হঠাৎ ঝটিকা সফরে নদীর শহর চাঁদপুরে
লিখেছেন লিখেছেন আবু বকর২৪ ১১ জুন, ২০১৬, ১২:৩৩:৩৯ রাত
হঠাৎ ঝটিকা সফরে নদীর শহর চাঁদপুরে , আমাদের ইমরান এবং মিজানের শখ বর্ষার জার্নি করে নদীর রূপ অবলোকন করা যেই কথা সেই কাজ তাদের কথায় পড়ে আমি রাজি হয়ে হয়ে গেলাম । দুইজনকে সাথে নিয়ে যখন সদরঘাটে পোছালাম তখন ঘড়ির কাটায় প্রায় ১০৩০ বাজে দেরি না করে ইমাম হাসান লঞ্চের টিকিট কেটে আমার সোজা উঠে গেলাম একবারে লঞ্চের ছাদে । লঞ্চে উঠার পর ছোট ছোট ঢেউকে অতিক্রম করে লঞ্চ ছুটে চললো সামনের দিকে , অন্যদিকে দক্ষিনের মিষ্টি বাতাসে শিহরিত লঞ্চ , আমরা মনের আনন্দে বলতে লাগলাম আমাদের আসা সফল । একে একে আমরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ পদ্মা মেঘনা নদী পার হয়ে লঞ্চ ছুটে চললো নদীর শহর চাঁদপুরের দিকে । লঞ্চের মাঝে আমরা সেলফি তুলে গান গেয়ে একের পর এক মৌসুমী ফল লিচু খেয়ে সময় কাটালাম জীবনে এতো লিচু একসাথে খেয়েছি যেন হজম করা দায় , যাক সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আমরা যখন চাঁদপুরে পোছালাম তখন ঘড়ির কাটায় দুপুর ২৩০, তখন আমাদের লঞ্চে ঘাঁটি করলো চাঁদপুরে, তার পর আমরা একটা আটোতে চাঁদপুরের স্টেশনরোডে একটা দোকানে বসে ইলিশ মাছ দিয়ে সকলে লাঞ্ছিত হলাম । লাঞ্চ করে আমরা চলে আসলাম বিখ্যাত টোডা এলাকায়, টোডায় দুইদিকে দুই নদী আর দক্ষিনের বাতাস আমাদের স্বাগতম জানালো । টোডায় থাকা অবস্থায় আমাদের হঠাৎ শরিয়তপুর যাওয়ার ভূত চেপে বসলো আমাদের সদ্য বিবাহিত ইমরান খান আবার ভয়ে ছোট ট্রলারে উঠতে নারাজ এক সময়ের সাহসী ইমরান আজকে কেন ভয় পায়? পরে বুঝলাম বিয়ে করলে জীবনের প্রতি মায়া বেড়ে যায়। যাক পরে আর কিছু কারণে আমাদের শরিয়তপুর যাওয়া হলো না । বিকাল ৫টার দিকে আমরা যখন ঢাকা আসার জন্য লঞ্চ ঘাটে আসলাম নিউজ পেলাম রাত ৯৩০ আগে কোন লঞ্চ ঢাকায় যাবে না । আমাদের সবার মন খারাপ হয়ে গেল ইমরান ডিশিসান নিলো সে আমাদের চাঁদপুর রেখে ঢাকায় না এসে কুমিল্লা চলে আসবে, আমরা তাকে নিষেধ করা সওে সে অনড় ছিল সে বাস স্ট্যান্ড পযান্ত চলেও গিয়েছিল পরে আবার সে ভূল বুঝতে ফেরে আমাদের মাঝে ফিরে আসছে । যাক রাত ৯৩০ মিনিটের ঢাকায় আসার জন্য অন্যতম বড় লঞ্চ এমভি মিতালির ডাবল কেবিনে উঠলাম কখনো লিচু খেয়ে কখনো গান শুনে আবার এখনো চেয়ারে বসে নদীর রাতের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ভোর চারটায় ঢাকায় ফিরলাম। কবির ভাষায় বলি আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে
বিষয়: বিবিধ
১১৭১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনারা যারা এরকম ঘুরে বেড়ানোতে অভ্যস্ত তারা আমাদের দেশের এই বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের স্থান গুলোর বর্ণনার সাথে ছবিও শেয়ার করবেন । শুধু কক্সবাজার আর পার্বত্য চট্টগ্রামই যে বাংলাদেশ নয় সেটা দেশ-বিদেশের সবাইকে জানাতে হবে ।
আল্লাহ আমাদের দেশকে প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর অন্যদেশগুলোর চেয়ে আরও সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন । সরকার হয়ত এ ব্যাপারে সঙ্গত কারণেই উদাসীন । কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষেরা আছি , দেশকে ভালবাসি - তাদের উচিত এসবের প্রোপাগান্ডায় নুন্যতম ভাবে হলেও যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা । ফলে বেসরকারী ভাবে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প শক্তভাবে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য । পর্যটকদের আগমন হলে সংশ্লিষ্ট অন্চলে অটোমেটিকভাবেই নানা ধরনের সেবামূলক কাজের সৃষ্টি হবে , তারা তাদের নিজেদের স্বার্থেই তাদের অন্চলের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেবে । গুন্ডা মাস্তান ছিনতাইকারীরাও বুঝবে যে অপকর্ম করলে লোকজন আর আসবে না, ফলে তাদের ধান্ধাও থেমে যাবে ।
আমি কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে গিয়েছি । এখানে যারা গিয়েছেন তাদের সাথে নিশ্চয়ই ভ্রাম্যমান ক্যামেরা ম্যান ও বাইক চালকের সাথে ডিল হয়েছে । কি মনে হয় এরা আগে কি করতো ?
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন