এবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার পালা....! ✔✔✔আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ০৭ মার্চ, ২০১৬, ০২:২২:৫৯ রাত
আমরা যখন আমিতে আসতে
পারবো তখন পাবো সফলতা,
এক এক করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
থাকলে পিছু ছাড়বেনা ব্যর্থতা।
আমরা অধম আমরা অবুঝ
এক হয়ে বলিনা কথা,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে বলতে গিয়ে
এক ধমকে চলে আসে স্তব্ধতা।
হূদয়ের হুংকারে নিঃসক্রিয় হবেনা;
চলে আসা শত অন্যায় অনাচার,
আমরা এক হতে না পারলে
সইতে হবে অসভ্যতা মনতে হার।
মানুষত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে
অন্যের বিরুদ্ধে তুলতে হবে হুংকার,
এক পথে মিলে চলতে ও বলতে -
পারলে বাঁধার পাহাড় হবে ভেঙে চুরমার।
আমি সেরা আমি সেরা বলে বেড়ানোর
অহংকারের পাঠশালায় দেতে হবে থালা,
সবাই আমরা এক সমান মেনে নিয়ে
এবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার পালা।
সমাজের যৌতুক নামে এই অনাচার
রুখতে এক হতে হবে কঠিন প্রতিঙ্গায়,
তরুণরা সঙ্গবদ্ধ হও খবর নাও যৌতুকের
লেনদেন হচ্ছে কোথায়......!
সমাজে যৌতুকের তুফান থামিয়ে দেব
প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে তারুণ্যের ঐক্যে,
তোমরা এক হও এক হও
যৌতুক বিহিন সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৫ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এর ব্যাত্যায় ঘটলে সংসারে শান্তি আসবে না । আপনি যদি স্ত্রীর প্রতি প্রয়োজনের চেয়ে বেশী গদ গদ হয়ে যান তাহলে সে আপনাকে ডমিনেট করা শুরু করবে , এক্ষেত্রে শরিয়তকে সে থোড়াই কেয়ার করে.
শরিয়তের এই দিকটা মেয়েরা কখনই পছন্দ করে না যে , সে লিমিট ছাড়িয়ে গেলে স্বামী তাকে প্রহার করতে পারবে । এজন্য সে আল্লাহর আইনের বিপরীতে মনুষ্য আইনের আশ্রয় নেয় ।
এটাকে সে নিজের জন্য যথেচ্ছ ব্যবহার করে ।
আল্লাহর আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মনুষ্য আইন গ্রহন করে যদি মেয়েরা দাপট চালিয়ে বেড়ায় , স্বামীকে নারী নির্যাতন আইনের মামলায় ফাঁসানোর থ্রেটে রেখে যদি সংসারে বেশরিয়তীভাবে অযাচিত বসিং করতে পারে , তাহলে পুরুষরা যে যৌতুক নেয় সেটা খারাপ হবে কেন ?
আইন করে যদি বেশরিয়তীভাবে নারীদের ফেভার করা হয় তাহলে এরকম আইন পুরুষদের জন্য নয় কেন যে তারা যৌতুক নিতে পারবে চাহিদামত ?
মনুষ্য আইনের সুফল স্বরুপ উনারা বেশরিয়তীভাবে চলে ভালই রাজ করতেছে আর পুরুষেরা শরিয়ত মেনে কেন মাথানত করে থাকবে ?
আমি যৌতুকে পক্ষে । যৌতুক নেবার ফলে একটা সংসারে স্বামী তার স্ত্রীকে তার বাবা তাকে যে পেসে চালিয়েছে সেরকম / তার কাছাকাছি পেসে চালাতে পারে । যেটা ১/২ বছর চাকরি করে সম্ভব না কখনই ২০-২২ বছর ধরে চাকরি করা লোকের তুলনায় । তাছাড়া যৌতুকের জন্য স্বামী তার স্ত্রীকে যে এই মারে তো সেই মারে এতে সংসারে স্বামীর আধিপত্য তৈরি হয় / বিরাজ করে । যেটা একটা সুশৃঙ্খল পরিবার তথা সমাজ গড়তে আবশ্যক ।
হোক সেটা বেশরিয়তী । বেশরিয়তী কাজ কি হয় না সমাজে ? বেশরিয়তী কাজ করে কি অন্যেরা খারাপ আছে ?
শরিয়ত মানার ঠেকা কি শুধু পুরুষ মানুষদের?
আমরা পুরুষরাই যৌতুকের সংস্কৃতি আমদানি করেছি অতীতে, এই সংস্কৃতি শুধু নারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তা নয়! যৌতুক সংস্কৃতির কারনে ছেলেরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
যেহেতু পরিবারের খরচের দায় ভার পুরুষের উপর থাকে সেহেতু মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার সময় যৌতুকও "বাবা" নামক ছেলেকেটিকে বহন করতে হয়।
সুতরাং যৌতুক বিরোধীতা শুধু মাত্র নারীর জন্য নয়, পুরুষের জন্যও বটে।
সমাজে থেকে যৌতুক নামক ভাইরাসের মৃত্যু হোক এটাই প্রত্যাশা। নারী পুরুষ সবার ভালোর জন্য।
শরিয়ত মানা না মানার ব্যাপারে যৌতুক কখনো পেক্টর হতে পারেনা, যৌতুকের জোর দিয়ে শরিয়ত চাপিয়ে দিতে গেলে ধর্ম বিদ্ধেষীর আবির্ভাব হবার সম্ভবন তৈরি হয়।
ধন্যবাদ যুক্তি নির্ভর মন্তব্যটি করার জন্য।
তাতে মেয়েরাও সস্তিতে নেই!!
এই যৌতুকের কারনে মেয়েরা বাবার বোঝা হয়ে থাকতে হ!!
ভাইদের বোঝা হয়ে থাকতে হয়।
যৌতুক সমাজে না থাকলে বোঝা হয়ে থাকতে হতোনা মেয়েদের।।
বেশিরভাগ সময়ই সংসারে যৌতুকের কারনে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। যৌতুক দিয়ে বিয়ে করে দম্ভ করে মেয়েটি শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে অহংকারি উক্তি ব্যবহার করে বসে। যেমনঃ জামাই নিয়েছি টাকা দিয়ে কিনে.....।
এমন অহংকারী উক্তি মুখ ফসকে বের হয়ে গেলে সংসারে শান্তি ফেরানো মুশকিল!!!
সুতরাং সংসারের শান্তির প্রয়োজনে উভয় পক্ষের উচিত যৌতুকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।
ভালমানুষী করে যৌতুক না নিলে কি কোন স্ত্রী তার স্বামীর উপর বসিং করা বাদ দেয় বা সংসারে অশান্তি করে না ? ভালমানুষ হয়ে যদি শান্তিতে না থাকা যায় তাহলে খারাপ হয়েই অশান্তিতে থাকলে সমস্যা কোথাও?
ভালো মানুষী করেও শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটলে যে ভালো মানুষী ছেড়ে দিতে হবে এমনটা হওয়া মোটেও উচিত নয়।
যদিও বর্তমান সমাজে ধৈর্যের মানসিকতা ক্রমাগত কমছে।
আমি মনে করি সমস্যার মূল কারন গুলো খুঁজে তার সমাধানের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে তবেই আমরা একদিন শন্তি ফেরাতে পারবো সমাজে।
ধন্যবাদ।
আচ্ছা, এতো সুন্দর সুন্দর কথা ছন্দ মাথায় আসে কেমতে?
ঐঐঐঐঐঐ.... আপনি এত সুন্দর সচেতনতা মুলক লিখেন লাম্বা করে, আমিতো তা পারিনা। আমি যা পারি তাই লেখার চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ। রসালো মন্তব্যের জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন