আযানের সময় মহিলাদের মাথায় কাপড় দেওয়া প্রসঙ্গে.....

লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ০২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:২১:৫৫ রাত

আযানের সময় মহিলাদের মাথায় কাপড় দেওয়া



আমাদের দেশের অনেক মা বোনদের দেখা যায়, আযানের ধ্বনি শোনা মাত্র তারা মাথায় কাপড় দেন। কখনও ভেবে দেখেছেন এমনটা কেন করা হয়? এটাই কি ইসলামের সঠিক রীতি কিনা?

এইখানে দুইটি বিষয় লক্ষ্যনীয়-

১-মাথায় কাপড় কখন দেওয়া উচিৎ ? নারীদের মুখমণ্ডল ও হাতের কব্জি ছাড়া শরীরের সমস্ত কিছুই তাদের লজ্জাস্থান। যা গায়ের মাহরাম বা পরপুরুষের সামনে সর্বাবস্থায় ঢেকে রাখতেই হবে। কাজেই আযান শুনে নয় বরং মাহরাম ছাড়া অন্য যেকোনো পুরুষের সামনে মাথাসহ সমস্ত শরীর ভালভাবে ঢেকে রাখা ফরজ।

আযানের সাথে মাথা ঢেকে ফেলার কোন সম্পর্ক নেই।

২- আজানের ডাকে মেয়েদের মাথায় ঘোমটা টেনে দেয়ার প্রচলন অনেক আগ থেকেই। যদিও ইসলামে মেয়েদের ক্ষেত্রে সব সময়ই মাথা আবৃত করে রাখার আদেশ দেয়া আছে। তবে আজান শোনা গেলেই কেবল এ আদেশ পালনের হিড়িক পড়ে যায়।

শুধু আজানের সময় মাথায় ঘোমটা দেয়ার বিষয়ে ইসলামে কোন নির্দেশনা আছে বলে আমার জানা নেই। এটা একটা সামাজিকপ্রচলন। কেউ কেউ আবার অতিভক্তি থেকে আজানের সময় মাথা ঢেকে রাখেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এটা একেবারেই লোক-দেখানো একটা বিষয় বা কুসংস্কার বা অজ্ঞতা থেকে করে থাকেন।

তা না হলে অন্য যেসব সময়ে মাথায় ঘোমটা দেয়া অত্যাবশ্যক সে সময়ে ঘোমটাহীন থেকে কেবল আজানের সময় ঘোমটা দিয়ে মাথা ঢাকার আর কী মানে থাকতে পারে?

আজানের সময় খোশগল্প, গান শোনা এবং ইসলামনিষিদ্ধ অনেক কাজে লিপ্ত থেকে কেবল মাথায় ঘোমটা টেনে ধরলে সেটা কোন উপকারে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। পর্দা কাউকে দেখানোর জন্য নয়, নিজেকে সংযত রাখার জন্য হওয়া উচিত।

মাথা কাপড় না দেওয়া প্রসঙ্গে ড.বিলাল ফিলিপস যা বলেছেন -

=============

'বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিমরা যে ইসলাম পালন করে তা হচ্ছে বাপ দাদাদের সুত্রে পাওয়া 'কালচারাল ইসলাম', এই কালচারাল ইসলামের কিছু জিনিস যদিওবা সত্যিকারের ইসলামের সাথে মিলে যায়,অধিকাংশ জিনিসই বরং মিলে না। উদাহরণ সরূপ বলা যায়,বিভিন্ন দেশের কালচারাল মুসলিম মহিলারা মাথায় কাপড় না দেয়াকে কোন পাপ মনে করে না বা এইভাবে বাইরে চলাফেরা করা ও পরপুরুষের সামনে যাওয়াকে কোন লজ্জার বিষয় মনে করে না''।

আযান শুনলে কি করা উচিৎ?

===================

আযানের ধ্বনি শুনে নারী পুরুষ সকলের করনীয়হল- আযানে যা বলা হতে থাকে তার জবাব দেওয়া।

এবং আযান শেষে এই দোয়া পাঠ করা -

'আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-যিহিদ দা'অতিত্ তা-ম্মাহ, অসস্বালা-তিলক্বা-ইয়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল অসীলাতা অনফাযীলাহ,অবাষহু মাক্বা-মাম মাহমুদানাল্লাযীঅয়াত্তাহ।'

অর্থঃ 'হে আল্লাহ এই পূর্ণাংগ আহবান ও প্রতিষ্ঠালাভকারী নামাযের প্রভু!

মুহাম্মাদ(সাঃ) কে তুমি অসীলা(জান্নাতেরএকউচ্চ স্থান) ও মর্যাদা দান কর এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও,যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ।'

(সহীহ মুসলিম ৩৮৬; তিরমিযী২১০; নাসায়ী ৬৭৯; আবূ দাউদ ৫২৫;ইবনু মাজাহ ৭২১; আহমাদ১৫৬৮) উৎস https://m.facebook.com/photo.php?fbid=822179967845316&id=100001599600433&set=gm.916529401698919&source=48

বিষয়: বিবিধ

১৬১৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

298702
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:০৩
sarkar লিখেছেন : মনে হয় উনাদের আজানের সময় মরনের কথ মনে হয়।অথবা শরিয়তের হুকুমের কথা হয়।তাই আযানের সময় ঘোমটা দেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।তাছাড়া আরেক টা কথা আছে আযানের শব্দ শুনে সয়তানের গায়ে আগুন দরে যায়।আর শয়তান যখন ললনা দের ছেড়ে দেয় তখন তাদের মাথায় ঘোমটা আসে।ধন্যবাদ।
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:০৫
241817
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : Good Luck
298705
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:২২
পললব লিখেছেন : ইসলামের সাথে অনেক কিছুই সংশ্লিষ্ট নই তবুও করি। এটা একটি সামাজিক কুসংস্কাররীতি বলতে পারেন। যেমন-আমাদের দেশে বিয়ের আগে, পানচিনি, গায়ে হলুদ, কুলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে ডালা সাজানো,বর কিংবা কনের গোছলের আগে গায়ে কাঁচা হলুদ লাগানো, থুপড়ি খাওয়ানো, বৌভাত আরো কত কি????
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২৯
241849
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : সম্পূণ্ন একমত।
298715
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:৫৭

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : মেয়েরা কি আল্লার চাকর নাকি যে সবকিছুই মেনে চলবে!
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৩০
241850
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : তোর মত বেস্যাদের না মানলেও চলবে।
298719
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:২৪
হতভাগা লিখেছেন : আযানের সময় শয়তান ও দুষ্টু জ্বীনেরা পালাতে শুরু করে । এমতাবস্থায় কোন মেয়ের যদি চুল খোলা থাকে তা নাকি তাদের দৌড়াদৌড়ির ফলে এলোমেলো হয়ে যায় ।

এই এলোমেলো হওয়া থেকে বাঁচতেই আযানের সময় মাথায় ঘোমটা দেয় মেয়েরা ।

আবার রমযানের সময় বিটিভির উপস্থাপিকা ও খবর পাঠিকারা বিশাল বিশাল ঘোমটা টানে , ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া মাত্রই তা উঠে যায়।
298736
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:০৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যথার্থই বলেছেন, মাথায় ঘোমটা দেয়ার বিষয়টি শুধু আযানের সময় মেনে চলতে হবে তা খুবি হাস্যকর। যারা পর্দার ক বুঝেনা অথবা বিরুদ্ধাচারী তারাই এই ভন্ডামি করে থাকে।
298765
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫৩
কাহাফ লিখেছেন :
গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে-
"ফরজের নামে খোজ নেই হাতে আর গুতে,
নফল লইয়া দৌড়া-দৌড়ি বাপে আর পুতে!"

আর কিছুই বলার নাই আমার..........
298786
০২ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
298921
০৩ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১১
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :
আযানের সময় শয়তান পালাতে থাকে তো তাই মেয়েদের মাথা থেকে তখন শয়তান চলে গিয়ে ঘুমটা উঠে, আর একটু পরেই যখন শয়তান আবার আসে তখন ঘুমটা নেমে যায়.......
০৩ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
242005
ছালসাবিল লিখেছেন : Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Love Struck Applause Applause Applause Applause

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File