শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুক...
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ০৭ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:৪২:২৭ বিকাল
আমাদের চিন্তা চেতনার কিছুটা হলেও পরিবর্তন জরুরি তা নিচের লেখায় ফুটে উঠেছে বলে আমি মনে করি। ভিক্ষার থালা হাতে আমরা আর কত গুরবো আর কত???
শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুক
"""""""""""""""""""""
যৌতুক দেয়া এবং নেয়া
দুটোই অপরাধ,
এ কাজে তাই সর্বলোকে
জানায় নিন্দাবাদ।
যৌতুক নিয়ে বিয়ে-শাদি
করে থাকে যারা,
শ্বশুরবাড়ির নিম্নস্তরের
ভিক্ষুক হলো তারা।
নারী-পুরুষ যখন হবে
যুগলবন্ধি ভবে।
তখন তাদের পরস্পরের।
জীবন সার্থক হবে।
একারণে দুয়ের মাঝে
ঘটাতে মেলবন্ধন,
মানবরাজ্যে চলে থাকে
বিয়ের আয়োজন।
বিয়ে মানে হয়ে যাওয়া
দুজনে দুজনার,
সুখে-দুঃখে, মিলে মিশে
গড়া প্রীতির সংসার।
যৌতুকলোভী পাপীর কিন্তু
নেই এমন চেতনা,
নববধু হয় কেবল তার
যৌতুকের প্রেরণা।
যৌতুক অংকের যোগ বিয়োগে
হেরফের হয়ে গেলে,
এ পাপিষ্ঠ বধু নিয়ে
ত্রাসের খেলা খেলে।
বিয়ে করার প্রাক্কালে যে
সুপাত্রীর সন্ধানে,
নলার মজ্জা পানি করে
হেটে নানা স্থানে।
বহুদিনের সাধনায় তার
যে সুপাত্রী পাওয়া,
যৌতুক পেতে তাকেও সে
মারতে করে ধাওয়া।
দৈহিক ও মানসিক পীড়ন
চালায় তার উপরে,
চাকু এবং বেত মেরে তার
দেহ ক্ষত করে।
এ সমাজে আরো বহু
আছে নর পিচাশ,
যৌতুক পেতে বউকে মেরে
করে থাকে উল্লাস।
কেহ মেরে গরম পানি
ঝলসায় বধুর দেহ,
যে দেহ তার গড়ে পেয়ে
মাতাপিতর স্নেহ।
এভাবে যে কতো নারী
এ দেশের ভেতরে,
যৌতুক লোভীর নিপীড়নে
গিয়েছে কবরে।
নারীজাতি বলতে বুঝায়
মা, বোন, বধু, মেয়ে,
কেন তারা থাকবে বলো
এমন দুঃখ পেয়ে?
বিয়ের আগে নারীর মোহর
করতে হয় উসুল,
মুসলিমদেরকে এ নির্দেশ দেন
আল্লা' ও রাসুল।
এটি কিন্তু বৃদ্ধি করে
নারীদের সম্মান,
মানতে হবে এ নীতিটি
সকল মুসলমান।
শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুকেরা
সারা দেশে আজ,
কলুষিত করে রাখছে
নারীদের সমাজ।
বাংলাদেশের কুলাঙ্গার সব
এ ভিক্ষুকদের দলে
ঝাড়ু-জুতা মার তাদের
পেলে লোক সকলে।
বরে যৌতুক নেয়া হারাম
বলেছে ইসলামে,
এ আদেশ না মানলে কিন্তু
যাবে জাহান্নামে।
পাপ করো না এ ভিক্ষুকদের
করে ভিক্ষা দান,
যৌতুককে 'না' বলে বাড়াও
নারী জাতির মান।
......
লিখেছেনঃ মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
বিষয়: বিবিধ
১২৪৬ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এভাবে বলা ঠিক না নিজের ই শশুরবাড়ি তো!
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
মানতে হয় বউয়ের আজ্ঞা
তবে কেন যৌতুক নিয়ে
এত নিষেধাজ্ঞা
পুরুষ তথা স্বামীর দাপট আছে কি সংসারে
বউয়ের আজ্ঞাবহ হয়েই চলতে হয় যে তাকে
যৌতুকবিহীন বিয়েতে কি বউয়েরা হয় অনুগতা
সংসারের রাজ হাতে নিতে করে নানা ছুতা
অশান্তি আর অভিযোগের আগুন লাগায় সংসারে
শান্তি সেথায় মনে হয় ছিল না কোন কালে
এতই যখন অপমান , অবমান আর নেই সুখ
কি যায় আসবে হলে তাতে শশুড় বাড়ির ভিক্ষুক
মন্তব্য করতে লগইন করুন