বিষয়: অংকশাস্র, জনগণ নিজেকে চুরের হাত থেকে বাচাতে ধরা দিচ্ছে ডাকাতের হাতে!
লিখেছেন লিখেছেন রাজিবুল হাসান ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ০২:০৩:৫৫ রাত
বিষয়: অংকশাস্র, জনগণ নিজেকে চুরের হাত থেকে বাচাতে ধরা দিচ্ছে ডাকাতের হাতে!
…………………
সৈরাচার এরশাদের হাত থেকে যেভাবেই হোক দেশকে রক্ষা করতেই হবে। জীবন দিল ডা মিলন,নুর হোসেন সহ অনেকেই। জনগণের ভোটে গনতান্ত্রিক সরকার গঠন করলো বিএনপি। পাচ বছরের ক্ষমতায় জাতিকে নিয়ে গেল মাইনাস নামক জায়গায়। আমরা বিরাট ক্ষমতার অধিকারী জনগণ পরের বার বিএনপিকে আস্তাকুরে ফেলে দিয়ে দিল নৌকায় ভোট। জনগণ ত বিরাট খুশী যে এইবার বিএনপির শিক্ষা হয়েছে। কয়েক দিন যেতে না যেতেই জনগণ দেখলো ওমা এরা দেখি বিএনপির থেকে বেশী খারাপ! এরাতো জনগণকে এলাকাই থাকতে দিচ্ছে না।তারা জনগণকে দেখিয়ে দিল যে অংকশাস্রে মাইনাসের পরেও গননা করা যায়।
কি আর করা সাধারণ জনগণ মনে মনে ভোটের দিন কবে আসবে তা গুনতে থাকে। এদিকে বিএনপিও ক্ষমতা হারিয়ে জনগণ-জনগণ বলে কেদে যাচ্ছে। চালাক জনগণ ভাবলো বিএনপির বুঝি বোধোদয় হয়েছে। এইবার ধানের শিষে ছিল মেরে বুঝিয়ে দিব আওয়ামী লিগকে যে, আমাদেরও ক্ষমতা আছে। যা ভাবা তাই তারা করলো। ক্ষমতায় এলো জনগণের অতি প্রিয় দল বিএনপি। জনগণ ভাবলো যাক বাচা গেল। কিছু দিন যেতে না যেতেই দেখা গেল বিএনপির নতুন রুপ। আগে ত ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদল আর সাধারণ জনগণের উপর স্টিমরুলার চালাত এরা সেই সংগে যোগ করলো তার নিজের দলের ক্যাডার সহ বিএনপি উত্থানে জিয়াউর রহমানের যাদের ভুমিকা ছিল তাদের উপরও। ফলে অত্যাচারীত জনগণের সাথে আরেক নাম যুক্ত হলো জিয়াউর রহমানের সাথে যারা বিএনপি নামক রাজনৈতিক সংগঠনটি বানিয়ে ছিল তারা। ঠিক এই জায়গাটাই সফল হয়েছিল বিএনপির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলিগ। ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো বিএনপি ছাড়তে বাধ্য হলো তারা। আর সেই যায়গায় স্থান করে নিল আওয়ামীলিগে স্থান করতে না পারা ফেলু নেতারা। তাদের উদ্ভট মস্তিষ্কের ফল অনুযায়ী বিএনপি এক্ষান প্রহসনের নির্বাচন করে বসলো। করলো এই কারনে যে সাভাবিক নির্বাচন দিলে এর ফলাফল কি হতে পারে তা তাদের জানা ছিল। রাজনীতিবিদদের বাইরে রেখে এখান সেখান থেকে আসা সুবিধাবাদীদের কথার উপরে যে এরকম একটা ইলেকশন করা যে উচিত হয়নি তারেক জিয়াকে কয়েকদিন পরেই বুঝিয়ে দিল ফকরুদ্দিন মইনুদ্দিনেরা। সে এখনো বাংলাদেশের বাইরে বসে বুঝে যাচ্ছে তা। বিএনপির তথাকতিত শুভাকাংখীরা গা ঢাকা দিল।
সামরিক শাষন আর কতোদিন রাখা যায় তাই ফকরুদ্দিন মইনউদ্দিনেরা দিল নির্বাচন। বলা বাহুল্য চক্রাকার ভিত্তিতে জিতল আওয়ামীলিগ। বিএনপি দিন গুনছে পাচ বছর পর তো আবার ক্ষমতায় আসবো তাই সব নেতারা অপেক্ষার দিন গুনছিল আর তাদের সাথে ছিল ক্ষমতায় থাকার সময়ের ধান্ধা করে কামানো টাকা। তারা ভুলে গিয়েছিল যে, তারাও বক্কর চক্কর এক্ষান জীবন্ত নির্বাচন করেছিল। আওয়ামীলিগ তাদের দেখানো রাস্তায় খুব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করলো ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন। তবে এবার তারা বিদেশীদের হাত করে নিলো আগেই।
এর ভিতরে বিএনপি ভরে গেল বাটুপা নামক একধরনের নতুন বাবাজীতে। খালেদা জিয়া যতই আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে জনগণ কিংবা সাধারণ কর্মীরা রাস্তায় নামছে না। সারা জীবন বিএনপির জন্য যারা খেটেছে তারা চিন্তা করছে সারা জীবন খেটে গেলাম আর এখন বাটু মিয়া তারেক জিয়ার বন্ধু বলে আর তিটু মিয়া খালেদা জিয়ার কাছের লোক বলে সবাই সব গুলি অংগ সংগঠনের সভাপতি তারা কোথায়? তারা আগে হাই কমান্ডের সহযোগিতায় প্রচুর মাল কামিয়েছে বলে তারা এখন বিদেশে আছে। যে দলের তৃণমূলের কর্মীদের এই অবস্থা জনগণ সায় দেয়নি তাদের ডাকা আন্দোলনে। তার থেকেও. বড় কথা হলো জনগণ কোথায় যাবে? তারা ত এক চুরের হাত থেকে সরে গিয়ে আরেক চুরের হাতে পড়ছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন