মাজর ও পীর পন্থীরা দূরে থাকুন! বাংলা ভাষায় তাওহীদপন্থি আলেমদের মধ্যে 'শাইখ মতিউর রহমান মাদানী' অন্যতম । উনার মত হক কথা বলার সাহস বেশিভাগ আলেমেরই নেই
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:৩১:১১ দুপুর
বাংলা ভাষায় তাওহীদপন্থি আলেমদের মধ্যে 'শাইখ মতিউর রহমান মাদানী' অন্যতম । উনার মত হক কথা বলার সাহস বেশিভাগ আলেমেরই নেই ।
~ শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর বক্তব্যগুলির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্য সমুহ:
১. তার বক্তব্যে কোন সুর/গুন্নাহ নেই। বস্তুনিষ্ঠতা ও কুরআন সুন্নাহর রেফারেন্সই তার বক্তব্যের মুল আকর্শন। তাই সুর করে মানুষকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
২. তার বক্তব্যে কোন বানোয়াট কাহিনী বা জাল যয়ীফের বয়ান নেই। কোনআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বক্তব্য দিয়েই তিনি এত সুন্দর ভাবে বিষয়গুলি বর্ননা করেন, যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তাই তার বক্তব্যে যা কিছু শুনবেন, তার প্রায় সবগুলোই কুরআন বা সহীহ হাদীসে পাবেন।
৩. তিনি সাধাররনত অন্য কারও অনুবাদের সাহায্য নেন না। আরবী ভাষার উপর অসামান্য পান্ডিত্যের কারনে তিনি নিজেই আরবীর শাব্দিক উচ্চারন থেকে শুরু করে সামগ্রীক অর্থ তুলে ধরেন।
৪. তিনি কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করেন না। বরং সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং সহীহ হাদীসের আলোকে সলফে সালেহীনগন কি ব্যাখ্যা বুঝেছেন তা তুলে ধরেন।
৫. তার বক্তব্যগুলো শুধু মানুষের মন রহ্মার জন্যই হয় না। বরং যা কিছু শিরক-বিদাত-কুসংস্কার থেকে মুসলিম কে মুক্ত করে বিশুদ্ধ ঈমান আকীদা গঠনে এবং দ্বীন পালনে সহায়তা করবে, তাই তিনি নির্ভয়ে বলে থাকেন। যার কয়েকটি প্রমান নিচে দেওয়া হল। এই স্পর্শকাতর বিষয়গুলি নিয়ে বিশুদ্ধ আলোচনা বাংলা ভাষার আর কোন বক্তার বক্তব্য থেকে পাওয়া যায় নাঃ
ক. বেরলভী আকীদা (Berelovi Aqidah.mp3 35Mb)
খ. শরশীনা তরীকা (Sarsina Torika.mp3 27Mb)
খ. ফুলতলী তরীকা ( http://www.youtube.com/watch?v=tcSC4INdTG4)
গ. চরমোনাই তরীকা (Chormonai Torika – Part 1.mp3 )
ঘ. দেহবন্দী তরীকা ( http://www.youtube.com/watch?v=mIcg3OeCIVY)
ঙ. তাবলীগ জামাতের কিছু কথা ( http://www.youtube.com/watch?v=aw_5sSWV2eE)
চ. প্রচলিত বিদাত ( http://www.youtube.com/watch?v=IIxdTCbdarI)
ছ. রজব ও সাবান মাসের বিদাত ( http://www.youtube.com/watch?v=ZEL0veyIRU4)
ঝ. সপ্নের ধর্ম ( http://www.youtube.com/watch?v=wgnfDELzClM)
অথচ এদের (উপরে বর্নিত বিভিন্ন তরিকার) প্রায় সবারই রয়েছে মারাত্মক ধরনের কিছু ভুল, যা হাজার হাজার মুসলিমকে বিভ্রান্ত করেছে এবং করছে।
৬. তার বক্তব্যের আরেকটি বৈশিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ৩৬০ ডিগ্রী আলোচনা। তিনি যে বিষয়ের উপর আলোচনা করেন তার উপর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চতুর্মুখী আলোচনা করেন। এবং এই আলোচনা শোনার পর আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে, বিষয়টির কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু তথ্য আমি জানতে পেরেছি (আলহামদুলিল্লাহ)। যেমন নিচের লেকচার
গুলির যেকোন একটি শুনুন:
৭. ইসলামের প্রায় সকল গুরুত্বপুর্ন শাখায় তার বাংলা বক্তব্য পাওয়া যায়। যা বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাঙ্গালীদের এমনকি traditional মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের দ্বীন শিখতে খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে।
~ তবে শাইখের বক্তব্যে যা পাবেন না:
১. সুরেলা ওয়াজ
২. সম্মিলিত মোনাজাত
৩. ইমাম আবু হানিফার ৪০ বছর এশার অযুতে ফজর পড়ার কাহিনী বা শাহজালাল হুজুরের গায়েবী ইলম দিয়ে আসামের বন থেকে ইবনে বতুতাকে রহ্মা করার কাহিনী অথবা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কবর থেকে উঠে এসে করমর্দনের কাহিনীর মত জাল বয়ান। যা কিছু বস্তুনিষ্ট এবং কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে প্রাপ্ত তার বাইরে তেমন কিছু পাবেন না।
৪. রক্তগরম করার মত কোন বক্তব্য পাবেন না
৫. পাবেন না জান্নাতের কোন সার্টিফিকেট
৬. পাবেন না কোন মাযহাবী গোড়ামী
৭. পাবেন না শিরক-বিদাতের প্রতি নমনীয়তা
উৎস এখানে https://m.facebook.com/photo.php?fbid=658245830938942&id=100002605929766&set=a.385829781513883.94857.100002605929766&source=48&ref=bookmark
বিষয়: বিবিধ
২৪৪৫ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আলোচ্য পোস্টের আলোকেই উনার মুল্যায়ণে খটকা লাগছে। কোরআন-হাদিসের আলোচনা অথচ জান্নাতের সার্টিফিকেট দিতে পারেন না,স্ববিরোধী লাগছে আমার কাছে।
কোরআন-হাদিসে তো সরাসরী জান্নাতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্ম-কান্ডের পুরুস্কার হিসেবে।
।
ওনি কোরআন ও সহী হাদীসের আলোকে মানুষকে আহবান করেন। গোমরাহী থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক বার্তা পৌছে দেবার চেষ্টা করেন।
ওনার বক্তব্য বা ওয়াজ শুনার আহবান করছি। শুনে মন্তব্য করুন। ধন্যবাদ।
মাজার পন্থী বেকুবরা কি বল্ল তা ওদের ব্যাপার।নিজের দেখা কিছু বিতর্কিত কাজের কারণে 'মাদানী' উপাধিধারীদের উপর মন বিষিয়ে উঠেছে আমার।সাধারণ মুসলিম হিসেবে বিতর্ক এড়িয়ে চলাই ভালো মনে করি।
আপনি তো সাউদিতে থাকেন তো আপনি তো ইসলামিক কালচারাল সেন্টার দাম্মামে গেলেই হয়!! সেখানে তো শায়খকে পাবেন তার সাথে সরাসরি কথা বলুন।
অন্যর কথা শুনে কথা বলার কি দরকার। আপনি কি জীবনেও তার একটা লেকচারো শুনেছেন ভাই??
আমার মনেহয় না শুনেছেন তাই বললাম।
আগে যাচাই করুন আর আপনার জন্য তো যাচাই করা সহজ।
এটা যুক্তি সংগত হল?
এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন?? আর পাবার পরে তার কাছে জানতে চেয়েছেনকি যে কেন এই কথা বলেছে??
নিশ্চই রসুল(সা) বলেছেন, কোন ব্যাক্তির মিথ্যাবাদী হবার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যাশোনে তাই বর্ণনা করে।
আপনি যাচাই করলেন না কেন ঐ কথা গুলোকে??
অথচ আল্লাহ তো যাচাই করতে বলেছেন সুরা হুজুরাত আয়াত ৬ এ??
শোনার সাথেসাথেই খারপ ধারনা মাথায় আগে থেকে থাকলে কিভাবে আপনি সত্যকে বুঝবেন ভাই। !!!
তাই আগে শোনা কথাটা যাচাই করুন।
উপরোক্ত গুনাবলী না থাকলে সে দুনিয়া বিখ্যাত যত বড় আলেম আর ফকীহ হোক না কেন জান্নাতের ধারে কাছেও তার অবস্থান হবেনা।
আমি মাদানী সাহেবের কয়েকটি বক্তব্য শুনেছি, সন্দেহ নেই যে, তিনি অতি উচু মানের জ্ঞানী মানুষ। তবে তাঁর বক্তব্যে সমালোচনার সুর, ধরন, প্রক্রিয়া, পদ্ধতি মোটেও সুন্দর, সুস্থ নয়। যে কোন ব্যক্তির চোখে তাঁর মত মহান ব্যক্তির সমালোচনার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলবেই। সমালোচনায় আন্তরিকতা থাকতে হয়, সাইদী সাহেবকে নিয়ে তাঁর সমালোচনায় মনে হয়েছে তিনি তাঁকে হেয় করতে চাচ্ছেন।
কে কি বলেছে সেটা একজন দায়ী ইলাল্লাহর কাজ হতে পারেনা। তাঁর দায়িত্ব হল, কোরআন আর হাদিস কি বলেছে সেটা তুলে ধরা। যারা শুনবে তারা ঠিকই বিচার বিশ্লেষন করে ঠিক করে নেবে কার কথা সঠিক।
দুনিয়াবী একটা হিসেব দেখুন, যখন কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তায় দাঁড়িয়ে একই জিনিষ বিক্রয় করে, তখন কেউ অন্যের পণ্যের বদনাম করেনা বরং বুঝাতে চায় যে, তার পন্যটি উত্তম ও গুনগত মান ভাল। ক্রেতারা নিজ দায়িত্বে তাদের পণ্য বাছাই করে নেন।
এখানে সাইখ মাদানী সাহেব নিজের পণ্য ভাল প্রমান করতে অন্যের পণ্য যে খারাপ সেটা বলাও তাঁর দায়িত্বে রেখেছেন।
তাই ইসলামী জীবনে,
খোঁটা দিয়ে উপদেশ দেবার যেমন কোন গুরুত্ব নাই।
শাসন করে ক্ষমা করারও কোন মূল্য নাই।
তিরষ্কার করে রাস্তা দেখানোয় যেমন কল্যান নাই।
গলাধাক্কা দিয়ে উপকার করায়ও কোন সওয়াব নাই।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, 'আমি জান্নাতে এমন মানুষের ঘুরাফেরা করতে দেখেছি, যারা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিষ পরিষ্কার করত'। এখানে আল্লাহ তাদের কাজকে মূল্যায়ন করেন নি। আল্লাহ মূল্যায়ন করেছেন, বান্দার কাজ যত তুচ্ছই হোক না কেন কিন্তু তাদের কাজের লক্ষ্য ও আন্তরিকতা ছিল স্বচ্ছ। আর সে কারণে আল্লাহ তাদের দয়া দেখিয়েছেন এবং তারা জান্নাতে গিয়েছেন। আর এটাই হল সেই খোদায়ী গুনের কারণে। খোদায়ী গুন বিশ্লেষন ও আহরণের জন্য এলেম আগে জরুরী, নতুবা এলেম কোন কাজে আসেনা।
আজকে আপনি যে পোষ্ট টি দিয়েছেন সেটি ইসলামের কল্যানে দিয়েছেন, কোন ব্যক্তিগত সুবিধা পাওয়ার আশায় করেন নাই। সে হিসেবে আপনি আমার ভাই, সে জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সাধারণ মানুষের কাছে অন্যের বদনাম না করে সরাসরি আলেমদের সভা-সেমিনারের মাধ্যমে নিজেদের এসব আকিদা/ঘোড়ামি সমাধান করা উচিত। তাতেই সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে। অন্যথায় আমরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ঐ দলের ইসলাম মেনেই চলব...
সমলোচনা করার জন্য যার যার নিজস্ব স্টাইল থাকতে পারে!
সমালোচনা কি নিয়ে করল সেই বিষয়ে নজর দেয়া জরুরী। সমালোচনা মানে যে গীবত সেটা কতটুকু গ্রহণ যোগ্য? মোহাম্মদ (সাঃ) নিজেই মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে বাতিলের বিপক্ষে কথা বলছেন।
ঠিক বেঠিক এর আলোচনা না হলে সঠিক পথ খূঁজে কিভাবে নেব আমরা?
সাঈদীর ব্যাপার নিয়ে বলতে গিয়ে আপনার হতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে খানিকটা!
আমি যতদূর জানি সাঈদী সাহেব সমলাচোনা শুনে নিজেকে কিছু কিছু বিষয়ে সংশোধন করে ছিলেন! কিছু ব্যপারে সাঈদী সাহেবের ভিন্নমতও ছিলো।
আমি সাঈদী সাহেবকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসি, এখনো তার ওয়াজ শুনি।
সত্য কথা শুনলে মানুষ কষ্ট পাবেনা ইতিহাসে এমনটা কখনো হয়নি। নবীদের জীবনের দিকে থাকালে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে তিনি বক্তিতার মধ্যে অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল আর করে কথা বলতে উস্তাত।
মাজর ও পীর পন্থীরা দূরে থাকুন! এর পরেও দেখবেন...
আপনার পোস্টে কত চুলকানী চলে আসবে খুব শিঘ্রই। তাই Calamina Lotion রেডি রাখেন তাদেরকে লাগানোর জন্য।
@ইমরান ভাই.... আমার আগের মন্তব্যটায় আরেকবার চোখ বুলিয়ে আসার অনিরোধ করছি।
(এটা আপনার আগের প্রতিমন্তব্যের ....)
ভাই যথাযথ ভাবে নিরপেক্ষ ভাবে আগে জানার চেষ্টা করুন।
কারন - যার সম্পর্কে বলছেন তাকে আপনি যতটুকু জানেন - আমি নিশ্চিত বলতে পারি - আপনার থেকে বেশ চিনি এবং জানি। এটা কোন অহংকার নয়।
সম্মানীত এই মাদানী সাহেবকে অনেক আগে বলেছিলাম (২০০৩) চলে আসুন বাংলাদেশে। বাংলাদেশে অথবা কলিকাতায় গিয়ে দ্বায়ীর কাজ শুরু করুন। দাওয়াতের ময়দানে কাজ করা,বলার মধ্যেই আসল বিষয়।
আমি জনাব নজরুল ইসলাম ভাইর সাথে সম্পুর্ণ একমত। এই পদ্ধতি রাসূলের ছিল না। এটার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
নিজের অবস্থানকে নিরাপদ রেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়।
প্রতিষ্ঠিত ফাসিক,ফাজির,ফ্যাসিষ্ট (বাংলাদেশ) শক্তির তল্পী বাহক হলে অনেক কিছু করা সম্ভব। আশা করি বিরক্ত হবেন না।
আমি সম্মানীত মাদানীকে আবারও বলবো -অনেকদিন তো হল প্রবাসে আছেন।চলে আসুন বাংলাদেশে।সেখানে শিরক আর বিদআত নিয়ে কথা বলূন। আপনার সাথে আমি থাকবো।
এতেই দাওয়ার উদ্দেশ্য পূর্ণ হচ্ছে।
যাক প্রচারণা বলতে কি বুজতে চাইলেন?
এটা আমার মতামত, আপনি ওনার কথার জবাবে ভিন্নমত থাকলে প্রকাশ করুন।
থেকে ব্লগিং করছেন। আমার কাছে ডা:জাকির
নায়েক কে ভাল লেগেছে। বাইবেলের উপর
যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে।সাইখ মাদানী সাহেবের কোন বক্তব্য শুনিনি। মানুষ মাএই ভুল ত্রুটি থাকবে।
পীরের বিষয়ে এখানে যান, লেখা, লিংক, মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য গুলো দেখলে উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি....!
মন্তব্য করতে লগইন করুন