বিয়ের পর যে ভাবে মেয়ের বাবা মায়ের অহংকারের স্রোতে ছেলেটির ইচ্ছে এবং যৌতুক বিরোধী মনোভাবকে ধ্বংস করে দিচ্ছে.... ✔✔✔আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ২১ জুলাই, ২০১৫, ১২:৩০:৫২ দুপুর
টেলিফোনে..... মেয়েঃ হ্যালো... হ্যালো.. কে? মা.....?
হ তোর মা বলছি, মা..... কেমন আছ? ভালো তুই কেমন আসিস? ভালো আছি মা.... কি অবস্থা ঐদিন যা বলেছিলাম তা ঠিকমতো করেসিসতো?
না... মা..... করতে পারিনি! !!
মা কি জামাই দিলা স্বামী কথা শুনেনাহ্...!!
ওনি বলে এটা করা সম্ভব নয়! কি বলিস তোর বাপ এখনো আমার কথায় উঠে আর বসে, তুই এই সামান্য কথাটাকে মানিয়ে নিতে পারলিনাহ্! !? চেষ্টা চালিয়ে যা..............
ঠিক আছে মা..... ওনি এসেছেন এখন রাখি।
পরবর্তী ফোন আলাপে কি কথা হতে পারে পাঠকরা কল্পনায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারেন।
যৌতুকের ভাইরাস দূর করতে চাই বিবাহ করতে ইচ্ছুক ছেলেটি......... কিন্তু মেয়ের বাবা মায়ের অহংকারের স্রোতে ছেলেটির ইচ্ছে এবং যৌতুক বিরোধী মনোভাবকে ধ্বংস করে দিচ্ছে...
#ছেলেটি তার বাবা মাকে দিনের পর দিন বুঝিয়ে কুসংস্কৃতির বেড়া জাল থেকে মুক্ত করে যৌতুক বিহীন বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য রাজি করায়।
#বিয়ে হয়ে যাবার পর মেয়ের মা বাবা ছেলেটিকে মনে করে বউ পাগল বাদাইম্মা!! কারন সে তার বাবা মাকে রাজি করিয়েছে..... মেয়ের মা বাবা ভাবে তাদের সুন্দরী মেয়েকে পাবার জন্য সংস্কৃতি বদলানো...!!!
#মেয়ের মা বাবার মনোভাব প্রকাশ পায়.
মেয়েকে লাই দিয়ে মাথায় তুলতে দেখে.....। মেয়েটিও ভাবে তার চামড়ার কত দাম যৌতুক দেয়া লাগেনি.... হি হি হি....!!!
#ছেলেটি তার স্ত্রীকে বললে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলামিশে চলার চেষ্টা কর...! স্ত্রী মনে করে মিলেমিশে থাকাটায় যেন কয়েক হাজার কেজি ওজনের বোঝা তুলে দিয়েছে তার মাথার উপর তার স্বামী!!!
#মিলে চলতে না চাওয়ার কারন কি? খুঁজতে চান আসেন....! মেয়েটির মা বাবার মনোভাব যখন এই... মানে.... মেয়ের স্বামী যখন মেয়েকে পাবার জন্য যৌতুক নামের ভাইরাসকে গলা টিপে হত্যা করতে পেরেছে তখন ছেলেটি তার মা বাবাকেও তার থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে আলাদা হয়ে যেতে পারবে!!! আলাদা হতে পারলেই যেন দুনিয়া জয় করা....!!!
#মেয়ে অথবা মেয়ের মা বাবা একটুও ভাবেনা তার মেয়ের স্বামীটি অন্য কারোর সন্তান! সন্তানটির যা দায়িত্ব আছে তার মা বাবার প্রতি সুন্দর সম্মান জনক পরিবেশ ও দেখাশানা করা। অল্প সময়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তাদের মেয়ের স্বামীকে তারা বানাতে চাই কালুর বলদ....!!!
#মেয়েটিও যৌতুক বিহীন বিয়ে বসতে পেরে চামড়ার অহংকার দেখায় তার বাপের বাড়ির লাই দেয়া কথা প্রয়োগ করে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের উপর! !!
#ছেলেটি সংসার বাঁচাতে মানে টিকিয়ে রাখতে সমস্যা বিবেচনা করে সমাধান এর চেষ্টা করে, কিন্তু মেয়েটির মনোভাব হয় ভিন্ন! সমস্যা সৃষ্টি করাই যেন তার কাজ!!
চামড়ার অহংকার অথবা ধারন করা মোহরানার জোর দিয়ে মেয়েটির বাপের বাড়ির শাসন কৃতিত্ব স্বামীর পরিবারে জারি করতে চাই.....!
তাইতো.... এই অহংকার দিয়ে মোড়ানো সমাজে যৌতুক নামের ভাইরাস দূর করার জন্য আমাদের মত কিছু যুবকের মনকে তেতলা করতে হবেই.......! হজম করতে হবে জ্বলন্ত আগুন......!
এবার আসা যাক ছেলেটির পরিবারের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াঃ-
ছেলের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যাশা থাকে আমরা যখন ছেলের কথা মেনে নিয়ে সমাজের প্রচলিত প্রথা দূর করে ছেলের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে সমাজের মুখে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি, তার বিনিময়ে ছেলে এবং ছেলের বউ তাদের নায্য কথা গুলো শুনবে এবার সংসারকে আনন্দগন করে তুলবে......।
যখন দেখে মেয়েটির ভিন্ন আচরণ তখন ছেলেটির উপর ছেলেটির মা বাবার ক্ষোভ ভাড়তে থাকে......। শুরু হয় সংসারে অশান্তি!
ছেলের মা বাবার নায্য চাওয়া গুলো যদি মেনে চলতে না পারে "ছেলেটি" বউয়ের কারনে তা হলে কি করে মা বাবার হক আদায় করবে?
বউয়ের নায্য হক আদায় করা যেমন ছেলেটির দায়িত্ব, ঠিক তেমনি মা বাবার হক আদায় করাও ছেলেটির দায়িত্ব। সমান ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পরলেই কেবল সফল বলা যেতে পারে।
মেয়েটি একবারও ভাবেনা তার স্বামী বেচারা একজন মনুষ, রোবট নয়! ! তার সাথে আচরণ গুলো যেন রোবটের দৃষ্টিভঙ্গিতে.... হচ্ছে! !
রোবট মানুষে যে রকম চালায় সেই রকমই চলে কারন রোবট মানুষের তৈরী এবং তার নিজস্ব জ্ঞান বিবেক চিন্তা চেতনা নেই, প্রাণও নেই, আল্লাহর সৃষ্ট সেরা জীব মানুষ হিসাবে স্বামী বেচারা তার ন্যায় অন্যায় ভালো মন্দ দেখতে হয়। সব কিছুতে হ্যাঁ হ্যাঁ করা স্বামী বেচারার পক্ষে সম্ভবপর নয়।
যৌতুকের মত ভাইরাস সমাজ থেকে দূর করতে ছেলের পাশাপাশি মেয়েও মেয়ের মা বাবাকেও সুস্থ মানসিকথা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমান সমাজে সংখ্যায় কম হলেও কিছু সংখ্যক ছেলে যৌতুক বিহীন বিয়ে করতে চাই এবং করে।
দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২টি পরিবারের অসহযোগিতার কারনে যৌতুক বিহীন বিয়ের উদ্যোগ নেয়া ছেলেটি বৈশম্যের শিকার হচ্ছে।
উপরের বিষয় গুলো সচেতন মহলে আবেদন হিসাবে রাখলাম! আশা করি যৌতুকের মত ভাইরাস সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে যে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতায়... ব্লগার আব্দুল গাফ্ফার!!
করন আমার পোস্টে ওনার একটি মন্তব্যের জের আজকের এই লেখা.... মন্তব্যের লিংক http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/9615/nor15/66884#.Va3ne3OoVAg বিশেষ ধন্যবাদ ব্লগার মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ভাইকে....
