দুনিয়ার লোভ অশুভ পরিণতির মুল
লিখেছেন লিখেছেন সায়েম ০৪ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৫৯:০৭ রাত
দুনিয়ার লোভও বিভিন্ন ধরণের, যেমন সম্মানের লোভ, পদের লোভ, গদির লোভ, অর্থের ইত্যাদি। মহান আল্লাহ তাঁর পবিত্র কালামে ইরশাদ করেন তোমরা দুনিয়াকে মুহাব্বত করনা অন্যথায় তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ইরশাদ করেন, দুনিয়ার আসক্তি সকল পাপাচারের মুল। বর্তমান দুনিয়ায় যত দূর্নিতি, খুন খারাবী যাহাই চলছে সবই এ সকল লোভের কারণে হচ্ছে। কেউ কারো উপর যুলুম করছে আবার কেউ যালেমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হবে এই ভাই মযলুমের সহায়তা থেকে বিরত থাকছে। অন্যদের তালে তালে এসব বিষয়ে মুসলমান ধনী-গরীব, শাসক-শাষিত কেউ পিছিয়ে নেই। একদিকে সারা দুনিয়ায় মুসলিম নিধনের হিড়িক চলছে অপরদিকে মুসলমান রাজা-বাদশাহরা নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। সব কিছুই ঘটছে পদ, ক্ষমতা, রাজত্ব ও জীবনের মোহে।
মহানবী (স) একটি হাদীসে ইরশাদ করেন, অচিরেই বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্টি তোমাদেরকে ধ্বংস করার জন্য এমনভাবে সংঘটিত হবে যেভাবে যেভাবে খাদের প্রতি একে অন্যকে আহব্বান করে থাকে। কেউ বলল, তা কি মুসলমানদের স্বল্পতার কারণে হবে? তিনি বললেন, না, বরং তোমরা সংখ্যায় অধিক হবে। কিন্তু তোমরা সাগরের ভাসমান ফেনা/কড়কুটার মত হবে। (ধর্মীয় অবস্থানের দৃড়তা বলতে কিছুই থাকবেনা। চাল-চলন, পোষাক-পরিচ্ছেদ ইত্যাদীতে স্বকীয়তা ঠিকে থাকবেনা। জিজ্ঞাসা না করে বলা যাবেনা লোকটা কোন ধর্মের অনুসারী) তোমাদের দুনিয়ার আসক্তির কারণে এবং মৃত্যুকে অপছন্দবোধ করার কারণে তোমাদের অন্তরে দুর্বলতা ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় তুলে নেওয়া হবে।
উল্লেখিত হাদীসে বর্ণিত দুটি স্বভাব একটি মৃত্যুর অপছন্দনীয়তা অর্থাৎ বেশী দিন বেচে থাকার বেচে থাকার আগ্রহ যে কারণে আল্লাহর রাহে জীবন দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অপরটি দৃনিয়ার মুহাব্বত এখানে দুনিয়ার মুহাব্বত বলতে জীবনের মায়া ধন-দৌলতের মোহ, পরিবার-পরিজন, সহায় সম্পদ সবকিছুকে বুঝানো হয়েছে। এ দুটি স্বভাব কম বেশী সকলের মাঝে রয়েছে আর এ কারনে ধর্মের প্রয়োজনে নিজেদেরকে উৎসর্গ করা আমাদের পক্ষে সহজ হচ্ছেনা।ফলে আমরা উভয় জগতের বেলায় অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত মুসলমানদের অন্তরে জিহাদের মাধ্যমে শাহাদত স্পৃহা জাগ্রত ছিল ততদিন যাবৎ মুসলমানদের শির উঁচু ছিল। আসবাবের খেয়ালই তাদের কাছে ছিলনা একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে গিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলাও তাদের সম্মানের ফায়সালা করেছিলেন।
রসুলুল্লাহ (স) একটি হাদীসে ইরশাদ করেছেন, আমি কিয়ামতের প্রক্কালে তরবারীসহ প্রেরিত হয়েছি যাতে একমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত প্রতিষ্টিত হয়ে যায়। তীরের নীচে আমার রিযিক রাখা হয়েছে এবং সমস্ত লাঞ্চনা-বঞ্চনা ঐ ব্যক্তির জন্য যে আমার নীতির বিরুধীতা করে আর যে কেউ যে জন গোষ্টির বেশ ধারণ করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।
দেখুন যাঁরা কয়েকটি মেষ সামলাতে অক্ষম ছিলেন তাঁরা পৃথিবীর সিংহভাগ অঞ্চল শাসন করে গেছেন অত্যন্ত প্রতাপের সাথে। তাঁদের নিকট গোলাবরুদ রিজার্ভ ফোর্স কিছুই ছিলনা। অথচ ভোরের আঁধারে দুধে পানি মিশানোর সাহস কারো হয়নি।
সেখানে বাক-স্বাধীনতা এ পর্যায়ে ছিল যে জনতার সমাবেসে এক টুকরা কাপড়ের জন্য স্বয়ং খলীফাকে জবাবদিহীতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
সেবার মান এমন ছিল যে স্বয়ং খলীফার স্ত্রী একজন সাধারণ পথচারী মুসাফিরের স্ত্রীর সামনে ধাত্রীবেশে হাযির হয়ে গেলেন।
ক্ষমতা ও পদের কোন মূল্য তাঁদের কাছে ছিলনা। দেখুন রসুলুল্লাহ (স) আবু বকর (রা) কে হজের আমীর নিযুক্ত করে পাঠাবার পর হযরত আলী (রা) কে নির্দেশ দেওয়া হল যেন আবু বকর (রা) এর জামাতে শামিল হয়ে যান। আবু বকর (রা) হযরত আলী (রা) কে দেখে তাঁর কাছে ক্ষমতা সোপর্দ করার ইচ্ছা করলেন। যুদ্ধ চলাকালে হযরত খালেদ (রা) কে পদচ্যুত করে নির্দেশ পাঠানো হলে তিনি নিঃসঙ্কোচে আবু উবায়দা (রা) এর কাছে ক্ষমতা সোপর্দ করে দিলেন।
এ রকম এক দুইটা কেন অগনিত নযীর পাওয়া যাবে সে সকল মহা পুরুষদের জীবনে। আমরা যদি তাঁদের অনুসরণ করে চলতাম আজ আমাদের অবস্থা এমনটা হতনা।
বিষয়: বিবিধ
১৫০৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
আমার এই বরকতময় লেখাটা পড়ার জন্য সবাইকে অনরোদ করছি । এই লেখা পড়রে দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল হবে ।
সম্মানিত ভাই ও দোস্ত !
সম্মানিত বোন ও খালাম্মা !
আমার হৃদয়ে অন্তস্হল হতে সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন ।
আমার লেখা যদি ভাল লাগে আমার জন্য আপনারা দুয়া করবেন । প্রচন্ড পড়াশোনা করে আমি লেখালেখি করে থাকি । শুধুমাত্র আপনাদের কাছে ইসলামের সত্যিকার মর্মবানীর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ।
কিন্তু ইদানিং বিপথগামী মুসলিম আমাকে ক্রমাগত হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন যাতে আমি কোনক্রমেই নেট ব্যবহার না করি এবং মসজিদে যাতায়াত না করি ।
তাদের অনেকে আমাকে প্রকাশ্যেই হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং আমার বিয়ে পর্যন্ত ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য তারা হেন কাজ নেই করছেন না । । আমি অত্যন্ত ধৈর্যশীল হওয়ায় আমি তাদের সাথে বিনয়ী আচরণ করে যাচ্ছি এবং আমি তাদের সত্যিকারভাবে ইসলামের আদর্শকে ধারণ করার আহবান জানাচ্ছি ।
আর কিছু লোক এই ব্লগে আর ফেসবুকে আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলে যাচ্ছে । আর কুচ্ছিত ভাষায় মন্তব্য লিখে যাচ্ছেন । অথচ তারা এক সময় প্রচন্ড ভদ্র ও অমায়িকভাবেই এই ব্লগ সাইটে মন্তব্য লিখতেন । এই ব্যাপারে সবাইকে বিনয়ী ও নম্র হওয়ার আহবান জানাচ্ছি । অন্যথায় আল্লাহ আমাদের সবাইকে হাসরের মাঠে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বিনষ্ট করার জন্য পাকড়াও করবেন ।
সবাইকে আমার জন্য এবং আমার বিরোধী মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য দুয়া করার জন্য অনুরোদ করছি ।
আমি চাই আপনাদের প্রেম,ভালবাসা,প্রীতি,শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্নেহ ।
আল্লাহই সব । বাকি সব মিথ্যা ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।
৮ ঘন্টা চাকরী তে, নইলে হালাল রুজী হবে না!,
৩ ঘন্টা চাকরীতে যাইতে আইতে আর বাজারে,
৪ ঘন্টা সেই রুজী খাইতে এবং ত্যাগ করতে,
৭ ঘন্টা ঘুমে-মুচড়ামুচড়ি করতে,
২ ঘন্টা যাবে নামাযে,
এইগুলা কইরাও বলে ৮০% এর নুন আনতে পান্তা ফুরায়, কোন লোভের বিষয় নাই! কি করবো এইগুলা? কন এলা ...
মন্তব্য করতে লগইন করুন