দাম্পত্য জীবনের প্রথম লগ্নে স্ত্রীর উপর স্বামীর নজরদারি ও স্ত্রীর মন মানসিকতা.... আব্দুর রহিম
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ১৬ মার্চ, ২০১৫, ১১:৪১:৫১ রাত
আমরা নিজের চেয়ে অন্যকে খুব বেশী নজরদারি করতে অব্যাস্ত যেমন বিয়ের পরে (স্বামী) স্ত্রীর উপর খুব বেশী নজরদারি করে... নজরদারির বিভিন্ন বিষয় আছে.... যথাক্রমে......
বিঃদ্রঃ- ১৫ বছরের কম বয়সী ব্লগারদের জন্য আজকের লেখাটি না পড়ায় ভালো।
১/ নতুন বিয়ে করার পর স্বামীর সর্বপ্রথম নজরদারি তার স্ত্রীর মন মানসিকতার দিকে তার স্ত্রীর মন কি রকম সে কি রকম কথা শুনতে পছন্দ করে কি রকম কথা অপছন্দ করে! সচেতন স্বামীরা নজরদারিতার বিষয়ে মোটেও ছাড় দেয়না; কি খেতে পছন্দ কি অপছন্দ কি বিষয়ে সস্তিবোধ করে কি বিষয়ে বিরক্ত হয় তা নজরদারির রাখে...!
২/ নজরদারির পর স্ত্রীর মন মানসিকতা আচার আচরণ পছন্দ অপছন্দ সব নিয়ে পরিবারের সাথে একিভুত হতে পারবে কি পারবে না এ নিয়ে স্বামী বিশ্লেষণ করতে থাকে সময়ের পরিক্রমায়!
৩/ সবাই এক বাক্যে মেনে নেবে... এক একটি পরিবারে এক একটি পরিবেশ বিদ্যমান| সুতরাং প্রতিটি নারীকে কারো স্ত্রী হবার পরে কিছুটা হলেও নিজেকে বদলাতে হয়! স্বামী বেচারা স্ত্রীর উপর করা নজরদারির রিপোর্ট ও নিজের পরিবারের পরিবেশ বিশ্লেষন করতে থাকে একাকী নির্জনে! যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, সরল, বীজগনিত..... অংক কসে বাস্তবতার সামনে দাড়িয়ে....।
৪/ অংকের ফলাফল যখন সময় বুঝে প্রয়োগের চেষ্টা করা হয় তখন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টিহয়! ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ধরন দেখে কিছু মজারি কিছু সরল সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশনা দিতে হয় স্বামীকে...!
কারো স্ত্রী স্বামীর দেয়া দিকনির্দেশনা গুলো পালনের জন্য নিজেকে নতুন ভাবে নিয়োগ দেয়।
কারো স্ত্রী দিকনির্দেশনা গুলো শুনে দম্ভকরে নিজে নিজের ভেতরে ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয় নিজেস্ব ভাবদ্বারা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য!
আবার কেউ দিকনির্দেশনা গুলো শুনে নির্দেশনা গুলো পালন করবে এমনটিই ভাব দেখায় স্বামীর সামনে.... সাথে চুপিচুপি স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দোষ ত্রুটি খোজা অব্যাহত রাখে....!
স্বামীর রোমান্টিক মোড়ের সময় স্বামীর পরিবারের সদস্যদর দোষত্রুটি গুলো ফিসফিস করে......
আবার কেউ কেউ স্বামীর দেয়া নিদর্শনা গুলো শুনে চুপচাপ থাকে... পরে সুযোগ বুঝে স্ত্রীর বাপের বাড়ির ঘনিষ্ঠ জনের সাথে নির্দেশনা গুলো শেয়ার করে! বাপের বাড়ির ঘনিষ্ঠ জনের পরামর্শ পেয়ে তা স্বামীর সংসারে প্রয়োগ করার চেষ্টা করে!
৫/ ঘটনা প্রবাহ ও বাস্তবতার নিরিখে স্বামীকে যেমন স্ত্রী পেল তেমন ভাবে নিজের জীবনকে সাজিয়ে নিতে হবে.....!
সুতরাং জীবন বহমান নদীর মত যা থেমে থাকার নয় শান্তি অশান্তির সংমিশ্রণে অতিবাহিত করতে হবে।
আশা করি পাঠকেরা... বিশেষ করে নারী পাঠিকারা যার যার অবস্থান সমুহ বুঝতে অক্ষম নয়, বিবাহিত পুরুষ পাঠকরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোন স্ত্রীটি আপনার ভাগ্যে জুটেছে.......!
যে যেভাবে আছেন যা পেয়েছেন তা নিয়ে ঐকবদ্ধ ভাবে সংসার করার চেষ্টা করবেন....। প্রতিটি দাম্পতির জন্য আমার শুভকামনা রহিল।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অব্যাস্ত, একিভুত, বিশ্লেষন, বীজগনিত, কসে,দাড়িয়ে, ভাবদ্বারা, খোজা এই শব্দগুলো...
রাগ করবেন না কিন্তু! আমি অধম বলে আপনাকে উত্তম করিব না কেন!
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আয় রোজগার না থাকলে যেমন স্বামী হওয়া যায় না তেমনি সংসার মনষ্ক না হলে স্ত্রী হওয়া যায় না ।
সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া/ ভাবি ।
উভয়কে ইসলামের আলোকে মানিয়ে নেওয়া।
ঝড় এবং ঝঞ্চা নিয়ে পৃথিবী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন