বিয়ের পর আপনি যেভাবে যেনাকারী রূপে আবির্ভূত হচ্ছেন..... ✔✔✔ আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ০৮ জুলাই, ২০১৫, ০৪:৫৪:১৭ রাত
আজকাল প্রেমের গবেষক বেড়ে গেছে, এই গবেষণা যদি যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে করা যেতো তা হলে সমাজের কিছুটা হলেও উন্নতি হতো।
বর্তমান সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যৌতুক নামের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যা তাড়ানো না গেলে মানুষ গুলো পশুতে রুপান্তরিত হবে....!
অবশ্য এখন কিছু পশু পালন হচ্ছে সচেতন ভাবে.... দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ছেলের অভিবাবকগন এ ক্ষেত্রে সর্বচ্চো ভূমিকা রেখে চলছে।
যে ছেলেটি বিয়ে করবে তাকে ভিবিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে যৌতুক নামের শুয়োরের গোস্ত খায়।
বিবাহ ইচ্ছুক প্রতিটি যুবক এর প্রতি আহবান জানাচ্ছি!
বিবাহের প্রস্তাব পরিবারের পক্ষ থেকে অথবা নিজের পক্ষ থেকে প্রেক্ষাপটে তোলার সাথে সাথে আপনি আপনার পরিবারের অভিবাবকগনের কাছে প্রশ্ন রাখুন! !!
১: আমি নতুন জীবনের যাবার প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছি, কি ধরনের পরিবার থেকে মেয়ে দেখার কথা ভাবছেন?
২: মেয়েটি কেমন চান? মেয়েটি আমার পরিবারে একটিভ হতে পারবে কি?
৩.মেয়েটি কি আদর্শিক ভাবে ইসলামীক মাইন্টেরিয়র নাকি অন্য মনস্ক?
৪.মেয়ে দেখতে যাওয়ার ব্যাপারে কি রকম পরিবেশ অবলম্বন করবে?
৫.মেয়ে পছন্দ হবার পর কি ভাবে মেয়েটিকে ঘরে তুলে আনবে? চুক্তি কি ধরনের হবে? বিশেষ করে কোন প্রকার যৌতুক দাবি করা হবে কিনা অবশ্যই জেনে নিবেন।
৬.বিবাহের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জিজ্ঞেসা করবেন!
৭.গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি বিষয় মোহরানার ব্যাপারে সতর্ক হোন, কারন মোহরানায় ধার্য্যকৃত টাকা অবশ্যই আপনাকে পরিশোধ করতে হবে।
হে বিবাহ ইচ্ছুক যুবক আপনাকে বদলাতে হবে বর্তমান সমাজের কুসংস্কার গুলো, আপনার একটু একটু সচেতনতাই পারে সুস্থ সমাজ বিনির্মাণ করতে.....!
পরিবারের কাছে প্রশ্ন গুলোর যে উত্তর পেয়েছেন তার উপর বিত্তি করে সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিতে হবে।
১.প্রশ্নের জন্য: কি রকম মেয়ে চান সেটা অভিবাবককে জানিয়ে দিন যেন তাদের পদ যাত্রা ভুল পথে না হয়।
২.প্রশ্নের জন্য.... আপনার পরিবারটিকে জানার জন্য আপনি আগে নিজেকে নিয়োগ করুন...! পরিবারকে জানার পর কি ধরনের মেয়ে হলে আপনার পরিবারে একটিভ হতে পারবে সেটি বিবেচনা করে পরিবারের লোকজনকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিন।।
৩. ধর্ম মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য অংশ, ইসলাম ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয়, আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য, পরীক্ষায় পাস করার জন্য অবশ্যই ধর্ম জানা এবং মানা দরকার। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ।
৪.প্রশ্নের জন্য : মেয়ে দেখতে যাওয়া বর্তমান সমাজের একটি অংশ! যদিও পরিবারের সবাই মেয়ে দেখা সম্ভবপর নয়, কিন্তু সবার আগ্রহ থাকে মেয়ে দেখবে, আপনি যদি কুসংস্কার বাদ দিতে চান তা হলে মেয়েকে দেখার জন্য আপনি আপনার মা আপনার বোন। এদের নিতে যেতে পারেন....! বর্তমানে দেখা যায় নামে হারাম লোকজন নিয়ে মেয়ে দেখতে যাবার..... হই উল্লাস কুসংস্কৃতি ।
মেয়ে দেখতে যাবার ব্যাপারে খুবই সতর্কতার সাথে বুঝিয়ে পরিবারে কথা বলতে হবে না হয় বড়সড় বিতর্ক বা ঝগড়া তৈরি হয়ে যেতে পারে।
ভুলেও নামে হারাম কাউকে মেয়ে দেখার জন্য নিয়ে যাবেন না। এমনকি নিজের আব্বাকেও।
৫.প্রশ্নের জন্য : বর্তমান সমাজেে মেয়ে পছন্দ হবার পরই যে কথাটি প্রথমে আসে থা হলো দেয়া নেয়া নিয়ে, ছেলেট মেয়েটিকে মোহরানা হিসবে কত গ্রাম স্বর্ণ দেবে, কত টাকা দেবে, কাপড় চোপড় ইত্যাদি ইত্যাদি কত দেবে......!
তার পরপরই শুরু হয় কুসংস্কার অথবা কুসংস্কৃতির মূল পর্ব! ! ! মেয়ে পক্ষ হতে ছেলেটিকে কি দেয়া হবে......!! বর্তমানে বেশিরভাগ মানে প্রায় সব গুলো বিয়েতে এ বিষয়ে কথা আসে.... প্রথম কথা কত পদ ফার্নিচার দেয়া হবে? ফ্রিজ, মোটর সাইকেল, টিভি, আরো কত কি........!!!
এই পর্বের জন্য আপনাকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে, বুদ্ধিমত্তার সাথে কথা গুলো অভিবাবকে বলতে হবে, এমন ভাবে বুঝিয়ে আনতে হবে যেন জন উপস্থিতির সামনে বিতর্ক তৈরি না হয়।
আপনি যদি পরিবারের ২য় সন্তান হয় আপনার জন্য বিষয়টা খুব বেশি কঠিন হবার সম্ভাবনা থেকে যায়, কারন প্রথম জনের জন্য যেভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে আপনার জন্যও অভিবাবকেরা সেভাবে করার চেষ্টা করবে।
ক,
আপনার বড়টি যদি বোন হয় তাহলে আরো কঠিন.....!! কারন আপনার বোনের বিয়ের সময় যাবতীয় যৌতুক ব্যবস্থার সব দিক করা হয়েছে...!!
আপনার অভিবাবকের ভাববে মেয়েকে যা দেয়া হয়েছে তা যেন ছেলেকে দিয়ে উদ্ধার করি....। যেন জাতীয় ব্যবসা...!!
বিষয়টি সতর্কতার সাথে বলুন বোনকে যা দেয়া হয়েছে যৌতুক তা আমরা খুশি মনে দেইনি, আমরা অত্যন্ত কষ্টের সাথে দিয়েছি, যা আমাদের চেয়ে বেশি অন্য কেউ জানার কথা নয়। যদি আমরা যৌতুক খুশি মনে না দিয়ে থাকি তা হলে আমরা কেন যৌতুক নামের শুয়োরের গোস্ত নেব? ? ?? ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে সমাজের এই ব্যাধি বিতাড়িত করতে হবে।
খ, যদি আপনার বড় ভাই হয় তা হলে একটু সহজেই বুঝাতে পারবেন আশা করি, আপনার বড় ভাইকে বিয়ে করানোর পরে যতটুকু যৌতুক নামের শুয়োরের গোস্ত নেয়া হয়েছে তা নিয়ে কি এমন উন্নতি হয়েছে প্রশ্ন করতে পারেন....! না নিলে কি এমন ক্ষতি হতো তার প্রশ্ন তুলতে পারেন, অন্যের জিনিস নিয়ে গর্ব করার কি আছে, নিজে কিছু করতে পারলে এটাই সবচেয়ে আনন্দের..... এমন কথা ছুড়ে দিতে পারেন।
বড় ভাইটির সহযোগিতাও নিতে পারেন।
গ : মেয়েটিকে ঘরে তোলার ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে, বর্তমানে বিয়ের দিন তারিখঃ ঠিক হবার পর (মেহেদী রাত) নামের একটি হিন্দু সংস্কৃতি মুসলিম সমাজে প্রচলিত হচ্ছে.....!!
মেহেদী লাগানো দোষের কিছু নয়, কিন্তু মেহেদী রাত বা মেহেদী অনুষ্ঠানের নামে যা হয় তা নন্সেস! ! নারী পুরুষ একই সাথে ছবি ভিডিও.... নাচ গান ইত্যাদি কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়, এগুলো ত্যাগ করা অবশ্যই জরুরী।
অনেক যুবক আছে নিজেকে একটু আধুনিক পরিচয় দিতে চাই....! বলে কি!!! জীবনে একবারেইতো বিয়ে এই দিন একটু এনজয় করলে সমস্যা কোথায়?! !! প্রশ্ন হচ্ছে জীবনের একটি দিন যে দিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেই দিনটিকে পাপ দেয়ে শুরু করবেন? ? কেন এই আধুনিকতা? কেন আপনি জীবনের এই সুন্দর মুহুর্তটিতে জাহান্নামের দাওয়াত দিবেন..... সহপাঠীদের? ? আপনার একটু আধুনিকতার জন্য আপনার বিয়েতে সকল উপস্থিত লোকজনের পাপের জন্য আপনি দায়ী! !! ! নিজেকে প্রশ্ন করুন নিজে পাপ করবেন অন্যকেও করাবেন, আপনি কি সব পাপের ভার নিবেন?
৬. আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ের আয়োজন হয় সেখানেও অনেক কুসংস্কার থাকে সেগুলোর দিকেও নজর দেয়া জরুরী।
৭. মোহরনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ... যেহেতু স্বামীকে আদায় করতেই হবে...। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলের মতামত নেয়া হয়না!!!!!! দর কষাকষির পর্যায়ে কয়েক গুণ মোহরনার অংক বেড়ে যায়! ! ২ লক্ষ থেকে শুরু ৩লক্ষ ৪ লক্ষ, ৫লক্ষ, যেতে যেতে ২০/৩০ লক্ষ টাকায় পৌঁছায়.....! যা নব বিবাহিত ছেলেটির উপর ছাপিয়ে দেয়া হয় ....। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
ছাপিয়ে দেয়া মোহরানা পরিশোধ করার কোন তাড়া নেই... আছে কি? আছে যন্ত্রণা.... কিসের যন্ত্রণা? যন্ত্রণা হলো..... মোহরানার টাকা যেহেতু বাকি থাকে তাই মেয়ে পক্ষের লোকজন কারনে অকারণে মেয়েকে উস্কানি দেয় স্বামী পক্ষের লোকজনের প্রতি..... টুনকো বিষয়কে টেনেহিঁচড়ে লম্বা করার চেষ্টা করে! ! কারন কি কারনঃ ছেলে পক্ষকে চাপে রাখা চাই....!
ছেলে পক্ষকে চাপে রাখার কৌশল হয়ে দাড়ায় মোটা অংকের মোহরানার টাকা! ! ছেলে পক্ষ বা ছেলেটি সামনেও এগোতে পারেনা পেছনেও না।
ছেলে পক্ষকে চাপে রেখে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই! !! যা সংসার ভেঙ্গে যাবার কারন সমুহের মধ্যে অন্যতম,
((বিয়ের পর স্ত্রীর দায়িত্ব কি হওয়া উচিত তা নিয়ে অন্য একদিন লিখবো) )
মেয়েটি বাপের বাড়ির পরামর্শ নিয়ে যখন শশুর বাড়িতে নিজের ইচ্ছেমত চলতে থাকে তখনই শশুর বাড়ির লোকজন ও স্বামীর সাথে বাকবিতণ্ডা হয়!
বাকবিতণ্ডায় যদিও শয়তান উপকৃত হয়! বাস্তবতা এটাই বাস্তবতার কোনো কোনো পর্যায়ে রাগের মাথা স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়!! ! (( ইসলামে তালাক হালাল হলেও হালালের মধ্যে নির্কৃষ্ট))
দেখা যায় তালাক দেয়া স্ত্রীর সাথে ঘর করছে.... করন কি? কারনঃ মোহরআনার টাকা.... মোহরআনার টাকা পরিশোধ করতে না পারার কারনে তালাক দেয়া তথাকথিত স্ত্রীর সাথে সংসার করে.....!! যা ইসলামের দৃষ্টিতে যেনা স্বরুপ! !
তাই সামর্থ অনুযায়ী মোহরানা নির্ধারণ করা উচিৎ!!
আমি, আপনি, সবাই একটু চিন্তা করি বিষয় গুলো নিয়ে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
বিষয়: বিবিধ
৭৪৪৬ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পোস্ট এবং আমাদের ব্লগ আঙিনায় প্রথম মন্তব্য করার জন্য জানাচ্ছি ফুলের শুভেচ্ছা।
আপনার ভালো লাগা একদিন ভালোবাসায় পরিনত হবে.....! যখনই ভালোবাসায় পরিনত হবে তখনই আপনার সাহসী মনোভাব প্রয়োগ করতে পারবেন।
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ভাইরাস জম্ম নিয়েছে সেই ভাইরাস দূর করতে হলে এগিয়ে আসতে হবেই, উদ্যোগী হলেই সফলতা আসবে, সব গুলো ভাইরাস একদিনে দূর করা সম্ভব নয়, চলুন একটি একটি করে সমাধানের চেষ্টা করি।
ফলো করতে চেষ্টা করবো....
তবে কঠিন।
আপনার ইচ্ছাকে সম্মান জানাচ্ছি! আশা করি কঠিন বিষয় গুলো তরুণ সমাজ সহজ করে তুলবে ইচ্ছে শক্তি ও মেধা শক্তি প্রয়োগ করে।
আল্লাহ তরুণ সমাজের প্রতি সহায় হোন, আমিন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবা মা অর্ডার দিয়ে বসে... যা বিপরীত হয়ে সম্পর্ক নষ্ট করে....! এখানে আপনাকে মেধার পরিচয় দিতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে তরুণেরা নষ্টের পথে অগ্রসর হবার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এখানে দুটি পক্ষ!
আমরা যেন সঠিক পথে অগ্রসর হতে পারি, সঠিকটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যেন আমরা একটি পক্ষ চেষ্টারত থাকি। আল্লাহ যেন আমাদের তাওফীক দান করেন। সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ।
বর্তমান সমাজটা দেখলে মনের মাঝে কেমন যেন অস্তিরতা তৈরী হয়.!!! মনে হয় যেন আমরা পেছনের দিকে দৌড়ে যাচ্ছি....
যতক্ষণ না আমরা সাহসিকতার সাথে সামনে এগিয়ে যেতে সংকল্প করবনা ততক্ষণ আমাদের এই সমাজের অবনতি ছাড়া উন্নতি হবেনা।
অবস্থান বদলের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে, আমরা এখনো এক ঘুড়ঘুড়ে আঁধারের মাঝে পড়ে আছি!!!! আলোর পথ সহজ হোক আমাদের জন্য। আল্লাহর কাছে এটাই চাওয়া।
ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
তবে অল্প বয়সেই অনেক কিছু জেনে ফেললাম
কিন্তু কতটুকু মানতে পারবো সেটাই দেখার বিষয়।
আপনি আপনার জায়গা থেকে শুধু করুন দেখবেন পরিবর্তন আসছে.... আপনি সব কুসংস্কার দূর করতে না পারলেও আপনার দেখাদেখি আপনার বন্ধু আপনার আত্মীয় একদিন কুসংস্কার মুক্ত করবেই.....!
শুরুটা অবশ্যই জরুরী এবং তিক্ত অভিঙ্গতাপূর্ণ হতে পারে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ঐকবদ্ধ ভাবে সচেতনতার সাথে এগিয়ে যেতে পারলে সমাজের এই ভাইরাস দূর করতে পারবই....।
আমার লেখা অব্যাহত থাকবে এবং সুযোগ পেলে বন্ধু মহলে এ বিষয়ে আলোচনা করে সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টাও থাকবে। দোয়া করবেন যেন সফল হতে পারি। ধন্যবাদ অনুভূতি রেখে উৎসাহিত করার জন্য।
পুঁটির বাপের বাপকে যেন পুঁটির বাপ বুঝিয়ে এনে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে....।
পুঁটির বাপ ও পুঁটির মায়ের বিয়ে পাড়া প্রতিবেশীর জন্য শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে থাকে।
পুঁটির বাপকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নিয়ম কানুন গুলো যদি মানার মানসিকতা তৈরী করতে পারি এবং বাস্তবায়ন করতে পারি সমাজে তবেই আমরা শন্তি ফিরে পাব।
ভাইরাস মুক্ত সমাজের স্বপ্ন বুকে ধারন করে ঘুমাতে যায়।
সকালের সূর্য উঠার আগেই যদি ভাইরাস মুক্ত সুন্দর সমাজ পেতাম তাহলেই.... শান্তির খোঁজ পেতাম।
সমাজের কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্য পুরনে আপনাকেও এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। শুভকামনা।
টেলিফোনে..... মেয়েঃ হ্যালো... হ্যালো.. কে? মা.....?
হ তোর মা বলছি, মা..... কেমন আছ? ভালো তুই কেমন আসিস? ভালো আছি মা.... কি অবস্থা ঐদিন যা বলেছিলাম তা ঠিকমতো করেসিসতো?
না... মা..... করতে পারিনি! !!
মা কি জামাই দিলা স্বামী কথা শুনেনাহ্...!!
ওনি বলে এটা করা সম্ভব নয়! কি বলিস তোর বাপ এখনো আমার কথায় উঠে আর বসে, তুই এই সামান্য কথাটাকে তুই মানিয়ে নিতে পারলিনাহ্! !? চেষ্টা চালিয়ে যা..............
ঠিক আছে মা..... ওনি এসেছেন এখন রাখি।
পরবর্তী ফোন আলাপে কি কথা হতে পারে পাঠকরা কল্পনায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারেন।
যৌতুকের ভাইরাস দূর করতে চাই বিবাহ করতে ইচ্ছুক ছেলেটি......... কিন্তু মেয়ের বাবা মায়ের অহংকারের স্রোতে ছেলেটির ইচ্ছে এবং যৌতুক বিরোধী মনোভাবকে ধ্বংস করে দিচ্ছে...
#ছেলেটি তার বাবা মাকে দিনের পর দিন বুঝিয়ে কুসংস্কৃতির বেড়া জাল থেকে মুক্ত করে যৌতুক বিহীন বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য রাজি করায়।
#বিয়ে হয়ে যাবার পর মেয়ের মা বাবা ছেলেটিকে মনে করে বউ পাগল বাদাইম্মা!! কারন সে তার বাবা মাকে রাজি করিয়েছে..... মেয়ের মা বাবা ভাবে তাদের সুন্দরী মেয়েকে পাবার জন্য সংস্কৃতি বদলানো...!!!
#মেয়ের মা বাবার মনোভাব প্রকাশ পায়.
মেয়েকে লাই দিয়ে মাথায় তুলতে দেখে.....। মেয়েটিও ভাবে তার চামড়ার কত দাম যৌতুক দেয়া লাগেনি.... হি হি হি....!!!
#ছেলেটি তার স্ত্রীকে বললে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলামিশে চলার চেষ্টা কর...! স্ত্রী মনে করে মিলেমিশে থাকাটায় যেন কয়েক হাজার কেজি ওজনের বোঝা তুলে দিয়েছে তার মাথার উপর তার স্বামী!!!
#মিলে চলতে না চাওয়ার কারন কি? খুঁজতে চান আসেন....! মেয়েটির মা বাবার মনোভাব যখন এই... মানে.... মেয়ের স্বামী যখন মেয়েকে পাবার জন্য যৌতুক নামের ভাইরাসকে গলা টিপে হত্যা করতে পেরেছে তখন ছেলেটি তার মা বাবাকেও তার থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে আলাদা হয়ে যেতে পারবে!!! আলাদা হতে পারলেই যেন দুনিয়া জয় করা....!!!
#মেয়ে অথবা মেয়ের মা বাবা একটুও ভাবেনা তার মেয়ের স্বামীটি অন্য কারোর সন্তান! সন্তানটির যা দায়িত্ব আছে তার মা বাবার প্রতি সুন্দর সম্মান জনক পরিবেশ ও দেখাশানা করা। অল্প সময়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তাদের মেয়ের স্বামীকে তারা বানাতে চাই কালুর বলদ....!!!
#মেয়েটিও যৌতুক বিহীন বিয়ে বসতে পেরে চামড়ার অহংকার দেখায় তার বাপের বাড়ির লাই দেয়া কথা প্রয়োগ করে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের উপর! !!
#ছেলেটি সংসার বাঁচাতে মানে টিকিয়ে রাখতে সমস্যা বিবেচনা করে সমাধান এর চেষ্টা করে, কিন্তু মেয়েটির মনোভাব হয় ভিন্ন! সমস্যা সৃষ্টি করাই যেন তার কাজ!!
চামড়ার অহংকার অথবা ধারন করা মোহরানার জোর দিয়ে মেয়েটির বাপের বাড়ির শাসন কৃতিত্ব স্বামীর পরিবারে জারি করতে চাই.....!
তাইতো.... এই অহংকার দিয়ে মোড়ানো সমাজে যৌতুক নামের ভাইরাস দূর করার জন্য আমাদের মত কিছু যুবকের মনকে তেতলা করতে হবেই.......! হজম করতে হবে জ্বলন্ত আগুন......!
এবার আসা যাক ছেলেটির পরিবারের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াঃ-
ছেলের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যাশা থাকে আমরা যখন ছেলের কথা মেনে নিয়ে সমাজের প্রচলিত প্রথা দূর করে ছেলের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে সমাজের মুখে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি, তার বিনিময়ে ছেলে এবং ছেলের বউ তাদের নায্য কথা গুলো শুনবে এবার সংসারকে আনন্দগন করে তুলবে......।
যখন দেখে মেয়েটির ভিন্ন আচরণ তখন ছেলেটির উপর ছেলেটির মা বাবার ক্ষোভ ভাড়তে থাকে......। শুরু হয় সংসারে অশান্তি!
ছেলের মা বাবার নায্য চাওয়া গুলো যদি মেনে চলতে না পারে "ছেলেটি" বউয়ের কারনে তা হলে কি করে মা বাবার হক আদায় করবে?
বউয়ের নায্য হক আদায় করা যেমন ছেলেটির দায়িত্ব, ঠিক তেমনি মা বাবার হক আদায় করাও ছেলেটির দায়িত্ব। সমান ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পরলেই কেবল সফল বলা যেতে পারে।
মেয়েটি একবারও ভাবেনা তার স্বামী বেচারা একজন মনুষ, রোবট নয়! ! তার সাথে আচরণ গুলো যেন রোবটের দৃষ্টিভঙ্গিতে.... হচ্ছে! !
রোবট মানুষে যে রকম চালায় সেই রকমই চলে কারন রোবট মানুষের তৈরী এবং তার নিজস্ব জ্ঞান বিবেক চিন্তা চেতনা নেই, প্রাণও নেই, আল্লাহর সৃষ্ট সেরা জীব মানুষ হিসাবে স্বামী বেচারা তার ন্যায় অন্যায় ভালো মন্দ দেখতে হয়। সব কিছুতে হ্যাঁ হ্যাঁ করা স্বামী বেচারার পক্ষে সম্ভবপর নয়।
যৌতুকের মত ভাইরাস সমাজ থেকে দূর করতে ছেলের পাশাপাশি মেয়েও মেয়ের মা বাবাকেও সুস্থ মানসিকথা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমান সমাজে সংখ্যায় কম হলেও কিছু সংখ্যক ছেলে যৌতুক বিহীন বিয়ে করতে চাই এবং করে।
দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২টি পরিবারের অসহযোগিতার কারনে যৌতুক বিহীন বিয়ের উদ্যোগ নেয়া ছেলেটি বৈশম্যের শিকার হচ্ছে।
উপরের বিষয় গুলো সচেতন মহলে আবেদন হিসাবে রাখলাম! আশা করি যৌতুকের মত ভাইরাস সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে যে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসবেন। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন