ফাপরে পড়ছে বেচারা বটগাছ..
লিখেছেন লিখেছেন রাজিবুল হাসান ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:৫০:৩২ রাত
বাহিনী ছাড়া মাঠে আসুন// ফাপরে পড়ছে বেচারা বটগাছ..
==========================
কোন এক দেশে মফিজ নামে একজন বিশাল মাপের একজন বৈপ্লবিক নেতা ছিল। তিনি নিজেকে যতটা না বিপ্লবী ভাবতেন, উনার অনুসারীরা উনাকে তার চেয়েও লক্ষগুন বড় বিপ্লবী নেতা মনে করতেন। কোন এক শুভ সকালে কুদ্দুস মিয়া দাবার চালে দখল করে নিল সেই দেশ। মফিজ মিয়ার অনুসারীরা বিন্দুমাত্র বিচলিত হলোনা কেননা উনাদের নেতার মতো এত্তো বড় বিপ্লবী নেতা এই ত্রিভুবনে নেই। মফিজ ভাইয়ের মুখ নিসৃত এক ছটাক বিপ্লবী ভাষনই যথেষ্ঠ কুদ্দুস সরকারকে দেশ ছাড়া করতে। তাই তারা আরামে -আয়েসে, হেলে - দোলে কুদ্দুসের পতন চাই জাতীয় কথা বার্তা বলে আর কয়েক কয়েকদিন পর মন্ত্রী হবো ভেবে বালিশ পদ্ধতিতে ঘুমাইতে গেল। এদিকে মফিজ মিয়ার কাছে কুদ্দুস অপসারণ আন্দোলন সুবিধাজনক না হওয়ার কারন খুজতে যেয়ে যা বুঝলো তা সুবিধাজনক নয়। এতোদিন উনার কর্মীরা তেল মারতে যেয়ে উনাকে যে সুপারম্যান বানিয়ে ফেলেছে, সব গন্ডগোল আসলে এইখানে। এরা সবাই এখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে কারন এরা যার অনুসারী সে ত সাক্ষাত সুপারম্যান। মফিজ মিয়াকে আজ যেন একটু বিচলিতই মনে হলো।তবে বিচলিত মফিজকে বেশীক্ষন বিচলিত থাকতে হলো না , কেননা মহান মানুষদের বিচলিত হতে নেই।
গা ঝাড়া দিয়ে উঠে উনি অনুসারীদেরকে পাচশ বছরের পুরোনো বট গাছের নীচে জড়ো হতে বললেন। একে একে সবাই যখন বটতলায় এসে হাজির হলো, মফিজ মিয়া উনার ভাষন শুরু করলেন। উনার ভাষনের সাংরাশ হচ্ছে, কুদ্দুস রাজা তার বাহিনী ছাড়া খালি হাতে আমাদের সামনে আসুক, তখন দেখবেন এই কুদ্দুস রাজার কি হাল করি। অনুসারীরাও চিন্তা করে দেখল, আরে নেতা ত এক্কেবারে খাটি কথাই বলেছে। সবাই এক সুরে বলা শুরু করলো, সাহস থাকলে বাহিনী ছাড়া আমাদের সামনে আস দেখ কি করি!
ফাপরে পড়লো শুধু ইতিহাসের সাক্ষী পুরোনো বটগাছটি। কারণ বটগাছটি তার পাচশ বছরের জীবনে কোনদিনও দেখেনি কোন অবৈধ সরকার কোন বাহিনীর সাহায্য ছাড়া বিরোধীদল দমন করতে। শুধু কি তাই? কিছুদিন আগেও এই বটগাছ মফিজ সাহেবকে যতটা চৌকস দেখেছিল, আজ যেন উনি ততটাই ভোতা গেছেন।
বেচারা বটগাছ কি আর জানে এ সবই হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত তৈলমর্দনের ফল।
বিষয়: বিবিধ
১০১২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন