নিজেদের অজান্তে যেভাবে আমরা আল্লাহ ও রসুল ( সাঃ ) এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছি....! ✔✔✔আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ২৫ জুলাই, ২০১৫, ০১:২১:৪২ দুপুর
ফাহামিদা দরিদ্র পরিবারের ৩য় সন্তান, তারা ৪ ভাই বোনদের মধ্যে প্রথম ২ জন বোন একমাত্র ভাইটি ছোট্ট। ফাহমিদার বাবা কৃষক কৃষি কাজ করে সংসার চালাতে হয়...!
ফাহমিদার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন ফাহমিদার বয়স ২১ গ্রামের মেয়েদের ১৭/১৮ বছর হবার পর বিয়ে না হলে কত রকম কানাকানি হয়......! ফাহমিদার ব্যপারেও কানাকানি চলছেই....
ফাহমিদার জন্য ঘর আসছেনা তা নয়, এরই মধ্যে ১৪টির মত ঘর এসেছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, কিন্তু ফাহমিদার বাবা দরিদ্র, কৃষির যা অবস্থা তা দিয়ে কোন রকমে সংসারের ঘানি টেনে যাচ্ছে...। ফাহমিদাকে যারাই দেখতে এসেছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তারাই বিভিন্ন কারনে ফাহমিদাকে দূরে টেলে দিয়ে চলে গেছে!
ফাহমিদাকে যতবারই দেখতে এসেছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ততবারই স্বপ্নে বুক বেঁধেছে ফাহমিদা!!! এবার হয়তো কাঙ্ক্ষিত বিয়ে হয়ে যাবে...... যতবার স্বপ্ন দেখেছে ততবারই স্বপ্ন ভেঙ্গে তচনচ হয়ে গেছে।
স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবার পেছনে ফাহমিদার কোন হাত নেই...... তবে স্বপ্ন ভাঙ্গার পেছনে হাত আছে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার! ফাহমিদা'র স্বপ্ন ভঙ্গের পর ফাহমিদা শুধুই ভেবেছে..... এগুলো আমার স্বপ্নভঙ্গ নয় বরং এগুলো আমার দুঃস্বপ্ন.....! আর দুঃস্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়াটা ভালো, খারাপ কিছু নাহ্।
বিয়ে করতে এসে যারা যৌতুক নামের শুয়োরের গোস্ত দাবী করে তাদের সাথে চিন্তা চেতনা ও বিবেক যুক্ত কোন নারীর বিয়ে হতে পারেনা, তাদেরকে বনের পশুর সাথে বিয়ে দিয়ে বন্যপশুর সাথে বসবাস করার সুযোগ করে দয়া উচিত.....!
ফাহমিদা ভাবছে যারা থাকে দেখতে এসেছে তার মধ্যে দুয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই ফাহমিদাকে পছন্দ করেছে।
পছন্দ করলে কি হবে? ফাহমিদার বাবা তার ২ মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে ফসলি জমি গুলো বিক্রি করে দিয়েছে...! এখন ফাহমিদাকে বিয়ে দেয়ার খরচ ফাহমিদার বাবার নেই! !
ফাহমিদার বাবার কপালে ভাঁজ পড়েছে চিন্তায় কি করবেন তিনি....! সম্বল বলতে ফাহমিদার বাবার ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। মাঝেমধ্যে ভাবে ভিটা বিক্রি করে ফাহমিদার বিয়ে দেবে... কিন্তু ভাবনা সহজ হলেও কাজটা করা খুবই কঠিন। ভিটা বিক্রি করলে থাকবে কোথায়?
এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন.... হটাৎ একদিন জুমাবারে ফাহমিদার বিয়ে প্রস্তাব নিয়ে আসে প্রতিবেশীর এক আত্মীয়! ফাহমিদাকে পছন্দ করে ফাহমিদার হবু বর। বরের পক্ষ হতে বলা হলো আমাদের কিছু চাওয়া নেই সমাজিকতা রক্ষা করে ফাহমিদাকে আমার হাতে তুলে দিলেই হবে৷ বললেন ফাহমিদার হবু বর।
সামাজিকতার বেড়াজালে বন্দী আমাদের সমাজ, সমাজিকতার কথা শুনিয়ে দিয়ে বরকর্তৃপক্ষ আত্ম খুশিতে থৈথৈ...... সামাজিকতা কি? ?
১. সামাজিকতা হলো ৫০০/৭০০/১০০০ বর যাত্রী, যাবতীয় ফার্নিচার, পোশাক, আরো অনেক কিছু......!
২. সামাজিকতার নাম দিয়ে নগদ টাকার কথা না বলে কনে পক্ষকে নাজেহাল করা.....!
ফাহমিদার বাবা ভাবে অন্য যারা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন তারা সবাই নগদ টাকা যৌতুক চেয়েছিলেন! যেহেতু এই ছেলেটি নগদ টাকা যৌতুক চাইনি সেহেতু ছেলে ভালো হবে, যেভাবেই হোক এবার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেব।
মাসখানেক আগে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়, যাতে করে ফাহমিদার বাবা সামাজিকতা বজায় রেখে বিয়ের আয়োজন সম্পাদন করতে পারে। ফাহমিদার বাবা সামাজিকতা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন মহাজনের কাছে যেতে থাকে অগ্রীম ফসলের শস্য বিক্রির হিসেবে টাকা আনতে...... ফসলের শস্য কত তুলতে পারবে সেই অনুযায়ী টাকা দিতে রাজি মহাজন..... কিন্তু শস্য অনুযায়ী টাকা নিতে গেলে সামাজিকতা রক্ষা করা সম্ভব নয়....!
ফাহমিদার বাবা কিছু টাকা মানে লক্ষাদিক টাকা এক্সট্রা চাই কিন্তু মহাজন দিতে অপারগতা জানান!! ফাহমিদার বাবা সামাজিকতার কথা চিন্তা করতে করতে বাড়ি ফিরে আসে।
সামাজিকতা ফাহমিদার বাবার কাছে বিষাক্ত ছোবলের মত লাগছে, কি করবে ভাবতে ভাবতে আবার ফাহমিদার বাবা মহাজনের কাছে যায়, গিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মহাজনকে বুঝাতে চেষ্টা করে যে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য জরুরী টাকার দরকার, মহাজন বলে হ্যাঁ টাকা দিতে পারি টাকার নিশ্চয়তা চাই! ফাহমিদার বাবা বলে আমার সয়সম্পত্তি যা ছিলো তাতো বিক্রি করে দিয়েছি, এখন ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই....। মহাজন বলে যদি ভিটার কাগজ বন্ধকের হিসাবে টাকা নিতে চান প্রয়োজনীয় টাকা নিতে পারেন!
ফাহমিদার বাবা রাজি হয় ভিটার দলিল জমা দিয়ে মাসিক সুদের হিসেবে টাকা নেন তিনি।
ছড়া সুদ ১০০ তে ২৫% হারে......। কথা হলো সুদের টাকা মাসে মাসে পরিশোধ করতে হবে এবং ৬ মাস পর মূল টাকা পরিশোধ।
ফাহমিদার বাবা টাকা নিয়ে এসে সামাজিকতা বজায় রেখে মেয়ের বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর সুদ পরিশোধ করতে থাকে ফাহমিদার কৃষক বাবা।
আমার জানা মতে ইসলামে সুদ সম্পূর্ণ ভাবে হারাম, আরো বলা আছে সুদ দেয়া নেয়া লেনদেনের জন্য সাক্ষী সুদের জন্য পর্দ লেখক সবাই সমান অপরাধী।
কোরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে সুদের অপরাধীদের সাথে আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুল ( সাঃ ) যুদ্ধ ঘোষণা করবেন.... প্রশ্ন হচ্ছে কোন মানুষটি আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুল ( সাঃ ) এর সাথে যুদ্ধ করতে চাইবেন???? সামজিকতার নামে যৌতুকের জন্য যদি সুদি টাকা নিয়ে বিয়ের আয়োজন ও প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র কেনাকাটা করা হয় তার জন্য দায়ী কে???
আমরা কি নিজেদের অজান্তে নিজেদেরকে সুদে যুক্ত করে আল্লাহ এবং রসুল ( সাঃ ) এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছিনা? ?
এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর যতদিন আমরা সচেতন হয়ে খুঁজবোনা ততদিন অজান্তে আমারা আল্লাহ এবং রসুল ( সাঃ ) যুদ্ধে লিপ্ত হব!!!
কোরআনের আয়াত অনুযায়ী..... সাধারণ ভাবে চিন্তা করলেও বুঝতে সক্ষম হই যে আমরা আল্লাহ এবং রসুল ( সাঃ ) এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছি! !! !!!
সুদ বিষয়ে ডাঃ জাকির নায়েক এর বিশ্লেষণ শুনুন এখানে ক্লিক করে...
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=716292238480758&id=100002999668667&fs=4&ref=bookmarks
আমাদেরকে এখনই সচেতন হওয়া দরকার দুনিয়াবী ললসার শিকার হয়ে আমরা যেন আখেরাত নষ্ট না করি। আল্লাহ যেন আমাদের বুঝার তাওফীক দান করেন। আমিন।
সামাজিকতার নামে কুসংস্কার ও কুসংস্কৃতি দূর করার লক্ষ্যে আমি যৌতুক বিহীন বিয়ে করেছি এবং বিয়ে করার ৬ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি বাবা মা আত্মীয় স্বজনদের বুঝিয়ে সফল হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার সফলতা দেখে আমার ছোট্ট ভাইয়েরা খুশি এবং তাদের ক্ষেত্রে যৌতুক বিহীন বিয়ে আয়োজন করার জন্য আমার সহযোগিতা চেয়েছেন। আমার এলাকায়ও আমাকে অনুসরণ করে যৌতুক বিহীন বিয়ে আয়োজন করার জন্য সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন অনেকে। যা আমাকে প্রতিদিন আনন্দিত করে.....!!! !!
আপনিও সাহসিকতার পরিচয় দিন যৌতুককে না বলুন, উন্নত সমাজ গড়তে এগিয়ে আসুন।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা ব্লগার আবু জান্নাত ভাইয়ের প্রতি.... এই লেখাটি লেখার সুত্র পেয়েছি আমার পোস্টে ওনার মন্তব্য থেকে।
বিষয়: বিবিধ
২৫৮২ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিয়ের সময় ও বিয়ের পর পরই ছেলের কাছ থেকে শরীয়ত মোতাবেক দেনমোহর ও ভরণ পোষন পেলেও কতজন মেয়ে তাতে সন্তুষ্ট থাকে বা কতজন এর চেয়ে বেশী দাবী/আশা করে ?
অন্য বোনদের সাথে কমপেয়ার করে ও সামাজিকতার দোহাই দিয়ে দেন মোহর বেশী আদায় করে ছাড়ে যা ছেলের সাধ্যের বাইরে এবং বিয়ের পর অন্য ভাবীদের অবস্থার সাথে নিজের অবস্থানের তুলনা করে স্বামীকে সব সময় খোটা দেয় ও চাপে রাখে ।
এসব ব্যাপারগুলো কি যৌতুকের মত না ?
যারা সন্তুষ্ট হতে পারেনা বা হয়না তাদেরকে পশুমনস্ক হিসাবে ধরে নিতে পারি, আর পশুরা পেট পুরে খেলেও সামনে ধান খেত দেখলেই জিব্বা টেনে মুখ বাড়িয়ে দেবে! খেতে না পারলেও ধান নষ্ট করবে।
সেই মেয়ে বা ছেলে সুখী যারা অল্প পাওয়ার মাঝে সন্তুষ্ট থাকতে পারে, যারা খুব বেশি চায় তাদের ঘরে মনে অশান্তি লেগেই থাকে। শান্তির জন্য প্রয়োজন ত্যাগী মনমাসসিকতা তৈরি করা।
"দেনমোহর" প্রতিযোগিতা মুলক বা অন্য বোনের সাথে তুলনা করে দেনমোহর ধারন করাও সঠিক নয়, যদিও সমাজে তা বিদ্যমান।
খোটা দিয়ে যারা কথা বলে তারা বেশিরভাগ ভাগ লোক নিজেরা কিছুই করতে অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে।
খোটা দেয়া অবশ্যই নিন্দনীয় মেয়েদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়।
দেনমোহর বিষয়ে কিছুদিন
আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম
দেখে আসতে পারেন।
বিয়ের পর আপনি যেভাবে
যেনাকারী রূপে আবির্ভূত হচ্ছেন... http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/9615/nor15/66884#.VbNjQXOoVAh
আর ঘুম কম মানুষই আছে যারা নিজের মেয়েদের বিয়ের জন্য ঋণ নেয়।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিয়ের ব্যাপারে ঋণ নেয় এ বিষয়ে আমার বাস্তব অভিঙ্গতা আছে, একবার চিন্তা করে দেখুন একজন বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে ঘরে থাকা মানে (মেয়ের মা বাবা মনে করে ঘরে একটি বিষাক্ত সাপ থাকা) বর্তমান সমাজে মেয়েদেরকে ছেলেরাই বেশি উত্তাক্ত্য করে উপযুক্ত মেয়েরা বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে প্রেম লিলায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়!!!! মান সম্মান প্রশ্নে মেয়ের মা বাবা সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকে। এক কথায় মেয়েকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়ায় শ্রেয় বলে মনে করে....।
সুদের ঋণ অনেকেই নেয় বিলাসিতার জন্য এটাও বাস্তবতা। সুদ বিষয়টি নিয়ে বেশিরভাগ মুসলিম সচেতন নয়!! আর সচেতন নয় বলেই নিজের অজান্তে আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুল ( সাঃ ) এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।
সচেতন হতে হবে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। শুভ ব্লগিং....
আমিন।
আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া আমার হাত যেন শয়তানের পথে পরিচালিত না হয়। শুভকামনা।
এই সমাজ সামাজিকতার নামে মানুষের কষ্টই বৃদ্ধি করছে। তাই এর পতন অনিবার্য।
এই সমাজ সমাজিকতার নামে মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি করেছে শতভাগ সত্যি কথা... এ সমাজের পতন ঘটিয়ে সোনালী সমাজ এক কথায় ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই সময়ের দাবী।
সোনালী সমাজের জন্য ইসলামী জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে হবে সব জায়গায়। ইসলামী জ্ঞানে ভরে উঠবে সমাজের প্রতিটি স্তর এই প্রত্যাশায় উম্মোচন হোক আমাদের পথ....।
অশ্লীলতা থেকে তারুণ্যকে বাঁচাতে পারলেই সুস্থ মানসিকতায় কুসংস্কার কুসংস্কৃতি দূর করতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে আজকের তারুণ্য।
দুঃখের বিষয় তারুণ্যকে অশ্লীলতার চাদরে বন্দী করে নিয়েছে সনাতন ও পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনে এই জন্য দায়ী বাংলাদেশে বামপন্থী মিড়িয়া!!!
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য কুসংস্কৃতি কুসংস্কার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা...
এই লেখা কারও মানসিকতার পরিবর্তন হয়ে কুকর্ম থেকে বিরত রাখতে পারলেই আমি সার্থক হব। ধন্যবাদ আপনার এই অর্থবহ মন্তব্যের জন্য.।
আমাদের যৌথ ব্লগে হারিকেন নিয়ে আপনার আগমন সত্যিই আনন্দ যুগিয়েছে মনে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমাদের ব্লগে উপস্থিতির জন্য।
গ্যাঞ্জাম ছাড়া ব্লগটা পুকুরের পানির মত থমকে দাড়িয়ে আছে....!!
গ্যাঞ্জাম যখন এসে পড়েছে ব্লগ ঢেউয়ের সাথে সাগরে রূপ নেবে এটাই প্রত্যাশা....
যদিও খুব কম সংখ্যক পাঠক এই লেখাটি পড়বে...!
আমার ইচ্ছে হয় এই মেসেজ বা এধরনের মেসেজ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসি.... কিন্তু বাস্তবতার সিমাবদ্ধতায় আমি আটকে আছি,
শিশু হত্যা নিরবে চলছে বিশেষ করে মেয়ে শিশু হত্যা!! বর্তমানে আলতাসনোগ্রাফীর কুফল বড়ে গেছে যা আমরা হাসপাতালের ডাস্টবিন গুলোতে সচেতন ভাবে নজর রাখলেই বুঝতে পারি!!! আলতাসনোগ্রাফী করে যখন দেখে গর্ভের শিশুটি মেয়ে তখন শিশুটিকে হত্যা করা হচ্ছে.....!!!!
হত্যাকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় দেশদেশে কিন্তু শিশু ভ্রুণ হত্যার জন্য শাস্তি নেই বললেই চলে। যা ইসলামে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
অর্থবহ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সম্মানের সাথে বরণ করে নেয়া হলো।
আমি যৌতুক নেইনা সেটা আপনি বিশ্বাস করতে পারছেনাহ্!!! এটাই আপনার বুদ্ধির স্রোতের একটি ঢেউ, ঢেউ যখন আপনার মাথায় এসে পড়েছে তখন আমার শিকার করে নিতে হচ্ছে আমিও যৌতুকের বেড়াজালে বন্দী.....!!!!
সংস্কৃতিতে যদি সবাই ভালবাসা নামের যৌতুকে সন্তুষ্টির খেয়া নিয়ে নদী পার হতে পারতো তা হলে সুস্থ সমাজ নামের স্রোতে প্রতিদিন আমাদের নরম হূদয়কে ভিজিয়ে দিয়ে যেত।
আমাদের হূদয় গুলো পেত তার কাঙ্ক্ষিত সেই ঠিকানা।
ভালোবাসা ভরা শান্তিময় পৃথিবীর জন্যই আমার এই লেখালেখির ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
শুভ ব্লগিং...
সময়ের সাথে আমাদের চলতে হবে এটাই চিরাচরিত রীতি....। বর্তমান সমাজটাও সময়ের সাথে চলতে আগ্রহী মানুষ সময় সাথে চলতে পারে কিন্তু সংস্কৃতিতে কিছু কিছু সময়ে বিপরীতে যেতে হবে বিবেক সম্পন্ন মানুষ হতে হলে...।
আমরা মানুষ হিসাবে ভোগের পক্ষে হ্যাঁ হ্যাঁ করতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। কারন ভোগের কথা আসলে নৈতিকতার কথা আসবেই।
দেখা যাচ্ছে ভোগবিলাসর মোহে নৈতিকতা ভুলে একে অন্যকে পন্যে রুপান্তরিত করে চলছি! যৌতুক ঠিক তেমনি সময়ের সাথে এসেছে....! সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম থেকে, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতি আমরা মুসলিম দাবীদারেরাও আপসে গ্রহণ করে নিয়েছি!!!
ভালো কিছু থাকলে গ্রহণ করতে বাঁধা নেই, কিন্তু কুসংস্কৃতি গ্রহণ করে সমাজের সর্বনাশ ডেকে আনা বিবেকহীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব!!
এখনই বিবেককে জাগ্রত করতে হবে কুসংস্কার কুসংস্কৃতি দূর করার জন্য। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
উদ্দেশ্য করে বিয়ের আগে পরিকল্পনা করা জায়েজ আছে কিনা আমার বিস্তারিত জানা নেই! যেহেতু পড়াশোনার কথা এসেছে সেহেতু "বিনেময়ে" মানে মেয়ে বিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে পড়াশোনায় সহযোগিতা করা স্বার্থপরতার মধ্যে পড়ে....
কারন ছেলে এখানে বন্দী হয়ে যাচ্ছে বিয়ের বিনেময়ে তার লেখা পড়ার ব্যবস্থায়... হতে পারে ছেলেটির পড়াশোনা করা প্রয়োজন কিন্তু শর্ত এখানে বিয়ে। (হতে পারে পড়াশোনা শেষ করার পর ছেলেটির মেয়েটিকে পছন্দ না!!) তখন কি হবে????
যেমন বর্তমান সমাজে আমরা দেখতে পাই যে বিয়ের আগে প্রেমের লিলা....
প্রেম তৈরী হয় দেখা সাক্ষাৎ ও চিঠি পত্রের মাধ্যমে.....
তবে আপনার প্রস্তাব বা কথা অনুযায়ী বিয়ের বিনেময়ে যখন পড়াশোনা তখন ছেলে বা মেয়ের মনে বিয়ের আগে প্রেম তৈরী হবে এবং মনে মনে একজন অন্যজনকে লালন পালন করবে যা ইসলামে নিষিদ্ধ!!!
মেয়ের বাবা মায়ের টাকা পয়সা থাকলে উপহার হিসেবে
বাড়ি দিলো গাড়ি দিলো তাতে সমস্যা আছে বলে মনে হয়না।
তবে ঘুষ দিয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে দেয়াটা সমর্থন যোগ্য নয়, চাকরি যোগ্যতা অনুযায়ী হওয়া উচিত।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তবে সংসারে অশান্তি তৈরী করে চাপ সৃষ্টি করে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু আদায় করা অন্যায়।
এখানে আমাকে দেখতে হবে, কেন দিল? বাস্তুবেই কি শশুরের ক্ষমতার মধ্যে? নাকি লোক লজ্জা বা মেয়ের শান্তির জন্য?
আমরা জানি রাসূলূল্লাহ (সাঃ) ফাতেরা রাঃ কে বিয়ের পর বিছানা, বালিশ ও পানির কলসি বা ঘটি দিয়েছেন, যা সামাজিকতা রক্ষাও ছিল না, হযরত আলী রাঃ এর চাওয়া পাওয়া ও ছিল না। রাসূল সাঃ আদরের কন্যার জন্য এগুলো সেচ্ছায় দিয়েছিলেন, যা সাধ্যের অনুকূলে ছিল।
কিন্তু বর্তমান যুগে কি সেচ্ছায় দেওয়া হয়? যেখানে নুন আনতে পান্তা পুরায় সেখানে ১০০০ মমানুষ খাওয়ানো, বিশাল গেট লাগানো, ফুল ফার্নিছার ও বিশাল অঙ্কের নগদ টাকা দেওয়া কি সাধ্যের মধ্যে?
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বুঝার ও মানার তাওফীক দান করুন।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা থাকবে, ব্যস্ততার মাঝেও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তবে যৌতুক নামের দুধ যেন না খায়....! আপনার ফান আমি বুঝতে পেরেছি আপনিও যৌতুকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করুন আপনার পরিবারে...
আপনার এলাকায়....।ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ খইর
উপলব্ধি করার পরও যারা অন্ধকারে পড়ে থাকে তাদেরকে আল্লাহ কখনো আলোর দিকে নিয়ে যাবেন নাহ্।
আমার প্রচেষ্টা যারা জানেনা তাদের উদ্দেশ্যে.....।
শুভকামনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন