কোটা বৈষম্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য কি ছিলো?
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০০:৫৫ রাত
ধরে নেন একজন মুক্তিযুদ্ধার ছেলেমেয়ে ৭ জন, ৭ ছেলেমেয়ের ৭×৭= ৪৯ জন তাদের ছেলেমেয়ে ৪৯×৭=৩৪৩ জন। ছেলেমেয়ে নাতি পতি মিলিয়ে ৩৪৩ জন। (যাদের একজন স্ত্রী তাদের ক্ষেত্রে এই হিসাব প্রযোজ্য। যাদের একাদিক স্ত্রী আছে তাদের হিসাব আরো লাম্বা হবে।)
একজন বীর মুক্তিযুদ্ধার সার্টিফিকেট দেখিয়ে ৩৪৩ জন সরকারী চাকরিতে ভাবা যায়? বৈষম্য এখানে কিভাবে থামাবেন?
যুদ্ধ কেন হয়েছিল বৈষম্যের কারণেইতো, বৈষম্য দূর করে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যইতো। যারা জীবনবাজী রেখে যুদ্ধে গিয়ে বৈষম্যের কবর রচনা করেছেন, তাদেরকে দিয়ে বৈষম্য ঠিকিয়ে রাখার এই অপকৌশল কার স্বার্থে?
মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়ে শহীদ হয়েছেন।
যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের চেয়ে বড় ত্যাগ আর কি হতে পারে? ৩০ লক্ষ শহীদদের বিনিময়ে দেশটি স্বাধীন হয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদদের পরিবারের কথা কি একবারও ভাবছেন? কেউ কি মনে রেখেছেন?
কি অদ্ভুত নীতি না? যিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ করলেন তার পরিবারের জন্য কোনো সুযোগ সুবিধা নেই, তালিকাও নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে আল্লাহ যাদেরকে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে এনেছেন। তাদের জন্য যাবতীয় সুযোগ সুবিধা! আপত্তি নেই মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য সুযোগ সুবিধা আরো বড় করা হোক, তাদের ভাতা বর্তমানে ২০ হাজার টাকা থাকলে তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হোক। কোটা রেখে বৈষম্যের চাষ করা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার পরিপন্থী।
যদি..
মুক্তিযুদ্ধা কোটা যদি রাখতেই হয়, ৫% বা ৭% রাখা যেতে পারে। তা কিসের ভিত্তিতে রাখা উচিত? তার ধরন কি হওয়া উচিত? একটি সার্টিফিকেট কত বার ব্যাবহার করতে পারবেন তার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত।
#কোটা
বিষয়: বিবিধ
৩০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন