৪০ জন মানুষের মৃত্যু এবং ৪০ টি পরিবারের বুকপাঠা কান্নার উৎস শেখ হাসিনা.... শেখ হাসিনার মনকে কি একটুও বেদনাত্ব করেনি?
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ২৫ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:৩৬:০৫ রাত
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু অবশ্যই দুঃখজনক খালেদা এবং তার পরিবারের জন্য..... শেখ হাসিনার জন্য দুঃখজনক সেটা দেখে মনের ভিতরে কয়েকটি প্রশ্ন গুরতেছে...!
১/ আরাফাত রহমান কোকো ছিলো ফেরারী আসামি আওয়ামী আদালতে তার বিচারের রায় হলে মুত্যুদন্ডের রায় হতে পারতো। কথা হলো আওয়ামী চোখে ফেরারী আসামির জন্য এত রাজনৈতিক দরদ এলো কোথা থেকে?
২/ শেখ হাসিনার জন্য আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু এত গুরুত্বপূর্ণ হবার পেছনে কারণ কি? দেশে ৫ই ফেব্রুয়ারী ঘটনা থেকে আজ পয্ন্ত ৪০ জনের মত মানুষের মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন ভাবে, এরা সাধারণ মানুষ তাই কি এদের জীবনের কোনো মূল্য নেই? এদের জন্য সহানুভূতি বা সমবেদনা থাক কি উচিত ছিলোনা শেখ হাসিনার?
৩/ ৪০ জন মানুষের মৃত্যুর পেছনে কারন ১০০তে ৯০% দায় শেখ হাসিনার! তিনি আজকের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন আদালতের গাড়ে আস্ত্র রেখে।
৪/ ৪০ জন মানুষের মৃত্যু এবং ৪০ টি পরিবারের বুকপাঠা কান্নার উৎস শখ হাসিনা..... শেখ হাসিনার মনকে বেদনাত্ব করেনি?
আমারা সাধারণ জনগন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কি আশা করি? আশা করি ১ আরাফাত রহমান কোকোর জন্য সমবেদনা নয়, ৪০ জন অথবা তার অধিক মৃত্যু বা হত্যাকাণ্ড রোধে বেদনাময় মনকে সাধারণ মানুষের জন্য উৎসর্গ কারাই হত সর্বোচ্চ সমবেদনার।
৫/ প্রতিদিন দেশের গনতন্ত্রকামী মানুষের বুকে গুলি চালানোর জন্য উগ্র ভাষায় যে কথা বলা হচ্ছে তার জন্য শেখ হাসিনার অনুভূতি কি?
বিষয়: বিবিধ
১২৩৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
স্রেফ দেখানর জন্য এই কান্ড!
রাজনৈতিক স্বার্থ পুরণে হেন কাজ নেই যা রাজনীতিবিদ রা করছে না!
কোকো-র জন্যে মায়াকান্নাও তেমনি এক কৌশল লীগদের!
উপস্হাপনায় সহমত!!!
এই মুহুর্তে মানবতার দুঃখে যার মন সবচেয়ে বেশি কাঁদে, প্রতি রাত যার বিনিদ্রা কাটে মানবতার সার্বিক কল্যাণ কামনায়, যার ক্ষমতার প্রতি বিন্দু মাত্র লোভ লালসা নেই, মানুষের ভালবাসা পেতে যার হৃদয় মন উদগ্রীব, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, আমাদের অভিভাবক, জাতির জনকের কন্যা আমাদের দিদি শেখ হাসিনা!!!!
বাংলার জনপদের প্রতিটি আনাচে কানাচে সর্ব শ্রেণীর মানুষের বিপদে আপদে যিনি সমস্ত ব্যস্ততা এক পাশে রেখে তাদের কাছে ছুটে যান, তারই অংশ হিসেবে, বিশেষ করে এক জন মা হিসেবে, তারই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী পূত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত খালেদা জিয়াকে দেখতে যান, অথচ তাকে কিনা কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয় নি, চরম ধৃষ্টতা! তিনি আজো বুঝাতে পারলেন না, রাজনীতির মাঠে শত্রু হলেও খালেদা কে কতটা ভালবাসেন!
সুপ্রিয় পাঠক, বিপদে পাশে দাঁড়াতে গিয়ে হাসিনার অপমানিত হওয়া দেখে আপ্নারা আবেগে আপ্লুত। আপনাদের মূল্যায়নঃ ' কাজটা ভাল করেন নি, গেইট খোলা রাখা উচিত ছিল, প্রধানমন্ত্রী বলে কথা'।
আসলেই কি তাই? কাল না হয় পূত্র শোকে মুহ্যমান ছিল। যখন টানা দু সপ্তাহ বন্দী করে রাখা হল, বেঁচে থাকার খাবারটা পর্যন্ত ঢুকতে দেয়া হয় নি, তখন কোথায় ছিল মানব হিতৌষী শেখ তনয়ার মানতাবোধ? কোথায় থাকে এত দরদ?
দরদ কোন কালেই উনার ছিল না। দরদ থাকা ডাইনীদের মানায় না। ওদের ডাইণি রুপ আড়াল করার জন্য বহুরূপী বৈশিষ্টের প্রয়োজন হয়। যখন যেখানে যে রুপে আভির্ভূত হওয়া দরকার সেভাবে আভির্ভূত হয়। আমাদের হাসিনা বুবু তেমনি একজন!
মনে আছে, এই হাসিনাই খালেদাকে ঈদের আগের দিন এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়, আবার কিছুদিন পর নিজের বাসায় খালেদাকে দাওওয়াত করে তার আসার অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে ? মনে করুন, বুঝতে পারবেন। কল্পকাহিনীর ডাইনী রুপ দেখতে চাইলে বাস্তবের হাসিনাকেই দেখে নিন। তার মাঝেই খুঁজে পাবেন গল্পের ডাইনীকে।
দেশের সব কয়টি প্রধান দৈনিকে এসেছে হাসিনাকে খালেদার ফিরিয়ে দেবার ঘটনাটি । খালেদা জিয়া এই সময়েও রাজনীতির বেড়াজাল থেকে বের হতে পারেন নি যেটা জননেত্রী পেরেছেন ।
বাংলাদেশের মানুষ হাসিনাকে রিফিউজ করার ব্যাপারটা ভাল চোখে দেখছে না । অবরোধে মানুষ মারা গেলেও খালেদা শোকাভিভূত হন নি , উনার ছেলের ব্যাপারে যেমনটা হয়েছেন ! উনি উনার বাড়ি হারিয়েও কেঁদেছিলেন ।
মানুষের মনে এসব রেখাপাত করে না , তার প্রমান এই ৬-৭ বছর বিএনপির দশা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন