ফিলিস্তিনিদের সামনে সশস্ত্র বিপ্লব ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই
লিখেছেন লিখেছেন রাজিবুল হাসান ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:১৯:৫৬ সন্ধ্যা
ফিলিস্তিনিদের সামনে সশস্ত্র বিপ্লব ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই
……………………………
স্যাটলার কলোনিয়াজম থেকে মুক্তি পাওয়া এতটা সহজ নয় যতটা সহজ কলোনিয়াজম থেকে মুক্তি পাওয়া। তার পর ও ভারতবর্ষের প্রায় দুইশ বছর লেগেছিল ভারতকে বৃটিশ কলোনী মুক্ত করতে। কলোনিয়াজম সম্মন্ধে আমাদের একটা ধারণা আছে কেননা আমারা কলোনিয়াজম পার করে এসেছি।স্যাটলার কলোনিয়াজম সম্মন্ধে আমাদের প্রত্যাক্ষ কোন ধারনা নেই। স্যাটলার কলোনিয়াজম কলোনিয়াল শাসন থেকে হাজারোগুন ভয়াবহ একটি পদ্দতি যা বুঝতে পারছে ফিসিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিনে স্যাটলার কলোনিয়াজম:
পশ্চিমা শক্তি তাদের নিজেদের দেশ থেকে ইহুদিদের তাড়াতে গিয়ে আরবদের ভূখণ্ড গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছে, আর সেখানে তাদের দেশের ইহুদিদের বসতি স্থাপন করেছে। অতএব রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের কোনো নৈতিক ন্যায্যতা, কিংবা আইনি বৈধতা নাই। তাকে মেনে নেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এরপর রয়েছে বর্ণবাদ ও ইসরাইলের জাতিবৈষম্য চর্চা।
সশস্ত্র বিপ্লব ছাড়া কেউ কলোনিয়াল অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় নি যেখানে, সেখানে তার থেকে হাজার গুন ভয়াবহ স্যাটলার কলোনিয়াজম থেকে সসস্র বিপ্লব ছাড়া মুক্তি পাওয়ার প্রস্নই উঠেনা। ইতিহাস অন্তত তাই বলে।
যারা ফিলিস্তিনিদের এই মুক্তির আন্দোলনকে জংগীদের আন্দোলন বলে আখ্যা দিচ্ছে তারা সরাসরি স্যাটলার কলোনিয়াজমের পক্ষে বলছে। তারা ইসরায়েলের মতোই মানবতার শত্রু। এখানে একটি কথা আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ভারতবাসী যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে সসস্র আন্দোলন করেছিল তখন তাদেরকেও অনেকেই জংগী উপাদি দিয়েছিল। ভারতবাসী যদি তখন দমে যেত তাহলে হয়ত ভারতের সাধীনতা অর্জন করতে আরো অনেক সময় লেগে যেত। ফিলিস্তিনিরাও না দমে সসস্র আন্দোলন করে যাচ্ছে এই আশায় যে, একদিন হয়ত মুক্তি মিলবে তাদের এই জায়নবাদী ইসরায়েলের হাত থেকে।
আর কিছু না হোক অন্তত এই ভেবে তারা সান্তনা পাচ্ছে, ধুকে ধুকে না মরে প্রতিবাদ করে বীরের মর্যাদা নিয়ে শহীদ হওয়াটাই বেশী মর্যাদার্।
আর এই মর্যাদার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দানকারী হামাস কোন জংগী সংগঠন নয়,গাজার জনগণ কতৃক নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা লড়ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের স্যাটলার কলোনিয়াজমের বিরুদ্ধে।
রাজিবুল হাসান
বিষয়: বিবিধ
১০৫০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তা ঠিক, কিন্তু কোরাণের কুদরতী দিয়ে স্বর্গের ৭২ হুরপরী পাওয়া গেলেও ইহুদীদের সমকক্ষ হওয়া যাবে না। মুমিন নয়, সবার আগে জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন করে মানুষ হতে হবে।
বলেন তো, পারমাণবিক বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে আইনস্টাইনের কোন থিওরিটাকে কাজে লাগানো হয়েছিলো? এবং তৃতীয় কোন তত্ত্বের সাহায্যে আইনস্টাইনের থিওরি ও পারমানবিক বিষ্ফোরণের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো হয়েছিলো?
তথাপি তারা যেভাবে ইহুদি কুত্তাগুলোকে সমানে জবাব দিয়ে যাচ্ছে, এটা একমাত্র সম্ভব ঈমানি দৃঢ়তা থাকলেই। স্যালুট সেই মাকে, যে এমন বীর সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
মন্তব্য : কেনই বা করবে না? আরব রাজারা কোনদিনই মানবতার পক্ষে ছিল না। তারা সবসমই ছিল অমানবিক। একজন মানবতার শত্রু আরেকটি মানবতার শত্রুকে সাহায্য করবে এটাই ত সাভাবিক।
ফিলিস্তিনিদের এই আন্দোলন কোন ধর্মীয় আন্দোলন নয়। সেটলার কলোনিয়াল ইসরায়েলের হাত থেকে তাদের সাধীনতা পুনোরুদ্ধারের করার জন্য লড়ে যাচ্ছে তারা। ইসরায়েল সুকৌশলে একে ধর্মীয় তকমা লাগিয়ে সুবিধা আদায় করতে সচেস্ট। আর এই কাজটি করার জন্য তাদের হাতের মুঠোয় রয়েছে বিশ্বের নামীদামি সংবাদ সংস্থাগুলো,
মন্তব্য করতে লগইন করুন