বিষয়: বিবিধ
২৭৯১ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মনে হয় আপনি আমাদের যৌথ ব্লগে প্রথম এসেছেন এবং মন্তব্য করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা এবং শুভ ব্লগিং....
আপনি এবং অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী-দুজনই মাশাআল্লাহ এ ব্যাপারে বিশেষ ভুমিকা পালন করছেন। আমাদের সমাজে বিয়ে নিয়ে অনেক কুকর্ম আছে যার কারণে পরিবার বা নতুন সংসারে নেমে আসে অশান্তির কালো ছায়া.. অনেক ধন্যবাদ..
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী-ভাইও খুবই ভালো লিখেন সন্দেহ নেই।
সমাজের কুসংস্কার কুসংস্কৃতি দূর করার লক্ষ্যে আমাদের সকলকে সচেতনতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।
আশা করি আপনি সহ সকাল সচেতন মানুষ এই বিষয়ে গনসচেতনতা তৈরী করবেন সভা সেমিনারে সুযোগ হলেই। এটাই প্রত্যাশা
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আর এই সফল হতে গিয়ে কত ছেলে যে মরনদশার কবলে--
তার কি কোন খবর আছে?
ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
০ পাটা-পুতার ঘষাঘষি, আদা রসূনের দফা রফা ।
আরো একটি বিষয় আপনি যদি কোনো ছেলের মরণদশা দেখে অভিঙ্গতা অর্জন করে থাকেন তা হলে লিখে শেয়ার করে দিন, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করে কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হোন।
ভালোলাগা - পিলাচ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মেয়ে কালো হোক কিংবা সাদা
সুন্দরী বা অসুন্দরী
বড়লোকের মেয়ে বা গরীব ঘরের মেয়ে
ক্যারিয়ারিস্ট বা সংসারী
নিজস্ব প্রেমিকা বা অন্যের
সর্বক্ষত্রেই মেয়েরা চায় বসিং করতে সংসারের যেটা শরিয়তের পরিপন্হী । না হলে সংসারে সে অশান্তি বানিয়ে রাখে ।
সেহেতু - বসিং যেহেতু ছাড়তে হচ্ছেই তাহলে সেটা টাকা (যৌতুক ) না নিয়ে নয় কেন ?
আত্মসন্মান যেহেতু চলেই যাচ্ছে বিয়ের পর তাই সেটার ক্ষতিপূরণ টাকা দিয়েই সবচেয়ে ভাল হবে ।
সংসার যেহেতু দুপক্ষের সম্মতিক্রমে করতে হয় সেহেতু বসিং এর মাপকাটি গুলো যার যার অবস্থান থেকে ভাগ করে নেয়া উচিৎ!! সংসারের বেলায় মেয়েদের যা করনীয় তাই করা উচিত, ছেলেদের কাজে যখন মেয়েরা বসিং করতে আসে তখন শুধু হয় বাকবিতণ্ডতা!!
আর বাকবিতণ্ডতার পরিনাম কি হয় তা সাংসারিক মাত্রই বুঝতে সক্ষম।
বসিং ছাড় দেয়ার প্রশ্নটি অবান্তর যেহেতু এখানে মেয়েটির বসিং বিষয়ে হক নষ্ট করা হচ্ছে নাহ্। মেয়েটিকে দেয়া হচ্ছে তার প্রয়োজনীয় বসিং অধিকার।
আত্মসম্মান ক্ষতিপূরণ টাকা দিয়ে কি হবার??? আমি মনে করি হবার নয়। এবং যৌতুক আর শুকরের গোস্তের মধ্যে প্রত্যাখ্য দেখি নাহ্.....।
মূল কথা হচ্ছে গণসচেতনতা প্রয়োজন আমাদেরকে সচেতনতার দিকে ঝুকতে হবে। এবং যৌতুক নামের ভাইরাস সমাজ থেকে দূর করতে হবে।।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য ও লেখাটি পড়ার জন্য।
http://banglakitab.com/quran.htm
(লিংকে গিয়ে সূরা নিসার এই ৩৪ নং আয়াতের তাফসীরটাও দেখে নিবেন )
আপনি আপনার অফিসে আপনার বস তথা চাকরিদাতার অনুগত থাকবেন । এটাই রীতি । আপনার মতামত থাকতে পারে , সেটা বসের সাথে শেয়ার করতে পারেন । কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত বসকে ডিঙ্গিয়ে নেবার পাওয়ার আপনার নেই । কোন কিছু করতে গেলেও বসকে জানাতে হবে । তার অনুমোদন নিতে হবে ।
বস তথা চাকুরী দাতার উপর উল্টো বসিং করা যে ঠিক না এবং করলে যে সমস্যায় পড়তে হবে - সেটা ভালই জানেন ।
কিন্তু একই রকম জিনিস সংসারের বেলায় কাহিনী করা হয় ।
০ আমাদের সমাজের মেয়েরা যখন মডেলিংয়ে , নাটক সিনেমাতে অভিনয়ের সময় নিজের শরীর বিকিয়ে দেয় এবং এর বিনিময়ে টাকা পায় অঢেল - সেটাকে কি মনে হয় যে তারা আত্মসন্মান বিকিয়ে খুব মর্মাহত ?
আর শুকরের মাংশও কেউ কেউ খেতে বাধ্য হয় স্বাদ গ্রহনেচ্ছু না হয়ে ।
এর চেয়ে আর কি করার আছে ? আত্মহত্যা করবে মেয়েদের মত ? সেটা যে সম্ভব না , কারণ একটা ছেলের পারিবারিক রিসপনসিবিলিটি একজন মেয়ের তুলনায় হাজার হাজার গুন বেশী । বাবা মা ও সন্তানদের কথা চিন্তা তাকে মেয়েদের মত এই সহজ কাজটি করতে বাঁধা দেয় ।
আমাদের অতি স্বার্থপর সমাজে তাই দিনদিন বাড়ছে পারিবারিক বিরোধ।
ঠিক বলেছেন অতিস্বার্থপরতায় সাংসারিক বিরোধ এর জন্য দায়ী।
স্বার্থপরতা যেন লিমিট থাকে সেই দিকটায় নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী, আমরা যদি সার্বিক বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরী করতে পারি তাহলে সমাজের কুসংস্কার ও কুসংস্কৃতি দূর করে সুস্থ সমাজে ফিরে যেতে পারব।
ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য।
আপনাদের জাগ্রহ বিবেক শুধু যেন নেট জগতে সীমাবদ্ধ না থাকে। বাস্তব জিবনেও এর বাস্তবায়নের ব্যপারে জনসচেতনতা তৈরী করুন। ইন শা আল্লাহ ধীরে ধীরে এক সময় প্রতিপলন ঘটবে। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
আমার সফলতা দেখে আমার ছোট্ট ভাইয়েরা খুশি এবং তাদের ক্ষেত্রে যৌতুক বিহীন বিয়ে আয়োজন করার জন্য আমার সহযোগিতা চেয়েছেন।
আমার এলাকায়ও আমাকে অনুসরণ করে যৌতুক বিহীন বিয়ে আয়োজনে করার জন্য সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন অনেকে। যা আমাকে প্রতিদিন আনন্দিত করে.....!!!
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু জানি তা হলো ইসলামে সুদ সম্পূর্ণ ভাবে হারাম, আরো বলা আছে সুদ দেয়া নেয়া লেনদেনের জন্য সাক্ষী সুদের জন্য পর্দ লেখক সবাই সমান অপরাধী।
কোরানে স্পষ্ট করে বলা আছে সুদের অপরাধীদের সাথে আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুল ( সাঃ ) যুদ্ধ ঘোষণা করবেন.... প্রশ্ন হচ্ছে কোন মানুষটি আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুল ( সাঃ ) এর সাথে যুদ্ধ করতে চাইবেন????
উপহার নামের যৌতুকের জন্য যদি সুদ নিয়ে দেয়া হয় তার জন্য দায়ী কে???
এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর যতদিন আমরা সচেতন হয়ে খুঁজবোনা ততদিন অজান্তে আমারা আল্লাহ এবং রসুল ( সাঃ ) যুদ্ধে লিপ্ত হব!!!!!
সুন্দর এবং অর্থবহ মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বরং আপনিই আন্তরিক ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। আপনার মন্তব্যের কারনেই আমার মন জেগেছে যৌতুক নামের ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরো একটি লেখা লেখার জন্য।
এগিয়ে যাবার স্বপ্নতো দেখিই... আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি সঠিক পথে এগিয়ে যাবার তাওফীক দান করেন। আমিন।
আপনাদের কাছে দোয়া চাই যেন সঠিক পথে যাবার পথে শয়তানের বাঁধা অতিক্রম করতে পারি।
আমিও দোয়া করছি আপনার চেষ্টা যেন সফলতার মুখ দেখে.....
হ্যাঁ আপনিও লিখুন মোট কথা হলো মানুষকে সচেতন করে কুসংস্কৃতি সমাজ থেকে দূর করতে হবে....।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমি নিজেও যৌতুক বিহীন ও অনাড়ম্বর ভাবে বিয়ে করেছি। কাবিন করেছি ৫০ হাজার টাকায়। কিন্তু বিয়ের পরে আমি অনেক মেহমান খাইয়েছি।
কনে পক্ষে ১০০০ মানুষ খাইয়েছিল, তাদের জোড়াজুড়িতে আমার পক্ষ থেকে ২০০ মানুষ গিয়েছিল। সেগুলো তাদেরই জোড়াজুড়িতেই দিতে হয়েছিল।
তিন ভাই যৌতুক বিহীন করেছিল, ভাইদের ছেলেরাও একই প্রথা অব্যাহত রেখেছে। কয়েকজন বন্ধুও একই পথ অনুসরণ করেছে। নিজে সচেষ্ট হলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। ধন্যবাদ
লেখাটি পড়ে যদি কারো মন যৌতুক বিরোধী হয়ে যৌতুক বিহীন একটি বিয়ের অনুষ্ঠান করে এতেই ফলদায়ক শব্দটির গুণগত মান প্রকাশ পাবে।
আপনি যৌতুক বিহীন বিয়ে করেছেন জেনে সত্যিই মনটা আনন্দে ভরে গেলো। আগে ভাবতাম সাবাই যৌতুকের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে...!! পোস্ট গুলো দেবার পর খোঁজ পাচ্ছি ভাইরাস দূরিকরনের মনমানসিকতার মানুষের।
আপনি আমি একজন একজন করে এগিয়ে এলে সমাজের এই ভাইরাস দূর করা অসম্ভব কোন কিছু নয়।
আপনার ভাইদের কথা স্বরন করিয়ে দিয়ে ভালোই করেছেন যারা আপনার মন্তব্যটি পড়বে অন্তত তার একবার চিন্তা করবে বাস্তবতার মুখোমুখি দাড়াতে......
এখন প্রয়োজন বাস্তবতার মুখোমুখি দাড়াবার মানসিকথা তৈরী করা।
বাস্তবতার মুখোমুখি দাড়িয়ে গেলে সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য খুব বেশী সময়ের প্রয়োজন হবেনাহ্।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি পড়াও মন্তব্যে শিক্ষনীয় বিষয় উপস্থাপন করার জন্য। শুভ ব্লগিং...
আপনি অভিঙ্গ ব্লগার..। সচেতনতামুলক বলে আমার লেখাটিকে মূল্যায়ন করে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে যৌতুক ব্যপারটি বর্তমান সমাজে ভাইরাসে রূপ নিয়েছে যা নিয়ে সাধ্য যত আছে... মানে লেখার যখন সুযোগ আছে ভাবলাম শেয়ার করব লিখে....
অসচেতনতার জন্য আজ সমাজে ধর্ম ত্যাগের মত কুসংস্কৃতি শুরু হয়েছে!!! এর জন্য দায়ী কে? দায়ী তার মা বাবা সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।
মুসলিম হিসেবে সন্তানকে প্রথমে শিক্ষা দিতে হবে দীনশিক্ষা কিন্তু অতি আধুনিকতার বেশ ধরে ইংলিশমিড়িয়ামে দেয় এবং ধর্মীয় শিক্ষাকে তিরস্কার করে....!
ইংরেজী শিক্ষা খারাপ কিছুনা কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
একটা কথা শুনেছিলাম সব বনে বাঘ নাই সব মা ও মা না ।কিছু মা আছে ডাইনী ।
ইসলামী জ্ঞানহীন মানুষ যমের তূল্য একজন মা য়ের ইসলামের জ্ঞান কতটুকু আছে বা ইসলামকে কতটুকু ফলো করে সেটা দেখে বিয়ে করতে হবে রূপ দেখে পাগল হলে চলবে না ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সচেতনতামূলক পোষ্টির জন্য ।
হতভাগা এর সাথে একমত হওয়াটা আপনার পক্ষে সম্ভব?
হতভাগা এর মন্তব্য.....
সেহেতু - বসিং যেহেতু ছাড়তে হচ্ছেই তাহলে সেটা টাকা (যৌতুক ) না নিয়ে নয় কেন ?
আত্মসন্মান যেহেতু চলেই যাচ্ছে বিয়ের পর তাই সেটার ক্ষতিপূরণ টাকা দিয়েই সবচেয়ে ভাল হবে ।
একবার ভেবে দেখুন........
বসিং ছাড়তে হচ্ছে বলে যৌতুকের টাকা হালাল হয়ে যাবে?? বসিং ছাড়ার ক্ষোভের করনে আপনি অনৈতিকতাকে সমর্থন করবেন কেন??
আত্মসম্মান কি কখনো টাকার বিনিময়ে বদলা বদলি হয়?? আমার মতে হয়নাহ্। হতভাগা বলেছেন সবচেয়ে ভালো!!! ভালো কি করে হয়??
আশা করি প্রশ্ন গুলোর উত্তর স্ববিস্তারে দিবেন।
বনের বাগ ও ডাইনী মা'র কথা উল্লেখ করেছেন.... আসলেই তাই চোখ কান নাক হাত পা থাকলে যদিও মানুষ বলা চলে.... কিন্তু মানুষত্ব পেতে গেলে আপনাকে আমাকে বিবেকটাকে কাজে লাগাতে হবে....। কবি বলেছেন বিবেক হীন মানুষ পশুর সমান। মানুষের মানুষত্ব প্রকাশ পায় কর্মের মাধ্যামে।
আর ইসলামী জ্ঞান অবশ্যই মানুষকে পরিশুদ্ধ করে ধৈর্য্য ও সয্য করার মন মানসিকতা তৈরী করে দেয়।
আল্লাহ বলেছেন তিনি মানে (আল্লাহ) ধৈর্য্যশিলদের সাথে আছেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আমার আপুর বিয়ে হয়েছে আমার দুলাভাই এর বাবা বিয়ের যাবতীয় খরচ করেছে । আমার ভাইয়ার বিয়ে হয়েছে বিয়ের সমস্ত খরচ আমার ভাইয়া করেছে । এবার বুঝেছেন আমরা যৌতুক নেইও না দেই ও না ।
তবে হতভাগা ভাইয়ার কথায় বাস্তবতা আছে ।
আপপপি
পুঁটির বাপ পুঁটির মায়ের কান্নাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে.... হি হি হি.....
হ্যাঁ পুঁটির বাপ পুঁটির মায়ের যত্ন নিবেন তিনি যেন.... হতভাগা এর ভাষা অনুযায়ী বসিং করা শুরু করে না দেয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং....
এবং ধন্যবাদ নিয়ে হূদয়ে সুখ অনুভব করলাম। ধন্যবাদ দিয়ে সুখী হবার সুযোগ দেয়ার জন্য অভিনন্দন।
শিক্ষনীয় বিষয় গুলো মানুষ ইতিবাচক ভাবে নিলেই পরিবর্তন অভিসম্ভাবি....।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাম হাতে ধরে ডান হাতে বিয়ে করিয়ে দিমু.....।
বিয়ের দাওয়াতে আমাকে হাজির রাইখেন......
মন্তব্য করতে লগইন করুন