ছন্দে ছন্দে আল-কোরআন সূরা আলাক ✔✔✔আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ১৩ জুন, ২০১৬, ০৭:২১:৪০ সন্ধ্যা
বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহীম
সূরা আলাক:১ এবং ২ আয়াত,
আপনার পালনকর্তার নামে পড়ুন
যিনি সৃষ্টি করেছেন,
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে
জমাট রক্ত থেকে।
সূরা আলাক:৩ এবং ৪ আয়াত,
আপনার পালনকর্তা
মহা দয়ালু, পড়ুন,
যিনি কলমের সাহায্যে
জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন।
সূরা আলাক:৫ এবং ৬ আয়াত,
মানুষ যা জানত না
আল্লাহ তা শিক্ষা দিয়েছেন,
সত্যি সত্যিই
মানুষ করে সীমালংঘন।
সূরা আলাক:৭ এবং ৮ আয়াত,
মানুষ নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে
এটাই সীমালংঘনের কারণ,
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই
হবে মানুষের প্রত্যাবর্তন।
সূরা আলাক:৯ এবং ১০ আয়াত,
আপনি কি দেখেছেন তাহাকে?
যে নিষেধ করে?
এক বান্দাকে যখন
সেই বান্দা নামায পড়ে?
সূরা আলাক: ১১ এবং ১২ আয়াত,
আপনি কি দেখেছেন
যদি সে সৎপথে থাকে।
অথবা আল্লাহ ভীতি
শিক্ষা দিতে তাকে।
সূরা আলাক:১৩ এবং ১৪ আয়াত,
আপনি কি দেখেছেন, যদি সে
মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেন।
সে কি জানে না যে,
আল্লাহ দেখছেন?
সূরা আলাক:১৫ এবং ১৬ আয়াত,
কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে
হেঁচড়াবই আমি ধরে মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ,
সেই মিথ্যাচারীর,
মহা পাপীর কেশগুচ্ছ।
সূরা আলাক:১৭ এবং ১৮ আয়াত,
অতএব, সে আহবান করুক
তার সভাসদদেরকে,
আমিও আহবান করব
জাহান্নামের প্রহরীদেরকে।
সূরা আলাক:১৯ আয়াত,
কখনই নয়, হতে পারেনা
আপনি তাদের আনুগত্য করবেন না।
আপনি সেজদা করুন
ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন।
বিঃদ্রঃ ভুল হলে আমার কোরআনে কোন ভুল নেই।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর উদ্যোগ মাসাআল্লাহ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সূরা আল্ আলাকের কাব্যানুবাদ
-মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম
শুরু করলাম মহান আল্লাহর নিয়ে নাম
যার দয়া, অশেষ কৃপা, জগতে অফুরান।
পাঠ করুন, সৃষ্টিকর্তা যিনি মহান প্রতিপালক
মানুষকে করেছেন সৃজন, তিনি বিশ্বনিয়ন্ত্রক।
পাঠ করুন, পালনকর্তা, দয়ালু দাতার নামে
যিনি শিখিয়েছেন মানুষকে, হাতে-কলমে।
শিক্ষা দিয়েছেন এমন কিছু যা সে জানত না,
নিশ্চয়ই হে মানব! কখনো সীমাতিক্রম করো না।
তিনি নিজেই অভাবমুক্ত, তাঁর দিকে হবো প্রত্যাবর্তন
আপনি কি দেখেছেন, যে করে কেবল বারণ?
এমনি এক বান্দা, সালাত আদায় করে যখন
আপনি কি দেখেছেন? সে হেদায়েতে থাকে তখন।
কাজেই সে আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ দেয়
আপনি কি দেখেছেন, মিথ্যার আশ্রয় এবং সে মুখ ফিরিয়ে নেয়?
জানে সে অবশ্যই, আল্লাহতায়ালা সবই দেখছেন
যদি সে কখনো বা বিরত না হন?
তাকে অবশ্যই টেনে আনা হবে মাথার চুল ধরে
মিথ্যাবাদীর মাথার চুল, পাপিষ্ঠকে অপমানিত করে।
সে নিজের মজলিসে ডেকে আনুক বন্ধুদেরই
আমি ডাকব জাহান্নামের প্রহরীদের শীঘ্রই।
কখনো করবেন না আপনি তাকে অনুসরণ,
আপনার কাজ সিজদা করা এবং নৈকট্য অর্জন।
===
সেটাতো কোরআনে বলাই আছে! আপনি বললেই কি না বললেই কি!
খুব সুন্দর জ্ঞানের কথা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন