ডানপন্থী আর বামপন্থী

লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১০:১২:৫৫ রাত



বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু,,

আদর্শের দিক থেকে এই দেশের মানুষ দুইভাগে বিভক্ত।ডানপন্থী আর বামপন্থী।

ডানপন্থীরা ধর্মের আলোকে সাজাতে চাই সবকিছু।

আর বামরা ধর্মকে শুধু আনুষ্ঠানিক ভাবেই দেখেন।

বামপন্থীদের সাথে মুসলিমদের একটু বিরোধ বেশি।কারণ ইসলাম শুধু ধর্ম নয় একটি জীবনব্যবস্থাও বটে।কিন্তু বেশিরভাগ ধর্মই আনুষ্ঠানিক। তাই তাদের সাথে বামদের তেমনন বিরোধ নেই।

আজ আমরা ধর্ম নিয়ে নয়,আলোচনা করব ডান বাম নিয়ে।

বাংলাদেশে বামের সংখ্যা হাতেগুনা,নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে হঠাৎ শহরে এসে যারা পড়ালেখা করে নতুন নতুন আদর্শের কথা শুনে আর নারীপুরুষ এর অবাধ মেলামেশা যাদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি করে তারাই মুলত বামপন্থার কর্মী যাদের বেশীরভাগি বাম আদর্শ সম্পর্কে অজ্ঞ।যারা লেনিন,চে,মার্ক্স সম্পর্কে কিছুই জানে না।তবে কিছু খাটি বামও আছে।মুলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছিল তাদের পথচলা।

আর বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ হল ডানপন্থী। তাদের মধ্যেও বেশীরভাগ গ্রামে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত।যারা ডানপন্থা সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখে না।শুধু আল্লাহর আর ধর্মের দিকে চেয়ে বামপন্থীদদের ঘৃণা করে।তবে শিক্ষিতদের মাঝেও ডানপন্থীরাই এগিয়ে।

তবে সংখ্যায় ডানপন্থীরা বেশি হলেও সবক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে।১৫%বামপন্থিরাই দেশের সবক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে,দিয়েছে।শুধু বর্তমান সরকার না আগের সরকারের সময়ো তারাই কলকাঠি নেডেছে।

এর কিছু কারণ

১.বামপন্থী রা শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়।আর তারা জানার জন্য জানানোর জন্য পড়ে।আর ডানরা পড়ালেখায় পিছিয়ে।আর যারা পড়ে তারা শুধু পেটের জন্য আর খ্যাতির জন্য পড়ে।

২.বামপন্থী সবাই কর্মী। তারা তাদের আদর্শের কাছে নত শির।আর ডানরা নেতা হতে ব্যস্ত।

৩.বামরা এলাকার প্রতিনিধি হলে আদর্শকেই সামনে রাখে।ডানরা আদর্শ নয় নিজেদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়।

৪.বামদের কাজের মান প্রশংসনীয়। আমরা সবাই জানি প্রথম আলো বামদের পত্রিকা।তবু আমরা তাউ পড়ি।কারণ নিঃসন্দেহে প্রথম আলোর মান সবচেয়ে ভাল।

৫.বামদের অর্থ খরচ করা হয় দেশের উচু লেভেলের কাজে।যেমন:গনিত অলিম্পিয়াড, বই মেলা,ক্লোজআপ ওয়ান।কিন্তু ডানরা নিজেদের জাহিরের জন্য ছোট খাট জায়গায় ব্যয় করে বেশি।

৬.আর আমরা ডানপন্থীরা কোন না কোন কারণে বামপন্থীদের হাতের পুতুল হয়ে যায়।

তবুও বলব ডানপন্থীদের এ সম্ভাবনা বেশি।কারণ তাদের সাথে আল্লাহ আছেন।আমরা যদি জ্ঞানর্জনে এগিয়ে যেতে পারি,কর্মি হতে পারি তাহলে আমরাই জয় করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

লিখেছেনঃ তরুণ লেখক মুহাম্মদ রেজাউল বাহার রাজা

বিষয়: বিবিধ

১৪৩৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375407
২৮ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:০৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি খুবই ভালো লাগলো ভালো লাগলো বামপন্থীদের সাথে মুসলিমদের একটু বিরোধ বেশি কারণ ইসলাম শুধু ধর্ম নয় ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার সাম
375409
২৮ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:১৩
আফরা লিখেছেন : বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু ঠিকই আছে তাই তারা ইসলামকে শুধু ধর্ম হিসাবেই মানতে চায় ইসলাম যে একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা সে হিসাবে মানতে চায় না ।

লেখক ও আপনাকে ধন্যবাদ ।
375428
২৮ জুলাই ২০১৬ সকাল ১১:৩২
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সংখ্যাধিক্য দিয়ে ইসলাম কোনদিন বিজয়ী হয়নি হবেওনা। যখন রাসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বলছিলেন, কিয়ামত নিকটবর্তী সময়ে অমুসলিমরা তোমাদের উপর ঝাপিয়ে পরবে, একে অপরকে তোমাদের উপর ঝাপিয়ে পরার আহবান জানাবে যেভাবে সিংহ শিকারের সময় একে অপররে আহবান জানায় শিকারের উপর ঝাপিয়ে পরার জন্য। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন হবে, তখন কি আমরা সংখ্যায় কম হব? রাসূল (সাঃ) উত্তর দিলেন, নাহ! তখন তোমরা সংখ্যায় হবে বিরাট কিন্তু তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদের কোন উপকারে আসবে না কারণ তোমরা দুনিয়ার জাক জমককে প্রাধান্য দিবে, দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিবে, মৃত্যুকে ঘৃণা করবে, দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা পরকালকে গুরুত্বহীন করে দিবে তাই আল্লাহ অমুসলিমদের তোমাদের উপর চাপিয়ে দিবেন, তাদের মন থেকে তোমাদের ভয় উঠিয়ে নিবেন, তোমরা অত্যাচারিত হতে থাকবে।
এতদিন এদেশের মানুষ খুব বড় মুখে বলত, হয়ত এখনো বলে ৯০% মুসলিমদের দেশ!! এই সংখ্যায় কি সত্যিই কোন লাভ আছে যখন তার ভিত্তিই নেই? তাই ডান বামের সংখ্যাধিক্য যাচাই করে লাভ নেই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File