মানবতার শত্রু ইসরায়েল,মুভি মিউনিখ আর অসহায় ফিলিস্তিনিরা..
লিখেছেন লিখেছেন রাজিবুল হাসান ২৬ জুলাই, ২০১৪, ১১:৪৩:৪৪ রাত
মানবতার শত্রু ইসরায়েল,মুভি মিউনিখ আর অসহায় ফিলিস্তিনিরা.
-------------------------------
মিউনিখ ছবিটির প্রযোজনা ও পরিচালনায় ছিল বিশ্ব বিখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ। ছবিটিতে মোসাদ এজেন্টের ভুমিকায় অভিনয় করেছিল আজকের জেমস বন্ড খ্যাত ডানিয়েল ক্রেইগ। যদিও ছবিটির মুখ্য ভুমিকায় মানে আমরা যাদেরকে নায়ক বলে থাকি সেখানে অভিনয় করেছিল এরিক বানা(a Mossad agent of German-Jewish descent).
যার ভুমিকা ছিল ১১ জন ফিলিস্তিন নেতাদেরকে হত্যা করার্। যারা ১৯৭২ সালে মিউনিখে অনুস্টিত অলিম্পিকে অংশ গ্রহনকারী ইসরায়েলী এথল্যাটিক হত্যার পিছনে ছিল বলে ধারনা করা হয়। আমি ছবিটির মুল বিষয়ে যাচ্ছি না। শুধু মাত্র একটি দৃশ্যের কথা বলতে চাচ্ছি।
দৃশ্যটি ছিল,মোসাদ এজেন্টরা মোহাম্মদ হামসারীকে খুন করতে তার বাসভবনের টেলিফোনে বোম্ব রাখে। হামসারী টেলিফোন উঠানোর সাথে সাথে বাইরে থাকা জেমস বন্ড একটি সুইস টিপার সাথে সাথে হামসারী ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চলে যাবেন পরলোকে। সবকিছুই চলছিল পরিকল্পনা মতো। বাধ সাধলো তখন,যখন এই ছবির নায়ক মোসাদ এজেন্ট দেখলো হামসারীর ছোট্ট মেয়েটি কি জানি কি খুজতে বাসায় এলো এবং টেলিফোনটি রিসিভ করলো সেই বাচ্চা মেয়েটি। যার পর নাই বিব্রত হয়ে এরিক বানা দিল দৌড় আর এবর্ট করলো তাদের কিলিং মিশন। বাচ্চাটি বের হয়ে যাবার ২ মিনিট পর তারা রিমোট টিপে খুন করলো হামসারীকে। বলার অপেক্ষা রাখে না পরিচালক এখানে মুসাদের মানবিক দিকটিই ফুটিয়ে তুলেছেন অন্তত সুন্দর ভাবে। প্রস্ন হলো মুসাদ কি আসলেই কি তাই?
উত্তর জানতে আপনাদেরকে আমি নিয়ে যাচ্ছি ২০১২ তে, তখন মুসাদের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিল তখন মুসে নামক বিরাট ক্ষমতাধর এক জন ইহুদি। যে ছিল ২০১২ ম্যাসাকারের নায়ক।
১০ বছরের একটি বাচ্চা ছেলে নাম আহমাত, দুবছর আগেই যার পায়ে ইসরায়েলের গুলি লেগে পুংগু হয়ে পরেছিল। যার অপরাধ ছিল শুধুমাত্র তার বাবা প্যালেস্টাইন লিবারেশনের একজন সক্রিয় কর্মী । সেই অপরাধে মুসাদের সেই এজেন্ট তাকে ঘরের ভিতর রেখে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় তাদের বাড়িটি। পুংগু আহমাত বিনা নড়াচরাই মিশে গেল ধংসস্তুপের সাথে। কেউ জানত না এই ঘটনাটি,অন্য. আরো লাখো ঘটনার মত হয়ত সমাধিস্ত হত এই ঘটনাটিও। একজন এমেরিকানের সচক্ষে দেখা বলে দুনিয়া জেনেছিল সেই বিভত্স ইসরায়েলী বর্বরতা।
এবার ফিরে আসি বর্তমানে। কি ঘটছে গাজায়? ইসরায়েলের অমানবিক হামলায় এই পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছে তাদের বেশীর ভাগই সাধারণ জনগণ, বাদ যায়নি নিস্পাপ শিশুরাও। যারা এখনো পর্যন্ত বুঝেই উঠনি ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে পার্থক্য কি? প্রস্ন হলো, যারা এই বর্বর হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তাদেরকে কেন মানবতার শত্রু বলা যাবে না?
এবার তাকাই হামাসের রকেট হামলার দিকে। হামাসের হামলায় এখনো পর্যন্ত মারা যায় নি কোন অসহায় শিশু। হামাসের হামলায় নিহতরা সবাই ছিল ইসরায়েলের সৈনিক,দুইজন সাধারণ নাগরিক প্রান হারিয়ে এই পর্যন্ত।
এটা স্পিলবার্গের কোন ছবি নয়,
এটা উন্নত বিশ্বের স্পেশালিস্ট সাংবাদিকতা নয়, এটা বাস্তবতা।
স্পিলবার্গ হয়ত তার ছবিতে মুসাদ এজেন্ট কে মহা নায়ক বানিয়ে রক্ষা করে দিচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনি শিশুদেরকে। কিংবা বিবিসি সিএনএন ফিলিস্তিনিদের জংগী আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলকে বানিয়ে দিচ্ছে মহানায়ক। তাতে কি হয়েছে? মানুষ ত সত্য একদিন জানবেই। যেমনটি আজ বিবেক বান সবাই ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর খতিয়ান থেকে আমরা জেনেছি।
রাজিবুল হাসান
বিষয়: বিবিধ
১০৩২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওদের প্ল্যান প্রোগ্রাম বিশ্লেষণে মানবতার স্থান নেই।
মন্তব্য : কেনই বা করবে না? আরব রাজারা কোনদিনই মানবতার পক্ষে ছিল না। তারা সবসমই ছিল অমানবিক। একজন মানবতার শত্রু আরেকটি মানবতার শত্রুকে সাহায্য করবে এটাই ত সাভাবিক।
ফিলিস্তিনিদের এই আন্দোলন কোন ধর্মীয় আন্দোলন নয়। সেটলার কলোনিয়াল ইসরায়েলের হাত থেকে তাদের সাধীনতা পুনোরুদ্ধারের করার জন্য লড়ে যাচ্ছে তারা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন