প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ গঠন ও পরিষদের কর্ম প্রস্তাবনা | আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ০১ জুলাই, ২০১৯, ১২:৫০:৫১ রাত
সর্ব প্রথম নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে নিচ্ছি। আমি ভালো কোনো লেখক নই, মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করি পরিবর্তন প্রত্যাশা করি বলে আমার লেখা থেকে পরিবর্তনের পথ তৈরি হবে এটাই প্রত্যাশা রাখি। আমার লেখা পড়ে মানুষের মনে কিছু ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় এতেই আমি সন্তুষ্ট! আলহামদুলিল্লাহ।
সাম্প্রতিক আমার লিখিতঃ
'পুটিবিলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভাবনা' http://www.putibila7.com/2019/06/blog-post.html?m=1
অথবা
' আমার মতামত অংশে ৭ পয়েন্ট' http://www.putibila7.com/2019/06/blog-post_12.html?m=1 লেখা দুটি পুটিবিলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত অনেকে পড়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। আমার লেখা পড়ে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং লেখা কথার প্রতি তিরস্কারও করেছেন বলে আমি খবর পেয়েছি। আবার অনেেকে নিজের মনের সাথে মিলিয়ে নিয়েছেন কথা গুলোকে। আসলে মতামতের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া এমনই হয়ে থেকে।
আজকের লেখাটিও আগের লেখা গুলোর ধারাবাহিকতায় লিখতে চাই, যদিও বিষয়ে আংশিক ভিন্নতা রয়েছে।
প্রাণপ্রিয় 'পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয়' এর নব গঠিত কমিঠির পূর্ণাঙ্গ নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। কমিটির অফিসিয়াল ঘোষণা আসার পূর্বেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কমিটি নিয়ে বেশকিছু হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। হতাশার প্রধান কারণ হলো জাহাঙ্গীর হোসাইন মানিক। 'মানিক' স্কুল পরিচালনা কমিটি থেকে বাদ পড়েেছেন। ওনার জায়গায় নতুন কাউকে নেয়া হয়েছে। হতাশার অভিব্যক্তি দেখে আমি বিচলিত হইনি মোটেও। তবে প্রত্যাশা করেছিলাম মানিক সাহেবও থাকবে সাথে আরো কিছু উদ্যমী তরুণ কমিটিতে স্থান পাবে। প্রত্যাশিত শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। কমিটির পূূূূর্ণাঙ্গ নাম এলে আরো আরো বিস্তারিত জানা যাবে ইনশাআল্লাহ। আশা করছি খুব শিগরিই কমিটির পুরো নাম প্রকাশ পাবেে।
এবার মূল কথায় আসি, পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা এখন অনেকেই সন্তানের বাবা তাদের মনের ভেতরে জাগ্রত হয়েছে সন্তানদেরকে মানসম্মত শিক্ষা দেয়ার বিষয়টি। যুগউপযোগী শিক্ষা দিতে না পারলে তাদের সন্তানদের আগামী অন্ধকারচ্ছন্ন সেটি উপলব্ধি করছেন বারংবার।
সেই উপলদ্ধি থেকে বছরের পর বছর অভিভাবক, শিক্ষক, স্কুল পরিচালনা কমিটির সমন্বয় চেয়ে আসছেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু শিক্ষক, অভিভাবক, কমিটির সমন্বয় কখনোই হয়নি এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। সমন্বয় হয়নি বলেই আশানুরূপ শিক্ষার মান অর্জিত হয়নি। না হবার পেছনে আরো কিছু কারণ হলো শিক্ষক, অভিভাবক, কমিটির অসচেতনতা, অবঙ্গা, উদাসীনতা, জবাবদীহিতা অথবা উদ্যোক্তার অভাব!
অসচেতনতা, অবঙ্গা, উদাসীনতা, উদ্যোক্তা জবাবদিহিতা'র সমস্যা নিরসন করতে হলে একটি কার্যকর "প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ" গঠন করা জরুরী।
ছাত্র পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য থাকাও আবশ্যক। পরিষদ গঠন হলো, কয়েকটি ফটোসেশন করা হলো। পরিষদে কারা থাকলো তারা একটি তালিকা তৈরি হলো.... এই রকম হওয়াতে শেষ হয়ে গেলে এই রকম পরিষদ গঠনের কোনো প্রয়োজনীয়তা অমি অনুভব করিনা। "প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ" গঠন করতে হলে কাজ করার উদ্যমী ইচ্ছে নিয়ে করতে হবে, অক্লান্ত পরিশ্রম করার দৃঢ়তা নিয়ে করতে হবে।
কাজ করার উদ্যমী ইচ্ছায় "প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ" গঠিত হলে তারা শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে প্রত্যাশা রাখছি।
ছাত্র পরিষদ গঠিত হলে পরিষদ কি কাজ করবেন কি ভাবে করবেন আমি নিজের চিন্তা থেকে ছাত্র পরিষদের কিছু কার্যক্রম প্রস্তাব করছি।
"প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ"র প্রস্তাবিত কার্যক্রমঃ
১. শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষা বিষয়ে ব্যপক সচেতনতা সৃষ্টি করা।
২. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমস্যা নির্ণয় এবং সমাধানের পথ খোঁজে বের করা।
৩. কোনো বিষয়ে শিক্ষকের অভাব থাকলে প্রয়োজন সাপেক্ষে অভিভাবক সমাবেশ আহবান করে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে অনুদান আহবান করা। (যদি স্কুলে পর্যন্ত আর্থিক ফান্ড না থাকে)।
৪. স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বিষয়ে শ্রেণী শিক্ষকের সহযোগিতায় তথ্য নিয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তালিকা করে শিক্ষক এবং প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীর হোম ভিজিট করা। এবং পাপ্ত তথ্য গুলো একত্রিত করে আলোচনা সভার আয়োজন করে সমাধান বের করা।
৫. গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা, পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পরিবারিক অক্ষমতা দেখা দিলে "মেধাবী শিক্ষার্থী ফান্ড" গঠন করে তার শিক্ষা সচল রাখার ব্যবস্থা করা।
৬. "প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ বৃত্তি" নামে একটি বৃত্তি পরীক্ষ আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া। যাতে করে মেধাবীদের বাছাই করে পুরস্কারের মাধ্যমে শিক্ষায় বিশষভাবে উৎসাহিত করা যায়। এতে (স্পন্সর হতে পারে যেকোনো সংগঠন অথবা ব্যক্তি বিশেষ।)
৭. ছাত্রীদের নানারকম ভাবে উক্তক্ত করা হয় বলে বিভিন্ন সময় শোনা গেছে, ছাত্রীদের উত্তাক্ত করা বিষয়ে কোনো শাস্তি হয়েছে এমনটি শোনা যাইনি। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ছাত্রী হয়রানি শিকার হলে তার খোজ খবর নিয়ে প্রথমে সতর্কীকরণ, কাজ না হলে কঠোর ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া।
৮. স্কুলের চারপাশে ক্লাস চলার সময় এবং স্কুল ছুটির সময় বহিরাগত বকাটের আনাগোনা আছে বলে শোনা যায়। বহিরাগত যেন না আসে সেই ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া।
৯. কমিটির সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত গুলোর ব্যপারে সুুুস্পষ্টভাবে অবগত থাকা। এবং বাস্তবায়নের ব্যপারে খোঁজ খবর রাখা।
প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ গঠনের দাবি যেহেতু দির্ঘ দিনের সেহেতু একদিন না একদিন এটি বাস্তবায়ন হবেই। উদ্যমী "প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ" গঠিত হয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন