আত্ম ত্যাগের কোরবানী ও সুমীর বিয়ের পর প্রথম শশুর বাড়িতে সামাজিকতার কোরবানী! এবং তাকওয়া....! ✔✔✔আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৬:৩৭ সন্ধ্যা
সুমীর বিয়ে হয়েছে ৭/৮ মাস হলো, সুমীর স্বামী শাব্বির মোটামুটি সচ্ছল পরিবারের সন্তান, তার বন্ধুবান্ধব বেশী, হাত খোলে টাকা পয়সা ব্যায় করতে পারলে বর্তমান সমাজে বন্ধুবান্ধবের অভাব হয়না, সুমীর স্বামীর বেলায়ও তাই......।
সুমীর বিয়ে হয় এক কাকতালীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে.....
ঘটনা ১. সুমীর খালাকে আনা হয়েছে হসপিটাল থেকে, খবর পেয়ে সুমীর মা শাহানা একমাত্র বোনকে দেখার জন্য অস্থির শাহানা স্বামীর অনুমতি নেয় একমাত্র বোনকে দেখতে যাবার জন্য, সুমিও বায়না ধরে খালাকে দেখতে যাবে।
চট্টগ্রাম মেড়িকেল কলেজে সুমী'র খালার সফল অস্ত্রোপচার হয়, ওনার কিডনিতে পাথর হয়েছিলো.....! সুমী ও সুমীর মা শাহানা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে বিকাল ৪ টার দিকে, পৌঁছেই দির্ঘ্যদিন দেখা না হওয়ার বেদনা ভরা হূদয়ের আকুতির কান্নায় অশ্রুই ভেজা চোখ উভয়ের!!
সুমীরা আজ রাতে খালার বাড়িতেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত, পর দিন সকলে চলে যাবে.... রাত শেষ, পর দিন সকালে নাস্তা সেরে চলে আসবে নিজ বাড়িতে, বাড়িতে চলে আসার প্রস্তুতি কালে সুমীর খালার পাশের বাড়ির ঘনিষ্ট একজন সুমীর মায়ের সাথে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন!! কি কথা তা জেনে সুমীর মা কথা বলবেননা বলে জানিয়ে দেন।
সুমীর মা বলেন সুমীর মূল অভিভাবক সুমীর বাবা, ওনিই এ ব্যাপারে কথা বলবেন....।
সুমীর বিয়ের ব্যাপারে কথা না বললেও সুমীকে যে পছন্দ হয়েছে তা জানাতে কার্পণ্য করেনি শাব্বির এর মা..... শাব্বিরের মা এসেছিল সুমীর খালাকে দেখতে, সুমীর আচার আচরণ পোশাক আশাক চলাফেরা দেখে শাব্বিরের মা ছেলের জন্য পছন্দ করেছে সুমীকে। পছন্দের কথা শুনেই শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরলো মা মেয়ে.....!
ঘটনা ২. কয়েক দিন পর শাব্বিরের পরিবারের পক্ষ হতে পারিবারিক ভাবে সুমীকে দেখতে যাবার আমন্ত্রণ জানায়...! সুমীর পরিবারের পক্ষ থেকে জাননো হয় আমরা কয়েক দিন সময় চাই, কয়েক দিন সময় নেয়ার উদ্দেশ্য হলো শাব্বির ও শাব্বিরের পরিবার ও পরিবেশ এবং ধার্মিকতার বিষয়টি জেনে নেয়া।
সুমীর পরিবারের পক্ষ হয়ে শাব্বিরের ব্যপারে বিস্তারিত জেনে সুমীকে দেখতে আসার আমন্ত্রণ গ্রহণের সংবাদটি জানিয়ে দেয়।
সংবাদ জেনে শাব্বিরের পরিবারের সবাই খুশি, শাব্বিরের পছন্দ হলেই সুমীকে ছেলের বউ করে ঘরে তুলবে, এমনটাই শাব্বিরের মায়ের অভিব্যক্তি!
সুমীকে দেখতে যাবার প্রস্তুতি শেষ করে, শাব্বির ও তার ছোট বোন এবং মা এক সাথে একটি সিএনজি অটো রিক্সায় করে সুমীদের বাড়িতে যায়। নাস্তা পর্ব শেষ করে, বাকি সুমীকে দেখার আনুষ্ঠানিকতা.....!
সুমীকে নিয়ে আসা হলো...... কিছুটা দূরত্ব রেখে সামনা সামনি বসানো হলো, পাত্র-পাত্রী উভয়েই শারীরিক ভাষায় লাজুকতার প্রলাপ! শাব্বিরের ছোট্ট বোন ইশারায় ইংগিত করে বড় ভাইকে সুমীর সাথে কথা শুরু করার জন্য! শাব্বির কথা শুরু করে....
শাব্বিরঃ- আস্সালামু আলাইকুম, আপনার নাম কি?
সুমীঃ ওয়ালাইকুম সালাম ওরাহামতুল্লাহি ওবরাকাতহু। আমার নাম নাসরীন সুলতানা সুমী।
শাব্বিরঃ- পড়াশোনা কতটুকু করেছেন? কোন স্কুলে?
সুমীঃ- জবাব দেয়।
শাব্বিরঃ - ইসলামের ৫টি স্তম্ভ কি কি? সুরা ফাতেহা এবং সুরা ইখলাস অনুবাদ সহ জানান প্লিজ।
সুমীঃ- চটপট বলে দেয়।
শাব্বিরঃ- সব শেষে সুমী মা বাবা ও পরিবারের সদস্যদের নাম জানতে চায়।
সুমীঃ- জবাবে সবার নাম বলে ।
শাব্বিরের প্রশ্ন করা শেষ করে, বলেন আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বলতে পারেন..... সুমী নাম জানতে চায় কয়েকটি প্রশ্নের পর সুমী বলে আপনি কি নিয়মিত নামাজ আদায় করেন? ?সুমীর প্রশ্নে শাব্বির কিছুটা বিব্রত হয়! বলে নামাজ কিছুটা অনিয়মিত! ! প্রশ্ন উত্তর পর্ব শেষ করে সুমী চলে যায় তার রুমে।
শাব্বিরের মা ইশারায় জানতে চাই ছেলের কাছে মেয়ে পছন্দ হয়েছে কিনা! শাব্বির হা সুচক ইংগিত করে মাথা নাড়ায় লজ্জামাখা চেহারায়। শাব্বিরের মা সুমীর মাকে জানায় ছেলের পছন্দের কথা...! সব সৌজন্যতা শেষ করে এবার বিদায়ের পালা....। উভয় পক্ষ সিদ্ধান্ত নিলো আসছে শুক্রবার ছেলের বাবা ও মেয়ের বাবা এক সাথে বসে বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। এই কথা গুলো বলেই শাব্বিরের মা শাব্বিরের বোন শাব্বির বিদায় নেয়।
ঘটনাঃ ৩. শাব্বিরের বাবা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে সুখবর জানার জন্য! তিনি অবশ্য এর আগেও এই ধরনের অপেক্ষা করে কয়েক ববার হতাশ হয়েছেন! ! তার পরও বাবার মনতো এমনই ছেলে খুশি হলেই বাবাও খুশি। সিএনজি অটো রিক্সা বাড়ির উঠোনে এসে দাড়াতেই অপেক্ষার পালা শেষ হলো শাব্বিরের বাবার।
শাব্বির ড্রাইভারকে বিদায় করতেছে... এই দিকে শাব্বিরের মা হাসি ভরা মুখে শাব্বিরের বাবাকে আলহামদুলিল্লাহ মেয়েটিকে পছন্দ হয়েছে ছেলের.... .... .... .... .... শাব্বিরদের ঘরে যেন ঈদের খুশি! !! শুক্রবার আসার বাকি মাত্র ৩ দিন, শুক্রবারে জুমার নামাজের পরে আলোচনার ব্যপারে অবগত করে দেন শাব্বিরের মা শাব্বিরের বাবাকে।
এই দিকে সুমীদের বাড়িতে আলোচনা হচ্ছে.... ছেলে কেমন হবে! ইত্যাদি ইত্যাদি। সুমীর মা সুমীর কাছে জানতে চাই ছেলে পছন্দ হয়েছে কিনা! !! সুমী বলে হ্যাঁ মা পছন্দ হয়েছে... তবে আমার একটি শর্ত আছে...!!!! কি শর্ত বল... ((( শাব্বির বলেছে তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েনা!! ওনাকে বলতে হবে নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে))) সুমীর মা হতভাগ!! ছেলেদেরকে শর্ত দিয়ে আজকাল বিয়ে হয়?! সুমীর মা বলেঃ বিয়ে হয়ে গেলে বিয়ের পর এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলিস এখন এসব কথা তোলার দরকার নেই ....!! সুমী বলেঃ মা আমিতো আর কোন কঠিন শর্ত দিচ্ছিনা, মা, অনুগ্রহ বাবাকে বলবে এই বিষয়ে ওনাদের সাথে কথা বলতে। আচ্ছা ঠিক আছে..........!!
ঘটনা ৪. শুক্রবার জুমার নামাজ সুমীদের বাড়ির পাশের মসজিদে পড়ার সিদ্ধান্ত নেয় শাব্বিরের বাবা, সুমীর বাবা সহ জুমার নামজের পর সুমীদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে। দুপক্ষের মাঝে কথা হয়। কথাবার্তা পাকাপোক্ত করে নেয় বিয়ের ব্যাপারে! এখন দিন তারিখ ঠিক করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করাটাই বাকি। দিন তারিখ ঠিক করে বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেয়। বিয়েতে যৌতুকের দাবী না থাকলেও সুমীর বাবা উপহার হিসাবে ৮০ হাজার টাকার ফার্নিচার ও ফ্রিজ এবং ৩০০ মানুষ বর যাত্রী খাওয়ায়! !! বিয়ের পর মৌসমী পিঠা, ফল, ইত্যাদি সমাজের সংস্কৃতি অনুযায়ী দিয়ে আসছে।
বিয়ে হয়েছে ৭/৮ মাস হলো, কয়দিন পর এখন ঈদুল আযাহা........ চট্টগ্রামের বিশেষ সংস্কৃতি হচ্ছে বিয়ের পর প্রথম বছর কোরবানীর. সময় মেয়ের শশুর বাড়িতে কোরবানীর জন্য পশু দেয়া। গরু, মহিস, ছাগল অথবা বেড়া দেয়া!! [[চট্টগ্রামের বিশেষ সংস্কৃতি বলছি বাংলাদেশের অন্য এলাকার বিষয়ে খুব বেশি জানিনা। ]]
জামেলা এড়াতে সুমীর বাবা শাব্বিরের সাথে আলোচনা করে, বাবা শাব্বির কোরবানীর ঈদেতো পশু দেয়া হয়,!! এখন কি দেব ভাবছি.....! কি দিলে ভালো হয়? ? শাব্বিরঃ আব্বা মান সম্মানের প্রশ্ন দিলে এলাকায় বদনাম না হয় মত করে দিয়েন.....!
সুমীর বাবা কথা শুনে নিজের ভেতরে *থ* মেরে গেছেন! বিয়েতে সামাজিক সংস্কৃতি বিবেচনা করে বাগানের গাছ বিক্রি করে বিয়ের আয়োজনের খরচ মিটাতে হয়েছে, বিয়ের অন্যান্য খরচের জন্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা দার হয়েছে!! এখন বদনাম না হবার মত করে গরু কিনে দিতে গেলে অন্তত ২০/২৫ হাজার টাকা লাগবে। বিয়ের প্রথম বছর বলে দিতেই হবে কি আর করা!! সুমীর বাবা সিদ্ধান্ত নেয় গরু কিনে দেবে প্রয়োজনে ২৫ হাজার টাকার অগ্রীম জমির ধান বিক্রি করবে! ! অগ্রীম ধান বিক্রি করে কোরবানীর জন্য বদনাম না হবার জন্য গরু কিনে দেন!!!!। সুমীর বাবা সিদ্ধান্ত নেয় এই বছর কোরবানী দেবোনা!! !!!
সুমীর বাবার কিনে দেয়া গরু কোরবানী করবেন শাব্বিরের পরিবার।
প্রশ্ন হচ্ছে কুসংস্কৃতির সামাজিক দায়বদ্ধতার বেড়াজালে বন্দী হয়ে যে গরু দেয়া হলো তা দিয়ে কি কোরবানী হবে?? ?
ঈদুল আজহার মর্ম কথা হলো তাকওয়া।
তাকওয়ার পূর্ণ অর্থ হলো মুমিনের সেই সঙ্কল্প যাতে প্রয়োজনবোধে সে তার সব কিছু এমনকি তার নিজের জীবনটিও আল্লাহর পবিত্র নামে কোরবানি করতে সদা প্রস্তুত। কুরআন শরীফেও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষিত হয়েছে আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না (কোরবানির পশুর) রক্ত, পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।
কোরবানি হলো উৎসর্গের আনন্দ উৎসব। পশু কোরবানি এখানে মুখ্য নয়। মুখ্য হলো মনের পশুত্বকে কোরবানি করা। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ কোরবানি করে তাকওয়া অর্জনই মূল লক্ষ্য। আল্লাহর ইচ্ছায় তার সন্তুষ্টির জন্য একজন মুসলিম যে নিজের জীবন ও অর্থ সম্পদ কোরবানি দিতে সদা প্রস্তুত, পশু কোরবানির মাধ্যমে সে এ কথার প্রমাণ পেশ করে।
প্রশ্ন হলো লোক দেখানো মানে সম্মান রক্ষা করতে বা বদনাম রুখতে উপহার দেয়া পশু কোরবানী দিলে কি তাকওয়ার অধিকার আদায় হবে? কোরআনের কথা অনুযায়ী কোরবানী হবেনা । তাকওয়ার পূর্ণতা অর্জিত না করতে পারলে সমাজের এই কুসংস্কৃতি আমাদেরকে জাহান্নামের দরজায় পৌঁছে দেবে!! !!
আল্লাহ আমাদেরকে কুসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে মুক্ত করুন, এবং আমাদেরকে সঠিক পথ দেখান। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৩৫৫৫ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক সুন্দর পারিবারিক সর্ম্পকিত লেখাটি শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ । আপনাকে ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক !!
[img]http://www.bd-monitor.net/blog/bloggeruploadedimage/nor15/1442236133.jpg[/im[/b]g] [/b] পরিবার তথা সামাজিক সংস্কৃতি আমাদেরকে আল্লাহর কাজ থেকে সরিয়ে শয়তানের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে!! আমরা সচেতন হতে না পারলে আমাদের এই অসচেতনতা আমাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে ছাড়বে!!
আল্লাহ যেন আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করেন, আমিন।
আপনার দেয়া অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করলাম। আপনাকেও অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।
পরিবার তথা সামাজিক সংস্কৃতি আমাদেরকে আল্লাহর কাজ থেকে সরিয়ে শয়তানের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে!! আমরা সচেতন হতে না পারলে আমাদের এই অসচেতনতা আমাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে ছাড়বে!!
আল্লাহ যেন আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করেন, আমিন।
আপনার দেয়া অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করলাম। আপনাকেও অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।
মানসিকতার পরিবর্তন না হলে
সামাজিক পরিবর্তন কোন ভাবে সম্ভব নয়।
আমাদের সচেতন হতে হবে এবং তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
আমি বিয়ে করার ১১ মাস পর কোরবানীর ঈদ আসে কোরবানীর ঈদ অতিক্রম করার জন্য আমি ১ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে প্রথমে আমার পরিবারকে বুঝিয়েছি আর আমার বাবা তাকে দিয়ে আমার শশুর শাশুড়িকে বুঝতে সক্ষম হয়েছি। এবং আমার বেলায় ত্যাগ করেছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কিছু শক্তি নিয়ে আসছি
ভুল করবেননা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মাইকিং করতে হপেপেপেপে....। কেমন আছেন আপনি? অনেক দিন পর ব্লগে আপনার আগমন!! এত দিন কোথায় ছিলেন??
আসলে আমরা লোক দেখানো সম্মানকে বেশি গুরুত্ব দেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি! তাই আল্লাহর কাছে যে সম্মান পাবার কথা তা শয়তানের কপ্পরে পড়ে নষ্ট করছি।।
আমি বিয়ে করার ১১ মাস পর কোরবানীর ঈদ আসে কোরবানীর ঈদ অতিক্রম করার জন্য আমি ১ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে প্রথমে আমার পরিবারকে বুঝিয়েছি আর আমার বাবা তাকে দিয়ে আমার শশুর শাশুড়িকে বুঝতে সক্ষম হয়েছি। এবং আমার বেলায় ত্যাগ করেছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একজন কত কষ্ট করে মেয়েকে ছোট থেকে লালন করে বড় করে, শিক্ষিত করে, শেষ পর্যন্ত পরের হাতে তুলে দেয়, কিন্তু বিনিময়ে দুনিয়াতে কিছুই আশা করে না।
এতকিছুর পরও কেন যে ছেলের পরিবার হা করে তাকিয়ে থাকে, কখন যে মেয়ের বাবা হাতে করে কিছু নিয়ে আসবে, কত নিছক মনমানসিকতার হলে যে এমন করতে পারে।
কিভাবে যে আমাদের সমাজের পরিবর্তন আসবে? শুধু গরীবরা করতে তাও মনে করতাম যে, অভাবে স্বভাব নষ্ট। কিন্তু বর্তমানে দেখছি ধনীরাও এর ব্যতিক্রম নয়।
বর্তমানে যেন ছেলের মা বাবা হওয়া মানে ইন্স্যুরেন্স খুলে বসা, যেখান থেকে শুধু আসবে আর আসবে।
সচেতনতা ও মানসিকতার পরিবর্তন আজ বড়ই প্রয়োজন।
এখনই সময় এসব নোংরা সংস্কৃতি ত্যাগ করা।
গরীবরা অভাবের কারনে কিছুটা হা করে থাকলে বড় লোকেরা সম্মানের বোঝা মথার উপর নিয়ে বসে থাকে!!! যা সমাজকে নষ্ট থেকে আরো নষ্টের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়।
সকল কথার মূল কথা হলো আমাদেরকে কোরআন ও সহী হাদীসে ফিরে আসতে হবে। সুন্দর বাস্তবতা তুলে ধরে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
কোরবানীর মতোন পবিত্র ইবাদাতে কতো পরিবারকে এরকম বলি গ্রহন করতে হয় চাপের মুখে,পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে তার ইয়ত্তা নেই! খুবই দুঃখজনক।
সামাজিক এই বিষয়টি নিয়ে লিখার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহ খাইর!
ওহ, সামাজিকতার নামে এসব বিরক্তিকর কাজ কর্মের কথা আর শুনতে ভাল না। কবে যে এসব থেকে আমরা মুক্তি পাব ?
আমাদেরকেই এসব কুসংস্কৃতির নোংরামী সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মেয়ে পক্ষের বেশী দেন মোহর ধার্য্যের মতই এই ব্যাপারটাও
আদায় করলে কি আপনার মতে কোরবানী হবে??
সেটা কি স্ত্রীর ধার্য্য করার কথা তার সামাজিক স্ট্যাটাস অনুযায়ী অন্যান্য বোন ও কাজিনরা যেমন পেয়েছে তার ভিত্তিতে, নাকি স্বামী যা স্পর্শ করার পূর্বেই শোধ করতে পারবে সেটা স্বামীই নির্ধারণ করবে ?
আর স্বামীর সামর্থ্যের বাইরে যদি তা ধরা হয় এবং শরিয়তের বিপরীতে গিয়ে কিছু উসুল রেখে কিছু পরে শোধ করবে বলে স্পর্শ করা হয় তাহলে যারা এটা করিয়েছে তারা কি শরিয়ত মোতাবেক একটা বিয়ে দিল বলে বলতে পারবে ?
কলহ গুলো ক্ষমার চোখে না দেখার কারনে সংসার ভেঙে যাবার উপক্রম হয়! সংসার ভাঙার পথে বাঁধ হিসাবে কাজ করে বড় অংকের ধার্য্য করা মোহরানা!!!
বর্তমান সময়ে ছেলেরাও একটু বেশি অহংকারী মোহরানার টাকা পুরা পরিশোধ করা থাকলে কথায় কথায় তালাক শব্দের খই ফুটে যায় মুখে। যা সমাজ দুষণ করা চলছে।
বড় অংকের মোহরানা সমাধান নয়।
তালাক তো মহিলারাও দেয় পুরুষদের । বর্তমানে ৭০% তালাক হয় মেয়েদের তরফ থেকে ।
দেন মোহর যদি ১৫ লাখ ধরা হয় এবং মেয়ে যদি বিয়ের ৬ মাসের মধ্যেই তালাক নেবার জন্য লাফালাফি করে - সেটা কি ''দেন মোহর বেশী ধরা হয় সংসার ধরে রাখার কৌশল হিসেবে'' সেটাকে সমর্থন করে নাকি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশী দেন মোহর ধরাটাকে মনে করা উচিত যে মেয়ে পক্ষ বা মেয়ের নিশ্চয়ই বিয়ের পর কোন ধানাই পানাই করে পরোক্ষভাবে তালাক করিয়ে দেন মোহর সহ অনেক জিনিস হাতিয়ে নেবার মতলব আছে ?
বেশী দেন মোহর ধরার ফলে যদি এটা মনে করা হয় যে স্বামী যাতে সংসারটাকে ধরে রাখে , তালাক তালাক না করে সে জন্য করা , তাহলে খুব একটা বেশী দিন নেই যে যৌতুক প্রথা আবার ফিরে আসবে - কারণ হিসেবে , বেশী যৌতুক ধরলে মেয়েও সংসারটাকে ধরে রাখতে চাইবে তার বাবার টাকার মায়ার জন্যে হলেও । তার মনে এই ভয়ও কাজ করবে যে , আরেকজনের সাথে বিয়ে বসলে তাকেও তো যৌতুক দেওয়া লাগবে বাবার!
সংসার ভাঙ্গা মেয়ের জন্য যতটা পেইনফুল , ছেলের জন্য আরও বেশী পেইন ফুল - কারণ বিয়ে করতে মেয়েদের এক পয়সা তো লাগেই না বরং তারা শুধুই পায় , তাই মেয়েদের পক্ষেই এক সংসার ভেঙ্গে আরেক সংসারে যাওয়া এবং এর সাথে টাকা হাতানো খুব মজার একটা খেলা ।
একটা বিয়ে থেকে আরেকটা বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করার জন্য ছেলেদের কেঁচে গন্ডুস করতে হয় । নারীবাদী ও নারীপ্রেমীরা এই পেইন কিভাবে জানবে ?
আর বেশী দেন মোহর যদি শরিয়তের খেলাফ হলেও স্ট্যাটাস মেইনটেইনার্থে ধরা হয় , তাহলে কুরবানীর সময় জামাইকে কুরবানীর জন্য গরু/ছাগল দেওয়া হয় সেটাও একই জিনিস ।
একপক্ষ শরিয়ত মানলো আরেকপক্ষ গাছেরও খাবে আবার তলারও কুড়াবে - সেটা কি ঠিক ?
শুধু কুসংস্কার আখ্যায়িত করে এগুলো স হজে দূর করা যাবে না! সুস্পষ্ট হারাম এই সব রসম পালনে বাধ্য করা!
নিজে কোরবানী না দিয়ে রসম পালনে অন্য কে কোরবানী পশু কিনে দেয়ায় সওয়াবের আশা কখনই করা যাবে না,বরং বিপরীত ফলটাই জুটবে ভাগ্যে!
আল্লাহ মুসলিম সমাজ কে হেফাজত করুন,আমিন!
আপনার গোছানো মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমদের আরো বেশি করে সঠিক ইসলামের প্রচার ঘটিয়ে এ সকল ভ্রান্তী দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে
এটা আমার সমা্ন্য প্রচেষ্টা......। ম
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
সচেতন সবার প্রচেষ্টা থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হবো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হয়তো ঈদের পরের দিন আপনার সাথে দেখা করতে পারি, আপনি আমার উপর অনেক রাগ করে আছেন, সময়ের অভাবে আমি দেখা করতেও পারতেছিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জনাব, ২০/২৫ হাজার টাকা দিয়ে বর্তমান বাংলাদেশে গরু পাওয়া যাবে? পেলেও কত বড় গরু পাবে জানেন কি?
-অনেক সুন্দর একটি সুখকর গল্পের জন্য..আশাকরি যারা এ লেখাটি পড়বেন তারা আমল করার চেষ্টা করবেন।আবার ধন্যবাদ..
ইদানিং কবে প্রকাশিত হচ্ছে এবারের সংখ্যা?
বিস্তারিত দেখুন. আবদুর রহিম ভাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন