মুসলিমরাও এই শিরক গুনাহ করে থাকে নিজেদের অজান্তে। আমরা কি শিরক বহন করে জাহান্নামে যাব?
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৯:৫৪ রাত
শিরক !!! শিরক !!!! শিরক !!!!!
"আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরীক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না, এ ছাড়া যাকে ইচ্ছে তার পাপ ক্ষমা করেন৷ যে আল্লাহর শরীক করে সে মহাপাপ করলো৷" (৪:৪৮)
মুসলিমরাও এই শিরক গুনাহ করে থাকে নিজেদের অজান্তে।
1. বিশেষ করে কোরআনে চুমু দেবার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন মনে না করি যে কোরআনই আমাদের সফলতা দেবে। বরং মনে করা উচিত এটি আল্লাহ প্ররিত আমাদের জন্য হিদায়েতের বই, এর বেশী কিছু নয়। কোরআন প্রতিদিন পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ’র সান্নিধ্য আসে এবং আল্লাহ তাকে সফলতা দেন। কিন্তু কোরআন পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা বা গাড়ীতে ঝুলিয়ে রাখার মধ্যে আল্লাহ’র সান্নিধ্য আসে না।
2. তেমনি কোন মাজারে গিয়ে যদি বলা হয় “হায় খাজা আমাকে এটা দাও ওটা দাও”, তখনই বিষয়টি পুরাপুরি শিরক। খলিফা ওমর (রা একবার হজ্জের সময় যখন তিনি কাবা ঘরের হযরে আসওয়াত পাথরে চুমু দিতে যান তখন তিনি পাথরকে উদ্দেশ্য করে বলেন “তুমি তো নিতান্তই পাথর। আমি তোমাকে চুমু দেবার প্রয়োজন বোধ করতাম না যদি আল্লাহ’র রসুল মোহাম্মদ (দকে চুমু দিতে না দেখতাম। আমি রসুলকে ভালবাসি, আমার রসুলকে তোমাকে চুমু দিতে দেখেছি বলেই আমি তোমাকে চুমু দিলাম”।
3. দোয়া পাঠ করে গাড়ীতে আরোহন করার মধ্যে আল্লাহকে স্মরন করা হয় যা আল্লাহ পছন্দ করেন। কিন্তু গাড়ীতে বা বাড়ীতে দোয়া টানিয়ে রেখে যদি মনে করা হয় এটাই নিরাপত্তা দেবে তা শিরক। কাজেই এই সব ছোট খাট কাজের মাধ্যমে অতিভক্তি করতে গিয়ে অনেক মোমিন মুসলিমরাও অজান্তে শিরক করছি যা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।
4. যেমন তাবিজ বা দোয়া ঝুলিয়ে রাখার মাধ্যমে যদি মনের মধ্যে উপলব্ধি সৃষ্টি হয় যে এই দোয়া বা তাবিজ নিরাপত্তা দেবে বা কাজের সাফল্য দেবে তখনই শিরক হয়ে গেল। কোরআনে চুমা দেবার বিষয়টি যদি মনে এমন ধারনা জন্মায় যে এই কোরআন-ই সকল সফলতা দান করবে তখনই শিরক হয়ে যায়।
5. অনেক ব্যবসায়ী দিনের প্রথম আয়ের টাকার উপর চুমু দেন যা বেদায়েত কাজ।
6. আবার রিক্সা শ্রমিক বা গাড়ীর ড্রাইভার দিনের প্রথম গাড়ীতে উঠার সময় স্টিয়ারিং বা চাকাকে ছালাম করে যা শিরক কাজ। এই সব বেদায়াত কাজ থেকে প্রত্যেক মোমিন মুসলিমদের বিরত থাকা উচিত।
* ডাক্তার না আসলে তাকে বাচানো যেত না
* উপরে আল্লাহ নিচে তুমি
* আল্লাহ আর আপনি আমাকে বাচালেন
* কুকুরটা থাকলে আজকে চুরি ঠেকানো যেত
* ঐ ওষুধ না খেলেই পুরো সুস্থ হয়ে যাবে
* আপনি আর আল্লাহ যা চাইবেন তাই হবে
* ড্রাইভারের কারনে বাসটি রক্ষা পেল
* দক্ষ মাঝি না হলে সবাই মারা যেত
* আমি আল্লাহ ও আপনার হেফাজতে আছি
* যেমন সার দিয়েছি তেমন ধান পেয়েছি
* আল্লাহ ও আপনার উপর ভরসা করছি
SHARE PLZ PLZ PLZ অন্য ভাইদের জন্য
আসুন আমরা দোয়া কির আল্লাহ যেন এই সব বড় বড় গুনাহ থেকে নিজেদের এবং আমাদের আশে পাশের মানুষদের বিরত থাকার মত চেতনা দান করেন, আমিন।
উৎস...... https://m.facebook.com/photo.php?fbid=738957739504555&id=100001710063831&set=a.276009352466065.63047.100001710063831&source=48&ref=bookmark
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৮ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বহুল প্রচলিত শিরক তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে তাবিজ যে শিরক এটা আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষই জ়ানে না। বড় বড় হুজুরেরা তাবিজ দিয়ে থাকেন। শিরকের ব্যাপারে এর আগের লেখাতেও গানের কথা লিখেছেন । সেগুলোর বেশীর ভাগই শিরক হলেও দু একটা কিন্তু শিরকের ভেতরে পড়ে না। আবার আজকের লেখাতেও কিন্তু দু-একটা কথা শিরকের মধ্যে পড়ে না।
অনুরোধ করব - সংগ্রহ করা লেখাগুলিকে হুবহু তুলে না দিয়ে, একটু চিন্তা ভাবনা করে কাট ছাট করুন। কোন কোন অংশ কাট ছাট করতে হবে সেটা বোঝার মতন ইসলামী জ্ঞান আপনাদের কাছে আমার চেয়ে অনেক বেশী আছে বলে মনে করি। ধন্যবাদ।
বিশ্বাস ও কর্মে মহান রবের সার্বভৌম আনুগত্যের নামই ইসলাম।প্রকৃত ইসলামের রুপরেখা কোরান-হাদিসে সুস্পষ্ট করে বর্ণিত হয়েছে।
তবে সামাজিক আচরণ ও কথাবার্তার প্রভাব স্বীকার করে ইসলাম।
যে কোন বিষয়েই শিরক-বেদাতের আংগুলিনির্দেশ বর্তমানে ফ্যাশানে পরিণত হয়ে গেছে। উল্লেখিত কিছু বিষয়েও এর রেশ বুঝা যায়।
আল্লাহ আমাদের প্রকৃত হেদায়েত করুন- আমিন।
প্রশ্ন,
কোরআন হাদীসের আলোকে অথবা কোন ইসলামিস্টের এ বিষয়ে ব্যাখা থেকে উদ্বৃতি দিয়ে জানালে উপকৃত হব।
আর পোস্টে (+++++) এবং পাঁচ তারা ( ***** ) ধন্যবাদ এ বিষয়টা শেয়ার করার জন্য ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যে আমল করি সে আমল করার তৌফিকও আল্লাহ তায়ালাই দিয়েছেন, সুতরাং সে আমলে আসলে গর্বের কিছু নেই। আমরা কাফিরের ঘরে জন্মালে কতটুক ইসলামের দিকে আসতাম, সে আল্লাহই ভালো জানেন। সুতরাং আমলের ওপর ভরসা না করে উনার রহমতের ওপর ভরসা করাই মনে হয় ঠিক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন