? এই সহজ কাজটা কিন্তু মুয়াবিয়া(রাঃ) না করে উল্টা আরো শামবাসীদের নিয়ে আলাদা দল করে আলী(রাঃ) এর বিরুদ্ধে তাদের কাছ থেকে বায়াত নিয়েছেন।

আর সে ভুলের শিকার মুয়াবিয়া(রাঃ)-ও হতে গিয়েছিলেন – আহত হয়ে অল্পের জন্য বেচে গিয়েছিলেন, আর আমর ইবনুল আস(রাঃ)-ই খুব সম্ভবত, মসজিদে হাজির না হওয়ার কারণে পুরোপুরি সেটার শিকার হওয়া থেকে বেচে গিয়েছিলেন।

আশা করি আপনার রেফার করা বই সংগ্রহ করে পরবো।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৪৯
196841
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ভাইজান, আল বিদায়াই শুধুমাত্র তারীখের গ্রহনযোগ্য কিতাব নয় (অবশ্যই গ্রহনযোগ্য, তবে একক নয়)। বিষয়টিতে বিস্তারিত জানতে আপনার অবশ্যই এ সংক্রান্ত আরো বইগুলো পড়তে হবে, তাহলেই একটা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত দাঁড় করাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:১৪
196847
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সিদ্ধান্ত দাড় করানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব; ফির’আউন মূসা(আঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলো, পুর্ববর্তী যারা গত হয়েছে ওদের কি অবস্থা – উনার উত্তর ছিল সে সম্বন্ধে, আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

ইতিহাসের আলোকে আমরা একেকজন একেক মত দিতে পারি সেটাই স্বাভাবিক, এবং সেটাই আমরা দিচ্ছি – অথচ আমরা কেউ সেসবের সাক্ষী না! তবে আমি ওই কিতাব পড়া ছাড়াও আরও যাদের সাথে আলোচনা করেছি – তাদের মধ্যে হাফেজ এবং অন্যান্য জানাশোনারাও ছিলো; আমি যা বলেছি – তাদের সিদ্ধান্তও অনেকটা এরকম-ই পেয়েছি, সবার মত-ই সেসব ইতিহাসের আলোকেই, একজনের কাছে যা গ্রহণযোগ্য আরেকজন সেটা বর্জন করেন। তবে আল-বিদায়া নিয়ে এতো সমালোচনা নেই বলে শুনেছিলাম – তাই সেটাই গ্রহণ করেছিলাম।
252652
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
রিদওয়ান বিন ফয়েজ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর ।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৬
196801
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খইর!Happy
252653
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এটার জন্য তথাকথিত আলেম হওয়ার-ই বা কি আছে?

সূরা ফাতিহা-তে তো আমরা পড়ি দাল্লীন মানে পথভ্রষ্ট, একই ভাবে সরা আদ-দুহা-তে তো নবী(সাঃ) কে আল্লাহই বলেছেনঃ ওয়া ওয়াজাদাকা দাল্লান ফাহাদা ....
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৬
196802
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : একমতHappy
252655
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪২
বাজলবী লিখেছেন : বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ইসলামী অান্দোলনের এক উজ্জল নক্ষত্র। যার চিন্তা চেতনার কাছে ঐ কুচক্রী মহল এখনো অনেক দূরে। গীবত,সমালোচনাই ওদের একমাত্র সম্বল। গুরত্বপূর্ণ তথ্যসহ পোষ্ট দেওয়ার জন্য অাপনাকে ধন্যবাদ।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৭
196803
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ.....আমার এ কচি ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!!! Happy
252661
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫১
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া। আপনার আলচনার বিষয়বস্তু খুবই মূল্যবান এবং চিন্তার খোরাক যোগায় বটে!! জাজাকাল্লাহু খাইর।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৯
196804
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ.....জাযাকাল্লাহ খইর! Happy
252670
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:১০
বিন রফিক লিখেছেন : শুধু কূপের অধিবাসীরাই তাঁর সমালোচনা করে থাকে।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৯
196805
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : একমত Happy
252699
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:১৯
কাজি সাকিব লিখেছেন : ভালো লাগলো
এরকমের আরো অনেক বিষয়বস্তুই রয়েছে যেগুলো মাওলানা মওদূদী রহঃ সোর্স দিয়েছেন সেসকল বইয়েরই যেগুলো কওমী মাদ্রাসার তালিকাভুক্ত বই অথচ সেগুলো নিয়ে কোন সমস্যা নেই,সমস্যা হচ্ছে মওদুদী রহঃ কি কারণে সেগুলো কোট করলেন?
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:২৪
196820
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : একমত......জাযাকাল্লাহ খায়ের!Happy
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:২৬
196858
আবু জান্নাত লিখেছেন : কথার তীর শুধু কাউমী ওলামাদের দিকে কেন ? সরকারী ওলামা জামিয়াতুল মুদাররিসীনরাও তো মওদুদীর সমালোচনায় পঞ্চমুখ।
252701
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:১৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:২৫
196825
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : আপনাকেও..... জাযাকাল্লাহ খইর!Happy
252723
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৩৬
সেলিম জাহাঙ্গীর লিখেছেন : চিরবিদ্রোহী ও বুড়া মিয়া আপনাদের কাছে মওদুদীর বক্তব্য ও অনেকটা হাদীসের মত। আসলে হাদীস কি এবং কাবে বলে? কি ভাবে এই হাদীস রাসুল (স) এর ওফাতের পর বোখারী গংরা লিখলো, কেনইবা কোন খলিফা হাদীস সেংকলন করলেন না,হাদীস লিখায় রাসুলের‘ইবা কি নিষেধাঙ্গা ছিলো? এই বিষয় গুলো ভালো করে জানেন। খালি হুদায় প্যাচাল পেড়ে নিজেকে খুব বেশী জ্ঞানী ভাবা ঠিক না। এই পোস্টটি যিন দিয়েছেন তিনিও কোন দল করে সেটা তার লিখায় ফুলে উঠেছে অনেকটা আপনাদের মত।
আলোতে থাকুন
ভালোতে থাকুন।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৬
196873
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য দিয়ে নিজের জন্ম ও বংশপরিচয় তুলে ধরার জন্য দুইটা জুতার বাড়ি রইলো!!!!Crying
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৬
196874
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য দিয়ে নিজের জন্ম ও বংশপরিচয় তুলে ধরার জন্য দুইটা জুতার বাড়ি রইলো!!!!Crying
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৬
196875
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য দিয়ে নিজের জন্ম ও বংশপরিচয় তুলে ধরার জন্য দুইটা জুতার বাড়ি রইলো!!!!Crying
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৭
196876
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য দিয়ে নিজের জন্ম ও বংশপরিচয় তুলে ধরার জন্য দুইটা জুতার বাড়ি রইলো!!!!Crying
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৫০
196877
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এগুলো জানার জন্যই এখানে আলোচনা চলছে; আপনি সেগুলো নিয়ে পোষ্ট দিয়ে জানানঃ জানাতে অপারগ হলে, জ্ঞানীর-ভঙ্গী করে ভাব ধরার ব্যর্থ চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। এ ধরনের কথা গুরুজী নামে এক ভন্ড আমাকে বলতে ছিলো অন্য একটা সাইটে – টানা পাচ দিন রিকোয়েষ্টের পরও সে খালি বলে জানতে হবে আর জানতে হবে, অথচ নিজের গরজ নাই জানানোর কিন্তু ভঙ্গী করতে ছাড়ে নাই!

আপনার ব্যাপারটাও যদি কোন ফালতু-ভঙ্গী না হয়ে সত্যিকারের গাম্ভীর্য্যপূর্ণ ভাব হয়ে থাকে; অতিসত্বর এ সব ব্যাপারে আপনার পোষ্ট আশা করছি!
১০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:০১
196880
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আরও একটা কথা আপনার ভাবের জন্য না বলে পারছি না – আমি এবং চিরবিদ্রোহী, কেউ-ই এখানে মওদূদী নিয়ে আলোচনা করছি না; আমি অন্য এক লেখকের রেফারেন্স দিয়ে চিরবিদ্রোহীকে বলেছি আলী-মুয়াবিয়া-আমর(রাঃ) এর ব্যাপারে, চিরবিদ্রোহী আমাকে অন্য বই এর রেফারেন্স দিয়েছেন তাদের ব্যাপারেই।

এখানে মওদূদী পাইলেন কোথায়?
১০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:০২
196924
শেখের পোলা লিখেছেন : জাাঙ্গীর সাহেব, যাবতীয় আলোইতো আপনাদের দখলে, অন্যেরা পাবে কোথায়? দয়া করে কিছু ছাড়ুন৷
১০
252752
১০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:১৫
আফরা লিখেছেন : সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী সাহেবের কয়েকটা বই আমি পড়েছি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে । আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন ।আমীন ।
১০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:৪৫
196909
বাজলবী লিখেছেন : অামিন।
১০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:৫৮
196913
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : আমিন! Happy
১১
252762
১০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:২৪
কাহাফ লিখেছেন : ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ ।
১০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:৫৯
196914
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খইর!
১২
252772
১০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৩৫
কাহাফ লিখেছেন : جزاك الله خيرا فى الدنيا والاخرة.......................
১৩
252851
১০ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
ইয়াফি লিখেছেন : ইজহারুল হক-সত্য উদ্ভাসিত! চিরবিদ্রোহী ও আবু জান্নাত কে তাঁদের সদাচরণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। যা সচরাসর দেওবন্দী ধারার লোকজনের মধ্যে দেখা যায় না। দেওবন্দী আলেম মওলানা ফরিদউদ্দীন মাসুদ জামায়েতকে সবচেয়ে বড় নাস্তিক হিসেবে দেখেন!
১০ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
197048
ব্লগার সাদমান লিখেছেন : ফরিদউদ্দীন মাসুদ একটা মানুষিক রোগী!!! তবে আবু জান্নাত ও চিরবিদ্রোহী এ দুইজন ভাই অনেক জ্ঞানী ও সুন্দরভাবে কথা বলে!!! জাযাকাল্লাহ খইরHappy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File