প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে..... হবে.... ✔✔✔আব্দুর রহিম

লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ১৬ মে, ২০১৬, ০৫:০০:২২ বিকাল



আগের জামানায় মানুষ আলেমদের কথা গুলো বিশ্বাস করতো অন্ধের মত! বিশ্বাস করে কাজে পরিনত করার চেষ্টা করতেন। বর্তমান সময়ে মানুষ আলেমদের কথা গুলো শুনে যাচাই করার চেষ্টা করেন, কথা গুলো কোরআন সুন্নাহ মেনে বলা হয়েছে নাকি মনগড়া!!

অনেক আলেম কোরআন সুন্নাহর বাইরে মনগড়া কিচ্ছা কাহিনী বলে মানুষের মাঝে আবেগ সৃষ্টি করে কাঁদিয়ে দেন! সব সময় মিথ্যা কথা সুমিষ্ট থাকে!! আবেগ সৃষ্টি করা কথা মানুষের মনে স্তির থাকে বেশিদিন, আবেগ সৃষ্টি করা কথা গুলো শুনে মানুষ ইসলামের নামে ইসলামের বাইরের কিছু মেনে চলে!!! যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয় কুফিরির আসংঙ্কা তৈরি করে।

সেই জন্য পরিবর্তন জরুরি...

বর্তমান সময়ে সচেতন মানুষের কাছে মনগড়া কথা ইসলামের নামে চালানো খুব একটা সহজ নয়। এখন অহরহ কোরআনের অনুবাদ পাওয়া যায়। হাদিসের অনুবাদ পাওয়া যায়। সুতরাং যাচাই করে দেখছে সচেতন মুসলিমরা....!

আগামীর আলেম সমাজকে পরিবর্তন আনতে হবে ওয়াজ করার সময়। তথ্য দিতে হবে কোরআন থেকে কথা বললে কোরানের কত নাম্বার আয়াত, হাদীস থেকে কথা বললে কত নাম্বার হাদীস তা উল্লেখ করতে হবে।

এটা করতে পারলে মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিমরাও উপকৃত হবে, তাদের মনে ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে। যেহেতু কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য, সেহেতু ইসলাম ধর্মের সঠিক ধারণা সর্বচ্চো প্রচারের জন্য আলেমদের এই বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে।

কোরআনের আয়াতে সুস্পষ্ট করে উল্লেখ আছে ইসলামই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র দ্বীন।

উল্লেখঃ সুরা আল-ইমরান আয়াত

فَلَنۡ يُّقۡبَلَ مِنۡهُ‌ۚ وَهُوَ فِىۡ الۡاٰخِرَةِ مِنَ الۡخٰسِرِيۡنَ﴾

৮৫.) এ আনুগত্য (ইসলাম) ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় তার সে পদ্ধতি কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ব্যর্থ, আশাহত ও বঞ্চিত।

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

369266
১৬ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:৪২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কোন বিষয় সম্পর্কে আমার জানা আছে, এটা হারাম, কিন্তু কুরআনের কত আয়াত, কিংবা কোন হাদীসে আছে, তা তাতক্ষনিক ভাবে জানানো মুশকিল, তখন নিয়ম হচ্ছে, তার কাছে এক দুইদিন সময় চেয়ে নেওয়া।
কিন্তু কেউ যদি বলে, আপনি এখনই আমাকে প্রমাণ দেখান, কুরআনের কোথায় লেখা আছে তা হারাম অথবা জায়েজ, তখন এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়।
এই জন্য, যেখানে সেখানে জায়েজ নাজায়েজের মাসয়ালা না দিয়ে কিছুটা সময় কারো সাথে বসে সুস্পষ্ট কুরআন হাদীসের আলোকে বুঝিয়ে দেওয়া।
ধন্যোবাদ জনাব।
১৭ মে ২০১৬ রাত ০২:৪৪
306544
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
প্রথম মন্তব্যের জন্য .....
শুভেচ্ছা।


হ্যাঁ একমত ততক্ষানিক বলা মুশকিল এটা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছি, সময় চেয়ে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।

আমি এবার দেশে গিয়ে কয়েকটি ওয়াজ মাহাফিলে গিয়েছি, সেখানে দেখেছি এক এক জনের ওয়াজ এক এক রকম একই বিষয়ের উপর, আমরা ২/৩ জন এক সাথে ওয়াজ শুনে ফেরার ভিন্ন ভিন্ন মতামতের বিষয়ে আলোচনা করেছি।

প্রার্থক্য গুলো আমি বা আপনি কিছুটা বুঝলেও অনেকে বুঝেনা যারা বুঝেনা তারা দৃধাদন্ধে পড়ে যায়।

সেই জন্য আলেমদের পরিবর্তনের কথা বলছি। আলেমরা যদি ওয়াজ করার সময় বিষয় বিত্তিক কোরআন ও হাদীস নাম্বার নোট করে তারপর ওয়াজ করে তথ্য দিয়ে তা হলে দৃধাদন্ধ কিছুটা হলেও কমে যেতো

মানুষ জানতে পারতো কোথা থেকে কথা গুলো বলা হয়েছে।
369279
১৬ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
১৭ মে ২০১৬ রাত ০২:৪৫
306545
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ভালো লাগা অব্যাহত রাখার জন্য
369285
১৬ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মনগড়া কথা ইসলামের নামে চালানো খুব একটা সহজ নয়। এখন কোরআনে হাদিসের অনুবাদ পাওয়া যায়। সুতরাং যাচাই করে দেখছে সচেতন মুসলিমরা এবং তা দেখাও জরুরী ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
১৭ মে ২০১৬ রাত ০২:৪৮
306546
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ, তবে এখনো জেনে মেনে চলার মানুষের সংখ্যা খুবই কম, এখনো দেশে কবর পুজার ভিত মজবুত!

আলেমরা যদি তথ্য দিয়ে আলোচনা শুরু করে তবে জেনে মানার চর্চা আরো গতিশীল হবে।
369294
১৬ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : শুধু আয়াত নাম্বার আর হাদিসের নাম্বার বললে হবে না, শ্রোতাকে সেই কুরআনের পাতা উল্টিয়ে ঠিক ঐ আয়াত কিনা দেখতে হবে।

অনুরুপ হাদিসের বই আর নাম্বার বললে মেনে নেওয়া বুদ্ধি মানের কাজ নয়, বরং রেফারেন্স অনুযায়ী ঐ হাদিস ঐ কিতাবে আছে কিনা দেখতে হবে।

যদি কুরআন ও হাদিদের কিতাব উল্টিয়ে না দেখে তবুও অন্ধ অনুস্মরণ হতে।

ভবিষ্যৎ আলেমদের কিন্তু বেশি করে আয়াতের নাম্বার আর হাদিসের নাম্বার মুখস্ত করতে হবে।

যেন চাওয়া মাত্র রেফারেন্স পাওয়া যায়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ

১৭ মে ২০১৬ রাত ০২:৫১
306547
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্য করেছেন, আয়াত নাম্বার হাদীস নাম্বার নিয়ে বসে থাকলে চলবেনা যাচাই করতে হবে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
369307
১৬ মে ২০১৬ রাত ০৮:১৮
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম

এই কোরআন, হাদিসের রেফারেন্স দিতে গিয়ে তো
ডা জাকির নায়েক, কাফের উপাধি মাথায় নিয়ে ঘুরছেন Broken Heart
১৭ মে ২০১৬ রাত ০৩:০৫
306548
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওয়ারাহামতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। ডাঃ জাকির নায়েক যেভাবে কথা বলেন তা যদি রেফারেন্স ছাড়া বলতেন তাহলে তাকে ইন্ডিয়ান সরকার মৃত্যুদণ্ড দিতো।
ক্রিস্টিয়ানেরা ইন্ডিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিতো। কেন তিনি বাইবেলের নামে আজেবাজে কথা বলেছেন অভিযোগে।

ইহুদিরাও তাই করতো!!!

তিনি রেফারেন্স দেন বলেই তার কারণে পৃথিবীতে ইসলাম গ্রহণের গণজোয়ার শুরু হয়েছে আল্লাহর রহমতে।

কাফের উপাদি কারা দিচ্ছে? কাফের উৎপাদিতো তারাই দিচ্ছে যারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করছে। যারা কবর পুজা করছে।


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং...।
369320
১৬ মে ২০১৬ রাত ০৯:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : এরকম টাক হবার মাজেজা কি ? এরা কি ওমরাহ করে এসেছে ? বৌদ্ধদের মধ্যে এরকম দেখা যায় । এরা ''ভি'' চিন্হ দেখাচ্ছে কেন ?
১৭ মে ২০১৬ রাত ০৩:১১
306549
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ছবিটি প্রতিকি ছবি! বাংলাদেশের হাফিজ (এতিম) খানা গুলোতে মাথা ন্যাড়া করে খরচ কম হবার জন্য।

অনেক সময় এক সাথে সবাইকেও ন্যাড়া করা হয়, ন্যাড়া করার সময়ে কেউ কৌতুহলী হয়ে হয়তো ছবি তুলেছে ভি চিন্হ যোগ্য করে!!
ফেসবুক থেকে ছবিটি নেয়া হয়েছে।
369334
১৬ মে ২০১৬ রাত ১১:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ মে ২০১৬ রাত ০৩:১২
306550
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ভালো লাগা মতামত জানাবার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File